বাংলাদেশ নিয়ে কুম্বলের মন্তব্যে পাঠকদের প্রতিক্রিয়া
২২ মে ২০১৯
‘আমাদের ছেলেরা সব পারে! ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ'...ভারতের সাবেক ক্রিকেটার অনিল কুম্বলের কথার প্রতিবাদ করে মন্তব্যটি করেছেন এক পাঠক৷ তবে ভিন্নমতও রয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
ক্রিকেট বিষয়ক ভারতীয় ওয়েবসাইট ‘ক্রিকেটনেক্সট'কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কুম্বলে বলেন, তিনি মনে করছেন না যে, বাংলাদেশ বিশ্বকাপে শেষ চারে যেতে পারবে৷
তবে পাঠক শামসুল হুদা বাংলাদেশের টাইগারদের নিয়ে অনেক আশাবাদী৷ ডয়চে ভেলে বাংলার ফেসবুক পাতায় তিনি লিখেছেন, ‘‘মানসিক চাপ সৃষ্টি করা সবচেয়ে খারাপ আক্রমণ, সুতরাং সাবধান! আমাদের ছেলেরা সব পারে! ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ...৷''
আরেক পাঠক সাইদুর রহমানও অনিল কুম্বলের কথার পালটা প্রতিবাদ জানিয়েছেন এভাবে, ‘‘ভারত শেষ চারে যেতে পারবে না, ওরা প্রথম রাউন্ডে বাদ পড়বে৷''
জয় স্যামুয়েল লিখেছেন, ‘‘এইটা কুম্বলের একার মত, আমি তাঁর সাথে একমতও পোষণ করতে পারছিনা না, আবার দ্বিমতও পোষণ করছিনা৷ খেলা হবে মাঠে সেখানে উইকেট ,আবহাওয়া ও পরিবেশ কেমন থাকবে, সেটা আমরা আগাম বলতে পারবো না৷ তবে বাংলাদেশ দল যদি ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং সব দিকে ভালো করতে পারে তবে সেমিফাইনাল খেলা অসম্ভব কিছু নয়৷ সর্বোপরি আম্পায়ারিং একটা বিষয়৷ তবে ভারতের অতিমাত্রায় আত্মবিশ্বাস তাঁদের কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে৷''
তবে ভিন্নমত পাঠক নিজামউদ্দিনের৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘অনিল কুম্বলে যা বলেছে আমি বলবো এটা তাঁর ‘অনেষ্ট অপিনিয়ন'৷ এমনিতেই দুই-এক ম্যাচে ভালো খেলে এই বিশ্বকাপে লাভ হবে না৷ তবে আমি মনে করি এই বাংলাদেশ আগের থেকে কিছুটা হলেও ধারাবাহিক৷ আমরা সমর্থকেরা তো আশা করবোই ভালো কিছু হোক৷''
শতকের বিশ্বকাপ
ক্রিকেট ম্যাচে কোনো ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করছেন, সেটা দেখতে দর্শক হিসেবে ভালোই লাগে৷ আর যিনি করছেন, সেটি তাঁর এক অসাধারণ নৈপুণ্য হিসেবে থেকে যায়৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/P. Kemp
১৬৫টি শতক
১৯৭৫ সালে প্রথম বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়৷ এখন পর্যন্ত হওয়া ১১ বিশ্বকাপে মোট ১৬৫টি সেঞ্চুরি হয়েছে৷ করেছেন ১০৩ জন৷ এর মধ্যে ভারতের শচীন টেন্ডুলকার সর্বোচ্চ ছয়টি শতক হাঁকিয়েছেন৷ এরপর আছেন অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং ও শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা৷ পাঁচটি করে সেঞ্চুরির মালিক তাঁরা৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Vatsyayana
সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির বিশ্বকাপ
২০১৫ সালের বিশ্বকাপে দর্শক সর্বোচ্চ ৩৮টি শতকের দেখা পেয়েছেন৷ এর আগের রেকর্ডটি ছিল ২০১১ সালে৷ ঐ বছর সেঞ্চুরি হয়েছিল ২৪টি৷ এছাড়া ১৯৭৫ সালে ছয়টি, ১৯৭৯ সালে মাত্র দুটি, ১৯৮৩ সালে আটটি, ১৯৮৭ সালে ১১টি, ১৯৯২ সালে আটটি, ১৯৯৬ সালে ১৬টি, ১৯৯৯ সালে ১১টি, ২০০৩ সালে ২১টি এবং ২০০৭ সালে সেঞ্চুরি হয়েছিল ২০টি৷ ২০১৫ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শতকের পর মাহমুদুল্লাহ৷
ছবি: Getty Images/AFP/F. Goodall
প্রথম সেঞ্চুরি
১৯৭৫ সালে প্রথম বিশ্বকাপের প্রথম দিনেই দুজন সেঞ্চুরির দেখা পান৷ এঁদের একজন ইংল্যান্ডের ডেনিস আমিস (ছবি) লর্ডসে ভারতের বিপক্ষে ১৩৭ রান করেছিলেন৷ একই দিনে অন্য খেলায় নিউজিল্যান্ডের গ্লেন টার্নার পূর্ব আফ্রিকার বিরুদ্ধে করেছিলেন অপরাজিত ১৭১ রান৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/P. Kemp
দ্রুততম শতক
আয়ারল্যান্ডের কেভিন ও’ব্রায়ান ২০১১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫০ বলে শতক হাঁকিয়েছিলেন৷ ব্রায়ানের ব্যাটিংয়ে ভর করে ইংলিশদের ৩২৭ রান টপকে গিয়েছিল আইরিশরা৷ ব্রায়ান শেষ পর্যন্ত ৬৩ বলে ১১৩ রান করেছিলেন৷
ছবি: Getty Images/T. Shaw
সবচেয়ে তরুণ সেঞ্চুরিয়ান
আরেক আইরিশ ক্রিকেটার পল স্টার্লিং ২০১১ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে যখন সেঞ্চুরি করেছিলেন তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২০ বছর ১৯৬ দিন৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Chowdhury
সবচেয়ে বেশি বয়সে সেঞ্চুরি
শ্রীলঙ্কার তিলকারত্নে দিলশান ২০১৫ সালে ৩৮ বছর ১৩৫ দিন বয়সে বাংলাদেশের বিপক্ষে শতক হাঁকিয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি বয়সে সেঞ্চুরি করার রেকর্ড করেছিলেন৷ এর মাত্র ১৩ দিন পর তিনিই আবার স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে আরেকটি সেঞ্চুরি করে বসেন৷ ফলে সেটিই এখন রেকর্ডের খাতায় উঠে গেছে৷
ছবি: Getty Images/Quinn Rooney
সবচেয়ে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া
১১ বিশ্বকাপের মধ্যে পাঁচটিই জিতেছে অস্ট্রেলিয়া৷ তাঁদের ব্যাটসম্যানরাই সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরিরও মালিক৷ দল হিসেবে অস্ট্রেলিয়া মোট ২৬টি শতকের মালিক৷ এর পরেই আছে ভারত (২৫) ও শ্রীলঙ্কা (২৩)৷
ছবি: Getty Images/R. Pierse
ফাইনালে ছয়জন
বিশ্বকাপ ফাইনালে এখন পর্যন্ত ছয়জন সেঞ্চুরি করেছেন৷ শুরুটা প্রথম বিশ্বকাপে৷ সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্লাইভ লয়েড সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন৷ এরপর ১৯৭৯ সালে স্যার ভিভ রিচার্ডস, ১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কার অরবিন্দ ডি সিলভা, ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং, ২০০৭ সালে একই দলের অ্যাডাম গিলক্রিস্ট (ছবি) এবং ২০১১ সালে মাহেলা জয়াবর্ধনে সেঞ্চুরি করেছিলেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Singh
মেলবোর্নে সাতটি
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোতে মোট সাতটি সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া গেছে৷ ভেন্যু হিসেবে এই তালিকায় এর পরে আছে করাচি (ছয়টি)৷
ছবি: Reuters/Gray
9 ছবি1 | 9
মো. বিলাল হোসেন মনে করেন অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, সাউথ আফ্রিকা এদের হারিয়ে শেষ চারে যাওয়া খুবই কঠিন হবে বাংলাদেশ টিমের৷
বেশ সুচিন্তিত মতামত পাঠক সালেক মোহাম্মদের৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশের সামগ্রিক ক্রিকেট কালচার এখনও ততটা উন্নত না৷ হয়তো দুই-একটা ম্যাচ আমরা জিতে যাই৷ যেরকম এবারের বিশ্বকাপ ফুটবলে কোরিয়া জার্মানিকে হারিয়েছে৷ এর অর্থ কি কোরিয়ানদের সামগ্রিক ফুটবল কালচার জার্মানদের চাইতে উন্নত বা বেশি? আমি এটাই বোঝাতে চাচ্ছি৷ তবে ভারতের এই ক্রিকেটার যে মন্তব্য করেছেন তা অনেকটাই ভদ্র গোছের৷ তবে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে অনেক কনফিডেন্স বেড়েছে - যা অবশ্যই ভাল দিক৷ আমাদের টিম ক্যাপ্টেন এর বিশ্লেষণও অত্যন্ত সঠিক এজন্য তাঁকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ৷ আমার দেশ ভালো খেলুক, এটা আমি মনেপ্রাণে চাই বা কামনা করি৷ তাছাড়া খেলায় তো হার জিত থাকবেই!''
পাঠক পলাশ পাল লিখেছেন, ‘‘আবেগ দিয়ে কমেন্ট করলে তো আর হয় না, খেলাটা আবেগের না৷''