1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশ ‘সন্ত্রাসবিরোধী', পাকিস্তান ‘সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য'

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
২০ জুলাই ২০১৭

গত বছর বিশ্বে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কমলেও বাংলাদেশে বেড়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর৷ তবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থানের কারণে প্রশংসা পেয়েছে বাংলাদেশ৷

Bangladesch Dhaka Angriffe
ছবি: bdnews24.com

বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে প্রকাশিত ‘কান্ট্রি রিপোর্ট অন টেররিজম' শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘‘২০১৬ সালে ইসলামিক স্টেট ও আল-কায়েদার মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো বাংলাদেশের সংখ্যালঘু, বিদেশি, পুলিশ, সেক্যুলার ব্লগার ও প্রকাশকদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়৷ নিজেদের কর্মকাণ্ড ও বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকে বেছে নিয়েছে জঙ্গিরা৷ আইএস ও আল-কায়েদার সংশ্লিষ্ট কিছু প্রকাশনা, ওয়েবসাইট ও ভিডিওতে বাংলাদেশের কথা বলা হয়েছে৷''

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘গত বছরের ১ জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলায় ১৭ বিদেশি ও দুই পুলিশ সদস্যসহ ২২ জনকে হত্যার আলোচিত ঘটনায়ও আইএসের দায় স্বীকারের খবর আসে৷ হোলি আর্টিজান বেকারির ওই হামলাসহ আইএস বাংলাদেশে মোট ১৮টি হামলার দায় স্বীকার করেছে৷''

এ সব হামলার পেছনে বাংলাদেশ সরকার ‘হোম গ্রোন' বা দেশীয় জঙ্গি ও বিরোধী কয়েকটি রাজনৈতিক দল রয়েছে বলে মনে করছে সরকার৷ তারপরও বাংলাদেশ সরকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে৷ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সঙ্গে রেখে তারা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বলেও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে৷

আব্দুর রশিদ

This browser does not support the audio element.

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, ‘‘বিদেশি সন্ত্রাসীদের ধরতে প্রয়োজনীয় আইন না থাকলেও বাংলাদেশ সন্ত্রাসী সন্দেহে কয়েকজন বিদেশি সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে৷ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশ স্থল, জল ও আকাশ সীমারেখা শক্তিশালী করেছে৷ সামনে এই নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার করার পরিকল্পনা রয়েছে৷ প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের সীমান্তে অবকাঠামো নির্মাণে সহায়তা করছে৷''

বিশ্ব জুড়ে সন্ত্রাসী হামলা ২০১৬ সালে কমে আসার কারণ ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, এ সময়ে আফগানিস্তান, সিরিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান এবং ইয়েমেনে তুলনামূলক কম হামলা ও প্রাণহানির কারণে বিশ্বে সন্ত্রাসবাদী হামলা কমে আসে৷ তবে একই সময়ে ইরাক, সোমালিয়া ও তুরস্কসহ বেশ কয়েকটি দেশে সন্ত্রাসী হামলা ও হতাহতের ঘটনা বেড়েছে৷

পাকিস্তানকে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনটিতে৷ ইরান, সিরিয়া ও সুদানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে৷

এ নিয়ে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল আব্দুর রশীদ (অব.) ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘২০১৫ সাল এবং এর আগে বাংলাদেশে ছোট ছোট জঙ্গি হামলা হয়েছে৷ ২০১৬ সালে হোলি আর্টিজানে বড় ধরনের জঙ্গি হামলা হয়৷ সেই বিবেচনা থেকেই মার্কিন প্রতিবেদনে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হামলা বাড়ার কথা বলা হয়েছে৷ তবে হোলি আর্টিজান হামলার পর বাংলাদেশ জঙ্গিবিরোধী অভিযানে ঈর্ষণীয় সাফল্য দেখিয়েছে৷''

আইএস এবং আল-কায়েদা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে যারা জঙ্গি, তারা আইএস এবং আলকায়েদা ভাবাদর্শের৷ কিন্তু তাদের (আইএস) সঙ্গে বাংলাদেশের জঙ্গিদের সরাসরি যোগাযোগ নাই৷ আর তাদের হামলার টার্গেট থেকে এটা স্পষ্ট যে, এটা রাজনৈতিক কারণে হামলা৷ আইএস আল-কায়েদা হামলার টার্গেটের সঙ্গে এর মিল নাই৷''

প্রতিবেদনটি সম্পর্কে আপনার কোনো বক্তব্য থাকলে লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ