নারী ও শিশু পাচারে পশ্চিমবঙ্গের স্থান সারা ভারতে প্রথম৷ এই হিসেব জাতীয় অপরাধ তথ্য-পরিসংখ্যান দপ্তরের, যা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সরকার ও এনজিওগুলো ভুল বলে দাবি করছে৷
ছবি: imago/UIG
বিজ্ঞাপন
পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলে যে ‘বাংলা' হবে, সেই প্রস্তাবটি বৃহস্পতিবার পাশ হয়ে গেল রাজ্য বিধানসভায়৷ নানা মহল থেকে এই নাম বদলের সমালোচনা হচ্ছে৷ বলা হচ্ছে, রাজ্যের অনেক গুরুতর সমস্যা রয়েছে, যেগুলোতে নজর দেওয়া দরকার৷ তা না করে একদিকে যেমন ঢালাও সৌন্দর্যায়ন চলছে, তেমনই রাজ্যের এই নতুন নামকরণের মতো অদরকারি কাজে মেতে থাকছে সরকার৷ যেমন গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় সরকারের নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী কৃষ্ণা রাজ সংসদে জানিয়েছেন, বাল্য বিবাহ এবং নারী ও শিশু পাচারে পশ্চিমবঙ্গ সারা দেশের সমস্ত রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে৷ এবং প্রতি বছরই নারী পাচারের সংখ্যাটা বাড়ছে৷ রাজ্যসভায় এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে কৃষ্ণা রাজ জানান, ২০১৫-১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ নারী ও শিশু পাচারে পয়লা নম্বরে ছিল৷ ২০১৫ সালে ২০৬৪ জন নারী পাচার হয়েছে৷ পরের বছর সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫৫৯ জন৷ শিশু পাচার ২০১৫ সালে ছিল ১৭৯২ জন, ২০১৬ সালে সেটা প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১১৩ জনে৷ নারী ও শিশু কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এই হিসেব দাখিল করেছেন ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো'র তথ্য উদ্ধৃত করে৷
জবরদস্তির পতিতাবৃত্তি থেকে জীবনের আনন্দে
প্রতি বছর নেপালের কয়েক হাজার মেয়েকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বেছে নিতে হয় যৌনকর্মীর জীবন৷ শারীরিক নির্যাতন, ধর্ষণ – সবই সইতে হয় তাঁদের৷ চাকরির আশায় ঘর ছেড়ে অন্ধকার গলিতে ঢুকে পড়া এমন মেয়েদেরই জীবনের আনন্দে ফেরায় ‘মাইতি নেপাল’৷
ছবি: Gábor Halász
ঘর ছেড়ে আঁধারের পথে
মানবপাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে প্রতি বছর নেপালের অন্তত দশ হাজার মেয়ে ঘর ছাড়ে৷
ছবি: DW/E. Felden
যেখানে নরক
পরিবারে অভাব৷ তাই ভালো চাকরির আশ্বাসে মানবপাচারকারীদের বিশ্বাস করে ঘর ছাড়ে মেয়েরা৷ কিন্তু আশা অনুযায়ী চাকরি জোটে না৷ বেশির ভাগ মেয়েকেই ভারতে নিয়ে জোর করে নামানো হয় পতিতাবৃত্তিতে৷ অত্যাচার, নির্যাতন তো আছেই, ধীরে ধীরে এইডসসহ অনেক জটিল রোগ বাসা সচ্ছল জীবনের ঠিকানা খুঁজতে গিয়ে অন্ধকার গলিতে ঢুকে পড়া মেয়েদের শরীরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
তাঁদের পাশে ‘মাইতি নেপাল’
অনেক বছর ধরেই দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে নেপালেের মেয়েদের যৌনকর্মী হতে বাধ্য করছে মানবপাচারকারীরা৷ একবার যৌনকর্মী হলে আর নিস্তার নেই – এমন যাঁরা ভাবতেন, অত্যাচার-নির্যাতন সইতে সইতে যাঁরা স্বপ্ন দেখতে ভুলে গিয়েছিলেন, তাঁদের অনেককেই ২২ বছর ধরে স্বপ্ন দেখাচ্ছে মাইতি নেপাল৷ ১৯৯৩ সালে এই সংগঠনটি গড়েছিলেন অনুরাধা কৈরালা৷ সেই থেকে বাধ্য হয়ে যৌনকর্মীর জীবন মেনে নেয়া মেয়েদের জীবনের পথে ফেরাচ্ছে মাইতি নেপাল৷
ছবি: Gábor Halász
মঞ্চে জীবনের অভিনয়
যৌনপল্লি থেকে নিয়ে এসে মেয়েদের জীবনে আনন্দও এনে দেয় মাইতি নেপাল৷ সে আনন্দ ধরে রাখার উপায়ও শেখায়৷ মঞ্চনাটক করে মেয়েরা৷ সেই নাটকেও থাকে মানবপাচারকারী এবং তাদের দুরভিসন্ধির কথা৷ সেই নাটকে অভিনয় করেন যৌনপল্লিফেরত মেয়েরা৷ এভাবে অন্য মেয়েদের যৌনপল্লি থেকে দূরে থাকার উপায়ও জানায় যৌনকর্মীর জীবনকে পেছনে ফেলে আসা মেয়েরা৷
ছবি: Gábor Halász
নজরদারি
আর কোনো মেয়ে যাতে মানবপাচারকারীদের পাল্লায় পড়ে দেশ না ছাড়ে সেদিকে সবসময় নজর রাখে মাইতি নেপাল৷ বিশেষ করে ভারত সংলগ্ন সীমান্তে গিয়ে বাসগুলোর ওপর কড়া নজর রাখেন সংস্থার কর্মীরা৷ কোনো মেয়ে এবং তার সঙ্গের কোনো পুরুষকে দেখে সন্দেহ হলেই তাঁরা পুলিশ ডাকেন৷
ছবি: Gábor Halász
নয় বছরের সেই মেয়েটি
গীতা নামের এই নারীকে মানবপাচারকারী যখন যৌনপল্লিতে নিয়ে যায়, তখন তাঁর বয়স মাত্র নয়৷ সেখান থেকে যখন ফিরলেন তখন এইচআইভি-র সংক্রমণে তাঁর শরীর কাহিল, বেঁচে থাকার আশাও প্রায় শেষ৷ একে তো যৌনকর্মী তার ওপর এইচআইভি-র রোগী –তাই অনেক সমাজসেবকও তখন গীতার কাছেই ঘেঁষতেন না৷ তখনই তাঁর পাশে দাঁড়ায় মাইতি নেপাল৷
ছবি: AP
নতুন ঠিকানা
নেপালের সীমান্ত এলাকায় ১১টি গৃহ নির্মাণ করেছে মাইতি নেপাল৷ যৌনপল্লি থেকে ফেরা মেয়েদের জন্য ঘর৷ মেয়েদের ভোকেশনাল ট্রেনিং বা বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণও দেয়া হয় সেখানে৷
ছবি: Gereon Wagener
দুঃসহ স্মৃতি ভুলতে...
কাঠমান্ডুর মাইতি নেপাল সেন্টারের উঠোনে প্রতিদিন বসে নাচের আসর৷ মেয়েরা যাতে অতীত ভুলে আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে সুন্দর আগামীর পথ রচনা করতে পারে সেজন্যই নাচ শেখানো হয় তাদের৷ এ পর্যন্ত ১২ হাজার শিশু ও নারী মাইতি নেপালের সহায়তায় যৌনপল্লি ছেড়েছে৷ সীমান্ত থেকে বাঁধা পেয়ে অল্পের জন্য যৌনকর্মী হওয়া থেকে বেঁচেছে প্রায় ৩০ হাজার জন৷
ছবি: Gábor Halász
জার্মানিতে মাইতি নেপালের মেয়েরা
মাইতি নেপাল-এর কয়েকজন এখন জার্মানিতে৷ কোলন শহরের এলি হয়েস রেয়ালশুলে-তে সেদিন নেপালি নাচই নাচলেন৷
ছবি: DW/E. Felden
যেন প্রজাপতি...
কোলনে মাইতি নেপালের মেয়েরা যেন প্রজাপতির মতো উড়ছিলেন৷ তাঁদের জীবনও তো প্রজাপতির মতোই৷ শৈশব থেকে জীবনের একটা সময় পর্যন্ত শুঁয়োপোকার মতো তাঁদেরও অনেক কষ্ট সইতে হয়েছে৷ কষ্টের সময় কেটে যাওয়ার পর এখন প্রজাপতির মতোই যেন ডানা মেলে উড়ছে৷
ছবি: DW/E. Felden
ইউরোপ সফর
নভেম্বর পর্যন্ত ইউরোপের বিভিন্ন শহরে অনুষ্ঠান করবে মাইতি নেপালের মেয়েরা৷ এ সময়ে জার্মানি, অস্ট্রিয়া এবং সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন শহরে হবে তাঁদের অনুষ্ঠান৷
ছবি: DW/E. Felden
11 ছবি1 | 11
পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্বাভাবিক কারণেই এই হিসেবে ক্ষুব্ধ৷ এবং রাজ্যে চিট ফান্ডের বাড়বাড়ন্ত থেকে শুরু করে আর্থিক দুরবস্থা, সবকিছুর দায়ই যেমন পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়, এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি৷ রাজ্য সচিবালয়ের দাবি, আগের সরকারের আমলে নারী ও শিশু পাচারের ঘটনা ঘটলেও তা পুলিসের খাতায় নথিভুক্ত হতো না৷ কিন্তু তৃণমূল সরকারের আমলে সেটা নিয়মমাফিক হচ্ছে৷ তাই সংখ্যাটা বেশি মনে হচ্ছে৷ রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা নিজে অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি৷ তবে দলীয় সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার দাবি করেছেন, কেন্দ্র সরকারের দেওয়া এই রিপোর্ট ভুল৷ রাজ্যে শিশু পাচারের দায়ে অভিযুক্ত খোদ বিজেপি নেতা-নেত্রীরা৷ তাই এখন ভুল পরিসংখ্যান দিয়ে অন্য দিকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা চলছে৷
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর এই তথ্য-পরিসংখ্যানকে ভুল না বললেও অন্য একটি অসঙ্গতির দিকে নির্দেশ করেছেন দূর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির দায়িত্বে থাকা ডাঃ স্মরজিৎ জানা৷ সোনাগাছির যৌনপল্লীতে বহু বছর ধরেই যৌনকর্মীদের অধিকার নিয়ে লড়ছে দূর্বার, যার মধ্যে এক বড় কাজ অনিচ্ছুক যৌনকর্মীদের উদ্ধার করা৷ অর্থাৎ জোর করে, ইচ্ছের বিরুদ্ধে, কিংবা ভুলিয়েভালিয়ে যৌনপেশায় আনা হয়েছে যে মেয়েদের, যারা পাচার হয়ে এসেছে, দূর্বার তাদের চিহ্নিত করে এবং হয় বাড়িতে ফেরত পাঠায়, অথবা বিকল্প কর্মসংস্থান করে৷ ডঃ জানার বক্তব্য, যারা যৌন পেশায় আসছে প্রতি বছর, তাদের সবাইকেই পাচার হওয়া মেয়ে হিসেবে দেখানো হয় ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্যে৷ কিন্তু অনেক মেয়েই স্বেচ্ছায়, জীবিকার তাগিদে যৌন পেশায় আসে৷
দূর্বারের নিজের কাছে এ সংক্রান্ত যা তথ্য আছে, তাতে দেখা যায় মেয়েরা তিন ধরনের কাজে মূলত শহরে আসে৷ গৃহ পরিচারিকার কাজ, নির্মাণ শ্রমিকের কাজ এবং যৌন পেশা৷ প্রথম দুটি কাজ যেহেতু পরিশ্রমসাপেক্ষ এবং সেই তুলনায় মজুরি যথেষ্ট নয়, অনেকে নিজেরাই অপেক্ষাকৃত কম শারীরিক পরিশ্রমের, কিন্তু বেশি উপার্জনের যৌন পেশা বেছে নেন৷ ডাঃ স্মরজিৎ জানার বক্তব্য, এটা একটা বাস্তব প্রবণতা, যাকে উপেক্ষা করা যায় না৷ বরং অগ্রাহ্য করা যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের সংসদে দেওয়া ওই তথ্যকে, যা সমস্যার পুরোটা দেখছে না৷
এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের গোয়েন্দা শাখা সিআইডি-র অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং সেল-এর ওসি অপর্ণা সরকারও ডয়চে ভেলেকে বললেন, যদিও সরকারিভাবে তিনি এ ব্যাপারে মতামত জানানোর যথাযথ কর্তৃপক্ষ নন, কিন্তু তাঁদেরও অভিজ্ঞতা অন্য৷ নারী পাচারের প্রশ্নে দূর্বারের বক্তব্যের সঙ্গে পুরোপুরি মিলে গেল তাঁর মন্তব্য৷ শিশু পাচারের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য ঠিক নয় বলে দাবি করলেন অপর্ণা সরকার৷ জানালেন, প্রচুর শিশুকে পুলিশ উদ্ধার করে, এখনও করছে, যাদের মূলত যৌনপেশায় নিয়ে আসার চেষ্টা হয়৷ আর ভিক্ষাবৃত্তির জন্য শিশু পাচারের ঘটনা গত তিন বছরে যে একটাও তাদের নজরে আসেনি, বা ধরা পড়েনি, সেটা বেশ জোর দিয়েই বললেন তিনি৷
ভারতের নিখোঁজ শিশুরা
বছরের পর বছর ভারতে হাজারো শিশু নিখোঁজ হওয়ার খবর শোনা যায়, যাদের অনেকেরই আর কোনো খোঁজই পাওয়া যায় না৷ এদের কেউ নিজেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়, আবার কাউকে অপহরণ করে নানা রকম কাজ করতে বাধ্য করা হয়৷
ছবি: DW/B. Das
ভাগ্যের লিখন
ভারতে ‘শিশু বাঁচাও আন্দোলন’ সংগঠনের একটি সমীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে যে, ভারতে প্রতি ঘণ্টায় ১১ জন শিশু নিখোঁজ হয়ে থাকে৷ এদের মধ্যে কমপক্ষে চারজনকে আর কখনো খুঁজে পাওয়া যায় না৷
ছবি: DW/B. Das
বন্দিদশা
দিল্লির একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের ১৬ বছর বয়সি মেয়ে পিংকিকে খুঁজে পাওয়া গেছে অপরিচিত একটি বাড়িতে৷ সেখানে ওকে জোর করে ঘরের কাজ করানো হচ্ছে এবং বলা বাহুল্য, কোনো বেতন ছাড়াই৷
ছবি: DW/B. Das
দেশব্যাপী অনুসন্ধান
ছবিটিতে এক বাবার হাতে তাঁর হারিয়ে যাওয়া ছেলের ছবি আর তাঁর অন্য হাতে একটি বাক্স৷ সে বাক্সে রয়েছে মানুষের সাহায্য করা অর্থ, যে অর্থ দিয়ে এই বাবা তাঁর ছেলেকে খুঁজে বের করতে সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাবেন বলে ঠিক করেছেন৷
ছবি: DW/B. Das
পালিয়ে যায়
যেসব শিশুরা বাড়ি থেকে নিজের ইচ্ছায় চলে যায় বা পালিয়ে যায়, ওরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরবর্তীতে কাজের ছেলে-মেয়ে হিসেবে বা এ ধরণেরই কোনো কাজ করে থাকে৷ যেমন চায়ের দোকান, পেট্রোল পাম্প বা কার্পেট তৈরি কারখানায়৷ ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লির একটি পেট্রোল পাম্প থেকে এমনই কিছু শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ৷
ছবি: DW/B. Das
ধৈর্য ধরে থাকা
ছেলেটির হাতে ছয় বছর আগে ওর হারিয়ে যাওয়া বোনদের ছবি৷ ওদের খুঁজে পাবে এই আশায় এখনো বুক বেধে আছে ছেলেটির পুরো পরিবার৷ নিখোঁজ বোনদের ফিরে পাওয়ার জন্য পরিবার থেকে মাঝে মাঝেই বোনদের ছবি এবং নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তিসহ প্রচারপত্র বিলি করা হয়৷
ছবি: DW/B. Das
দীর্ঘ প্রতিক্ষা
নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এই শিশুটিকে খুঁজে পাওয়া গেছে অবশেষে৷ শিশুটি ওর বাবা-মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য ঠিক এ জায়গাতেই অপেক্ষা করছে গত প্রায় এক বছর যাবত৷ কবে শেষ হবে এই অপেক্ষার পালা?
ছবি: DW/B. Das
খুশির দিন ফিরে এসেছে
নিখোঁজ হয়ে যাওয়া অর্জুন আবারো মায়ের কোলে ফিরে এসে অত্যন্ত আনন্দিত, ভীষণ খুশি৷ অর্জুন ওর মাকে তার কষ্টের কথা জানিয়েছে৷ বলেছে, গত দু’বছর ওকে বেধে রাখা হয়েছিল এবং কাজ করতে বাধ্যও করা হয়েছিল৷ তবে ওর মা কিন্তু অর্জুনকে ফিরে পাবার আশা কখনো ছেড়ে দেয়নি৷
ছবি: DW/B. Das
অতিরিক্ত সাবধানতা
এই মা তাঁর কয়েকজন শিশুর মধ্যে একজনকে হারিয়েছেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘আর কখনো আমি আমার শিশুদের চোখের আড়াল হতে দেব না৷ উল্লেখ্য, ‘শিশু বাঁচাও আন্দোলন’ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে www.bba.org.in ঠিকানায়৷