নোট বাতিলে আমজনতার যে ভোগান্তি হয়েছিল ২০১৭-১৮ সালের রেল ও সাধারণ বাজেটে তাতে কিছুটা হলেও প্রলেপ দিতে চেষ্টা করেছেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি৷ করের বোঝা বাড়েনি, এমনকি গ্রামীণ বিকাশকে পাখির চোখ করেছেন মোদী সরকার৷
বিজ্ঞাপন
প্রথা ভেঙে এই প্রথম রেল ও সাধারণ বাজেট একসঙ্গে সংসদে পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি৷ বাজেটে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতি এবং পরিকাঠামোর বিকাশকে৷ সার্বিক লক্ষ্য দারিদ্রমোচন এবং আয়বৃদ্ধি৷ গ্রামীণ পরিকাঠামোর কাজে বাড়ানো হয়েছে অর্থ বরাদ্দ৷ প্রতিদিন তৈরি হবে ১৩৩ কিলোমিটার রাস্তা, থাকবে দূষণমুক্ত পানীয় জল ও স্বাস্থ্য পরিষেবা৷ গ্রামে অন্তত এক কোটি পরিবারকে দারিদ্র্যসীমার ওপরে আনা হবে৷ কৃষকদের জন্য থাকছে নতুন ফসল বীমা এবং পাঁচ বছরের মধ্যে তাঁদের আয় দ্বিগুণ করার সংস্থান রাখা হয়েছে বাজেটে৷ কৃষি ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ আর বরাদ্দ করা হয়েছে ১০ লক্ষ কোটি টাকা৷
ভারতীয় বাজেটের ভালো-মন্দ
পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগেই কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করল মোদী সরকার৷ জানালো, আগামী বছর থেকে বাজেটের নীতি হবে পরিবর্তন, সম্পদ সঞ্চয় ও স্বচ্ছতা৷ চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কী প্রস্তাব দিলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Singh
আয়করের ক্ষেত্রে ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ল
এবার থেকে আড়াই লক্ষ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ের জন্য কর দিতে হবে ৫ শতাংশ৷ আগে এটা ছিল ১০ শতাংশ৷ আর আয় যদি ১৫ লক্ষ টাকা থেকে ১ কোটি পর্যন্ত হয়, তবে কর দিতে হবে ১০ শতাংশ৷ এছাড়া ৫০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত করের পাশাপাশি দিতে হবে ১০ শতাংশ ‘সারচার্জ’৷ ১ কোটি টাকার বেশি উপার্জনকারী, মহাধনীদের আগের মতোই ১৫ শতাংশ ‘সারচার্জ’ দিতে হবে৷
ছবি: Getty Images
রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য খারাপ খবর
এতদিন চাঁদার ওপর কোনো আয়কর দিতে হতো না৷ কিন্তু এবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলি একজনের কাছ থেকে ২ হাজার টাকার বেশি চাঁদা নিতে পারবে না৷ চাঁদার পরিমাণ দু’হাজারের বেশি হলেই ডিজিটাল লেনদেনে চাঁদা নিতে হবে৷ এছাড়া তিন লক্ষ টাকার বেশি নগদে লেনদেন করা যাবে না৷
ছবি: dapd
কর ফাঁকি চলছে
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি সংসদে জানালেন, ২০১৬-১৭ সালে ভারতে কর আদায় বেড়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ৷ দেশে ২৪ লক্ষ মানুষের আয় ১০ লক্ষের বেশি আর ৭৫ লক্ষের আয় প্রায় ৫ লাখের বেশি৷ অথচ বহু লোক এখনও কর ফাঁকি দেন৷
ছবি: picture-alliance/ZUMAPRESS/P. Saikat
প্রতিরক্ষা ও সামাজিক খাতে বরাদ্দ
এই খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ২ লক্ষ ৭৪ হাজার ১৪১ কোটি টাকা৷ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ৪ লক্ষ ১১ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হবে৷ পেনশনের জন্য বিশেষ ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যবস্থা তৈরি করবে সরকার৷ প্রতিটি গ্রামে তৈরি করা হবে মহিলা শক্তিকেন্দ্র৷ দলিত ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য আলাদা করে অর্থ বরাদ্দ করা হবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Adhikary
প্রতিটি গ্রামে পৌঁছে যাবে বিদ্যুৎ
২০১৮ সালের মধ্যে দেড় লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পৌঁছে দেওয়া হবে হাইস্পিড ব্রডব্যান্ড সার্ভিস৷ মিলবে হটস্পট পরিষেবাও৷ তাই এই খাতে বরাদ্দ হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Paranjpe
পরিকাঠামো উন্নয়ন
জাতীয় সড়কের জন্য মোট ৬৪ হাজার কোটি টাকা দেবে সরকার৷ গত বছর প্রতিদিন ১৩৭ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়েছে সারা দেশে৷ স্টার্ট আপ প্রোগ্রামে নতুন ১৬ হাজার উদ্যোগপতি যুক্ত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী৷ সব মিলিয়ে ৩ লক্ষ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে পরিকাঠামো উন্নয়নে৷ পিপিপি মডেলে ছোট শহরে বিমানবন্দর তৈরি হচ্ছে৷ রেলেও বাড়ছে পিপিপি মডেলের কাজ৷
ছবি: picture-alliance/ZUMAPRESS/P. Saikat
স্বাস্থ্য পরিষেবায় নতুন চমক
চালু হচ্ছে আধার নির্ভর হেলথ কার্ড৷ প্রবীণদের জন্য জীবনবিমায় ৮ শতাংশ হারে সুদ৷ ২০২৫ সালের মধ্যে দেশ থেকে যক্ষ্মা কালাজ্বর দূর করতে কাজ করবে সরকার৷ যুব সমাজের উন্নতির জন্য স্কিল ইন্ডিয়া প্রকল্প রয়েছে ৬০ জেলায়, সেটা পৌঁছে যাবে ৬০০ জেলায়৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
২০১৯ সালের মধ্যে দারিদ্রমুক্ত দেশ?
১ কোটি পরিবারকে দারিদ্র্যসীমার ওপরে নিয়ে আসা হবে ভারতে৷ এর জন্য ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ বৃদ্ধি হচ্ছে ৪৮ হাজার কোটি টাকা৷ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় অতিরিক্ত ২২ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হবে৷ এছাড়া দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণে ৮ হাজার কোটি টাকা, ফসল বিমায় ৯ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হবে৷ পাকা বাড়িও দেওয়া হবে ১ কোটি৷ আর ১০ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হবে কৃষকদের৷
ছবি: DW/M. Krishnan
8 ছবি1 | 8
নোট বদলের সিদ্ধান্ত ভারতীয় অর্থনীতির দিক থেকে এক সাময়িক পদক্ষেপ মাত্র৷ নোট বদলের অভিঘাত আগামী বছর আর থাকবে না৷ নোট বদলের সাফাই দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী মহাত্মা গান্ধীর উক্তির উদ্ধৃতি তুলে বলেন, কোনো মহত উদ্দেশ্য কখনও ব্যর্থ হয় না৷ নোট বাতিলের ক্ষতে মলম লাগাতে এই বাজেটে ব্যক্তিগত আয়করে এবং কর্পোরেট করের বোঝায় কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়৷ ভারতীয় অর্থনীতির মেরুদণ্ড ছোট ও মাঝারি শিল্প৷ এই ক্ষেত্রকে লাভজনক ও প্রতিযোগিতামূলক কোরে তুলতে করের হার ৩০ থেকে কমিয়ে করা হয় ২৫ শতাংশ৷ পাশাপাশি প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পত আরও সাফ করা হয়৷ বিদেশি বিনিয়োগ উন্নয়ন পর্ষদের লাল ফিতার অবলুপ্তি ঘটাচ্ছে সরকার৷ আগে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য প্রথমে দরকার হোত পর্ষদের অনুমোদন৷ এবার থেকে অর্থ মন্ত্রক নিজেই সরাসরি তার ছাড়পত্র দিতে পারবে৷ প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নিকে উৎসাহ দিতে এটা এক বড় পদক্ষেপ বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা৷ ব্যক্তিগত আয়কর কমানোর কথা বলা হয়েছে বাজেটে, যেটা মধ্যবিত্তদের কিছুটা স্বস্তি দেবে৷ আড়াই লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ে আগেকার ১০ শতাংশ থেকে নামিয়ে করা হয়েছে পাঁচ শতাংশ, যাতে বেশি লোক স্বেচ্ছায় আয়কর দিতে এগিয়ে আসেন৷
নোট বাতিলের পর ভারতের নাজেহাল অবস্থা
ভারতে ৫০০ আর ১,০০০ টাকার নোট বাতিল হয়েছে৷ কিন্তু পরিস্থিতি সামাল দেবার যথেষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি৷ কাজেই হয়রান ও অধৈর্য হচ্ছেন মানুষ, দানা বাঁধছে রাজনৈতিক প্রতিরোধ৷
ছবি: REUTERS/File Photo/A. Dave
টাকা বাতিলে আতঙ্ক সর্বত্র
৮ই নভেম্বর ২০১৬ তারিখে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেন যে, ৯ই নভেম্বর থেকে পাঁচশ’ ও হাজার টাকার নোট বাতিল করা হচ্ছে৷ পরের বৃহস্পতিবার থেকেই ব্যাংকে ঢুকে টাকা বদল করার জন্য মানুষের ভিড় ও ধস্তাধস্তি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Altaf Qadri
লেডিজ ফার্স্ট
নতুন দিল্লির একটি ব্যাংকে নোট বদলানোর জন্য মহিলাদের আলাদা লাইন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Qadri
ব্যাংক কর্মীরাও ব্যতিব্যস্ত
আসামের গুয়াহাটির একটি ব্যাংকে এক ব্যাংক কর্মী নোট তুলে ধরে দেখছেন, তা সাচ্চা কিনা৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Nath
অনন্ত প্রতীক্ষা
রাজধানী নতুন দিল্লির একটি ব্যাংকের সামনে সুদীর্ঘ লাইন৷ ধীরে ধীরে শৃঙ্খলা ফিরে আসছে, যদিও বাড়ছে অসন্তোষ৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/S. Das
ভুক্তভোগী
মুম্বইতেও মানুষজন লাইন করে দাঁড়িয়েছেন, টাকা বদলানোর আশায়৷ কিন্তু বয়স্ক মানুষদের জন্য কোনো আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়নি৷ চূড়ান্ত অসুবিধেয় পড়েছেন পেনশনভোগী ও ‘দিন-আনি-দিন-খাই’ সাধারণ মানুষ৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/R. Kakade
প্রতিরোধ দানা বাঁধছে
সোমবার, ২৮শে নভেম্বর ভারত বনধ-এর ডাক দেয় বিরোধীরা৷ দেশ জুড়ে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়৷ ছবিতে বনধের দিনে মুম্বই৷
ছবি: Getty Images/AFP/I. Mukherjee
ধর্মঘটের দিনেও টাকা বদলানোর লাইন
দৃশ্যটা কলকাতার৷ ২৮শে নভেম্বর ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছিল বামফ্রন্ট৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি যা সমর্থন করেননি৷ জানিয়েছিলেন, জনজীবন স্বাভাবিক থাকবে৷ বস্তুত পশ্চিমবঙ্গে ছিলও তাই৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
‘দিদি’ মাঠে নামলেন
সোমবার আঠাশে নভেম্বর কলকাতার কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলা অবধি মিছিল করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি৷ সেদিন নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার হুমকিও দেন তিনি৷ মমতা আগামী ৬ই ডিসেম্বর অবধি এক বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
8 ছবি1 | 8
বাজেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা হলো, রাজনৈতিক দলগুলির তহবিলে চাঁদা দেওয়া৷ বলা হয়, সর্বাধিক দুই হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা নগদে দেওয়া যাবে, তার বেশি হলে দিতে হবে চেকে কিংবা ডিজিটাল মাধ্যমে৷ এছাড়া দেওয়া যাবে বিশেষ ইলেক্টোরাল ডোনার বন্ড কিনে৷ সব রাজনৈতিক দলকে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে৷ এর ফলে রাজনৈতিক দলগুলির তহবিল সম্পর্কে জনমানসে যে খারাপ ধারণা ছিল, তা অনেকাংশে দূর হবে৷ পার্টির তহবিল হবে দুর্নীতিমুক্ত এবং স্বচ্ছ৷
এই বাজেট সম্পর্কে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকারের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘সার্বিকভাবে বলতে গেলে বলতে হয়, বাজেট মোটামুটি ইতিবাচক৷ বিমুদ্রাকরণ বাদ দিয়ে এই বাজেটকে বিচার করা ঠিক হবে না৷ বাজেটে সাধারণ মানুষের মন পাবার একটা চেষ্টা রয়েছে৷ ছোট ও মাঝারি শিল্পে বা ব্যবসাপাতিতে করের হার কমিয়ে করা হয়েছে ২৫ শতাংশ৷ দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধি ৬ শতাংশ থেকে নেমে হয়েছে ৩ শতাংশে৷ তবে হ্যাঁ, সবকিছুরই একটা উল্টো দিক আছে৷ এতে করে রাজকোষ ঘাটতি বাড়বে৷ তবে বাড়লে চিন্তা নেই৷ চিন্তা, সেই বৃদ্ধিটা কীভাবে তা পূরণ করা হবে৷ কর বাড়িয়ে তা করা যায়, কিন্তু তা করা হয়নি৷ ঋণ নিলে তা শোধ করতে সুদ দিতে হতো৷ অতিরিক্ত নোট ছাপানো যেত, কিন্তু সেটা সময়সাপেক্ষ৷ তাই আমার মনে হয় নোট বাতিলের সিদ্ধান্তটা সরকারের হটকারিতা৷ এর অভিঘাত কী হতে পারে, সবাই তা সঠিক আন্দাজ করতে পারেনি৷ সেটা বিপরীতমুখী করার চেষ্টা মোদী সরকার বাস্তবায়িত করতে পারবে কিনা, সেবিষয়ে সন্দেহ থেকে যায়৷''
পৃথিবীর লজ্জা: শত কোটি গরিবের সমান ৬২ জন বড়লোক!
বিশ্বে ধনীর সংখ্যা কমছে, কিন্তু বাড়ছে দরিদ্র আর দারিদ্র্য৷ আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা অক্সফাম-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ৬২ ব্যাক্তির মোট সম্পদ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার সবচেয়ে দরিদ্র ৫০ শতাংশ মানুষের সমান!
ছবি: Colourbox/M. Shmeljov
পৃথিবীর লজ্জা
বিশ্বের মোট জনসংখ্যা এখন ৭৩০ কোটির মতো৷ এই ৭৩০ কোটির মধ্যে মাত্র ৬২ জনের টাকার জোরের কাছে বলতে গেলে সবাই-ই নত৷ সোমবার ‘এক শতাংশের অর্থনীতি’ শিরোনামের এক প্রতিবেদনে অক্সফাম জানিয়েছে, এ মুহূর্তে সবচেয়ে ধনী ৬২ ব্যাক্তির মোট সম্পদ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার সবচেয়ে দরিদ্র ৫০ শতাংশ মানুষের সমান!
ছবি: picture-alliance/AP Images/B. Curtis
নিরন্নের আর্তনাদ, ধনকুবেরের আস্ফালন
বিশ্বে কোটি মানুষ এখনো অর্ধাহারে, অনাহারে দিন কাটাচ্ছে৷ সিরিয়ায় তিনটি মাস প্রায় না খেয়ে থেকেছে কত নারী, শিশু! ঠিক এই সময়েই অক্সফাম প্রকাশ করেছে এই প্রতিবেদন৷
ছবি: Aktivisten aus Madaja
ধনী কমছে, ধনীর ধন বাড়ছে
পাঁচ বছর আগে বিশেষ মাপকাঠিতে বিশ্বের সবচেয়ে ধনীদের তালিকায় যেখানে ছিল মোট ৩৮৮জন, একই মাপকাঠিতে সেই তালিকায় এখন স্থান পাচ্ছেন মাত্র ৬২ জন৷ এই হিসেব অনুযায়ী, ধনীর সংখ্যা যদিও কমছে, কিন্তু দরিদ্র মানুষ বা তাঁদের দারিদ্র্য কমছে না৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/K. Jebreili
গরিব আরো গরিব
এ সপ্তাহেই দাভোসে বসছে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম (ডাব্লিউইএফ)-এর শীর্ষ সম্মেলন৷ গত বছর এই সম্মেলনের আগেই অক্সফাম জানিয়েছিল, বিশ্বের মোট জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে দরিদ্র ৫০ শতাংশ মানুষের মোট সম্পদের পরিমাণকে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের এক শতাংশ ধনী৷ এবার অক্সফাম বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে ধনীদের সঙ্গে অন্যদের ব্যবধান এক বছরে অনেক বেড়েছে৷সাড়ে তিনশ কোটি দরিদ্র মানুষের মোট সম্পদ আগে যা ছিল তার চেয়ে শতকরা ৪১ ভাগ কমেছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
ধনীর ধনসম্পদ বেড়েই চলেছে
আরেকটি বিষয়ও বেরিয়ে এসেছে অক্সফাম-এর এই গবেষণায়৷ ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকায় স্থান পাওয়া বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ৬২ জন বিলিয়নিয়ারের সম্পদের পরিমাণ ৪৪ শতাংশ বেড়েছে৷
ছবি: Colourbox/M. Shmeljov
5 ছবি1 | 5
নতুন রেল বাজেটও ইতিবাচক৷ যাত্রিভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব নেই বটে তবে খরচ ও প্রতিযোগিতার মোকাবিলা করতে দরকার হলে বাড়ানো হোতে পারে৷ জোর দেওয়া হয়েছে যাত্রী নিরাপত্তার দিকে, যার মধ্যে আছে রক্ষীবিহীন লেবেল ক্রসিং তুলে দেওয়া৷ যাত্রী সুরক্ষায় বরাদ্দ করা হয় এক লাখ কোটি টাকা৷ ই-রেল টিকিটে ‘সারচার্জ' নেওয়া হবে না৷ নতুন মেট্রো রেল নীতিতে তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ তবে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বুলেট ট্রেনের অঙ্গিকারই সার, তা নিয়ে একটি কথাও নেই৷ সম্ভবত সরকার বুঝতে পেরেছেন পরিকাঠামো বা আর্থিক সামর্থ্য কোনোটাই সরকারের নেই৷ স্টেশনে স্টেশনে সৌরশক্তির ব্যবহার বা ট্রেনে বায়ো-টয়লেটের কথা আগের বাজেটেও বলা ছিল, কিন্তু কার্যকর হয়নি৷
প্রসঙ্গত, মোদী সরকারের এটা তৃতীয় বাজেট৷ যথারীতি কংগ্রেসসহ বিরোধিদলগুলি এর সমালোচনায় গলা মিলিয়েছে৷
এই বাজেট সম্পর্কে আপনার কী অভিমত? জানান আমাদের, নীচের ঘরে৷