অভিনেতা ও উঠতি সোশ্যাল মিডিয়া স্টার বরুণ প্রুথি ভারতের প্রখ্যাত আলোকোৎসব দিওয়ালির ঠিক আগে একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছেন, যা ফেসবুক ও ইউটিউবে বিপুল সাড়া জাগিয়েছে৷ ছবিটির মর্ম: বাজি পোড়ানোর অর্থ টাকা পোড়ানো৷
বিজ্ঞাপন
বাজি পোড়ানোর মানে যে টাকা পোড়ানো, সেটা লোকমুখে বহুদিন ধরেই প্রচলিত৷ কিছু মানুষ অনেক দিন ধরেই এমনটি বলছেন৷ প্রুথি যেটা করেছেন, সেটিও হলিউড-বলিউডের একটি প্রথাসিদ্ধ পদ্ধতি: কোনো প্রবাদ-প্রবচনকে আক্ষরিক অর্থে নিলে কেমন হয়?
কাজেই ভিডিও ক্লিপটিতে প্রুথি রাস্তার ধারে সত্যি সত্যি টাকা পোড়াচ্ছেন, অর্থাৎ দেশলাই ধরিয়ে ফুটপাথের কানায় রাখা নোটে আগুন ধরাচ্ছেন, যেন সেগুলো পটকা কিংবা দোদোমা৷
পরিচিত এক ইয়ার-দোস্ত এসে স্বভাবতই প্রুথিকে জিজ্ঞাসা করছেন, তার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে কিনা, তাকে পাগলা গারদে পাঠাতে হবে কিনা, ইত্যাদি৷ উত্তরে প্রুথি বলছেন, ‘‘আর তোমার হাতে ওটা কি?'' সত্যিই দোস্তের হাতে কালিপটকার লম্বা প্যাকেট৷
‘‘তোমাকে দু'দিন ধরে দেখছি, তুমি এভাবে টাকার শ্রাদ্ধ করছ৷ তাহলে আমিই বা টাকা পোড়াবো না কেন?'' বলছেন প্রুথি৷ দিওয়ালির মানে শুধু বাজি পোড়ানো নয়৷ ঐ টাকা দিয়ে যদি কারো মুখে হাসি ফোটানো যায়, তবে সেটাই হলো দিওয়ালির মর্ম৷
ক্লিপের বাদবাকি অংশটায় সেভাবেই ‘দরিদ্রনারায়ণের সেবা' করছেন বরুণ প্রুথি৷ ক্লিপটির সার্থকতা এইখানে যে, দিওয়ালি বা অন্য কোনো উৎসবে অনর্থক বাজি পোড়ানোটা যে শুধু পয়সার অপচয় নয়, মানুষের কল্যাণ করার সুযোগেরও অপচয়, এই সহজ বাণীটিকে অত্যন্ত সহজ ও দ্ব্যর্থহীনভাবে অগণিত জনতার কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছেন বরুণ প্রুথি৷ হ্যাপি দিওয়ালি!
এসি/এসিবি
দীপাবলি: আলোর উৎসবের দিন
ভারতসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে পালিত হচ্ছে আলোর উৎসব দীপাবলি বা দিওয়ালি৷ মূলত হিন্দুদের হলেও অন্য ধর্মাবলম্বীরাও আনন্দে শামিল হন৷ ছবিঘরে আজ থাকছে এই আলোর মহোৎসবের কিছু ছবি৷
ছবি: Reuters/Ahmad Masood
সবুজ দীপাবলি
মূলত হিন্দুদের উৎসব বলে অনেকের কাছে দীপাবলি মানেই ভারতের উৎসব৷ তবে নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, মরিশাস, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, সুরিনাম, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এমনকি ফিজিতেও দীপাবলির আলো কম জ্বলে না৷ হালে অনেক আধুনিক চিন্তাও যোগ হচ্ছে দীপাবলি উৎসবে৷ সবুজ গাছপালা কমে যাচ্ছে পৃথিবী থেকে৷ তাই সবুজকে ধরে রাখার আহ্বান জানাতে সবুজ আলো জ্বালিয়ে ‘সবুজ দীপাবলি’-ও পালন করছেন অনেকে৷
ছবি: Julia Smielecki
নারীর সাজগোজ
উৎসবে নতুন পোশাক, নতুন সাজ এসব তো স্বাভাবিক৷ দীপাবলিতেও সাজগোজ কিছু কম হয় না৷ স্বচ্ছল পরিবারে নারীদের মাঝে সোনার গহনা কেনার ধুম পড়ে যায় এ সময়৷
ছবি: AFP/Getty Images/Narinder Nanu
হাসিমুখে মিষ্টি
উৎসব মানেই শত শহস্র হাসিমুখ৷ দীপাবলিতে শুধু হাসিমুখ হলে চলে না, মিষ্টিমুখও করানো চাই৷ তাই মিষ্টি বিতরণ, বন্ধু স্বজনদের মিষ্টি, চকলেট বা মিষ্টি বিস্কুট খাওয়ানোও এখন দীপাবলির আনুষ্ঠানিকতার অংশ৷
ছবি: UNI
আলোকময় আল্পনা
দীপাবলি বা দিওয়ালিতে ঘরের সদর দরজা থেকেই শুরু হয় আল্পনা বা রাংগোলি দিয়ে মেঝে সাজানো৷ আল্পনা আঁকা হলে তার ওপর জ্বালানো হয় প্রদীপ৷ সারি সারি প্রজ্বলিত প্রদীপের আলোয় দূর হয় সমস্ত আঁধার৷
ছবি: Reuters
আলোর আড়ালে....
তাঁরা মৃৎশিল্পী৷ মূলত মাটির প্রদীপই বানান তাঁরা৷ তাঁদের প্রদীপ জ্বালিয়েই শুরু হয় দীপাবলির উৎসব৷ কিন্তু এই মৃৎশিল্পীদের অনেকের জীবনই কাটে অর্ধাহারে, অনাহারে৷ অন্যের ঘরে আলো জ্বালান সারা জীবন, কিন্তু নিজের ঘরের দারিদ্র্যের আঁধার তবু দূর হয় না৷
ছবি: Reuters
উপহার
উপহার বিনিময়ের রেওয়াজও আছে দীপাবলিতে৷ আগে শুধু ব্যক্তিগত পর্যায়েই উপহার বিনিময় হতো৷ আজকাল কর্মীদের কাজে উৎসাহ বাড়াতে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষও দিওয়ালিতে উপহার দেয়৷
ছবি: Reuters
মেহেদি
দীপাবলীতে মেয়েরা মেহেদির রঙে হাত-পা সাজাতেও খুব পছন্দ করেন৷
ছবি: Reuters
হ্যাপি দিওয়ালি
দিওয়ালি সারা বিশ্বেই জনপ্রিয়৷ ভারতসহ অনেকে দেশে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরাও পালন করেন এই উৎসব৷ ভারতের প্রদেশের মির্জাপুরে মুসলমানরা তো দিওয়ালিতে বিশেষ প্রার্থনাও করেন৷