সৌরশক্তির প্রয়োগ সারা বিশ্বেই বেড়ে চলেছে৷ কিন্তু বড় আকারে সোলার সেল লাগানো সব ক্ষেত্রে সহজ নয়৷ কিন্তু ঘরবাড়ির দেওয়ালই যদি সরাসরি সৌরশক্তি উৎপাদন করতে পারতো? জার্মান বিজ্ঞানীরা সেই পথেই অনেকটা এগিয়েছেন৷
বিজ্ঞাপন
৩০০ কোটি বছর আগে থেকেই সবুজ গাছপালা ক্লোরোফিলের মাধ্যমে সূর্যের আলো থেকে শক্তি সংগ্রহে সাহায্য করে আসছে৷ সবুজ পাতা সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় সেই আলোকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে৷ এটাই পৃথিবীতে প্রাণের মূল ভিত্তি৷ পরিবেশ দূষণ ছাড়াই শক্তি উৎপাদন করার অভিনব এই প্রক্রিয়া৷
কাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা জ্বালানি উৎপাদনের এই প্রক্রিয়া নকল করার চেষ্টা করছেন৷ স্থপতি, শিল্পী, ন্যানো প্রযুক্তি বিজ্ঞানী ও ডিজাইনারদের এক টিম এমন এক উপকরণ তৈরি করছেন, যা একদিকে সোলার সেল, অন্যদিকে সেটি আবার সূর্যের আলো বিদ্যুতে রূপান্তরিত করতে পারে৷
প্রথমেই তৈরি হচ্ছে কন্ডাকটিভ সিমেন্ট৷ গ্রাফাইট যোগ করে গবেষকরা এই কন্ডাকটিভিটি সম্ভব করছেন৷ সিমেন্ট শক্ত হয়ে চূড়ান্ত রূপ নিলে পজিটিভ-নেগেটিভ পোল হিসেবে কাজ করে এবং ইলেকট্রন ধারণ করতে পারে৷
বাংলাদেশে সৌরশক্তির ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে
বাংলাদেশে গ্রামীণ শক্তি কার্যত নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিপ্লব এনেছে৷ ইতোমধ্যে দশ লাখ সোলার সিস্টেম স্থাপনের রেকর্ড গড়েছে প্রতিষ্ঠানটি৷ ৬৪ জেলাতেই চলছে তাদের কার্যক্রম৷ এই বিষয়ে আমাদের ছবিঘর৷
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images
সৌরবিপ্লব
বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে কার্যত বিপ্লব এনেছে গ্রামীণ শক্তি৷ গত বছরের শুরুতে দশ লাখ সোলার সিস্টেম স্থাপনের রেকর্ড গড়ে তারা৷ ২০১৫ সাল নাগাদ আরো দশ লাখ সোলার সিস্টেম স্থাপনের রেকর্ড গড়তে চায় তারা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শুরুর কথা
বাংলাদেশে গ্রামীণ শক্তির যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৬ সালে৷ নবায়নযোগ্য জ্বালানির সুবিধা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি৷ শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান৷
ছবি: picture-alliance/dpa
৬৪ জেলায় কার্যক্রম
বাংলাদেশে ৬৪ জেলাতেই কাজ করছে গ্রামীণ শক্তি৷ ২০১৩ সালে প্রকাশিত হিসেব অনুযায়ী, ইতোমধ্যে ৫০ হাজার গ্রামে সেবা পৌঁছে দিয়েছে সংস্থাটি৷ গ্রামীণ শক্তির মাধ্যমে পাওয়া সৌর প্যানেল ব্যবহার করে লাভবানের সংখ্যা আট মিলিয়নের বেশি৷
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images
শুধু গ্রামীণ শক্তি নয়
গ্রামীণ শক্তি ছাড়াও আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে সৌরশক্তি সেবা প্রদান করছে৷ রয়েছে সরকারি উদ্যোগও৷ সরকারি বিভিন্ন ভবনে সৌরশক্তি ব্যবহারের উদ্যোগও শুরু হয়েছে৷ ঢাকায় পরিসংখ্যান ব্যুরো ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে গত বছর৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images
জাতীয় গ্রিডের জন্য সৌরশক্তি
সৌরশক্তি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি সংস্থা ‘রহিমআফরোজ রিনিউবেল এনার্জি’৷ প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে ঢাকার সচিবালয়ের ছাদে সোলার প্যানেল বসিয়েছে৷ তাদের উৎপাদিত বিদ্যুৎ মেগাওয়াট প্রতি নির্দিষ্ট দামে কিনে নেবে ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: ROBYN BECK/AFP/Getty Images
সহায়তায় জার্মানি
বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষ করে সৌরশক্তির ব্যবহার বাড়াতে সহায়তা করছে জার্মান আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থা জিআইজেড৷ সোলার প্যানেলে মূল্য বেশি হওয়ায় শুরুতে ভর্তুকিও দিয়েছে জিআইজেড৷ তবে কিস্তিতে সোলার প্যানেল কেনার সুবিধা থাকায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ সহজেই সেগুলো ব্যবহার করতে পারছে৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: Centro de Energía Chile
লক্ষ্য অর্ধেক জনশক্তি
২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীর কাছে সৌরশক্তির সুবিধা পৌঁছে দিতে চান এই খাতের সংশ্লিষ্টরা৷ ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা জানান বাংলাদেশে সৌরশক্তি জনপ্রিয় করার অন্যতম কারিগর দীপাল চন্দ্র বড়ুয়া৷
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images
7 ছবি1 | 7
স্থপতি টর্স্টেন ক্লোস্টার ও শিল্পী হাইকে ক্লুসমান-এর মাথায় সিমেন্ট দিয়ে সৌরশক্তি উৎপাদনের এই আইডিয়া আসে৷ কাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো. হাইকে ক্লুসমান বলেন, ‘‘দেখলে মনে হবে সাধারণ সিমেন্ট৷ কিন্তু এর বিশেষত্ব হলো, এটি টাচ-সেনসিটিভ৷ সিমেন্ট কন্ডাকটিভ করে তোলায় এমনটা ঘটছে৷ এই কন্ডাকটিভ সিমেন্ট আমাদের সৌর-সিমেন্টের ভিত্তি৷''
সিমেন্ট কন্ডাকটিভ করে তুলতে গবেষকরা তার উপর একাধিক রংয়ের প্রলেপ স্প্রে অথবা প্রিন্ট করেন৷ ফলে এক ‘ডাই সেন্সিটাইজড' সোলার সেল সৃষ্টি হয়, যা বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে৷ অর্থাৎ কৃত্রিমভাবে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া চলে৷ তবে কয়েক মাইক্রোমিটার পাতলা রংয়ের স্তরগুলির নির্দিষ্ট বিন্যাস এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ৷ টর্স্টেন ক্লোস্টার বলেন, ‘‘রংয়ের স্তরগুলি ঠিকমতো ক্রমানুসারে সাজালে শেষ পর্যন্ত ফটোভল্টায়িক সেল-এর মতো কাজ করবে৷ এগুলির মধ্যে এমন একটি স্তরে রংয়ের পিগমেন্ট রয়েছে৷ সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এলে ইলেকট্রন বেরিয়ে আসে এবং বিদ্যুৎ সৃষ্টি হয়৷
‘ডাই সেন্সিটাইজড' সোলার সেল আরও উন্নত করে তুলতে ল্যাবে দীর্ঘমেয়াদি পরিমাপ চালানো হয়৷ একটি সোলার সেল মাত্র কয়েক'শো মিলিভোল্ট ভোল্টেজ সৃষ্টি করে৷ সেই সোলার সেল হাত দিয়ে ঢেকে দিলে পরিমাপের গ্রাফের মধ্যে ভোল্টেজ ড্রপ স্পষ্ট দেখা যায়৷ সোলার সেলের উপর আলো পড়লেই ভোল্টেজ আবার বেড়ে যায়৷
সৌরশক্তি চালিত বিমানে দুনিয়া ঘোরা
সৌরশক্তি চালিত বিমানে করে দুনিয়ার চারপাশটা ঘুরতে চায় সুইজারল্যান্ডের ব্যারত্রঁ পিকার ও তাঁর সহযোগীরা৷
ছবি: Creative Commons/Solar Impulse
বেলুনের পর বিমান
সুইজারল্যান্ডের ব্যারত্রঁ পিকার এর আগে গরম বায়ুর বেলুনে করে সারা দুনিয়া ঘুরেছেন৷ এবার তাঁর ইচ্ছা সৌরশক্তি চালিত বিমানে করে সেই কাজটা করা৷
ছবি: AP
ছোট ও হালকা
যে প্লেনে করে পিকার আপাতত পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন করছেন তার ওজন ১,৬০০ কেজি৷ এতে শুধু পাইলট বসতে পারেন৷ আর এর রয়েছে দুটো বড় ডানা৷ উল্লেখ্য, একটি ‘এয়ারবাস ৩৪০’ বিমানের ওজন ১২৫ টন৷
ছবি: Reuters
লম্বা ডানাই ভরসা
হালকা এই বিমানে বড় দুটো ডানা থাকার কারণ তাতে অনেকগুলো সৌরকোষ বসানো যায়, প্রায় ১২ হাজার৷ এর ফলে যে সৌরশক্তি উৎপন্ন হয় তা দিয়ে প্লেনটি চারটি মোটর আর প্রপেলার কাজে লাগিয়ে ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে৷
ছবি: AP
সম্মিলিত প্রচেষ্টা
পিকার তাঁর স্বপ্ন পূরণে ‘সোলার ইমপালস’ নামের একটি প্রকল্পের কাজ শুরু করেন ২০০৩ সালে৷ সেই থেকে প্রায় ৫০ জন বিশেষজ্ঞ আর ১০০ জন উপদেষ্টার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রকল্পটি এগিয়ে চলেছে৷ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এতে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে৷ পিকারের সঙ্গে সহযোগী পাইলট হিসেবে রয়েছেন অঁদ্রে বর্শব্যার্গ (ডানে)৷
ছবি: Reuters
বর্তমান অবস্থা
পুরো দুনিয়া ঘোরার আগে ধাপে ধাপে এগোচ্ছে প্রকল্পটি৷ বর্তমানে বিমানটি অ্যামেরিকার সান ফ্রান্সিসকো থেকে নিউ ইয়র্ক যাচ্ছে৷ প্রায় ৫ হাজার কিলোমিটারের এই পথ পাড়ি দিতে বিমানটি চারটি শহরে থামবে৷ মে মাসের ৩ তারিখে যাত্রা শুরু করা প্লেনটি জুলাইয়ের কোনো এক সময় নিউ ইয়র্কে পৌঁছাবে৷
নতুন রেকর্ড
যুক্তরাষ্ট্র পাড়ি দেয়ার দ্বিতীয় ধাপে বিমানটি রেকর্ড গড়েছে৷ ফিনিক্স থেকে ডালাস যেতে প্লেনটি ১,৫৪১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয় - যেটা একসঙ্গে এতো দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়ার একটি রেকর্ড৷ এতে সময় লাগে প্রায় ২০ ঘণ্টা৷ পুরো সময়টা জেগে ছিলেন পাইলট বর্শব্যার্গ৷
ছবি: Solar Impulse/Jean Revillard/Rezo.ch
লক্ষ্য ২০১৫
যুক্তরাষ্ট্র পর্ব শেষ হওয়ার পর পিকার ও তাঁর সহযোগীদের লক্ষ্য ২০১৫ সালে বিশ্বভ্রমণ শুরু করা৷ তবে তার আগে বর্তমান প্লেনটিতে পরিবর্তন আনতে হবে বলে মনে করেন বর্শব্যার্গ৷ কেননা এখনকার বিমানে পাইলটের বসার স্থানটি খুবই ছোট৷
ছবি: Solar Impulse/Fred Merz
জ্বালানি সাশ্রয়
আপাতত বিশেষ এই বিমানের যাত্রী বলতে শুধু একজন পাইলট হলেও ভবিষ্যতে যেন সৌরচালিত বিমান যাত্রী বহন করতে পারে সেই স্বপ্ন দেখেন পিকার৷ তিনি বলেন, বর্তমানে মাত্র এক ঘণ্টায় এক বিলিয়ন টন তেল ব্যবহৃত হচ্ছে৷ এভাবে চলতে থাকলে একদিন সমস্ত জ্বালানি ফুরিয়ে যাবে৷
ছবি: Creative Commons/Solar Impulse
8 ছবি1 | 8
সেল-গুলির কার্যকারিতা এই মুহূর্তে ২ শতাংশের মতো৷ শুনলে বেশি মনে না হলেও এ নিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অবশ্যই অর্থ রয়েছে৷ কাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো. হাইকে ক্লুসমান বলেন, ‘‘সোলার-সিমেন্ট এই কারণে গুরুত্বপূর্ণ, যে অতি সহজে এটি তৈরি করা যায়৷ তাছাড়া এটি অতি পরিবেশ-বান্ধব এবং বড় জায়গার উপর এটি প্রয়োগ করা যায়৷ ভবিষ্যতের দিকে তাকালে অবশ্যই কল্পনা করা যায়, যে শহরের সব ফ্ল্যাট সারফেস বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে৷''
ঘরবাড়ির দেওয়ালের উপর যত বেশি রং স্প্রে অথবা প্রিন্ট করা যায়, তত বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব৷ এর জন্য একক সেলগুলিকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে৷ আদর্শ অবস্থায় প্রতি বর্গমিটারে ২০ ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব৷ টর্স্টেন ক্লোস্টার বলেন, ‘‘একটি সেল যথেষ্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে না, সেটি কনফিগার করতে হয়৷ একাধিক সেল দিয়ে একটি মডিউল তৈরি হয়৷ এখানে তার একটা উদাহরণ দেখা যাচ্ছে৷ এখানে ৬টি ফিল্ডে ৬টি সেল রয়েছে৷ এ ক্ষেত্রে একটি তার দিয়ে সেগুলিকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে৷ অর্থাৎ একই রো-তে সমান্তরালভাবে সেগুলি কনফিগার করা হয়েছে৷ তারের শেষ প্রান্তে একটি বাল্ব লাগিয়ে দেওয়া যেতে পারে৷''
সিমেন্টের মধ্যে সেলগুলির অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ রংয়ের স্তরের মধ্যে লুকানো রয়েছে৷ গবেষকরা একটি দেওয়াল বেয়ে ওঠা রোবট কাজে লাগিয়ে দেওয়ালে রং স্প্রে করাচ্ছেন৷ বছর পাঁচেকের মধ্যে বড় আকারে এমন রংয়ের সেল তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে৷ নতুন অথবা পুরানো বাড়িঘরে তা প্রয়োগ করা যাবে৷
একটু আলোর জন্য
নরওয়ের একটি শহরের বাসিন্দারা বছরের ছয়মাস রোদের আলোর ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত ছিলেন এতদিন৷ অভিনব এক উপায় বের করে সে সমস্যার সমাধান করেছেন তাঁরা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অন্ধকারে ছয়মাস
নরওয়ের রাজধানী অসলো থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরের ছোট্ট শহর রুকন৷ মাত্র সাড়ে তিন হাজার মানুষের বাস সেখানে৷ চারদিকে পাহাড় দিয়ে ঘেরা থাকায় শীতকালে সেখানে রোদ পৌঁছতে পারে না৷ ফলে বছরের অর্ধেকটা সময় (সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ) সেখানকার অধিবাসীরা রোদের দেখা পান না৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শত বছর আগে
রুকনের বাসিন্দাদের জন্য আলোর ব্যবস্থা করতে প্রায় একশো বছর আগে স্যাম আয়ডে নামের এক ব্যবসায়ী একটি অভিনব পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন৷ কিন্তু প্রযুক্তির অভাবে সেটার বাস্তবায়ন করা যাচ্ছিল না৷ তাই বিকল্প হিসেবে, বছরের ঐ সময়টা অধিবাসীরা যেন রোদ পান, তাই তাদের কেবল কার-এ করে পাহাড়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷
ছবি: MEEK, TORE/AFP/Getty Images
বিশাল আয়না স্থাপন
স্থানীয় মার্টিন অ্যান্ডারসেন ২০০৫ সালে শত বছর আগের সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন৷ এর আওতায় সমতল থেকে প্রায় সাড়ে চারশো মিটার উপরে পাহাড়ের গায়ে তিনটি বড় আয়না স্থাপন করা হয়৷ শীতকালে রোদ সেই আয়নাগুলোতে প্রতিফলিত হয়ে শহরের গায়ে ঢোলে পড়ে৷
ছবি: MEEK, TORE/AFP/Getty Images
কম্পিউটার চালিত
একটি কম্পিউটার প্রোগ্রামের মাধ্যমে আয়নাগুলো সূর্যের পথ বুঝে এদিক-সেদিক নড়াচড়া করে৷ এভাবে রুকন শহরের প্রায় ৬০০ বর্গমিটার এলাকায় রোদ পৌঁছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে৷ এজন্য খরচ হয়েছে ছয় লক্ষ ২০ হাজার ইউরো, অর্থাৎ প্রায় ছয় কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা৷
ছবি: MEEK, TORE/AFP/Getty Images
ইটালিতেও একই ব্যবস্থা
রুকনের আগে আলপ্সের কাছে ইটালির একটি গ্রামে ২০০৬ সালে এই আয়নাটি বসানো হয়৷ এর ফলে ভিগানেলা গ্রামে শীতকালে রোদের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে৷
ছবি: Andreas Solaro/AFP/Getty Images
জার্মানির একটি পরিবার
জার্মানির দক্ষিণের ভিল্ডগুটাখের ছোট্ট এক গ্রামের একটি পরিবার এতদিন মধ্য অক্টোবর থেকে মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রোদের দেখা পেত না৷ সে সমস্যার সমাধানে তাঁরা ২০১০ সালে ছোট্ট এই আয়নার ব্যবহার শুরু করে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
আশার আলো
নরওয়ের রুকনের মতো এত বেশি আলো না পেলেও জার্মানির পরিবারটি যে আলো পাচ্ছে তাতেই তাঁরা সন্তুষ্ট৷ ছবিতে পরিবারের এই নারী সদস্যের মুখের হাসিই তার প্রমাণ৷