1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশ কি একদলীয় শাসনের দিকে যাচ্ছে?

২ মে ২০১৬

বিএনপি সংসদে নেই৷ সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকায় জাতীয় পার্টি, যাদের আবার মন্ত্রিপরিষদেও প্রতিনিধিত্ব আছে৷ সব মিলিয়ে বাংলাদেশে কি আওয়ামী লীগের একচ্ছত্র আধিপত্য, অর্থাৎ এক দলীয় শাসনই প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে?

শেখ হাসিনা
ছবি: Getty Images/AFP/D. Emmert

‘আপফ্রন্ট' অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের কাছে ঠিক এই প্রশ্নটাই রাখা হয়েছিল৷ আপফ্রন্ট আল জাজিরার জনপ্রিয় সাক্ষাৎকারভিত্তিক অনুষ্ঠান৷ চাঁচাছোলা প্রশ্ন করেন বলে অনুষ্ঠানের উপস্থাপক মেহদি হাসানও খুব জনপ্রিয়৷

বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বর্তমান অবস্থা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বক্তব্য ও ভূমিকা এবং দেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ – মূলত এসব বিষয়ই গুরুত্ব পেয়েছে আল জাজিরার এ অনুষ্ঠানে৷

শুরুতেই মেহদি হাসান জানতে চান, ‘‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আপনার দল আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছেন৷ কিন্তু বিরোধী দল সেই নির্বাচন বয়কট করেছে৷ একশ জনেরও বেশি রাজনৈতিক কর্মী নির্বাচনের আগে-পরে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে নিহত হয়েছে৷ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, কোনো হত্যারই তদন্ত হয়নি৷ এবং অনেক বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে নিখোঁজ হতে বাধ্য করার অভিযোগও রয়েছে৷ সব মিলিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে৷ এ বিষয়ে আপনার কী বক্তব্য?''

‘হ্যাঁ এটা সত্য যে ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি' – পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এভাবে নিজের বক্তব্য শুরু করতেই উপস্থাপক মেহদি হাসান বিএনপি-কে ‘বিরোধী দল' হিসেবে উল্লেখ করেন৷ এর প্রতিবাদে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলে ওঠেন, ‘আমরা তাদের বিরোধী দল বলিনা, কেননা, তারা সংসদেই নেই, এখন জাতীয় পার্টিই বিরোধী দল৷ '

গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কাকে অমূলক প্রমাণ করতে গিয়েও বিএনপির সমালোচনা করেন মো. শাহরিয়ার আলম৷ তিনি বলেন, ‘‘বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি, কারণ, নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে জামায়াতে ইসলামীর ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল৷ এবং বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াত ছাড়া বিএনপির কোনো ভবিষ্যৎ নেই৷ সম্ভবত এটাই ছিল (নির্বাচনে অংশ না নেয়ার) মূল কারণ৷''

সব হত্যার তদন্তেই পুলিশ তৎপর রয়েছে, দেশে কোনো ‘গুম'-এর ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবি করেন তিনি৷ এ প্রসঙ্গে ‘অধিকার' নামের একটি মানবাধিকার সংস্থা হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে অনেক মানুষ হত্যা করে গুম করার অভিযোগের প্রসঙ্গটিও তুলে আনা হয়৷ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘সরকার তাদের (অধিকার) দেয়া তথ্য চ্যালেঞ্জ করে প্রকৃত তথ্য-প্রমান হাজির করতে বলেছিল, কিন্তু তথ্য-প্রমান হাজির করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে৷ এমনকি বিএনপি এবং অন্যান্য দলও এমন কোনো তালিকা দিতে ব্যর্থ হয়েছে৷''

এ পর্যায়ে মেহদি হাসানের মন্তব্য, ‘‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, মোট ৮০ জন মানুষ গুম হয়েছে৷'' এরপর বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার এবং হয়রানির বিষয়টিও উঠে আসে৷ ‘এ সব সমালোচকরাই বলেন যারা বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক' – এভাবে প্রসঙ্গটি এড়াতে চাওয়ায় মেহদি হাসান বলেন, সব সমালোচককেই বিএনপি-জামায়াত সমর্থক নয়, কেননা ‘‘মানবাধিকার সংস্থাও এমন কথা বলেছে৷ ''

জবাবে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘‘অ্যামনেস্টির অনেক প্রতিবেদনই বাংলাদেশে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে৷ তারা তো এমনও বলেছে ১৯৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা সরাসরি অপরাধে জড়িয়েছে, যারা প্রত্যক্ষভাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সহায়তা করেছে, তারাও নাকি এমন কিছুই করেনি৷ '' বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ, পোশাক শিল্প, মানবাধিকার পরিস্থিতি ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত শুনতে ইউটিউব ভিডিওটি দেখুন৷

এসিবি/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ