1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাড়ছে জার্মান সাংসদের বেতন

১৬ মার্চ ২০১৪

জার্মান সাংসদরা নিজেদের বেতন এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়িয়ে নিলেন৷ ওদিকে ঘুস নিলে তাঁদের শাস্তির মেয়াদ সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া হলো৷ ফলে অবশেষে জাতিসংঘের দুর্নীতি দমন কনভেনশন অনুমোদনের পথে এগোতে পারে জার্মানি৷

ছবি: picture alliance/AP Photo

জিনিস-পত্রের দাম বাড়ে, কিন্তু বেতন বা মজুরি সেই অনুযায়ী বাড়ে না৷ এমন অভিযোগ কার না নেই! মালিক ও শ্রমিক পক্ষের মধ্যে রফা হলে বেতন অল্পস্বল্প বাড়ে বটে৷ তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়৷ কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদের আয় কে বেঁধে দেবে? সেটা না হয় তাদের রাজনৈতিক দল স্থির করে দিল৷ কিন্তু মন্ত্রী বা সংসদ সদস্যদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা৷ জার্মানির সংবিধান অনুযায়ী সাংসদরা নিজেরাই নিজেদের বেতন স্থির করেন৷ সরকারি বা রাজনৈতিক বিষয়ে যতই বাকবিতণ্ডা হোক না কেন, নিজেদের স্বার্থের প্রশ্নে সাংসদদের মধ্যে মোটামুটি ঐকমত্য দেখা যায়৷ এবারও তাই হলো৷ জার্মান সংসদের নিম্ন কক্ষের সদস্যদের বেতন এক লাফে বেশ কিছুটা বেড়ে গেল৷ তবে একইসঙ্গে দুর্নীতির আশ্রয় নিলে তাঁদের শাস্তির মেয়াদ আরও বাড়িয়ে দেওয়া হলো৷

২০১৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকে বুন্ডেসটাগ-এর সদস্যদের মাসিক বেতন দাঁড়াচ্ছে ৯,০৮২ ইউরো৷ ২০১৩ সালেই বেতন বাড়িয়ে ৮,২৫২ ইউরো করা হয়েছিল৷ কিন্তু বার বার নিজেরাই নিজেদের বেতন এতটা বাড়ালে বিষয়টি একটু দৃষ্টিকটু হয়ে ওঠে৷ কারণ জার্মানির সাধারণ কর্মী বা শ্রমিকদের বেতন বা মজুরি তো আর এই হারে বাড়ে না! তাই ২০১৬ সাল থেকে এই সিদ্ধান্ত ‘স্বয়ংক্রিয়' করে তোলা হবে৷ অর্থাৎ এতদিন বিচ্ছিন্নভাবে বেতন বাড়ানো হতো৷ ভবিষ্যতে ফেডারেল পর্যায়ে বিচারপতিদের বেতনের সঙ্গে তা বেঁধে দেওয়া হবে৷ তারপর আর আলাদা করে সাংসদদের বেতন বাড়ানোর প্রয়োজন ফুরিয়ে যাবে৷

যথেষ্ট অর্থবল থাকলে জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে দুর্নীতির প্রবণতাও কমে যাওয়া উচিত৷ সেইসঙ্গে শাস্তির ভয়ও কাজ করে৷ জার্মান সাংসদদের বেতন বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতির শাস্তিও আরও কড়া করা হলো৷ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রায় এক দশক ধরে জাতিসংঘের দুর্নীতি বিরোধী কনভেনশন অনুমোদন করেনি জার্মানি৷ কারণ এর অন্যতম বড় পূর্বশর্তই হলো জনপ্রতিনিধিদের জন্য কড়া আইন৷ অবশেষে জার্মানির রাজনৈতিক শ্রেণির টনক নড়েছে৷ ঘুস নিলে বা দিলে এবার সাংসদদের পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে৷ শুধু সংসদ নয়, রাজ্য বিধানসভার সদস্যদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে৷

তবে লজ্জার বিষয় হলো, বিশ্বের প্রায় ১৬৫টি দেশই জাতিসংঘের দুর্নীতি বিরোধী কনভেনশন অনুমোদন করে ফেলেছে৷ শুধু সিরিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মতো দেশই এখনো সেই পথে এগোয়নি৷ জার্মানিও এতকাল এই তালিকায় ছিল৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ