গত বছর বিশ্বে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কমলেও বাংলাদেশে বেড়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর৷ তবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থানের কারণে প্রশংসা পেয়েছে বাংলাদেশ৷
বিজ্ঞাপন
বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে প্রকাশিত ‘কান্ট্রি রিপোর্ট অন টেররিজম' শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘‘২০১৬ সালে ইসলামিক স্টেট ও আল-কায়েদার মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো বাংলাদেশের সংখ্যালঘু, বিদেশি, পুলিশ, সেক্যুলার ব্লগার ও প্রকাশকদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়৷ নিজেদের কর্মকাণ্ড ও বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকে বেছে নিয়েছে জঙ্গিরা৷ আইএস ও আল-কায়েদার সংশ্লিষ্ট কিছু প্রকাশনা, ওয়েবসাইট ও ভিডিওতে বাংলাদেশের কথা বলা হয়েছে৷''
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘গত বছরের ১ জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলায় ১৭ বিদেশি ও দুই পুলিশ সদস্যসহ ২২ জনকে হত্যার আলোচিত ঘটনায়ও আইএসের দায় স্বীকারের খবর আসে৷ হোলি আর্টিজান বেকারির ওই হামলাসহ আইএস বাংলাদেশে মোট ১৮টি হামলার দায় স্বীকার করেছে৷''
এ সব হামলার পেছনে বাংলাদেশ সরকার ‘হোম গ্রোন' বা দেশীয় জঙ্গি ও বিরোধী কয়েকটি রাজনৈতিক দল রয়েছে বলে মনে করছে সরকার৷ তারপরও বাংলাদেশ সরকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে৷ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সঙ্গে রেখে তারা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বলেও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে৷
আব্দুর রশিদ
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, ‘‘বিদেশি সন্ত্রাসীদের ধরতে প্রয়োজনীয় আইন না থাকলেও বাংলাদেশ সন্ত্রাসী সন্দেহে কয়েকজন বিদেশি সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে৷ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশ স্থল, জল ও আকাশ সীমারেখা শক্তিশালী করেছে৷ সামনে এই নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার করার পরিকল্পনা রয়েছে৷ প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের সীমান্তে অবকাঠামো নির্মাণে সহায়তা করছে৷''
বিশ্ব জুড়ে সন্ত্রাসী হামলা ২০১৬ সালে কমে আসার কারণ ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, এ সময়ে আফগানিস্তান, সিরিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান এবং ইয়েমেনে তুলনামূলক কম হামলা ও প্রাণহানির কারণে বিশ্বে সন্ত্রাসবাদী হামলা কমে আসে৷ তবে একই সময়ে ইরাক, সোমালিয়া ও তুরস্কসহ বেশ কয়েকটি দেশে সন্ত্রাসী হামলা ও হতাহতের ঘটনা বেড়েছে৷
পাকিস্তানকে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনটিতে৷ ইরান, সিরিয়া ও সুদানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে৷
স্তম্ভিত করে দেয়া গুলশান হামলা
ঘটনাটি কাঁপিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়, আলোড়ন উঠেছিল দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে৷
ছবি: bdnews24.com
গুলশানে হামলা
বিশ্ব মানচিত্রে পরস্পরের সঙ্গে লাগোয়া মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন বাংলাদেশ অর্ধ শতাব্দী পূর্বে স্বাধীন হয়েছে ধর্ম নিরপেক্ষতার চেতনায়৷ দেড় দশক ধরে নানা জায়গায় মুসলিম জঙ্গিবাদ ছড়ালেও খানিকটা যেন নিরাপদেই ছিল দেশটি৷ রাজনৈতিক সহিংসতা ছিল৷ তার অনেকগুলোতে জঙ্গিদের ব্যবহারের কথাও তদন্তে উঠে আসে৷ তবে ঘোষণা দিয়ে বড় ধরণের হামলা আর হয়নি৷ এই ঘটনায় স্তম্ভিত হয়েছে গোটা দেশ৷
ছবি: bdnews24.com
যেভাবে শুরু
তখন ছিল রমজান৷ ঘটনার দিন ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে ‘আল্লাহু আকবর’ বলে একদল অস্ত্রধারী গুলশানের একটি রেস্টুরেন্ট ঢুকে পড়ে৷ স্প্যানিশ ওই রেস্টুরেন্টটির নাম হোলি আর্টিজান৷ ঢোকার সময়ই তারা বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক তৈরি করে৷
ছবি: bdnews24.com
জিম্মি দশা
অস্ত্রধারীরা রেস্টুরেন্টে ঢোকার পর সেখানে জিম্মি সংকট শুরু হয়৷ বাইরে চলে নানা গুজব৷ হামলার পর তাৎক্ষণিকভাবে কয়েকজন রেস্টুরেন্টকর্মী বের হয়ে আসতে সক্ষম হন৷ বাংলাদেশে এর আগে ১৯৭৭ সালে ঢাকায় আরেকটি জিম্মি সংকট ব্যাপক আলোচনার বিষয় হয়েছিল৷ তখন মুম্বাই থেকে টোকিওগামী একটি জাপানি বিমানের যাত্রীদের জিম্মি করে বিমানটি ঢাকায় নামিয়েছিল দেশটির বামপন্থি বিদ্রোহী দল ‘ইউনাইটেড রেড আর্মি’৷
ছবি: picture-alliance/abaca
কোথায়
অবস্থানগত কারণেও এই ঘটনা আলোচনায় ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে৷ কারণ, রেস্তোরাঁটি ঢাকার গুলশান এলাকায়৷ বিভিন্ন দেশের দূতাবাস রয়েছে এই এলাকায়৷ কয়েকটি দূতাবাস তো রেস্টুরেন্টের একেবারেই কাছে৷
ছবি: picture-alliance/Pacific Press Agency/M. Hasan
টার্গেট বিদেশি, টার্গেট হোলি আর্টিজান
ঢাকার অভিজাত এই এলাকার রেস্টুরেন্টটিতে পোষা প্রাণী নিয়ে প্রবেশ করা যেতো৷ এর ভেতরে উন্মুক্ত লন ছিল, সেখানে বাচ্চারা খেলাধুলা করতে পারতো৷ ওই এলাকায় থাকা বিদেশিদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছিল রেস্টুরেন্টটি৷ বিদেশিদের টার্গেট করতেই এই রেস্টুরেন্টকে বেছে নেয়া হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন৷
ছবি: bdnews24.com
প্রাণহানি পুলিশেরও
জিম্মি সংকট শুরুর পর ঘটনা সামলাতে এগিয়ে যায় পুলিশ বাহিনী৷ কিন্তু প্রথম দিকেই জঙ্গিদের হামলায় বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম প্রাণ হারান৷ এতে আতঙ্ক আরো বাড়ে৷
ছবি: bdnews24.com
ডাক পড়ে সেনাবাহিনীর
পুলিশ হতাহত হওয়ার পর অভিযান নিয়ে নতুন করে চিন্তা শুরু হয়৷ এক পর্যায়ে জঙ্গিদের কবল থেকে ওই রেস্টুরেন্টটি মুক্ত করার অভিযান রাতে কার্যত স্থগিত হয়ে যায়৷ শেষ পর্যন্ত ডাক পড়ে সেনাবাহিনীর৷ সাঁজোয়া যান নিয়ে সেনা সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করেন৷
ছবি: bdnews24.com
আইএস সংশ্লিষ্টতা
রাতে জিম্মি দশা চলাকালে তথাকথিত ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আইএস হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর আসতে থাকে৷ তবে সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে তা অস্বীকার করে৷
ছবি: Reuters/A.Konstantinidis
কিভাবে ঘটনার শেষ
ঘটনার অবসান হয় প্রায় ১২ ঘণ্টা পর সেনা অভিযানে৷ অবশ্য তার আগেই জঙ্গিরা সেখানে থাকা ২০ জনকে খুন করে৷ মরদেহ উদ্ধারের মধ্য দিয়ে গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারির জিম্মি সংকটের অবসান ঘটে৷ জীবিত উদ্ধার করা হয় এক জাপানি ও দুই শ্রীলঙ্কানসহ মোট ১৩ জনকে৷
ছবি: bdnews24.com
আলোচিত সেই বাড়ি
ঘটনার পর রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যায় গুলশানের সেই বাড়ি৷ যে রেস্টুরেন্টে হামলা হয়েছিল, তার মালিক ঘটনার পর বাড়িটি ফিরিয়ে নেন৷
ছবি: bdnews24.com
নতুন ঠিকানায় হোলি আর্টিজান
গত বছরের ১ জুলাই রাতে যখন হামলা হয়, তখন হোলি আর্টিজান ছিল গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর বাড়িতে৷ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর জানুয়ারিতে এসে গুলশান এভিনিউর র্যাংগস আর্কেডের দ্বিতীয় তলায় নতুন করে চালু হয় রেস্টুরেন্টি৷
ছবি: bdnews24.com
জঙ্গিবাদ ও বিচার
এই ঘটনার পর আইএস দায় স্বীকার করলেও বাংলাদেশ সরকার এর জন্য স্থানীয় জঙ্গি সংগঠন জেএমবির পুনর্গঠিত একটি শাখাকে দায়ী মনে করে৷ ঘুরে ফিরে এর সঙ্গে জড়িত হিসাবে একই ব্যক্তিদের নাম আসতে থাকে৷ সরকার তাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে৷ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আগাম পদক্ষেপে তাদের বহু ঘাঁটি ও অবস্থানস্থল ধ্বং হয়ে গেছে৷ সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, এই ঘটনার তদন্ত শেষ করতে ৫ ব্যক্তিকে খোঁজা হচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
12 ছবি1 | 12
এ নিয়ে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল আব্দুর রশীদ (অব.) ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘২০১৫ সাল এবং এর আগে বাংলাদেশে ছোট ছোট জঙ্গি হামলা হয়েছে৷ ২০১৬ সালে হোলি আর্টিজানে বড় ধরনের জঙ্গি হামলা হয়৷ সেই বিবেচনা থেকেই মার্কিন প্রতিবেদনে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হামলা বাড়ার কথা বলা হয়েছে৷ তবে হোলি আর্টিজান হামলার পর বাংলাদেশ জঙ্গিবিরোধী অভিযানে ঈর্ষণীয় সাফল্য দেখিয়েছে৷''
আইএস এবং আল-কায়েদা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে যারা জঙ্গি, তারা আইএস এবং আলকায়েদা ভাবাদর্শের৷ কিন্তু তাদের (আইএস) সঙ্গে বাংলাদেশের জঙ্গিদের সরাসরি যোগাযোগ নাই৷ আর তাদের হামলার টার্গেট থেকে এটা স্পষ্ট যে, এটা রাজনৈতিক কারণে হামলা৷ আইএস আল-কায়েদা হামলার টার্গেটের সঙ্গে এর মিল নাই৷''
প্রতিবেদনটি সম্পর্কে আপনার কোনো বক্তব্য থাকলে লিখুন নীচের ঘরে৷
ছবিতে ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়িতে জঙ্গি আস্তানা ঘিরে ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ সেনা অভিযানের বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছে আইএসপিআর৷ ঐ বাড়িটি থেকে ৭৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে৷ ছবিঘরে থাকছে তাদের উদ্ধার অভিযানের কিছু মুহূর্ত৷
ছবি: DW/ISPR
২৩শে মার্চের ঘটনা
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দক্ষিণ সুরমার শিববাড়িতে ‘আতিয়া মহল’ নামের একটি পাঁচ তলা ভবন জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে ফেলে পুলিশ৷ শনিবার সকালে সেখানে শুরু হয় সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নের ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’৷
ছবি: Getty Images/AFP
জোড়া বিস্ফোরণ
সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার পরপরই কাছের পাঠানপাড়ায় বিস্ফোরণের বিকট শব্দ পাওয়া যায়৷ বিস্ফোরণের শব্দ শুনে অভিযানস্থল থেকে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা সেখানে ছুটে যান৷ এরপর ঘটে দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি৷ জোড়া বিস্ফোরণে দুই পুলিশসহ ছয়জন নিহত হয়৷ র্যাবের গোয়েন্দাপ্রধানসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন৷
ছবি: Getty Images/AFP
প্যারা কমান্ডোর অভিযান
সবুজ রঙের দেয়াল ঘেরা আতিয়া মহলের দুটি বাড়ি৷ এসব বাড়িতেই জঙ্গি৷ তাদের হাতে জিম্মিদের উদ্ধারে অভিযানে ব্যস্ত সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোরা৷
ছবি: DW/ISPR
জঙ্গিদের কাছে অস্ত্রশস্ত্র
বাড়ির ভেতরে থাকা জঙ্গিদের কাছে ‘স্মল আর্মস’, বিস্ফোরক ও আইইডি আছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর৷ ভবনের বিভিন্ন স্থানে তারা আইইডি পেতে রাখায় পুরো বাড়ি বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে৷ এ কারণে অভিযানে সময় লাগছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী৷
শনিবার, অর্থাৎক ২৫শে মার্চ সকালে অভিযান শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ওই বাড়িতে আটকেপড়া মানুষদের মধ্যে ৭৮ জনকে সেনাবাহিনীর কমান্ডোরা উদ্ধার করে আনেন৷ জিম্মিদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারের উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে সেনা কর্মকর্তারা বলছেন, তাতে তারা পুরোপুরি সফল হয়েছেন৷
ছবি: DW/ISPR
নারীদের উদ্ধার
জঙ্গি আস্তানা থেকে এক নারীকে উদ্ধার করে পাশের বাড়ির ছাদ হয়ে বের করে আনছেন সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোরা৷
ছবি: DW/ISPR
বৃষ্টির মধ্যেই মুক্তি
বৃষ্টির মধ্যেই জঙ্গি আস্তানা থেকে জিম্মিদের উদ্ধার করে আনলেন সেনা কমান্ডোরা৷
শিশু কোলে এক নারীকে জঙ্গি আস্তানা থেকে উদ্ধার করে আনছেন সেনা কমান্ডোরা৷
ছবি: DW/ISPR
যে ছবিটি ভাইরাল
জঙ্গি আস্তানায় আটকে পড়েছিল এই শিশুটি৷ তাকে কোলে করে বের করে আনেন এক সেনা কমান্ডো৷ এই ছবিটি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল৷
ছবি: DW/ISPR
অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ
জঙ্গি আস্তানা থেকে উদ্ধার করা ব্যক্তিদের প্রথমে পাশের একটি বাড়িতে রাখা হয়, বিকালে তারা বেরিয়ে আসেন ওই এলাকা থেকে৷ তাদের চোখে মুখে অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগের চিহ্ন৷
ছবি: DW/ISPR
জঙ্গি আস্তানা সেনা নিয়ন্ত্রণে
সোমবার সকাল থেকে থেমে থেমে গুলি ও বিস্ফোরণ চলছিল৷ অভিযানের চতুর্থ দিন শেষে পাঁচ তলা ওই আতিয়া মহলে চারজনের লাশ পাওয়ার কথা জানিয়েছে সেনাবাহিনী। বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙে ঢুকে পড়ে সাঁজোয়া যান৷ আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের ওয়েবসাইটে অভিযানের পাঁচটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে৷