1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলা ভাষার ‘জান কবজ’

ড. সৌমিত্র শেখর
৫ মার্চ ২০২১

ব্যাপারটি আর কিছু নয়: ‘ইজ্জতের’ উপর হামলা! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির একজন নেতা বছর পনেরো আগে আমাকে একটি বিবৃতির খসড়া পাঠালেন৷

বাংলা বর্ণ চ ধরে আছে এক শিশু
ছবি: AP

দেখি, সেখানে লেখাটা এমন- সরকারের এই পদক্ষেপ শিক্ষকদের ইজ্জতের উপর হামলার শামিল৷ আমি তাকে বললাম, ‘ইজ্জত’ শব্দটি বাংলায় খানিকটা ভিন্ন অর্থে, বিশেষত সম্ভ্রম অর্থে ব্যবহার হয়৷ এর বদলে ‘সম্মান’ ব্যবহার করে বাক্যটি একটু অন্যভাবে লিখি৷ তিনি নিজ শব্দপ্রয়োগে অনড় থাকলেন৷ এবার আপনারাই ভেবে দেখুন, শিক্ষকদের ‘ইজ্জত’ কি বাড়লো? আমি উদাহরণ দিলাম আরবি শব্দ ‘মদদ’-এর৷ সেটি আরবিতে ‘সাহায্য’ অর্থে ব্যবহৃত হলেও বাংলায় খানিকটা নেতিবাচক ‘ইন্ধন’ অর্থে ব্যবহার হয়৷ এতেও কাজ হলো না৷

শব্দ প্রয়োগের আগে বুঝতে হবে, শব্দ হলো ‘ইমেজ’, এটা ধারণা-বিশেষকে প্রকাশ করে৷ চাপাচাপি করলে সেই ‘ইমেজ’টা ভেঙে যায়৷ বৃষ্টিকণা আর সূর্যরশ্মির মিলনে রামধনু যেমন; কমবেশি হলেই শেষ, শব্দের ‘ইমেজ’টাও তাই৷ এই যে ‘রামধনু’ বললাম, এটাকে এখন ‘রংধনু’ বলে অনেকে৷ কিন্তু ‘রামধনু’ আর ‘রংধনু’ কি এক? ‘রামধনু’তে আছে পৌরাণিক ‘ইমেজ’, ‘রংধনু’তে শুধু রং! তফাতটা আকাশ-পাতাল৷ এসব জেনেই কাজী নজরুল ইসলাম, জসীমউদদীন ‘রামধনু’ই ব্যবহার করেছেন, ‘রংধনু’ নয়৷ (‘রং পেলে ভাই গড়তে পারি রামধনুকের হার৷’ -জসীমউদ্দীন) প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ায় সমার্থ শব্দ জানতে ও লিখতে হয়৷ কিন্তু শব্দের সমার্থও ঠিকঠাক হয় না৷ ‘বালার্ক’ হলো ভোরের সূর্য আর ‘মার্তণ্ড’ মধ্যাহ্নের খরতাপবর্ষী সূর্য৷ বলতে পারবেন না, দুপুরের বালার্কে আপনি ঘেমে উঠেছেন৷ বললে, হবে না৷ আবার ‘সবিতা’ সকাল আটটা থেকে দশটার সূর্য; কিন্তু ‘রবি’ একটি ধারণা, যেখানে সূর্যকে কেন্দ্র করে গ্রহ-উপগ্রহগুলো ঘুরছে৷ ফলে সমার্থ হলেও একটি শব্দের সঙ্গে অন্যটির ধারণাগত পার্থক্য ব্যাপক৷ শব্দের পরিভাষাও হয় না অনেক সময়৷ ‘সিরিয়াস’ শব্দটির কী পরিভাষা করবেন? অথবা অনুবাদ? চেষ্টা করুন, দেখবেন, এর ‘সিরিয়াসনেস’টাই থাকবে না! হাটবাজারে জিনিসপত্রের ‘দাম’ কত? সেই ‘দাম’ যে গ্রিক শব্দ, তা কজনই-বা জানি? কিন্তু লেখাপড়া না জেনেও কি ‘দাম' শব্দটি ব্যবহার করছেন না হাজার মানুষ? ‘জিন-রি-কি-শ' জাপানি শব্দ; এর অর্থ মানুষটানা গাড়ি৷ চীনা কিছু মানুষ সিমলাতে প্রথম গাড়িটি আনেন৷ পরে কলকাতাসহ ভারতের সর্বত্র ছেয়ে যায়৷ নাম খানিকটা বদলে হয় ‘জিন রিকশা’ থেকে ‘রিক্সা’৷ রিক্সা দিব্যি বাংলা ভাষায় এক হয়ে গেছে৷ চীনা শব্দ ‘চা’, ‘চিনি’, ফরাসি শব্দ ‘আঁতাত’, ‘রেস্তোরাঁ’, পর্তুগিজ শব্দ ‘সাবান’, ‘পাউরুটি’সহ ম্যাক্সিকান ‘চকলেট’ কিংবা অস্ট্রেলীয় আদিবাসীদের শব্দ ‘বুমেরাং’ চমৎকারভাবে মিশে গেছে বাংলায়৷ আর আরবি, পারসি শব্দের কথাতো বলাই বাহুল্য৷ আইন-আদালত থেকে হুঁশ-হুঁশিয়ার পর্যন্ত অসংখ্য আরবি-পারসি শব্দ অবলীলায় বাঙালি ব্যবহার করে চলেছে৷ কোনো প্রশ্ন জাগেনি মনে৷ ব্যবহারকালে মনে কোনো প্রশ্ন না-জাগলেই শব্দটি ভাষায় আত্তীকরণ হয়ে যায়, হয়ে যায় ভাষার সম্পদ৷ প্রশ্ন জাগলে, ব্যবহারে ধাক্কা খেলে সেটি ভাষায় ভার বাড়ায়৷ বাংলায় ‘ইজ্জত’ কিংবা ‘মদদ’ নিশ্চয়ই ব্যবহার হয়৷ কিন্তু এগুলো বাংলা ভাষায় বিশেষ ‘ইমেজ' সৃষ্টি করে নিয়েছে, আরবির ‘ইমেজ' থেকে যেটা আলাদা৷ এ বিষয়টি অনেকে জানেন না, অনেকে জেনেও ভাষায় জবরদস্তি করেন৷ (‘জবরদস্তি’র বদলে এখানে ‘জোর’ লিখলে হতো না৷)

বাংলায় একসময় আরবি-পারসি শব্দ স্বাভাবিকভাবেই ঢুকেছে৷ মধ্যযুগের অন্যতম সেরা কবি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর তো গর্ব করে বলেছেন, তিনি আরবি-পারসি শব্দ দিয়ে কবিতা লেখেন৷ রামমোহন রায় পারসি ভাষাটা এতটাই ভালো জানতেন, একটি পারসি পত্রিকা সম্পাদনার দায়িত্ব তিনি নিয়েছিলেন৷ রবীন্দ্রনাথের লেখায় ‘অনুবাদ’ শব্দের চেয়ে ‘তর্জমা’র ব্যবহার বেশি দেখা যাবে৷ প্রমথ চৌধুরী কিংবা সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, তারাও বাংলা ভাষায় আরবি-পারসি শব্দ প্রচুর ব্যবহার করেছেন৷ আদতে তাদের সামনে চ্যালেঞ্জ (দেখুন, এই শব্দটির বাংলা করা যাচ্ছে না; করলে চ্যালেঞ্জটাই উবে যায়৷) ছিল সংস্কৃত ভাষার কোল থেকে বাংলাকে স্বাবলম্বী করার৷ অনেকে বলেন, ‘ব্রাহ্মণ’দের পক্ষপাত ছিল বাংলাকে সংস্কৃতঘেঁষা রাখার৷ কথাটি এভাবে বলা ঠিক নয়৷ এটি একটি মানসিকতার ব্যাপার ছিল এবং এই মানসিকতাধারীদের মধ্যে ব্রাহ্মণরাই ছিলেন বেশি৷ কিন্তু সংস্কৃতঘেঁষা রীতির বিরুদ্ধে সংগ্রামটা যারা করেছেন তারাও তো ব্রাহ্মণ ছিলেন৷ রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রমথ চৌধুরীদের জন্মটা ব্রাহ্মণ পরিবারেই৷ তাঁরা কিন্তু সচেতনভাবে সংস্কৃত শব্দাবলি পরিহার করে অবলীলায় অসংস্কৃত শব্দ আর বিদেশি অর্থে আরবি-পারসি শব্দ বাংলায় ব্যবহার করেছেন৷ পরে কাজী নজরুল ইসলাম যেমনটা করেছিলেন৷

ভাষাকে সাবলীল রাখতে হলে শব্দের উপর খবরদারিত্ব না করাই ভালো৷ একই কালের কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত অভিধান থেকে সংস্কৃতগন্ধী শব্দ নির্বাচন করে কবিতা লিখে সমকালে খানিকটা মর্যাদা পেয়েছিলেন সত্য৷ নিজ সম্পাদিত পত্রিকায় জীবনানন্দ দাশের কবিতাকে ‘প্রকাশ-অযোগ্য' বলে ফেরত পাঠিয়েওছিলেন৷ সরল শব্দে কবিতা লিখে উত্তরকালে কিন্তু সুধীন্দ্রনাথের চেয়ে জীবনানন্দ দাশই স্মরণীয় ও শরণীয় হয়ে আছেন৷ ফররুখ আহমদের কবিতা যেন বিশেষ অর্থে সুধীন্দ্রনাথের মতো৷ একজনের সংস্কৃত, অন্যজনের আরবি-পারসি শব্দের প্রতি ঝোঁক৷ বাঙালির কাছে দুজনের কবিতার শব্দই অচেনা! কিন্তু দেখুন, আল মাহমুদ কবিতায় আরবি-পারসি শব্দ ব্যবহার করে বড় কবির সম্মান অর্জন করেছেন৷ আরবি-পারসি শব্দ ব্যবহারে ফররুখ আর আল মাহমুদের পার্থক্যটা হলো, ফররুখ অভিধান থেকে শব্দ নিয়েছেন আর আল মাহমুদ যাপিতজীবন থেকে৷ সুধীন্দ্রনাথ আর জীবনানন্দের পার্থক্যটা যেমন৷ আল মাহমুদ শব্দের উপর চাপাচাপি করেননি বা জবরদস্তি করে কবিতায় বসাননি৷ তাই তার কবিতায় ব্যবহৃত আরবি-পারসি শব্দগুলো বাঙালির বড় চেনা৷ সেগুলো পড়তে বা বলতে বাঁধে না৷

বাংলাদেশে শব্দের উপর রাজনৈতিক চাপটি প্রথম বোঝা যায় ১৯৪৭-এর পর৷ রাষ্ট্রীয়ভাবেই স্বাধীনতা না বলে বলা হতো ‘আজাদি’৷ এ নিয়ে অনেক লেখালেখি আছে: ‘আজাদি-উত্তর সাহিত্য’ বা ‘আজাদি-উত্তর সংস্কৃতি' ইত্যাদি৷ বাঙালি ‘আজাদি’ নেয়নি৷ ভারতবাসী কিন্তু নিয়েছে৷ বাঙালি ‘ইনকিলাব’ নেয়নি৷ ভারতবাসী নিয়েছে৷ বাঙালির কাছে আজাদির বদলে স্বাধীনতা, ইনকিলাবের বদলে বিপ্লব, নিশানের বদলে পতাকা সাবলীলভাবে গৃহীত৷ এমন কি, সাতচল্লিশের আগে-পরে ‘আজাদ’, ‘মোহাম্মদী’, ‘ইত্তেহাদ’, ‘ইত্তেফাক’, ‘মিল্লাত’, ‘সওগাত’, ‘দিলরুবা’ নামগুলো জনপ্রিয় হলেও পরে ‘ইত্তেফাক’ ছাড়া সবগুলো পত্রিকাই হারিয়ে যায়৷ ‘ইত্তেফাক’ টিকে ছিল বঙ্গবন্ধু-ভাসানী-মানিক মিয়ার কারণে৷ গত শতকের পাঁচের দশক থেকেই ‘সমকাল’, ‘সংবাদ’, ‘কণ্ঠস্বর’, ‘পূর্বমেঘ’, ‘স্বাক্ষর’, ‘কালবেলা’ ইত্যাদি বাংলা নামে পত্রিকা বা সাময়িকী বের হয় আর জনপ্রিয়তর হয়ে ওঠে;  পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্যতাও পায়৷ বাংলা ভাষাকে ‘মুসলমানি বাংলা’ করার প্রক্রিয়ায় নজরুলের কবিতার ‘মহাশ্মশান’কে ‘গোরস্থান’ কিংবা জসীমউদ্দীনের কবিতা ‘নিমন্ত্রণ’কে ‘দাওয়াত’ করার প্রক্রিয়া এখন সবার জানা৷ এ সময় রবীন্দ্রনাথের হিন্দু-মুসলমান সংক্রান্ত প্রবন্ধকে সম্পাদনা করে ‘পাকিস্তান কেন’ শিরোনাম দিয়ে প্রকাশ করাও হয়েছে৷ বাংলা ভাষা শুধুই বাংলা, কেন বেশি করে সংস্কৃত নয় বা জব্বর রকমের আরবি-পারসি নয়- কিছু লোকে এই সংকটটি পরম্পরাগতভাবেই লালন করেন৷ কখনো ধর্মের নামে, কখনো রাজনৈতিক আদর্শের নামে তারা এটি চালান করেন তরুণদের মধ্যে৷ বায়ান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে শহিদদের স্মরণে প্রথমে কিন্তু ‘স্মৃতিস্তম্ভ'ই নির্মিত হয়েছিল৷ আলাউদ্দিন আল আজাদের কবিতার নামও ‘স্মৃতিস্তম্ভ’৷ কিন্তু অল্প পরেই সেটা ‘শহিদ মিনার' হয়ে গেল৷ এর দুটোই আরবি শব্দ, একটিও বাংলা নয়৷ এখন এটিকে আবার ‘স্মৃতিস্তম্ভ’ করার চেষ্টাটাই হবে জবরদস্তি৷ সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ কিন্তু বাংলা শব্দ নিয়ে দিব্যি আছে৷ এখন ‘শহিদ মিনার'-এর দোহাই দিয়ে কেউ যদি ‘স্মৃতিসৌধ’কে ‘ইয়াদমঞ্জিল’ নামকরণের প্রস্তাব করে তাহলে তার ভেতরের ভূতটি প্রকাশ পাবে আপনা-আপনি৷

ড. সৌমিত্র শেখর: অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ছবি: Privat

বাঙালিদের মধ্যে এই ভূতওয়ালাদের অতীতে দেখা গেছে, এখনও যায়৷ তা না হলে পাকিস্তানের স্বার্থে ‘প্রয়োজনে রবীন্দ্রনাথকেও বর্জন’ করতে চাইবেন কেন সৈয়দ আলী আহসান? তিনিই কিন্তু অনেক পরে ‘রবীন্দ্র কাব্যপাঠের ভূমিকা’ নামে চমৎকার একটি বই লিখেছিলেন৷ সৈয়দ আলী আহসানের মতো পণ্ডিতেরও আত্মদ্বন্দ্বটি কোন মাত্রায়, এ থেকে বোঝা যায়৷ তাই পণ্ডিত হলেই দ্বন্দ্বমুক্ত হবেন, এই বিশ্বাস ঠিক নয়৷ ফরহাদ মজহার ‘এরশাদ তোমাকে দেখামাত্রই গুলি করবে’ কবিতায় যে শব্দ ব্যবহার করেন, ‘এবাদতনামা : ২’-এ তা থেকে সরে যান৷ সেটাই স্বাভাবিক৷ সেখানে তিনি লেখেন: ‘না, আমি কামেল নই, নই এহ্তেকাফের বিড়াল / আমি কবি: বৃক্ষতলে চোর কিংবা বাদামভিখারি৷’ ‘এহ্তেকাফের বিড়াল’ রূপকল্পটি কবিতায় চলে৷ কিন্তু বাঙালির গদ্যভাষা বা আটপৌরে ব্যবহারে কি খাঁটে? খাঁটাতে চাইলে সেটিই হবে জবরদস্তি৷ এমন অনেক জবরদস্তি ব্যবহার নানা সময়ই দেখা যায়; পণ্ডিত বলে গণ্য তারাও করেন৷ দেয়ালে প্রতি বছর পোস্টার ছেয়ে যায় ‘জসনে জুলুসে’ লেখায়৷ কিন্তু প্রাত্যহিক ব্যবহারে এর একটু জুলুসও আসেনি৷ যারা বাংলা ভাষায় আরবি-পারসি শব্দের ব্যবহার বাড়ানোর মৃদু চাপাচাপিতে আগ্রহী, তারা কি জানেন, এর প্রতিক্রিয়ায় প্রচুর ইংরেজি শব্দ বাংলায় অনুপ্রবেশ করতে পারে? তরুণদের হাতে কিন্তু প্রচুর ইংরেজি শব্দ আছে৷ সুনামির বেগে আসতে পারে৷ তারা ভাববে, বিদেশি শব্দ যদি নিতেই হয় তাহলে ইংরেজি শব্দই নেবো; ‘স্মার্টনেস’ বাড়বে!

হিন্দি ভাষা বাণিজ্যিক কারণে আরবি-পারসি অনেক শব্দ প্রতিস্থাপন করে নিয়েছে৷ নদী যেমন দুই তীরের নানা কিছুকে ভাসিয়ে নেয় তেমন৷ রব, জিগার, ধরকন, সনম ইত্যাদি শব্দ মূল হিন্দিতে তেমন দেখা না গেলেও বাণিজ্যিক হিন্দিতে প্রচুর৷ আর ইংরেজি শব্দের কথা তো বলাই বাহুল্য৷ বাংলা হিন্দির মতো বাণিজ্যিক ব্যবহারে আসেনি৷ এর রূপটি এখনও স্বচ্ছ সরোবরের মতো; নদী নয়৷ এতে বিশেষ শব্দ ব্যবহারের জবরদস্তিতে যে ঘোলাভাব আসে তাতে ভাষাস্বচ্ছতাই ম্লান হয়৷ আমরা বাংলায় ‘জান’ও ব্যবহার করি, ‘জবান’ও ব্যবহার করি৷ কিন্তু মনে রাখা দরকার, জবরদস্তিতে ‘জান’ যেন ‘কবজ’ না হয়ে যায়, ‘জবান’ যেন ‘বন্ধ’ না-হয়৷ ‘ইজ্জত’-এর উপর হামলা হলেও জীবন থাকে; ‘জান কবজ’ হলে বাংলা ভাষা বাঁচবে কী?

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ