কেমন বাজেট চান? একজন মধ্যবিত্ত হিসেবে এ প্রশ্ন আমার কাছে বড়ই অবান্তর! শুধু আমার কাছে নয়, পুরো বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত সমাজের কাছেই এই প্রশ্নের আজ কোনো মানে নেই৷
বিজ্ঞাপন
বাজারে পেঁয়াজ ৮০, চিনি ১২৫, আদা ৫০০! মাছ-মাংস, চাল-তেলের দামতো সেই কবেই আকাশ ছুঁয়েছে৷ মধ্যবিত্ত মাথা ঢাকবে নাকি পা..ভেবে কূল পাচ্ছে না৷ সেখানে বাজেটে কী হবে না হবে তা নিয়ে ভাবার অবস্থা তার কী সত্যিই আছে?
সে শুধু একটা কথাই জানে, বাজেট মানে আরো একদফা বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি এবং তার মাথার উপর করের বোঝাটা আরেকটু ভারি হওয়া৷ আমি তো সেটাই দেখে আসছি গত বেশ কয়েক বছর ধরে৷
আগামী ৩১ মে বাংলাদেশে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশন শুরু হতে যাচ্ছে৷ ধারা মেনে পয়লা জুন বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করা হবে৷
একজন সংবাদকর্মী হিসেবে নানা সংবাদ ঘেঁটে জানতে পেরেছি এ বছর সাড়ে সাত লাখ কোটির বেশি টাকার বাজেট হতে যাচ্ছে৷ বাংলাদেশে বরাবরই ঘাটতি বাজেট হয়৷ এ বছরও নিশ্চয়ই তার ব্যত্যয় হবে না৷
কিন্তু সমস্যা হলো, এ বছর পরিস্থিতি অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি খারাপ৷ কোভিড-১৯ মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পুরো বিশ্বই টালমাটাল৷ বাংলাদেশও প্রবৃদ্ধির যে ধারায় ছিল, সেটা আর নেই৷ বরং প্রবৃদ্ধি কমে যাচ্ছে৷ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ঝুঁকিপূর্ণ মাত্রায় কমে গেছে৷ সরকারকে তাই ব্যয় কমাতে বাধ্য হচ্ছে৷ ডলার বাঁচাতে বন্ধ রাখতে হচ্ছে আমদানি৷
বাজেট থেকে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা
আগামী ১ জুন বাজেট ঘোষণা করা হবে৷ ঢাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বাজেট নিয়ে কী ভাবছেন, তাদের প্রত্যাশা কী, জানতে চেয়েছিল ডয়চে ভেলে৷
ছবি: bdnews24.com
আমরা কি ভালো-মন্দ খামু না?
নির্মাণশ্রমিক হিসেবে ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চুক্তিতে কাজ করেন মোঃ আজগর মৃধা৷ আসন্ন বাজেট নিয়ে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন, ‘‘বাজেট বাদ দেন, সামনে কুরবানির ঈদের আগে যে গরুর মাংস রান্দার যেসব মেইন জিনিস লাগে, আদা আর পেয়াইজ, এগুলির দাম যে তিন গুন বাইড়া গেল, আমরা কি বছরে একদিনও ভালো-মন্দ খামু না?’’
ছবি: Mortuza Rashed/DW
বাজেটের আগেই জিনিসের দাম বাড়সে
ঢাকার শ্যামলীতে কাঠমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করা মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘প্রত্যেক বছর দেখি বাজেটের সময় হওয়ার আগে দিয়া জিনিসের দাম বাড়ে নাইলে জিনিস পাওয়া যায় না, মার্কেট থেকা হাওয়া হয়া যায়৷ এইবারও ব্যতিক্রম হয় নাই, এক মাসের ব্যবধানে অনেক কিছুর দাম ডাবল হয়া গেসে৷’’
ছবি: Mortuza Rashed/DW
আমরা সব সহ্য করে নিচ্ছি
ঢাকার মিরপুরের এই অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, ‘‘আমরা এখন হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আছি৷ কারো বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারছি না, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারছি না৷ সব ধরণের জুলুম শোষণ আমরা মুখ বুজে সয়ে নিচ্ছি৷’’
ছবি: Mortuza Rashed/DW
এখন আমি লাখ টাকা ঋণী
ঢাকার কমলাপুরের পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন শিখা রাণী দাস৷ বাজেট নিয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘করোনার আগে আমার এক টাকাও ঋণ ছিল না, দিন আনছি দিন খাইসি, কিছু টাকা জমাইসি৷ করোনায় সব জমানো টাকা ভাইঙ্গা খাইসি৷ গত দুই বচ্ছরে আমার এখন লাখ টাকা ঋণ৷ সুদে ঋণ নিসি, এইটা কীভাবে শোধ দিমু, আমি জানি না৷’’
ছবি: Mortuza Rashed/DW
বাজেটের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন চাই
লেখক এবং আলোকচিত্রী শাহরিয়ার খান শিহাব বলেন, ‘‘আমি বাজেট বলতে বুঝি, দেশ থেকে শোষণ বিলুপ্ত হবে, দেশ সিন্ডিকেটমুক্ত হবে৷ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে৷ অন্যদিকে, কালোটাকা সাদা করার সুযোগ করে দেওয়া যাবে না, যা প্রতিবছরই করা হচ্ছে৷’’ তিনি বলেন, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির পাশাপাশি আয়-ব্যয়ের ঘাটতি দূর করতে হবে৷ আর বাজেট শুধু পরিকল্পনায় সীমাবদ্ধ না রেখে এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা জরুরি৷
ছবি: Privat
সংসার চলে না
স্নাতকে পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে বিক্রি হওয়া পণ্য ডেলিভারি করেন সাইফুল ইসলাম৷ বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সরকার কীভাবে কী বাজেট করে আমরা এতোকিছু বুঝি না৷ আমরা শুধু জানি আমাদের সংসার চলে না, দিনদিন কঠিন থেকে আরো কঠিন হচ্ছে সবকিছু৷’’
ছবি: Mortuza Rashed/DW
বাজেটে জিনিসের দাম কমে না
ঢাকার কেরাণীগঞ্জের পোশাকশিল্প কর্মী সালেহা আক্তার বলেন, ‘‘বাজেটে জিনিসপত্রের দাম বাড়ালে নিশ্চিত ধইরা নেন ঐ জিনিসের দাম বাড়বে৷ কিন্তু বাই চান্স যদি কিছুর দাম কমেও, সেইটার দাম আমগো আর কমে না৷ দেশে একবার দাম বাড়লে আর কমে না, এইটাই নিয়ম হয়া গেসে৷’’
ছবি: Mortuza Rashed/DW
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা উচিত
মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী মোঃ আকবর মিয়া বলেন, ‘‘আমগো দেশে দাম বাড়তে বাজেট লাগে না, প্রতিমাসেই এখন দাম বাড়তাসে জিনিসের৷ মানুষ যে এখন এক বেলা না খাইয়া আছে, আমাগো প্রধানমন্ত্রী কি এইসব দেখে না? আমার তো মনে হয় সাধারণ মানুষের দুঃখের আসল চিত্র তারে দেখানো উচিত৷’’
ছবি: Mortuza Rashed/DW
আমরা চলতে পারি কিনা সেইটাই আমাদের বাজেট
ঢাকার পীরেরবাগের একটি এটিএম বুথের নিরাপত্তারক্ষী মোঃ আবদুল জলিল জানান, ‘‘বাজেট মানে আমরা বুঝি, আয় কতো আর ব্যয় কতো৷ প্রত্যেকেই আমরা মাসের শুরুতে সংসার বা নিজেগো খরচ চালাইতে একটা বাজেট করি৷ সরকারি বাজেট কী অতো বুঝি না, কিন্তু আমরা ঠিকমতো তিনবেলা খাইতে পরতে পারি কিনা, সেইটাই আমগো কাছে বাজেট৷’’
ছবি: Mortuza Rashed/DW
মানুষের একটাই চাওয়া যেন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি না হয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক এবং অর্থনীতিবিদ ডঃ এমএম আকাশ বলেন, ‘‘বাজেটে সাধারণ মানুষের চাওয়া একটাই, যেন কর এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি না হয়৷ তবে ভ্যাট এবং পরোক্ষ ট্যাক্স বেশিরভাগক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের উপরই বসানো হয় এবং দ্রব্যমূল্য বাড়ে৷ তবে এই বছরটা খুব ক্রুশিয়াল হওয়ায় সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করবে যেন পরোক্ষ কর বৃদ্ধি না পায়৷’’
ছবি: Mahbub Alam
10 ছবি1 | 10
আর এই সুযোগটাই নিচ্ছে দেশের এক ধরনের অসাধু ব্যবসায়ীরা৷ এই যেমন, বাজারে পেঁয়াজের দাম ৮০ টাকা৷ পাশের দেশ ভারতেই তো পেঁয়াজ কেজি ২০ রুপি দরে বিক্রি হচ্ছে৷
বার বার আমদানি করার হুঁশিয়ারি দিয়েও কেনো বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না?
কয়েকদিন আগে সমকালের প্রথম পাতায় দেখলাম ‘মজুতদাররাই পেঁয়াজের কারসাজির হোতা'৷ খবরে এ বছর দেশে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হওয়ার কথা বলা হয়৷ কয়েক লাখ টন আমদানিও করা হয়েছে, মজুতও পর্যাপ্ত৷ তবে কেনো একমাসের ব্যবধানে নিত্য এই পণ্যটির দাম বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়ে গেলো৷ সমকালের প্রতিবেদনে এজন্য আড়তদারদের দায়ী করা হয়েছে৷ বলেছে, তারা বাজার কবজায় নিয়ে নিয়েছে৷
এই আড়তদাররা কী মঙ্গল গ্রহে থাকেন, যে সরকার তাদের ধরতে পারছে না৷
একই অবস্থা ব্রয়লার মুরগির বেলাতেও দেখা গেছে৷ মধ্যবিত্তের প্রোটিনের মূল উৎস ছিল এই ব্রয়লার মুরগি ও ডিম৷ দুইটি পণ্যের দামই এখন হাতের নাগালের বাইরে৷
রোজার মধ্যে মুরগি নিয়ে খুব আলোচনা চললো, সে সময় বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি আড়াইশ টাকা ছাড়িয়ে ছিল৷ অথচ উৎপাদন খরচ অর্ধে!
বিভিন্ন মতবিনিময় সভায় সে সময় বলা হলো, মুরগি উৎপাদনকারী বড় কর্পোরেট, পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ী- তিন পক্ষই মুরগিতে মাত্রাতিরিক্ত মুনাফা করছে৷ আর তাতে ঘাড় ভাঙছে সাধারণ মানুষের৷ সন্তানের পাতে প্রতিদিন একটি ডিম তুলে দিতে না পারার অক্ষমতা আমাদের কুরে কুরে খাচ্ছে৷
পণ্যের দাম কমাতে ব্যবসায়ীদের বাধ্য করতে সরকার থেকে বার বার আমদানি করা হবে বলা হচ্ছে বটে, কিন্তু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তো জানে সরকারের অবস্থা....
তাই বিশ্ব বাজারে যখন নিত্যপণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে, তখন আমাদের এখানে তা কেবলই বেড়ে যাচ্ছে৷ নানা ছুতায়, নানা অজুহাতে৷ এটা দেখার যেন কেউ নেই! এই অরাজকতা আর নেয়া যাচ্ছে না৷
এবারের বাজেটে তাই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছে সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা আমার চাই৷ চাই আমার উপর নতুন করে করের বোঝা যেনো আর বাড়ানো না হয়৷
কিন্তু আমার এই চাওয়া কথা কী সরকার বিবেচনায় নেবে? সামনেই বাংলাদেশে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন৷
নির্বাচনী বছরের বাজেটগুলোতে সাধারণত সরকার জনতুষ্টির দিকে অধিক মনযোগ দেয়৷ যাতে ভোটারা সন্তুষ্ট থাকেন৷ যদিও বাংলাদেশে বর্তমানে ভোটারদের কোনো গুরুত্ব প্রকৃতপক্ষে আছে কিনা তা নিয়ে আমি যথেষ্ট সন্দিহান৷
বরং হয়তো নিজেদের নির্বাচনী প্রচার আরো আরো জাঁকজমকপূর্ণ করতে সরকার দৃশ্যমান অবকাঠামো নির্মাণ বা উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বাজেট বরাদ্দ বাড়াবে৷ অথচ, অর্থনীতিবীদরা বার বার রিজার্ভের এই সঙ্কটময় সময়ে এখনই প্রয়োজন নয় এমন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ না করার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন৷ উদাহরণ হিসেবে তারা শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির কথা বলছেন৷
অর্থনীতিবীদদের কাজ সরকারকে পরামর্শ দিয়ে যাওয়া৷ মানা না মানা তো পুরোপুরি সরকাররের উপর নির্ভর করে৷ জানি, বাজেট তারা দেবেন নিজেদের স্বার্থ বুঝে...
আমি শুধু চাই, নতুন বাজেটের পর নিত্যপণ্যের বাজার একটু নাগালে আসুক৷ বাংলাদেশে এখনো মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের উপরে৷ অথচ ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ নানা দেশে মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করেছে৷
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে তাই বাজেটে টেকসই উদ্যোগ নেওয়া হোক৷ জানি বাজার পূর্বের অবস্থায় ফেরানো এখনই সম্ভব নয়৷ কিন্তু বর্তমান অরাজকতাও মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস তুলে ফেলেছে৷
বিশ্ব বাজারে দাম কমলেও কোনো বাংলাদেশের বাজারে তার প্রভাব পড়ছে না তার কারণ খুঁজে বের করতে হবে৷
সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সানেমের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক রায়হান বলেছিলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কী করা হচ্ছে, বাজেটে সেটার পরিষ্কার ধারণা তৈরি করতে হবে৷
‘‘দেশে চলমান সংকটগুলো কীভাবে সামলানো হবে, তার সুস্পষ্ট পরিকল্পনাও বাজেটে থাকা দরকার৷ না হলে বৃহৎ সংখ্যার জনগোষ্ঠী মূল্যস্ফীতির চাপে বড় ধরনের বিপদে পড়ে যাবে৷”
অধ্যাপক রায়হান বৃহৎ সংখ্যার জনগোষ্ঠী বলতে তো মধ্যবিত্তকেই বোঝাতে চেয়েছেন৷ এক সময়ে যাদের সমাজের মেরুদণ্ড বলা হতো৷
মেরুদণ্ড ভেঙে গেলে হাঁটতে পারবেন তো?
১১ মার্চের ছবিঘরটি দেখুন...
২০২২ ও ২০২৩ সালের নিত্যপণ্যের দামের তুলনা
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করেছিল রাশিয়া৷ বিশ্বব্যাপী নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার এটি একটি কারণ৷ ছবিঘরে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ও ২০২৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার কয়েকটি বাজারে নিত্যপণ্যের দামের তথ্য থাকছে৷
ছবি: DW
নিত্যপণ্যের দামের তথ্য ওয়েবসাইটে
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশ টিসিবি প্রতিদিন ঢাকার কয়েকটি বাজার থেকে নিত্যপণ্যের দাম সংগ্রহ করে তাদের ওয়েবসাইটে (shorturl.at/cnzP0) প্রকাশ করে৷
ছবি: Abdullah Momin
যেসব বাজারের তথ্য
যেসব বাজার থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয় সেগুলো হলো শাহজাহানপুর, মালিবাগ বাজার, কাওরান বাজার, বাদামতলী বাজার, সূত্রাপুর বাজার ও শ্যাম বাজার৷
ছবি: Samir Kumar Dey/DW
চালের দাম কমেছে; তেল, আটা বেড়েছে; ডাল একই আছে
টিসিবির ওয়েবসাইট বলছে, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিকেজি নাজির/মিনিকেট চালের সর্বনিম্ন দাম ছিল ৬২ টাকা৷ ২০২৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তা কমে হয় ৬০ টাকা৷ ২০২২ সালে প্রতিকেজি খোলা সাদা আটার দাম ছিল ৩৪ টাকা৷ ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ৫৬ টাকা৷ প্রতিলিটার লুজ সয়াবিন তেলের দাম ১৬০ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৬৮ টাকা৷ বড় দানার প্রতিকেজি মসুর ডালের দাম যা ছিল তাই আছে, ৯৫ টাকা৷
প্রতিকেজি দেশি পিঁয়াজের দাম ৪৫ টাকা থেকে কমে ৩০ টাকা হয়েছে৷ প্রতিকেজি দেশি রসুনের দাম ৩০ থেকে বেড়ে ১২০ টাকা হয়েছে৷ দেশি শুকনা মরিচ ১৫০ থেকে হয়েছে ৩৭০ টাকা৷ দেশি হলুদ ছিল ২০০ টাকা, হয়েছে ২২০ টাকা৷ দেশি আদা ৮০ থেকে ১৮০ এবং জিরা ৩২০ থেকে বেড়ে ৬৫০ টাকা কেজি হয়েছে৷
ছবি: DW
গরু, মুরগিও বেড়েছে
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিকেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকা ছিল৷ এ বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ছিল ৭০০ টাকা৷ ব্রয়লার মুরগির দাম গতবছর কেজিপ্রতি ছিল ১৫০ টাকা৷ এবছর হয়েছিল ২০৫ টাকা৷
ছবি: Abdullah Momin
চিনি, লবণ, ডিমও বাড়তি
২০২২ সালে ৭৫ টাকা দিয়ে এককেজি চিনি কেনা গেলেও এবার দিতে হয়েছে ১১০ টাকা৷ প্যাকেটজাত লবণ প্রতিকেজি ৩০ টাকারটা হয়েছে ৩৮ টাকা৷ আর ফার্মের ডিম হালিপ্রতি ২০২২ সালে ছিল ৩৬ টাকা, এবার হয়েছে ৪৪ টাকা৷