পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সিদ্ধান্ত, এবার থেকে মাল্টিপ্লেক্স এবং সিনেমা হলে বছরে ১২০ দিন বাংলা সিনেমা দেখাতেই হবে৷ কেউ বলছেন যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত, কেউ সন্দিহান বাংলা ছবির ভবিষ্যৎ আদৌ কতটা ভাল হবে!
বিজ্ঞাপন
বছরে ১২০ দিন বাধ্যতামূলক বাংলা ছবির প্রদর্শনী৷ অর্থাৎ, মাসে অন্তত ১০ দিন৷ পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র গোর্খা আঞ্চলিক প্রশাসনের আওতাভুক্ত জেলাগুলি বাদ দিয়ে সমস্ত সিনেমা হল এবং মাল্টিপ্লেক্সের জন্য এই নিয়ম চালু করছে রাজ্য সরকার৷ এতে হিন্দি, ইংরেজি সিনেমার দাপটে কোণঠাসা বাংলা সিনেমা তার বেঁচে থাকার জন্যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পাবে, এমনটাই আশা করা হচ্ছে৷এ কারণে চলচ্চিত্র নির্মাতারা, প্রযোজক এবং পরিচালক, দু'পক্ষই দু'হাত তুলে এই সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে৷ যাঁরা ছবি পরিবেশনার কাজে যুক্ত আছেন, তাঁরাও বলছেন এতে আখেরে বাংলা ছবির উপকারই হবে৷ কারণ, পশ্চিমবঙ্গের যে জেলাগুলি প্রতিবেশী রাজ্য বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের লাগোয়া, সেখানে হিন্দিভাষীদের সংখ্যাধিক্যের কারণে সিনেমা হল বা মাল্টিপ্লেক্সে বাংলা ছবি দেখানো প্রায় বন্ধই হয়ে গেছে৷ এর মধ্যে আসানসোল, দূর্গাপুরের বিস্তীর্ণ শিল্পাঞ্চলও আছে, যেখানে বাঙালি বাসিন্দার সংখ্যা নেহাত কম নয়৷ তার পরেও ওইসব শহরে বাংলা সিনেমা ব্রাত্য!
সেইদিক থেকে এটা যুগান্তকারী: অনিকেত চট্টোপাধ্যায়
এমন নয় যে পশ্চিমবঙ্গ প্রথম এমন এক ভাষাগত সিদ্ধান্ত নিল৷ ভারতের যে অংশে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি সবথেকে বড় এবং সচল, সফল, যেখানে আঞ্চলিক ভাষার প্রতি মানুষের টান অনেক জোরালো, সেই দক্ষিণ ভারতের দুটি প্রধান রাজ্য তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশে ৯০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকেই যথাক্রমে তামিল এবং তেলুগু সিনেমার জন্যে এমন নিয়ম চালু আছে৷ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ঋদ্ধ মহারাষ্ট্রেও মারাঠি ভাষায় তৈরি ছবির জন্য এই একই নিয়ম বলবৎ৷ হিন্দি সিনেমা এবং হিন্দি ভাষার আগ্রাসন থেকে আঞ্চলিক সংস্কৃতিকে বাঁচাতে এই নিয়মের সুফলও পাওয়া গেছে তিন রাজ্যেই৷ পশ্চিমবঙ্গে কিন্তু বামফ্রন্ট সরকারের আমলে বাংলা ছবির জন্য এমন সংরক্ষণের তদ্বির করেও বিমুখ হতে হয়েছে৷ ডয়চে ভেলেকে জানালেন চিত্র পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায়৷ তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য চলচ্চিত্র শিল্পের প্রতিনিধিদের বলেছিলেন, ‘‘আমরা একটা অঙ্গরাজ্যে আছি, আমরা এটা করতে পারি নাকি! আমরা এটা করলে হলমালিকরা কোর্টে চলে যাবে, আমরা অপদস্থ হব! এসব আমাদের কাজ না৷ আমরা করব না৷ সেক্টারিয়ান আউটলুক নিয়ে আপনারা এসেছেন, এসব হয় না!’’ অনিকেত সেসময় সাংবাদিক, তখনও চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত হননি৷ সাংবাদিক হিসেবেই বুদ্ধবাবুকে বলেছিলেন, অন্য রাজ্যে তো এরকম নিয়ম আছে৷ তাতে মুখ্যমন্ত্রীর জবাব ছিল, ‘‘ওসব গাজোয়ারি৷ আইন মেনে নয়৷’’
সেই প্রেক্ষিতে অনিকেত এখন আশ্বস্ত, যে বাংলা সিনেমা দেখানো বাধ্যতামূলক করার একটা আইনি সুযোগ তৈরি করল বর্তমান সরকার৷ এখন ‘‘একটা লিগাল প্রভিশন হলো৷ লিগালি আমরা এটা করতে পারি৷ সংরক্ষণ করতে পারি৷ সেইদিক থেকে এটা যুগান্তকারী,’’ বলছেন অনিকেত৷
যেটা হবে, তেলা মাথায় তেল দেওয়া হবে: অনিরুদ্ধ ধর
কিন্তু এই সংরক্ষণে বাংলা ছবির ভবিষ্যৎ কতটা উজ্জ্বল হবে, সেই নিয়ে সন্দিহান চিত্র সমালোচক, সাংবাদিক অনিরুদ্ধ ধর৷ বরং তাঁর রীতিমতো আপত্তি বছরে ১২০ দিনের এই বাধ্যতামূলক বাংলা ছবি দেখানোর নিয়ম নিয়ে৷ ডয়চে ভেলেকে অনিরুদ্ধ জানালেন, ‘‘আমার আপত্তি যেটা, যে এর ফলে যদি ভালো সিনেমা দেখানো হয় ওই ১২০ দিন, তা হলে আমার কোনো আপত্তি নেই৷ কিন্তু যেটা হবে, তেলা মাথায় তেল দেওয়া হবে৷ বাংলার যে সমস্ত বড় বড় প্রযোজক রয়েছেন কলকাতা শহরে, বা এই রাজ্যে, ঠিক এখন যেমন তাঁদের ছবিই কেবল দেখানো হয়, অন্য ছোট ছোট প্রযোজকের ছবি দেখানো হয় না, তাঁরা হল পায় না— এই জিনিসটা আরো বেশিভাবে হবে৷ ভালো বাংলা সিনেমা দেখানো হবে না৷’’
অনিরুদ্ধ ধর বলছেন, বাংলা চলচ্চিত্রে সেই উদাহরণ ভূরি ভূরি যে নতুন প্রযোজক, উদীয়মান পরিচালকের ভালো বাংলা ছবিকে জায়গা না দিয়ে দেখানো হয়েছে সেই সব মূল ধারার বাণিজ্যিক ছবি, যার পিছনে আছে বড় ব্যানারের প্রযোজক সংস্থা, যাঁরা সরকারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত৷ তবে এই মুহূর্তে বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত অধিকাংশেরই মত, দেখাই যাক না, এর পর বাংলা ছবির স্বার্থে আর কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়! সংরক্ষণের কোনো আইনই ছিল না, এখন অন্তত সেটা হলো৷ এবার কীভাবে সেই আইনের সুবিধে নেওয়া যায়, সেটা নিয়ে ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই ভাবনাচিন্তা করা হবে৷ কাজেই সময়ই বলবে, বাংলা ছবিকে বাঁচাতে যথেষ্ট আন্তরিকতা দেখানো হলো কিনা৷
বাংলা চলচ্চিত্রের এ কী দশা
চলছে বাংলা চলচ্চিত্রের চরম দুঃসময়৷ মানসম্পন্ন সিনেমার অভাবে দর্শকরা যেন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন দেশীয় চলচ্চিত্র থেকে৷ দর্শকের অভাবে বহু সিনেমা হল বন্ধ৷ আর যেগুলো টিকে আছে সেগুলোও চলছে ধুকে ধুকে৷ ছবিঘরে থাকছে সেই গল্পই৷
ছবি: Getty Images
এখনো আছে মধুমিতা
ঢাকার প্রায় পঞ্চাশ বছরের পুরনো সিনেমা হল ‘মধুমিতা’ টিকে আছে এখনো৷ প্রায় ৬০ বছর আগে ‘মুখ ও মুখোশ’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রের পথচলা শুরু হয়েছিল৷ মাঝে অনেকটা সোনালি সময় পার করেছে এই চলচ্চিত্র৷ কিন্তু পাঁচ যুগ পরে এসে এখন তা অনেকটাই মুখ থুবড়ে পড়েছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
চলচ্চিত্র প্রদর্শনে বিপর্যয়
১৯৯৯ সাল থেকে এ দেশে ব্যাপক হারে অশ্লীলতানির্ভর নিম্নমানের ছবি নির্মাণ শুরু হয়৷ সাধারণ দর্শক তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে সেরকম ছবি দেখার কথা ভাবতেই পারেনি৷ এছাড়া সিনেমা হলে মৌলবাদীদের হামলার ঘটনাও চলচ্চিত্র প্রদর্শনে বিপর্যয়ের আরেক কারণ৷
ছবি: Getty Images
এক হলে ১৩ জন দর্শক!
হাটখোলা এলাকায় ঢাকার আরেকটি পুরনো সিনেমা হল ‘অভিসার’৷ এ ছবি তোলার সময় সেখানে প্রদর্শনী চলছিল প্রায় এক হাজার আসনের এ সিনেমা হলে এ প্রদর্শনীতে সর্বমোট দর্শক সংখ্যা ছিলেন মাত্র ১৩ জন৷
ছবি: DW/M. Mamun
দুরবস্থার কারণ
২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ঢাকার অভিসার সিনেমা হল পরিচালনায় যুক্ত কবির হোসেন৷ চলচ্চিত্রের এ দুর্দশার জন্য তিনি সিনেমার মান আর বিভিন্ন সহজলভ্য স্যাটেলাইট টেলিভিশনকেই দায়ী করেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
ভালো ছবির কদর
ঢাকার আরেকটি সিনেমা হলের পরিচালক মতিন মিয়া৷ ঢাকার ‘গীত সঙ্গীত’ সিনেমা হল পরিচালনা করছেন তিনি গত প্রায় আঠারো বছর ধরে৷ তাঁর মতে ভালো নির্মাতা, নায়ক-নায়িকার অভাবই চলচ্চিত্রের দুর্দশার মূল কারণ৷ কেননা, এখনো দু-একটি ভালো সিনেমা এলে হল ভর্তি দর্শক দেখা যায়৷
ছবি: DW/M. Mamun
ব্যবসা কোথায়?
ছবিটি ঢাকার ‘গীত’ সিনেমা হলের৷ প্রায় দর্শকশূন্য হল৷ প্রায় ১১০০ আসনের এ হলে সেদিন দর্শক ছিল মাত্র ৩৪ জন৷ হলমালিকরা এ পরিস্থিতি নিয়ে প্রায়ই হতাশা প্রকাশ করেন৷ তাঁদের প্রশ্ন – এমন চলতে থাকলে ব্যবসা চালানো কিভাবে সম্ভব?
ছবি: DW/M. Mamun
দুর্দশার আরেকটি চিত্র
ঢাকার আরেক সিনেমা হল ‘সঙ্গীত’-এরও একই অবস্থা৷ এ হলেও প্রায় সব আসন ফাঁকা রেখে শো চালানো প্রায় নিয়মিত ঘটনা৷
ছবি: DW/M. Mamun
বন্ধ হলো ‘গীত’ ও ‘সঙ্গীত’
ঢাকার ধোলাইপাড় এলাকায় ‘গীত’ ও ‘সঙ্গীত’ সিনেমা হল৷ গত প্রায় দশ বছর ধরে ধুকে ধুকে চলার পর এ বছর রোজার আগেই বন্ধ করা হচ্ছে হল দুটি৷ এক সময় সারা দেশে সিনেমা হলের সংখ্যা ছিল এক হাজার ২০০ টি৷ বন্ধ হতে হতে এখন সারা দেশে সিনেমা হল টিকে আছে ২০০টির মতো৷
ছবি: DW/M. Mamun
সিনেমা হলের জায়গায় মার্কেট কমপ্লেক্স
বাংলাদেশে সিনেমা হল বন্ধের হিড়িক শুরু হয় মূলত ২০০১ সাল থেকে৷ ঢাকার ‘গুলিস্তান’ ও ‘নাজ’ সিনেমা হল ভেঙে নির্মাণ করা হয় মার্কেট কমপ্লেক্স৷ একইভাবে পুরনো ঢাকার ‘মুন’ ও ‘স্টার’ সিনেমা হল ভেঙেও করা হয়েছে বিশাল মার্কেট৷ এভাবে পুরনো ঢাকার ‘শাবিস্তান’, পোস্তগোলার ‘পদ্মা’, ‘মেঘনা’, ‘যমুনা’ ইত্যাদি সিনেমা হলও একে একে বন্ধ হয়েছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
হল ভেঙে নতুন হল
ঢাকার ‘শ্যামলী’ সিনেমা হল ভেঙে মার্কেট কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হলেও সেখানে আধুনিক একটি সিনেমা হল রাখা হয়েছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
দর্শক অশ্লীলতাবিমুখ
ঢাকার মিরপুরের ‘সনি’ সিনেমা হলে ৩২ বছর ধরে কাজ করছেন সামাদ মিয়া৷ তাঁর হলে একসময় অনেকে পরিবারের সবাইকে নিয়ে সিনেমা দেখতে আসতেন৷ কিন্তু এখন আর সে দৃশ্য তিনি দেখেন না৷ সেজন্য সিনেমার অশ্লীলতাকে দায়ী করেন তিনি৷
ছবি: DW/M. Mamun
টিকে থাকার কৌশল
ঢাকায় যে ক’টি হল টিকে আছে, তার মধ্যে মিরপুরের ‘সনি’ সিনেমা হল একটি৷ দীর্ঘ দিন লোকসান দিয়ে হলটি টিকিয়ে রেখেছেন এক সময়ের চলচ্চিত্র পরিচালক মোহামম্দ হোসেন৷ এই কমপ্লেক্সে কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থাকায় লোকসান দিয়েও চালানো সম্ভব হচ্ছে হলটির কার্যক্রম৷
ছবি: DW/M. Mamun
ঢাকায় হল কমে প্রায় অর্ধেক
ঢাকার দারুসসালাম এলাকায় আরেকটি পুরনো সিনেমা হল ‘এশিয়া’৷ গাবতলী বাস স্টেশনের কাছাকাছি হওয়ায় এ সিনেমা হলটির দর্শক ঢাকার অন্যান্য হলের তুলনায় কিছুটা বেশি৷ আশির দশকে ঢাকা শহরে ছিল ৪৪টি সিনেমা হল৷ বর্তমানে কমতে কমতে সংখ্যাটি পঁচিশেরও নীচে নেমে এসেছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
সাধারণ দর্শক যা মনে করেন
ঢাকার সাধারণ হলগুলোতে নিয়মিত সিনেমা দেখেন রুবেল৷ তাঁর মতে, আগে সিনেমাগুলো অনেক কাহিনিনির্ভর ছিল, কিন্তু বর্তমানের সিনেমাগুলোর কাহিনি থেকে শুরু করে নির্মাণ কৌশল সবকিছুই খারাপ৷
ছবি: DW/M. Mamun
পরোক্ষে মৌলবাদ
অনেকেই মনে করেন, বাংলা চলচ্চিত্র থেকে দর্শকদের মুখ ফিরিয়ে নেয়ার অন্যতম কারণ অশ্লীলতা৷
ছবি: DW/M. Mamun
অপর্যাপ্ত আধুনিকায়ন
চলচ্চিত্রে সংকটময় এই পরিস্থিতির জন্য সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতাকে দায়ী করেন সংশ্লিষ্টরা৷ চলচ্চিত্র নির্মাণে প্রযুক্তির ব্যবহারও খুব বেশি বাড়েনি৷ বিগত বছরগুলোতে বিএফডিসির কোনো আধুনিকায়নই হয়নি৷ সাভারের কবিরপুরে ফিল্ম সিটি গড়ে তোলার জন্য ১০৫ একর জমি বরাদ্দ হলেও আজ পর্যন্ত তার বাস্তবায়ন হয়নি৷
ছবি: DW/M. Mamun
পর্নো ছবি
ঢাকার কিছু সিনেমা হলে দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে বিদেশি সিনেমা৷ ‘এক টিকেটে ২ ছবি’-র এসব প্রদর্শনীতে মূলত দেখানো হয় পর্নো সিনেমা৷
ছবি: DW/M. Mamun
মাল্টিপ্লেক্সই ভরসা?
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যখন সিনেমা হল বন্ধের মহোৎসব চলছে, সে সময়ে কিছুটা হলেও দর্শক নিয়ে আসছে ঢাকার মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হলগুলো৷ সংখ্যায় খুবই কম হলেও ভালো পরিবেশের কারণে এসব মাল্টিপ্লেক্স হলে দর্শকরা আসছেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
মাল্টিপ্লেক্সে বেশি-বিদেশি চলচ্চিত্র
বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে প্রতিদিনই দর্শকরা ভিড় জমান বিভিন্ন সিনেমা দেখতে। তবে এসব সিনেমা হলে প্রদর্শিত সিনেমার অধিকাংশই বিদেশি৷
ছবি: DW/M. Mamun
পরিবারের সবার বিনোদনের স্থান
ঢাকার বসুন্ধরা সিটিতে স্টার সিনেপ্লেক্স মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হলের একটি৷ পরিবার-পরিজন নিয়ে এখানে দর্শকরা আসেন সিনেমা দেখতে৷