বাংলাদেশের ম্যাচে অন্য দেশের সমর্থকদের সঙ্গে প্রায়ই তর্ক করতে হয়৷ এতদিন হাস্যকর যুক্তিতেই তাঁদের বলতাম, ‘‘বাংলাদেশ শুধু অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে পিছিয়ে, সুতরাং নিশ্চয়ই আমরাও বিশ্বকাপ জিতবো৷'' এখন দিন বদলেছে৷
বিজ্ঞাপন
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে পরিসংখ্যান এবং কয়েকজন বিশেষজ্ঞের অভিমতেও বাংলাদেশের বিশ্বজয়ের সম্ভাবনার কথা ছিল৷ কিন্তু বাংলাদেশ সেমিফাইনালেও যেতে পারেনি৷ কেন পারেনি এ নিয়ে অনেক কথা হতে পারে৷ ভাগ্যের দোষ, আইসিসির দোষ – এ সব বলে তর্কের ঝড় তোলা যেতে পারে৷ লাভ কী! পারেনি – এটাই শেষ কথা৷ তবে এবারের জন্য শেষ হলেও চিরকালের জন্য ‘শেষ কথা' এটা নয়৷ বরং টি- টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশ পারবে – এই কথাটা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করার ভিত্তি তৈরি হলো ২০১৬-র বিশ্বকাপ আসরে৷
এই বিশ্বাসটা কিছুদিন আগেও ছিল না৷ মনেই হতো না, টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ তথাকথিত ক্রিকেট পরাশক্তিদের খানিকটা চোখ রাঙাতেও পারবে৷ দেশে জিম্বাবোয়ের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ড্র করা তো বেশি দিন আগের কথা নয়৷ ভারতে বিশ্বকাপ শুরুর আগেও তো এ নিয়ে কথা হয়েছে, বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে খুব একটা ভালো নয়৷'
ওয়ানডের উন্নতিটা আগে থেকেই চোখে পড়ছে৷ ২০১৫ বিশ্বকাপে ভারতের সঙ্গে একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত না দিলে আমাদের বিজয়রথ নিশ্চয়ই আরো দূরে যেত৷ এবার না পারলেও অদূর ভবিষ্যতে যে বাংলাদেশ ঠিকই বিশ্বকাপ জিততে পারবে এমন কথা টনি গ্রেগ, হোল্ডিং, গাভাস্কার, ওয়াসিম আকরামরা তখন নিশ্চয়ই আরো বেশি করে বলতেন৷
এমন আশার কথা তার অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন৷ দেশের মাটিতে এক ওয়ানডে সাফল্যের পরে তিনি বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশও একদিন বিশ্বকাপ জিতবে৷' তখন অবশ্য তাঁর কথায় অনেকেই হেসেছেন৷ আবার অনেক সমর্থকের মনে এমন আশা উঁকি দিতে শুরুও করে তখন৷
ওয়ানডেতে বড় জয়ের আনন্দ তো কবে থেকেই পেয়ে আসছি৷ ১৯৯৭-তে আইসিসি ট্রফি জয়ের দু'বছরের মধ্যে বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারানো, ২০০৪ সালে ঢাকায় ভারতকে হারানো, পরের বছর ইংল্যান্ডের ন্যাটওয়েস্ট ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়াকে আর ২০০৭ বিশ্বকাপে আবার ভারতকে হারানো – এ সব জয় উল্লাসেই উদযাপন করেছে বাংলাদেশ৷ মাঝে নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবোয়ে, কেনিয়াকে হারানোর কথা না হয় বাদই দিলাম৷
তবে সেই অর্থে কোনো ক্রিকেট পরাশক্তিকে ভালোভাবে কুপোকাত করার অভিজ্ঞতা হয়েছে ২০১৫ সালে৷ প্রথমে পাকিস্তানকে ‘হোয়াইটওয়াশ', তারপর ভারতকে ২-১ এ সিরিজ হারানোর কথা ভুলি কী করে!
কিন্তু সেই পাকিস্তান ছিল আধমরা বাঘের মতো৷ বিশ্বকাপ বিপর্যয়ের পর অনেক সিনিয়র বাদ পড়েছেন৷ অনেক অনভিজ্ঞের দল নিয়েই বাংলাদেশে আসতে হয়েছিল ওদের৷ তাই ওই হোয়াইটওয়াশে খুব আনন্দ হয়েছে, তবে উচ্ছ্বসিত হইনি৷
আসল মজাটা পেয়েছি পূর্ণ শক্তির ভারতকে হারানোর পর৷ সিরিজের প্রথম ম্যাচ জয়ের পরই জার্মানির অনেক বন্ধু এবং সহকর্মীকে ‘Happy New Era' লিখে টেক্সট মেসেজ পাঠিয়েছিলাম৷ অনেকেই ব্যাপারটা বুঝতে পারেননি৷ মেসেজ পেয়ে অবাক হয়েছেন, ভেবেছেন বছর শেষের আগেই বুঝি আমি ভুল করে ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার' লিখে পাঠিয়েছি৷
এমন ভুলের কারণ জানতে চেয়ে ফোনও করেছেন কয়েকজন৷ তাঁদের বলেছি, ‘শুভ নববর্ষ নয়, শুভ নবযুগ লিখেছি৷ হ্যাপি নিউ ইয়ার নয়, হ্যাপি নিউ ‘এরা'....বাংলাদেশ আজ যেভাবে ভারতের মতো দলকে হারালো, তাতে পরিষ্কার বোঝা গেছে, বাংলাদেশের ক্রিকেটে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে৷' হিন্দি বিভাগের ভারতীয় সহকর্মীরা সেদিন আর কথা বাড়াননি৷ সবাই স্বীকার করেছেন, তুচ্ছতাচ্ছিল্যের দিন যে শেষ এটা ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ৷
শিরোপা না জিতলেও রেকর্ডে এগিয়ে বাংলাদেশ
ভারতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বের সবগুলো ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ৷ পরাজয়ের এই হিসেব হতাশ করলেও প্রাপ্তি কিন্তু একেবারে কম নয়৷ কিভাবে? দেখুন৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
সবচেয়ে বেশি রান করেছেন তামিম
ভারতে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবাল৷ ছয় ম্যাচে ছয় ইনিংস খেলে তাঁর সংগ্রহ ২৯৫ রান৷ বলাবাহুল্য, ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটি খেলেননি তিনি৷ সেটা খেললে রান হয়ত আরো অনেক বাড়ত৷ টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ছয়ও মেরেছেন তামিম, মোট ১৪টি৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
হিসেবে দ্বিতীয়, বিবেচনায় সেরা কোহলি
ভারতের ক্রিকেট তারকা বিরাট কোহলি রানের হিসেবে আইসিসি-র ‘মোস্ট রানস’ তালিকায় আছেন তামিমের পর দ্বিতীয় অবস্থানে৷ পাঁচটি ম্যাচ খেলে মোট ২৭৩ রান করেছেন তিনি৷ তবে তাঁকেই ‘প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট’ ঘোষণা করেছে আইসিসি৷ এক্ষেত্রে ইংল্যান্ডের জো রুট এবং বাংলাদেশে তামিম ইকবালের নামও প্রাথমিক বিবেচনায় রাখা হয়েছিল৷ টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি চারও মেরেছেন কোহলি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Qadri
জো রুট করেছেন তৃতীয় সর্বোচ্চ রান
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে বিজিত দল ইংল্যান্ডের জো রুটের মোট সংগ্রহ ২৪৯ রান, খেলেছেন ছয়টি ম্যাচ৷
ছবি: GettyImages/AFP/M. Sharma
মুস্তাফিজের রেকর্ড
বাংলাদেশের তরুণ বোলার মুস্তাফিজুর রহমান ইনজুরির কারণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কয়েকটি ম্যাচ খেলতে পারেননি৷ তবে দলের জন্য তিনি যে এক বড় সম্পদ, সেটা বোঝাতে তাঁর খুব একটা সময় লাগেনি৷ ভারতের সমাপ্ত বিশ্বকাপে এক ইনিংসে সবচেয়ে সফল বোলার তিনি৷ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২২ রানে পাঁচ উইকেট নেন মুস্তাফিজুর৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
তবে বোলিংয়ে শীর্ষে মোহাম্মদ নবী
আইসিসি-র বোলিং রেকর্ড অনুযায়ী, সদ্যসমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারি আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী৷ সাতটি ম্যাচ খেলে মোট বারোটি উইকেট নিয়েছেন এই অলরাউন্ডার, ১৬৪ রানের বিনিময়ে৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Bhoot
দ্বিতীয় রশিদ খান
আফগানিস্তানের আরেক বোলার রশিদ খান রয়েছেন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে৷ তিনি নিয়েছেন ১১ উইকেট, খেলেছেন সাতটি ম্যাচ আর দিয়েছেন ১৮৩ রান৷ আফগানরা যে ক্রিকেটে শীঘ্রই উপরের দিকে পৌঁছাবেন তার ইঙ্গিতই দিচ্ছে এ সব রেকর্ড৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Bhoot
আছেন সাকিব আল হাসানও
আইসিসি-র ‘মোস্ট উইকেট’ শিকারিদের তালিকায় পাঁচ নম্বরে আছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান৷ ১৬৬ রান দিয়ে দশটি উইকেট নেন তিনি৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ
এ কথা জানে না, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না৷ তবুও জানাচ্ছি, ভারতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ২০১৬ সালের আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ৷ এই দলই কিন্তু প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হেরেছিল!
ছবি: Getty Images/D. Sarkar
8 ছবি1 | 8
ভারতীয়দের আগে কখনো এ অবস্থা দেখিনি৷
শহীদ আফ্রিদি, হাফিজ, শোয়েব মালিকদের দলের এমনই দুর্দিন যে আজকাল ডয়চে ভেলে উর্দু বিভাগের পাকিস্তানি সহকর্মীরা ক্রিকেট নিয়ে খুব একটা উচ্চবাচ্য করেন না৷ কিন্তু দু-একজন ভারতীয় সহকর্মীর সঙ্গে এতকাল জমজমাট আর মজাদার তর্ক হতো৷ ২০১৫-র ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে তাঁদের বলতাম, ‘‘৮৩-তে যেভাবে শক্তিতে অনেক পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ভারত বিশ্বকাপ জিতেছিল সেভাবে এই বিশ্বকাপটা আমরা জিতবো৷'' স্বাভাবিকভাবেই ভারতীয়রা জানতে চাইতেন, ‘‘ব়্যাংকিংয়ে এত পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ ফাইনালে উঠবে, অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হবে – স্বপ্নটা বেশি গাঁজাখুরি হয়ে গেল না?''
হেসে বলতাম, ‘‘না তো, গাঁজাখুরি মনে হচ্ছে কেন? অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে কাছে তো বাংলাদেশই৷ আর কে আছে কাছাকাছি?''
‘‘কী যা-তা বকছো, অস্ট্রেলিয়ার কাছে বাংলাদেশ এলো কীভাবে?''
‘‘এ ফর অস্ট্রেলিয়া, বি ফর বাংলাদেশ৷ তুমিই বলো, অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে কাছে বাংলাদেশ নয়?''
ভারতীয় সহকর্মীরা তখন আর না হেসে পারতো না৷
কিন্তু তর্কটা এখন আর তেমন জমে না৷ কেউ যদি শুরুতেই মেনে নেয়, ‘হ্যাঁ, আমরা হারতেই পারি', তাহলে আর তর্ক জমে কী করে!
ওয়ানডে বিশ্বকাপে কায়দা করে হার এড়াতে পারলেও পরে ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের সঙ্গে কোনোমতে হোয়াইটওয়াশটা এড়াতে পেরেছে ভারত৷ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ কিছুটা নির্বুদ্ধিতার পরিচয় না দিলে হয়ত ভারতকে হারিয়ে সেমিফাইনালের পথই ধরত বাংলাদেশ৷ ১ রানের ওই সৌভাগ্যপ্রসূত জয়ের পর তো বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সামর্থ্যেরও প্রশংসা করছেন ভারতীয়রা৷
তাই এখন জোর গলায়ই বলি, বাংলাদেশ পারবে, সত্যিই পারবে বিশ্বকাপ জিততে৷ সেদিন খুব বেশি দূরেও নয়৷ উন্নতির এই ধারাটা বজায় থাকলে আগামী ২-৩ আসরের মধ্যেই হয়ত বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে ভাসবে বাংলাদেশ৷
সত্যি, আপনিও কি তাই মনে করেন? আপনার মন্তব্য জানান, নীচের ঘরে৷
সাকিব ও সালমা: বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটতারকা
বাংলাদেশের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে কে না চেনেন? বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার এখনো আছেন ওয়ানডে ব়্যাংকিংয়ের শীর্ষে৷ বাংলাদেশের মেয়েদের ক্রিকেট দলে সালমা খাতুনের ভূমিকা এবং গুরুত্বও সাকিবের মতো৷
ছবি: Getty Images/S. Abdullah
ওয়ানডের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব
আইসিসি-র সর্বশেষ ওয়ানডে ব়্যাংকিং অনুযায়ী এখনো বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান৷ ৪১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছেন বাংলাদেশের এই সাবেক অধিনায়ক৷ দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাফিজ (৩৬৩) এবং শ্রীলঙ্কার তিলকরত্নে দিলশান (৩৪৯)৷আইসিসি ব়্যাংকিং সম্পর্কে আরো জানতে ওপরের প্লাস (+) চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
ক্রিকেটে বাংলাদেশের আরেক ‘অহংকার’ সালমা
বাংলাদেশের ক্রিকেটের কথা উঠলেই একে একে আসে সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাশরাফি, মুস্তাফিজ, সৌম্যদের কথা৷ অথচ প্রয়োজনের চেয়ে অনেক কম সুযোগ-সুবিধা পেয়েও বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররাও কিন্তু কম করছেন না৷ বড় কোনো দলীয় সাফল্য আসেনি ঠিকই, তবে কেউ কেউ একক নৈপুণ্যে বিশ্বসেরাদেরও চমকে দিচ্ছেন৷ খুলনার মেয়ে সালমা আক্তার তেমনই একজন৷ প্রায় নিয়মিতই বাংলাদেশের হয়ে কথা বলে তাঁর বল-ব্যাট৷
ছবি: Getty Images/AFP/R. Tabassum
টেস্টে এখনো দ্বিতীয় সেরা সাকিব
ওয়ানডের মতো একসময় আইসিসি ব়্যাংকিংয়ে টেস্ট ক্রিকেটেরও সেরা অলরাউন্ডার ছিলেন সাকিব৷ হালে ভারতের রবিচন্দ্রণ অশ্বিনের কাছে শীর্ষস্থানটা হারিয়েছেন৷ হারানো স্থানটি অচিরেই হয়ত ফিরে পাবেন বাংলাদেশ দলে ‘নির্ভরতার প্রতীক’ সাকিব৷ অশ্বিনের (৪০৬) চেয়ে তো মাত্র ২২ পয়েন্ট পিছিয়ে তিনি! ওপরের ছবিতে সস্ত্রীক সাকিব৷
ছবি: Getty Images/AFP
অলরাউন্ডার সালমাই বা কম কিসে!
এবার মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ৷ তবে সালমা ঠিকই নিজের জাত চিনিয়েছেন৷ মেয়েদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সালমা তাই বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন৷ এ মুহূর্তে ব়্যাংকিংয়ে চতুর্থ স্থানে আছেন তিনি৷ ওপরের ছবিতে পাকিস্তানের সানা মীরের সঙ্গে সালমা খাতুন (ডানে)
ছবি: Getty Images/AFP/A. Hassan
সেরা অলরাউন্ডার সাকিব
টি-টোয়েন্টি ব়্যাংকিংয়ে অলরাউন্ডারদের মাঝে সাকিব এখন দ্বিতীয়৷ শীর্ষে রয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসন৷ সুতরাং শিগগিরই শীর্ষে ফিরতেই পারেন সাকিব৷ অবশ্য টি-টোয়েন্টির শীর্ষে না উঠলেও সাকিব এমনিতেই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, কারণ, টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির অলরাউন্ডারদের ব়্যাংকিংয়ের শীর্ষ তিনে তো শুধু সাবিকই আছেন৷ সব ধরণের ক্রিকেট মিলিয়ে তাই সাকিবই সেরা৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
বোলার সালমা
বাংলাদেশের মেয়েরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনো নতুন৷ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার সুযোগও কম৷ তাই এ পর্যন্ত মাত্র ১৮টি ওয়ানডে আর ৩০টি টি-টোয়েন্টি খেলতে পেরেছেন বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে নিয়মিত পারফর্মার সালমা৷ এই সুযোগেই ওয়ানডেতে পেয়েছেন ১৯টি উইকেট আর টি-টোয়েন্টিতে ৩০টি৷ টি-টোয়েন্টি ব়্যাংকিংয়ে বিশ্বের একাদশতম সেরা বোলারও বাংলাদেশের সালমা খাতুন৷ ওপরের ছবিতে ব্যাটিংয়ের প্রস্তুুতি নিচ্ছেন সালমা৷