ক্রমশ নিজভূমে পরবাসী হয়ে উঠছে বাংলা ছবি৷ পশ্চিমবঙ্গে বাংলা ছবি দেখাতে নিমরাজি প্রেক্ষাগৃহের মালিকরা৷ প্রতিবাদে সরব স্বয়ং চলচ্চিত্র পরিচালক৷ হল-মাল্টিপ্লেক্সকে হিন্দির সঙ্গে সমানুপাতে বাংলা ছবি দেখাতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র পরিচালক প্রদীপ্ত ভট্টাচার্যের একটি ফেসবুক পোস্ট নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্র মহলে শোরগোল পড়েছে৷ তিনি হল মালিকদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন৷ তাঁর নতুন ছবি ‘রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত' মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ২০ সেপ্টেম্বর৷ কিন্তু কলকাতার কোনো হলে তাঁর ছবিকে মুক্তির সুযোগ দেওয়া হয়নি৷ ছবি মুক্তির আগে হলের যে তালিকা পাওয়া যায়, তাতে দেখা গিয়েছে, শহরতলি ও জেলার কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহে ছবি দেখানোর অনুমতি মেলে৷এর বিরুদ্ধে ফেসবুক পোস্ট করেন প্রদীপ্ত৷ ‘বাকিটা ব্যক্তিগত’ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পাওয়া পরিচালক লেখেন, ‘‘বাংলা ছবির প্রতি যথেচ্ছ করুণা বর্ষণ করুন৷ খুবই খারাপ লাগছে, কিন্তু হাল ছাড়া যাবে না৷ ছবি আমরা দেখাবোই৷’’
এই প্রথম নয়, অতীতেও হিন্দি ও ইংরেজি ছবির দাপটে পিছু হঠেছে বাংলা ছবি৷ হিন্দি ছবি ‘রাজি’-র জন্য পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘হামি’-কে সময় দেওয়া হয়নি৷ তারও আগে দক্ষিণের ছবি ‘বাহুবলী’-র সঙ্গে লড়াইয়ে ময়দান ছেড়েছিল পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘বিসর্জন’৷ একই অবস্থা হয়েছিল কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের ‘গুড নাইট সিটি’-র৷ হিন্দি ছবি বেশি জনপ্রিয়, একথা স্বীকার করেও প্রদীপ্ত বলেন, ‘‘কলকাতায় বাংলা ছবির দর্শক আছে৷ আমার এই ছবিতে স্টার ভ্যালুও কম নয়৷ তাই কলকাতার বুকে কমপক্ষে তিনটি হল পাওয়ার কথা৷ রহস্যময় কারণে তা হয়নি৷ এটা সবাইকে জানাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছি৷’’
হিন্দি ছবির প্রযোজকেরা বেশি টাকা দেয়: সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়
বাংলা ছবি না চলার কথা মানতে চাননি চলচ্চিত্র সমালোচক, অধ্যাপক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, ‘‘হিন্দি ছবির প্রযোজকেরা বেশি টাকা দেয়৷ বৃহৎ পুঁজি এভাবেই আমাদের গ্রাস করছে৷ কোনদিন শুনবো সত্যজিৎ, ঋত্বিকের ছবি দেখানোর হলও পাওয়া যাচ্ছে না৷ সবটাই কি বাণিজ্যিক মুনাফা পরিচালনা করবে?’’ এর সঙ্গে রাজনীতিকে জুড়েছেন তিনি৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘আর্থিক কারণে একটা সাংস্কৃতিক সংকট তৈরি করা হচ্ছে৷ এটা হিন্দি সাংস্কৃতিক আধিপত্যবাদের লক্ষণ৷ প্রান্তিক ভাষা ও সংস্কৃতিকে কোণঠাসা করা হচ্ছে৷’’
গত সপ্তাহে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রদীপ্তর পোস্ট হইচই ফেলে৷ দুর্গাপুজো উপলক্ষে শুক্রবার এবং পরের সপ্তাহে একগুচ্ছ বাংলা ও হিন্দি ছবির একসঙ্গে মুক্তি পাওয়ার কথা৷ বক্স অফিসে বাংলার ‘সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ’, ‘মিতিন মাসি’-র সঙ্গে লড়াইয়ে বলিউডের টাইগার শ্রফ, হৃত্বিক রোশনের ছবি ‘ওয়ার’৷ বিভি্ন্ন হল ইতিমধ্যেই ‘ওয়ার’-এর পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে৷ উৎসবের দিনে বাংলা ছবির হল প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে আনেন অভিনেতা ও সাংসদ দেব৷ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের প্রধান সচিব বিবেক কুমার হল মালিকদের একটি নির্দেশিকা পাঠাচ্ছেন৷ তাতে সরকারের হল এবং মাল্টিপ্লেক্স কর্তৃপক্ষকে বাংলা ও হিন্দি ছবি প্রদর্শনের জন্য সঠিক অনুপাত বজায় রাখতে বলা হচ্ছে৷
হিন্দি ছবির সঙ্গে আমাদের প্রতিযোগিতা জোরদার করতে হবে: প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য
ফেসবুকে প্রদীপ্তর প্রতিবাদ ও চলচ্চিত্র মহলের সমালোচনায় অবশ্য কাজ হয়েছে৷ ২৭ সেপ্টেম্বর রাজলক্ষী ও শ্রীকান্ত মুক্তির আগে প্রদীপ্ত যে প্রেক্ষাগৃহের তালিকা পেয়েছেন, তাতে কলকাতার প্রথম সারির কয়েকটি হল ও মাল্টিপ্লেক্স রয়েছে৷ এই দফায় বাংলা ছবির দাবির সামনে পিছু হঠেছেন হল মালিকরা৷ কেন বাংলা ছবিকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, তা নিয়ে মালিকরা ডয়চে ভেলেকে কিছু বলতে চাননি৷ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ আসার পর তাঁরা কিছুটা ব্যাকফুটে৷ এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছে বাংলার চলচ্চিত্র মহল৷ প্রদীপ্ত বলেন, ‘‘হিন্দি ছবির সঙ্গে আমাদের প্রতিযোগিতা জোরদার করতে হবে৷ বিভিন্ন বিষয়ের ছবি তৈরি করতে হবে৷ শক্তিশালী চিত্রনাট্য, অভিনব ভাবনা ও নিত্যনতুন ট্রিটমেন্ট কাজে লাগিয়ে বাংলা ছবিকে আকর্ষণীয় করে তোলা দরকার৷ বিগ বাজেটের ছবি আগেও ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে৷ তাদের সঙ্গে টক্কর দিতে হবে আমাদের৷’’ এই সংকটের জন্য বাঙালি দর্শকের রুচিকেও কিছুটা দায়ী করলেন ফেডারেশন অফ ফিল্ম সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রাক্তন সদস্য, ফিল্ম স্টাডিজের অধ্যাপক নবীনানন্দ সেন৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ভালো সিনেমা দেখার অভ্যেস আমাদের তৈরি করাতে হবে৷ দর্শক নিম্নরুচির কিছুতে আকৃষ্ট হতেই পারেন, তাঁকে ভালো ছবি দেখাতে হবে৷ আমাদের ভালো ছবি তৈরি করতে হবে৷’’
২০১৮ সালের জুলাই মাসের ছবিঘরটি দেখুন...
বাংলা চলচ্চিত্রের এ কী দশা
চলছে বাংলা চলচ্চিত্রের চরম দুঃসময়৷ মানসম্পন্ন সিনেমার অভাবে দর্শকরা যেন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন দেশীয় চলচ্চিত্র থেকে৷ দর্শকের অভাবে বহু সিনেমা হল বন্ধ৷ আর যেগুলো টিকে আছে সেগুলোও চলছে ধুকে ধুকে৷ ছবিঘরে থাকছে সেই গল্পই৷
ছবি: Getty Images
এখনো আছে মধুমিতা
ঢাকার প্রায় পঞ্চাশ বছরের পুরনো সিনেমা হল ‘মধুমিতা’ টিকে আছে এখনো৷ প্রায় ৬০ বছর আগে ‘মুখ ও মুখোশ’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রের পথচলা শুরু হয়েছিল৷ মাঝে অনেকটা সোনালি সময় পার করেছে এই চলচ্চিত্র৷ কিন্তু পাঁচ যুগ পরে এসে এখন তা অনেকটাই মুখ থুবড়ে পড়েছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
চলচ্চিত্র প্রদর্শনে বিপর্যয়
১৯৯৯ সাল থেকে এ দেশে ব্যাপক হারে অশ্লীলতানির্ভর নিম্নমানের ছবি নির্মাণ শুরু হয়৷ সাধারণ দর্শক তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে সেরকম ছবি দেখার কথা ভাবতেই পারেনি৷ এছাড়া সিনেমা হলে মৌলবাদীদের হামলার ঘটনাও চলচ্চিত্র প্রদর্শনে বিপর্যয়ের আরেক কারণ৷
ছবি: Getty Images
এক হলে ১৩ জন দর্শক!
হাটখোলা এলাকায় ঢাকার আরেকটি পুরনো সিনেমা হল ‘অভিসার’৷ এ ছবি তোলার সময় সেখানে প্রদর্শনী চলছিল প্রায় এক হাজার আসনের এ সিনেমা হলে এ প্রদর্শনীতে সর্বমোট দর্শক সংখ্যা ছিলেন মাত্র ১৩ জন৷
ছবি: DW/M. Mamun
দুরবস্থার কারণ
২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ঢাকার অভিসার সিনেমা হল পরিচালনায় যুক্ত কবির হোসেন৷ চলচ্চিত্রের এ দুর্দশার জন্য তিনি সিনেমার মান আর বিভিন্ন সহজলভ্য স্যাটেলাইট টেলিভিশনকেই দায়ী করেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
ভালো ছবির কদর
ঢাকার আরেকটি সিনেমা হলের পরিচালক মতিন মিয়া৷ ঢাকার ‘গীত সঙ্গীত’ সিনেমা হল পরিচালনা করছেন তিনি গত প্রায় আঠারো বছর ধরে৷ তাঁর মতে ভালো নির্মাতা, নায়ক-নায়িকার অভাবই চলচ্চিত্রের দুর্দশার মূল কারণ৷ কেননা, এখনো দু-একটি ভালো সিনেমা এলে হল ভর্তি দর্শক দেখা যায়৷
ছবি: DW/M. Mamun
ব্যবসা কোথায়?
ছবিটি ঢাকার ‘গীত’ সিনেমা হলের৷ প্রায় দর্শকশূন্য হল৷ প্রায় ১১০০ আসনের এ হলে সেদিন দর্শক ছিল মাত্র ৩৪ জন৷ হলমালিকরা এ পরিস্থিতি নিয়ে প্রায়ই হতাশা প্রকাশ করেন৷ তাঁদের প্রশ্ন – এমন চলতে থাকলে ব্যবসা চালানো কিভাবে সম্ভব?
ছবি: DW/M. Mamun
দুর্দশার আরেকটি চিত্র
ঢাকার আরেক সিনেমা হল ‘সঙ্গীত’-এরও একই অবস্থা৷ এ হলেও প্রায় সব আসন ফাঁকা রেখে শো চালানো প্রায় নিয়মিত ঘটনা৷
ছবি: DW/M. Mamun
বন্ধ হলো ‘গীত’ ও ‘সঙ্গীত’
ঢাকার ধোলাইপাড় এলাকায় ‘গীত’ ও ‘সঙ্গীত’ সিনেমা হল৷ গত প্রায় দশ বছর ধরে ধুকে ধুকে চলার পর এ বছর রোজার আগেই বন্ধ করা হচ্ছে হল দুটি৷ এক সময় সারা দেশে সিনেমা হলের সংখ্যা ছিল এক হাজার ২০০ টি৷ বন্ধ হতে হতে এখন সারা দেশে সিনেমা হল টিকে আছে ২০০টির মতো৷
ছবি: DW/M. Mamun
সিনেমা হলের জায়গায় মার্কেট কমপ্লেক্স
বাংলাদেশে সিনেমা হল বন্ধের হিড়িক শুরু হয় মূলত ২০০১ সাল থেকে৷ ঢাকার ‘গুলিস্তান’ ও ‘নাজ’ সিনেমা হল ভেঙে নির্মাণ করা হয় মার্কেট কমপ্লেক্স৷ একইভাবে পুরনো ঢাকার ‘মুন’ ও ‘স্টার’ সিনেমা হল ভেঙেও করা হয়েছে বিশাল মার্কেট৷ এভাবে পুরনো ঢাকার ‘শাবিস্তান’, পোস্তগোলার ‘পদ্মা’, ‘মেঘনা’, ‘যমুনা’ ইত্যাদি সিনেমা হলও একে একে বন্ধ হয়েছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
হল ভেঙে নতুন হল
ঢাকার ‘শ্যামলী’ সিনেমা হল ভেঙে মার্কেট কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হলেও সেখানে আধুনিক একটি সিনেমা হল রাখা হয়েছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
দর্শক অশ্লীলতাবিমুখ
ঢাকার মিরপুরের ‘সনি’ সিনেমা হলে ৩২ বছর ধরে কাজ করছেন সামাদ মিয়া৷ তাঁর হলে একসময় অনেকে পরিবারের সবাইকে নিয়ে সিনেমা দেখতে আসতেন৷ কিন্তু এখন আর সে দৃশ্য তিনি দেখেন না৷ সেজন্য সিনেমার অশ্লীলতাকে দায়ী করেন তিনি৷
ছবি: DW/M. Mamun
টিকে থাকার কৌশল
ঢাকায় যে ক’টি হল টিকে আছে, তার মধ্যে মিরপুরের ‘সনি’ সিনেমা হল একটি৷ দীর্ঘ দিন লোকসান দিয়ে হলটি টিকিয়ে রেখেছেন এক সময়ের চলচ্চিত্র পরিচালক মোহামম্দ হোসেন৷ এই কমপ্লেক্সে কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থাকায় লোকসান দিয়েও চালানো সম্ভব হচ্ছে হলটির কার্যক্রম৷
ছবি: DW/M. Mamun
ঢাকায় হল কমে প্রায় অর্ধেক
ঢাকার দারুসসালাম এলাকায় আরেকটি পুরনো সিনেমা হল ‘এশিয়া’৷ গাবতলী বাস স্টেশনের কাছাকাছি হওয়ায় এ সিনেমা হলটির দর্শক ঢাকার অন্যান্য হলের তুলনায় কিছুটা বেশি৷ আশির দশকে ঢাকা শহরে ছিল ৪৪টি সিনেমা হল৷ বর্তমানে কমতে কমতে সংখ্যাটি পঁচিশেরও নীচে নেমে এসেছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
সাধারণ দর্শক যা মনে করেন
ঢাকার সাধারণ হলগুলোতে নিয়মিত সিনেমা দেখেন রুবেল৷ তাঁর মতে, আগে সিনেমাগুলো অনেক কাহিনিনির্ভর ছিল, কিন্তু বর্তমানের সিনেমাগুলোর কাহিনি থেকে শুরু করে নির্মাণ কৌশল সবকিছুই খারাপ৷
ছবি: DW/M. Mamun
পরোক্ষে মৌলবাদ
অনেকেই মনে করেন, বাংলা চলচ্চিত্র থেকে দর্শকদের মুখ ফিরিয়ে নেয়ার অন্যতম কারণ অশ্লীলতা৷
ছবি: DW/M. Mamun
অপর্যাপ্ত আধুনিকায়ন
চলচ্চিত্রে সংকটময় এই পরিস্থিতির জন্য সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতাকে দায়ী করেন সংশ্লিষ্টরা৷ চলচ্চিত্র নির্মাণে প্রযুক্তির ব্যবহারও খুব বেশি বাড়েনি৷ বিগত বছরগুলোতে বিএফডিসির কোনো আধুনিকায়নই হয়নি৷ সাভারের কবিরপুরে ফিল্ম সিটি গড়ে তোলার জন্য ১০৫ একর জমি বরাদ্দ হলেও আজ পর্যন্ত তার বাস্তবায়ন হয়নি৷
ছবি: DW/M. Mamun
পর্নো ছবি
ঢাকার কিছু সিনেমা হলে দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে বিদেশি সিনেমা৷ ‘এক টিকেটে ২ ছবি’-র এসব প্রদর্শনীতে মূলত দেখানো হয় পর্নো সিনেমা৷
ছবি: DW/M. Mamun
মাল্টিপ্লেক্সই ভরসা?
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যখন সিনেমা হল বন্ধের মহোৎসব চলছে, সে সময়ে কিছুটা হলেও দর্শক নিয়ে আসছে ঢাকার মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হলগুলো৷ সংখ্যায় খুবই কম হলেও ভালো পরিবেশের কারণে এসব মাল্টিপ্লেক্স হলে দর্শকরা আসছেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
মাল্টিপ্লেক্সে বেশি-বিদেশি চলচ্চিত্র
বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে প্রতিদিনই দর্শকরা ভিড় জমান বিভিন্ন সিনেমা দেখতে। তবে এসব সিনেমা হলে প্রদর্শিত সিনেমার অধিকাংশই বিদেশি৷
ছবি: DW/M. Mamun
পরিবারের সবার বিনোদনের স্থান
ঢাকার বসুন্ধরা সিটিতে স্টার সিনেপ্লেক্স মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হলের একটি৷ পরিবার-পরিজন নিয়ে এখানে দর্শকরা আসেন সিনেমা দেখতে৷