‘বাঙালি জীবনের সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক সার্বজনীন উৎসব’
১৪ এপ্রিল ২০১১বাংলা পত্রপত্রিকাগুলো ভরে আছে বিবরণে, প্রতিবেদনে৷ এবং সর্বত্রই কোনো না কোনো ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে হিজরী চান্দ্রসন এবং বাংলা সৌরসনকে ভিত্তি করে বাংলা সন প্রবর্তনের কাহিনী, মোঘল সম্রাট আকবরের আমলে৷ অবশ্য যুগান্তর স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে, ‘আমরা এখনও পারিনি সর্বস্তরে বাংলা ভাষা ও বাংলা সনের প্রবর্তন করতে'৷
প্রথমে নাম ছিল ফসলি সন, খাজনা আদায়ের তাগিদে৷ বৈশাখ নামটি কিন্তু এসেছে বিশাখা নক্ষত্র থেকে৷ কবিত্ব ছাড়া বাঙালিত্ব হয় না৷
ইত্তেফাক লিখেছে: ‘জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কেবল বাংলাদেশের অভ্যন্তরেই নয়, পৃথিবীর যেখানেই বাঙালি ও বাংলা ভাষাভাষী মানুষ রয়েছে, সবাই পয়লা বৈশাখে বর্ণাঢ্য উৎসবের আয়োজন করবে৷'
ঢাকার মঙ্গল শোভাযাত্রায় এবার একটি ৪০ ফুট দীর্ঘ ‘দানব' কুমির হবে অমঙ্গলের, অর্থাৎ যুদ্ধাপরাধীদের প্রতীক৷ জনকণ্ঠের ভাষায়: ‘এবার অসাম্প্রদায়িক চেতনার মহাউৎসব এসেছে, যখন দেশে মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় নিয়ে যেতে তাদের অপরাধের তদন্ত চলছে৷... মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে...৷' কিন্তু অন্ধকার শক্তির কাছে যেমন মাথা নোয়ানো চলে না, সেরকম বর্ষবরণের গানও থামবার নয়৷
এবং রাজনীতিও থামবার নয়! তার উদাহরণ পুঁজিবাজার কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে টানাপোড়েন৷ জনকণ্ঠের অভিযোগ, কমিটির প্রতিবেদনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে উঠেপড়ে লেগেছে একটি মহল৷ ওদিকে যুগান্তরের বিবরণ অনুযায়ী বিএনপি নেতাদের মতে তদন্ত রিপোর্ট প্রশ্নবিদ্ধ এবং হতাশাব্যঞ্জক৷ কালের কণ্ঠ বিএনপি'র রিপোর্ট প্রত্যাখ্যানের বিবরণ ছাড়াও তাদের পাঁচ দাবির ফিরিস্তি দিয়েছে: সেগুলি হল, অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের অপসারণ ছাড়াও, কমিটির প্রতিবেদন পূর্ণাঙ্গ আকারে জনসমক্ষে প্রকাশ, চিহ্নিত ‘লুটেরাদের' অবিলম্বে বিচার এবং সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে পুঁজিবাজার কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত কর্মচারীদের অচিরে বরখাস্ত করা৷
গ্রন্থনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার