1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বাংলাদেশের জন্য ট্রাম্প সমস্যা নয়’

১০ নভেম্বর ২০১৬

নির্বাচনের আগে তাঁর অভিবাসী এবং মুসলিম বিদ্বেষী কথাবর্তা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অনেক বাংলাদেশির মনেই ঘোর দুশ্চিন্তার জন্ম দিয়েছে৷ বাংলাদেশের জন্যই বা কেমন হবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প?

ডোনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: Getty Images/C. Somodevilla

এমন কিছু প্রশ্নই রাখা হয়েছিল আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ভয়েস অফ অ্যামেরিকার বাংলা বিভাগের প্রধান রোকেয়া হায়দার এবং অর্থনীতিবিদ ড. বিনায়ক সেনের কাছে৷ টেলিফোনে দু'জনই কিছুটা সংশয় নিয়ে কথা শুরু করলেও শেষ করেছেন আশা নিয়ে৷

ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ে তাঁ প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে ড. বিনায়ক সেন বলেন, ‘‘ওবামার বিজয়টা যে অর্থে আমরা অ্যামেরিকার রাজনীতিতে প্রগতিশীল ধারার উন্মোচন, ট্রাম্পের বিজয়ে তার ঠিক বিপরীতটা হয়েছে৷''

ড.বিনায়ক সেন

This browser does not support the audio element.

তবে ওবামা প্রার্থী হিসেবে যাঁকে ‘ডিস্টিংটলি, ইউনিকলি আনকোয়ালিফাইড' বলেছিলেন, সেই ট্রাম্প তো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াতেই নির্বাচিত হলেন! আসলে বিনায়ক সেন মনে করেন এর মাধ্যমে গণতন্ত্রের বড় একটা দুর্বলতাই প্রকাশিত হলো৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘একটা মিথ ছিল যে রাজনীতিতে আমরা গণতন্ত্রের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ফল পাই, আমরা শুনে আসছিলাম যে, সমাজতন্ত্র ভেঙে গেছে, এখন গণতন্ত্র ছাড়া আর কোনো উপায় নেই এবং এই গণতন্ত্রই আমাদের অপটিমাল বা সর্চোচ্চ সিদ্ধান্ত দেবে৷ কিন্তু সেটা যে ঠিক নয় তা প্রমাণ হলো ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিজয়ে৷''

তো কোন জাদুবলে হিলারি ক্লিন্টনের মতো প্রার্থীকে একরকম কুপোকাত করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প? ড. সেনের মতে, জয়ের অন্যতম কারণ ‘হোয়াইট ওয়ার্কিং ক্লাস'-এর দীর্ঘদিনের অসন্তোষ এবং ক্ষোভ৷ দেশের জনসংখ্যার মাত্র এক শতাংশের প্রতিনিধি অভিজাতদের কাছে ষাট ভাগ সম্পদ, বিপরীতে শ্বেতাঙ্গ শ্রমিক শ্রেণির সমস্ত অপ্রাপ্তি আর অনিশ্চয়তা তাদের মনে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছিল৷ যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়া, ইরাক, লিবিয়াসহ অনেক দেশে যুদ্ধের পেছনে অর্থ ব্যয় করে, যুক্তরাষ্ট্র অথচ দেশের দরিদ্র শ্রেণির জন্য তেমন কিছুই করা হয় না – এই বাস্তবতাও পুঞ্জীভূত ক্ষোভ হয়ে পরিবর্তনের পক্ষে রায় দিতে উদ্বুদ্ধ করেছে৷ তাই প্রার্থী হিসেবে খুব আকর্ষণীয় বা আদর্শ না হলেও ট্রাম্পের কথায় আস্থা রেখেছেন অনেকে৷

নির্বাচনি বৈতরণী সহজে পার হলেও দেশ পরিচালনার কাজটি কি ট্রাম্পের জন্য সহজ হবে? বিশ্ব রাজনীতিতে কেমন প্রভাব ফেলতে পারে ট্রাম্পের জয়? বিনায়ক সেন মনে করেন, নির্বাচনের আগের ট্রাম্পই থেকে গেলে, অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রকৃত অর্থে দায়িত্বশীল না হলে পরিণাম খুব ভয়াবহ হতে পারে৷ তবে আশার কথা, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট চাইলেও সব কিছু করতে পারেন না৷ যথেচ্ছচারী হতে গেলে কংগ্রেসে, সেনেটে, এমনকি নিজের দলের ভেতরেও বিরোধীতার মুখোমুখি হতে পারেন ট্রাম্প৷ আর ‘চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স'-এর এই প্রক্রিয়াই আপাত ‘উদ্ধত' ট্রাম্পকে সংযত এবং দায়িত্বশীল করতে পারে বলে মনে করেন তিনি৷

সাংবাদিক রোকেয়া হায়দারও এ কারণেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নিয়ে খুব কম চিন্তিত৷ এর কারণ জানাতে গিয়ে টেলিফোনে ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘আসলে দেখুন, অ্যামেরিকায় প্রেসিডেন্ট কিন্তু সর্বকর্তৃত্বশীল কোনো ব্যক্তি নন৷ যদিও ৩৪টি সেনেটের আসন এবং ৪৩৫টি প্রতিনিধি পরিষদের আসনেও রিপাবলিকানের প্রাধান্য রয়েছে৷ সেটা নিশ্চয়ই ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য সুবিধা৷’’  

রোকেয়া হায়দার

This browser does not support the audio element.

তিনি আরো বলেন, ‘‘তবে এটাও ভাবতে হবে যে রিপাবলিকানদের মধ্যেও অনেক মধ্যপন্থি আছেন৷ তাই সবাই পরিবর্তন চাইছেন, কিন্তু একটা বিরাট পরিবর্তন এনে সবকিছু ওলটপালট করে দেয়ার গতিতে এগিয়ে যাবেন, সবাই সেক্ষেত্রে একমত হবেন বলে আমার মনে হয় না৷''

রোকেয়া হায়দার এবং ড. বিনায়ক সেন – দু'জনই মনে করেন, নতুন প্রেসিডেন্ট এলেও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি খুব একটা বদলায় না, তাই বাংলাদেশেরও ট্রাম্পকে নিয়ে বেশি চিন্তার কিছু নেই৷

যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে বসবাসরত বাংলাদেশিদের জন্যও ট্রাম্প বড় কোনো হুমকি হয়ে দাঁড়াবেন এমনটি মনে করার কোনো কারণ দেখছেন না তাঁরা৷ তবে বিনায়ক সেন এবং রোকেয়া হায়দার মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রে যারা অবৈধভাবে বসবাস করছেন, তাদের নিশ্চয়ই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকার কারণ আছে৷

বন্ধু, আপনার কী মনে হয়? ট্রাম্পকে নিয়ে দুশ্চিন্তার কি আদৌ কোনো কারণ আছে? লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ