চীন
২৬ ডিসেম্বর ২০১২দক্ষিণ চীন সাগরের উপকূলের কাছেই অবস্থিত গুয়াংঝু শহরটি, যেটা অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র বলে বিবেচিত৷ আগে এই শহর থেকে বেইজিং-এ যেতে লাগতো ২২ ঘণ্টা৷ তবে এবার থেকে সেই দূরত্ব পার হওয়া যাবে মাত্র ৮ ঘণ্টায়৷ স্থানীয় সময় সকাল নয়টায় প্রথম ট্রেনটি বেইজিং-এর পশ্চিম স্টেশন থেকে গুয়াংঝুর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়৷ এর এক ঘণ্টা পরেই গুয়াংঝু থেকে একটি ট্রেন বেইজিং-এর উদ্দেশ্যে ছাড়ে৷ এর মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘপথের দ্রুত গতির ট্রেন চালু হলো৷ গুয়াংঝু থেকে বেইজিং-এর দূরত্ব প্রায় ২,২৯৮ কিলোমিটার৷
চীনের সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দীর্ঘ এই যাত্রাপথে বুলেট ট্রেনের গতি হবে গড়ে ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার৷ মোট ৩৫টি স্টেশনে থামবে এই ট্রেনটি৷ যাত্রাপথে পড়বে ঝেংঝু, উহান, চাংশার মতো শহর৷ মূলত ঝেংঝু এবং বেইজিং-এর সংযোগ রেলপথ চালু হওয়ার পর, সবচেয়ে দীর্ঘ রেলপথের বুলেট ট্রেন সার্ভিসের গৌরব অর্জন করলো চীন৷ এর মাধ্যমে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতি চীন আবারও তার সামর্থ্যের পরিচয় দিলো৷
গত ২০০৭ সালে চীনে দ্রুতগতির ট্রেন চালু হয়৷ চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা শিনহুয়া জানিয়েছে, বর্তমানে গোটা দেশের ৯,৩০০ কিলোমিটার রেলপথে দ্রুত গতির ট্রেন চলাচল করছে৷ আর সরকারি পত্রিকা জানাচ্ছে, চীনা সরকার আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ৫০ হাজার কিলোমিটার রেলপথে এই বুলেট ট্রেন চালুর পরিকল্পনা করেছে৷ মোট আটটি দীর্ঘ রেলপথ নির্মাণ করা হবে এই বুলেট ট্রেনের জন্য৷ এগুলো দেশের পূর্বের সঙ্গে পশ্চিম এবং উত্তরের সঙ্গের দক্ষিণের যোগাযোগ রক্ষা করবে৷
তবে চীনের এই বুলেট ট্রেনের নিরাপদ যাত্রা ব্যবস্থা সম্পর্কে সন্দেহ রয়ে গেছে৷ গত বছরের জুলাই মাসে দ্রুত গতির ট্রেনের দুর্ঘটনায় ৪০ জন প্রাণ হারায়৷ চীনা যোগাযোগ বিভাগের উপ-প্রধান ঝাও চুনলেই তাই এই ব্যাপারে বলেছেন, ‘‘আমরা একেবার নির্ভুল ব্যবস্থার নিশ্চয়তা এখনও দিতে পারছি না৷ তাছাড়া, এ ব্যাপারে জনগণের পক্ষ থেকেও আমাদের ওপর বেশ চাপ রয়েছে৷''
আরআই/ডিজি (এএফপি)