যুক্তরাষ্ট্রে বাইডেনের জয়ের বিপক্ষে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ১১ জন রিপাবলিকান সেনেটর৷ এক বিবৃতিতে তারা এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন৷
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিদাতা সেনেটরদের মধ্যে সবশেষ যোগ দিয়েছেন টেড ক্রুজ৷ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ ওঠা রাজ্যগুলোর ফলাফল বাতিলের আবেদন জানাবেন তারা৷ তাদের দাবি সেসব রাজ্যের ফলাফল খতিয়ে দেখতে কংগ্রেসকে জরুরিভিত্তিতে ১০ দিনের একটি অডিট বা নিরীক্ষার উদ্যোগ নিতে হবে৷ ৬ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেক্টরাল কলেজের ফলাফল গণনার কথা রয়েছে৷
বিবৃতিতে সেনেটররা বলেছেন, নিরীক্ষা শেষে প্রতিটি রাজ্য কমিশনের তদন্ত মূল্যায়ন করে দেখবে এবং তার ভিত্তিতে প্রয়োজনে ভোটের ফলাফল পরিবর্তনের বিষয়ে মত দিবে৷
তবে কোন কোন রাজ্যগুলোকে অডিটের আওতায় আনার কথা বলছেন বিবৃতিদাতারা সেটি স্পষ্ট করেননি৷
ফ্যাক্ট চেক: মার্কিন নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ
মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল আসতে শুরু করার পর বুধবার থেকে এই নির্বাচনে জালিয়াতির নানা অভিযোগ ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেটে৷ ছবিঘরে দেখে নেয়া যাক এসব অভিযোগ এর পেছনে কতটুকু ভিত্তি রয়েছে৷
ছবি: Goran Tomasevic/Reuters
জালিয়াতির অভিযোগ
মার্কিন নির্বাচনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ফলাফলে এগিয়ে আছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন৷ কিন্তু বুধবার থেকে এই নির্বাচনে জালিয়াতির নানা অভিযোগ ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেটে৷ এসব অভিযোগকারীর বেশির ভাগই ট্রাম্প এর সমর্থক৷
ছবি: Daniel Acker/REUTERS
ট্রাম্পের অভিযোগ
ট্রাম্প এবং তাঁর সমর্থকদের অভিযোগ, জালিয়াতি হয়েছে এবারের নির্বাচনে৷ বিশেষ করে ভোট গণনায়৷ তারা এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবার কথাও ভাবছে৷ এক টুইটে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, আমরা বড় ধরনের জয় পেতে যাচ্ছি, কিন্তু তারা নির্বাচন আমাদের কাছ থেকে চুরি করে নিয়ে যাবার চেষ্টা চালাচ্ছে৷
ছবি: Edgard Garrido/Reuters
ফ্যাক্ট চেক ১ : মিশিগানে বাইডেনের অবিশ্বাস্য জয়?
বুধবার সকালে হঠাৎ করে মিশিগানে বাইডেনের ভোট ১ লাখ ৩৮ হাজার বেড়ে যায়৷ এ নিয়ে শুরু হয় নানা অভিযোগ৷ আসলে এই ঘটনাটি ঘটে মিশিগানের এক নির্বাচন কর্মকর্তার ভুলের কারণে৷ তিনি ভুল করে একটি শূন্য বেশি বসিয়ে দিয়েছিলেন বাইডেনের ভোট গণনায়, কিন্তু ভুলটি ২০ মিনিটের মধ্যে শুধরে নেয়া হয়৷ তবে এই ভুলের খবর ছড়িয়ে পড়লে রিপাবলিকানরা জালিয়াতির অভিযোগ তোলে৷
ছবি: Angela Weiss/AFP
ফ্যাক্ট চেক ২: অ্যারিজোনার কলম বিভ্রাট
অ্যারিজোনায় ভোট দেয়ায় একটি বিশেষ কলম ব্যবহার করতে বাধ্য করা হচ্ছে ট্রাম্প সমর্থকদের, এরকম একটি অভিযোগও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে৷ তাদের অভিযোগ, এই বিশেষ কলম শুধু ট্রাম্প সমর্থকদেরই ব্যবহার করতে বাধ্য করা হচ্ছে, এবং এই কলম ব্যবহার করার ফলে ব্যালট পেপারটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে৷ কিন্তু নির্বাচনী কর্মকর্তারা বলেছেন, যেকোন ধরণের কলম ব্যবহার করে ভোট দিলে তা বৈধ ভোট হিসেবে বিবেচিত হবে৷
ছবি: Goran Tomasevic/REUTERS
ফ্যাক্ট চেক ৩: উইসকনসিনে মোট ভোটের চেয়ে বেশি ভোট প্রদান?
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে একজন অভিযোগ তোলেন যে উইসকনসিনে মোট রেজিস্টার্ড ভোটের চেয়ে বেশি ভোট দেয়া হয়েছে৷ কিন্তু নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, এই অভিযোগে তথ্যগত ভুল রয়েছে৷ কারণ, এই রাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী, যেকোন ভোট প্রদানের যোগ্য ব্যক্তি ভোটের দিনেও রেজিস্টার্ড ভোটার হতে পারেন এবং ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হতে পারেন৷ আসলে মোট ভোটারের পরিমাণ অভিযোগে উল্লেখিত ভোটার সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি৷
ছবি: Edgard Garrido/REUTERS
5 ছবি1 | 5
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল কি বদলে যাবে?
৩ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর থেকেই ভোট কারচুপির অভিযোগ করে আসছেন ডনাল্ড ট্রাম্প, যদিও এ বিষয়ে কোন তথ্য প্রমাণ হাজির করতে পারেননি৷ বিভিন্ন রাজ্যের আদালতে করা মামলাগুলোও তাই টেকেনি৷ জনগণের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেও বাইডেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে হোয়াইট হাউসে যেতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ভোট পেতে হবে৷ ৬ জানুয়ারি বিভিন্ন রাজ্যের ইলেক্টরাল ভোটের ভিত্তিতে তা নিশ্চিত হবে৷ বিবৃতিদাতা সেনেটরদের আবেদনটি আমলে নিতে হলে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর কমপক্ষে ১৪০ জন রিপাবলিকানকে প্রস্তাবে সমর্থন দিতে হবে৷
কিন্তু সেনেটরদের এই পদক্ষেপকে অগণতান্ত্রিক হিসেবে উল্লেখ করেছে ডেমোক্র্যাটরা৷ একই মত কয়েকজন রিপাবলিকান নেতারও৷ বাইডেনের নির্বাচনি প্রচার দলের একজন মুখপাত্র মাইকেল গুইন তাদের দাবিকে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বলেছেন, এটি ২০ জানুয়ারি বাইডেনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পথে বাধা হবে না৷ এরইমধ্যে অভিযোগগুলো পরীক্ষা করা হয়েছে এবং ট্রাম্পের নিজস্ব অ্যাটর্নি জেনারেল, আদালত আর দুই দলের নির্বাচনি কর্মকর্তারাও তা বাতিল করেছেন৷
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, এর আগে ২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো ইলেক্টরাল ভোট নিয়ে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন তৎকালীন সেনেটর বারবারা বক্সার ও রিপাবলিকান স্টেফানি টাবস জোনস৷ তারা ওহাইও রাজ্যে জর্জ ডব্লিউ বুশের জয়ের ব্যাপারে চ্যালেঞ্জ জানান৷ কিন্তু হাউজ ও সেনেটে বিতর্কের পর দুই কক্ষের ভোটাভুটিতেই বড় ব্যবধানে সেটি বাতিল হয়ে যায়৷ ডেমোক্র্যাট সংখ্যাগরিষ্ঠ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে থাকা সেনেটে বাইডেনের বিজয়কে চ্যালেঞ্জ জানানো সেনেটরদের আবেদন কতটা টিকতে পারে তা এখন দেখার বিষয়৷
এফএস/জেডএ (রয়টার্স)
জো বাইডেনের জীবনের গল্প
২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের জীবনের গল্প দেখুন এই ছবিঘরে৷
ছবি: Kevin Lamarque/Reuters
জন্ম ও পরিবার
১৯৪২ সালের ২০ নভেম্বর স্ক্র্যানটন পেনসিলভ্যানিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন জোসেফ রবিনেট বাইডেন জুনিয়র বা আজকের ‘জো বাইডেন’৷ জীবনের প্রথমভাগ বাইডেন কাটান দাদা-দাদির সাথে৷ পরিবারে আর্থিক অনটন থাকলেও বাইডেন স্কুলজীবনে তুখোড় ফুটবল, বেসবল খেলোয়াড় ছিলেন, যা পরে বিশ্ববিদ্যালয়েও তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে৷ জানা যায়, ছোটবেলায় বাইডেন কথা বলতে গেলে তোতলাতেন, যা কবিতা আবৃত্তি করার মাধ্যমে পরে নিয়ন্ত্রণে আনেন তিনি৷
ছবি: Handout Joseph Biden/AFP
তারুণ্য
প্রথমে ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক হবার পর আইনে স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা করতে বাইডেন পাড়ি দেন নিউ ইয়র্কের সাইরাক্যুজ বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ সেখানেই তাঁর পরিচয় নেলিয়া হান্টারের সাথে৷ ১৯৬৬ সালে নেলিয়া ও বাইডেন বিয়ে করেন৷
ছবি: Keystone/dpa/picture-alliance
রাজনীতিতে পদার্পণ
১৯৭২ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়েসে ডেলাওয়ারে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান সেনেটর কেলেব বগসের বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে লড়েন বাইডেন৷ অর্থাভাব, রাজনীতির ময়দানে অনভিজ্ঞতা সত্ত্বেও পারিবারিক সহায়তা ও মাঠপর্যায়ে প্রচার চালিয়ে গবসকে পরাজিত করেন বাইডেন৷ সেখান থেকেই ডেমোক্র্যাট হিসাবে তাঁর উত্থানের সূত্রপাত৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Keystone
পারিবারিক বিপর্যয়
সেনেটর নির্বাচিত হবার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বাইডেনের জীবনে আসে বিপর্যয়৷ একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় তাঁর স্ত্রী নেলিয়া ও কন্যা নাওমির মৃত্যু হয়৷ মারাত্মকভাবে জখম হন তাঁর দুই পুত্রও৷ এই বিপর্যয়ের কারণে রাজনীতি ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন বাইডেন৷ কিন্তু দলের জোরাজুরিতে হাসপাতালেই সেনেটর পদে শপথগ্রহণ করেন বাইডেন৷ পরে ১৯৭৭ সালে জিল জেকবসকে বিয়ে করেন বাইডেন৷ তাঁদের একটি কন্যা রয়েছে, নাম অ্যাশলি৷
ছবি: Kevin Larkin/AFP/Getty Images
রাজনীতির চেয়ে পরিবারকে প্রাধান্য
বাইডেনের পারিবারিক জীবনে আবার বিপর্যয় আসে ২০১৫ সালে৷ ভাইস-প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ব্রেন টিউমারজনিত জটিলতায় তিনি তাঁর পুত্র জোসেফকে হারান৷ পরের বছর ২০১৬ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে লড়ার পরিকল্পনা থাকলেও পরিবারকে সময় দিতে নির্বাচন থেকে সরে আসেন বাইডেন৷
ছবি: Kevin Lamarque/REUTERS
তবুও উত্তরণ
এর আগে ১৯৮৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে অংশগ্রহণ করলেও প্রাইমারি নির্বাচনের আগেই নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন৷ কিন্তু সেনেটর হিসাবে কাজ করে যান তিনি৷ ২০০৮ সালেও প্রথমে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন তিনি৷ জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার প্রতীক হিসাবে ২০১৬ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁকে ‘প্রেসিডেনশিয়াল মেডাল অফ ফ্রিডম’ প্রদান করেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/N. Kamm
গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ
রাজনীতির শুরু থেকেই বাইডেন ক্রেতা সুরক্ষা ও পরিবেশবিষয়ক ইস্যু নিয়ে সোচ্চার থেকেছেন৷ ২০১০ সালের ‘পেশেন্ট প্রোটেকশান অ্যান্ড অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার’ আইনের বাস্তবায়নে তাঁর ভূমিকার কথা বারবার আলোচিত হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, ১৯৯২ সাল থেকেই আইনি কড়াকড়ি বাড়ানো ও সাজার মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে তাঁর অবস্থান তিনি স্পষ্ট করেছেন, যা অনেক ক্ষেত্রেই তাঁর দলের নীতির সাথে পুরোপুরি খাপ খায়নি৷
ছবি: Jim Watson/AFP/Getty Images
বাইডেনকে ঘিরে বিতর্ক
১৯৮৮ সালের নির্বাচনি প্রচারের সময় বাইডেনের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ লেবার পার্টির নিল কিনকের বক্তব্য চুরির অভিযোগ ওঠে৷ এছাড়া অ্যামেরিকার দক্ষিণাঞ্চলের বর্ণভিত্তিক বিভেদপন্থিদের সাথে সুর মিলিয়ে আদালতের রায়ের বিরোধিতা করে সমালোচিত হন বাইডেন৷ ২০১২ সালেও সমকামী জুটিদের বিয়ের অধিকারের পক্ষে কথা বলে বাইডেন শিরোনামে উঠে আসেন৷
ছবি: Carolyn Kaster/AP/picture alliance
যৌন নির্যাতনের অভিযোগ
২০২০ সালের মার্চ মাসে টারা রিড অভিযোগ আনেন যে ১৯৯৩ সালে জো বাইডেন তাঁকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন৷ সেনেটর থাকাকালীন বাইডেনের অফিসে সহযোগী হিসাবে কাজ করতেন রিড৷ ১৯৯৩ সালে বিষয়টি আলোচিত হবার পর নতুন করে এবছর আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রেক্ষিতে সেটি আলোচনায় উঠে আসে৷ এই অভিযোগ বাইডেন উড়িয়ে দিলেও আরো কয়েকজন নারী বাইডেনের বিরুদ্ধে অসঙ্গত আচরণের অভিযোগ এনেছেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/J. Locher
বাইডেনের যত নাম
গণমাধ্যমে বাইডেনের নামের সাথে জুড়েছে নানা ধরনের বিশেষণ৷ জীবনের গোড়ার দিকের অর্থনৈতিক বাস্তবতার কারণে কখনো তাঁর নাম হয়েছে ‘মিডল ক্লাস জো’৷ ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণের সময় বয়সের কারণে ডনাল্ড ট্রাম্প তাঁকে তাচ্ছিল্য করে বলেন ‘স্লো জো’ ও ‘স্লিপি জো’৷
ছবি: Jim Watson/AFP/Getty Images
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসাবে অংশগ্রহণ করেন জো বাইডেন৷ তার পক্ষে ব্যাপকভাবে প্রচারে নামেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ টুইটার-ইন্সটাগ্রামে পাশে দাঁড়ান সেলেব্রেটিরাও৷ নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে বিজয়ী হন তিনি৷ বাইডেনের নির্বাচনসঙ্গী কমলা হ্যারিস দেশের প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত, প্রথম আফ্রিকান-অ্যামেরিকান ও প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়ে ইতিহাস গড়েন৷