টিটিপ অর্থাৎ ট্রান্সঅ্যাটলান্টিক ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পার্টনারশিপ চুক্তির খসড়াটি গোপনীয়ই ছিল৷ তা সত্ত্বেও খসড়াটি গ্রিনপিস পরিবেশ সংগঠনের নেদারল্যান্ডস শাখার হাতে এসে পড়ে এবং তারা সেটিকে একটি জার্মান সংবাদমাধ্যমের একটি অংশের হাতে তুলে দেয়৷ সরকারি ডাব্লিউডিআর ও এনডিআর টেলিভিশন তথা বেতার সংস্থা, ও সেই সঙ্গে স্যুড ডয়চে সাইটুং পত্রিকার সাংবাদিকরা আগেও এভাবে একাধিক বিষয় নিয়ে অনুসন্ধান করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেছেন৷ উইকিলিকস ও অপরাপর হুইসলব্লোয়ারের যুগে দৃশ্যত কোনো তথ্যই বেশিদিন গোপন রাখা সম্ভব নয়৷
টিটিপ-এর খসড়া প্রকাশিত হওয়ার ঠিক আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর শেষ রাষ্ট্রীয় সফরে জার্মানি ঘুরে গেছেন এবং জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে তাঁর বিশেষ সখ্য ও হৃদ্যতার পরিচয় রেখেছেন৷ এমনকি দুই নেতা টিটিপ সংক্রান্ত আলাপ-আলোচনা আরো জরুরি ভিত্তিতে চালিয়ে যাবার আহ্বান জানিয়েছেন৷ ২০১৭ সালের মধ্যেই এই চুক্তি সম্পাদিত হোক, এই হলো ওবামার কামনা৷ অথচ জার্মানি তথা ইউরোপে টিটিপ-এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অনেকদিন ধরে দানা বাঁধছে৷
টুইটকারী যা লিখছেন,তার অর্থ হলো, ‘ইউরোপীয় কমিশন ইউরোপীয় সংসদ ও জনগণের কাছ থেকে (টিটিপ-সংক্রান্ত) গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন রেখেছেন৷ স্বচ্ছতা টিটিপ-এর অন্ত ঘটাবে৷' টিটিপ নিয়ে জার্মানিতে ইতিপূর্বে একাধিকবার বড় আকারের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে৷
তবে টিটিপ নিয়ে চূড়ান্ত ঝড় ওঠা এখনও বাকি, যদিও কনজিউমার সেফটি অর্থাৎ ভোক্তার নিরাপত্তা থেকে শুরু করে আর্বিট্রেশন প্যানেল অর্থাৎ সালিশি পরিষদ অবধি নানা খুঁটিনাটি নিয়ে মতানৈক্য ও বিতর্ক আছে৷ এক কথায় বলতে গেলে, ইউরোপের গ্রাহক তথা উৎপাদকদের ভয় এই যে, মার্কিন কৃষিপণ্যের স্টিমরোলার চলতে শুরু করলে ইউরোপের নিজস্ব সংস্কৃতি বিপন্ন হবে৷ এক্ষেত্রে ফ্রান্সের প্রতিরোধ সহজেই অনুমেয়৷
এসি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)
পৃথিবীর সবচেয়ে পরিচিত অণু ডিএনএ৷ কারণ স্বাস্থ্য, কৃষি, পরিবেশ থেকে শুরু করে বিজ্ঞানের অনেক ক্ষেত্রেই ডিএনএ-র ব্যবহার রয়েছে৷
ছবি: Fotolia/Gernot Krautbergerপৃথিবীর সবচেয়ে পরিচিত অণু ডিএনএ যাকে বংশগতির বাহক বলা হয়৷ অর্থাৎ জীবদেহের গঠন ও ক্রিয়াকলাপ কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে তা এই ডিএনএ-র জিন বিন্যাসের ওপর নির্ভর করে৷
ডিএনএ ও জিন নিয়ে গবেষণা করে নতুন প্রজাতির উন্নত উদ্ভিদ বা ফসল উদ্ভাবন করা সম্ভব৷ বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা যেমন পাটের জীবনরহস্য উন্মোচন করেছেন৷ এর ফলে পাটের নতুন ও উন্নত জাত আবিষ্কার সম্ভব হবে৷ এছাড়া প্রায় পাঁচ শতাধিক উদ্ভিদের বিধ্বংসী রোগ সৃষ্টিকারী ছত্রাকের জীবনরহস্যও আবিষ্কার করেছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা৷
ছবি: DWজিন প্রকৌশল এর মাধ্যমে বন্যা, খরা ও লবণ সহনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন করা যায়৷ বাংলাদেশে ইতিমধ্যে ধানের এ ধরনের কিছু জাত উদ্ভাবিত হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpaবাংলাদেশ প্রতি বছর চিংড়ি রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে৷ তবে মাঝেমধ্যে রপ্তানি করা চিংড়ি বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়৷ কারণ মাছে ক্ষতিকর ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি৷ এ ক্ষেত্রে একটি ডিএনএ ল্যাবরেটরি স্থাপন করে রপ্তানির আগেই চিংড়ির মান পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে৷
ছবি: dapdজেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর আরেক উদ্ভাবন জিএম খাবার৷ যদিও এর পক্ষ, বিপক্ষ নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে৷
ছবি: Imagoডিএনএ-র বিশেষ পরিবর্তন চিহ্নিত করে বিভিন্ন ধরনের রোগ নির্ণয় করা যায়৷
ছবি: Fotolia/kastoবাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে রানা প্লাজা ধসে নিহত অনেকের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে৷ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ‘ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরি-তে এই পরীক্ষা হয়৷ আগুনে নিহত কয়েকজনের পরিচয়ও এভাবে শনাক্ত করা হয়েছে৷
ছবি: DW/M. Mamunউন্নত বিশ্বে অপরাধী চিহ্নিত করতে ডিএনএ বিশ্লেষণ এখন প্রায় নিয়মিত এক ঘটনা৷
ছবি: Fotolia/GrafiStartঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরিতে পিতৃত্ব-মাতৃত্ব নিরূপণে এখন পর্যন্ত ৯০৬টি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে সরকারি হিসেবে জানা গেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpaফোর্বস ম্যাগাজিনের জরিপে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে জীবপ্রযুক্তি বিষয়ক চাকরিই সবচেয়ে আকর্ষণীয়৷ বিশেষ করে ওষুধ কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসা বাড়াতে জীবপ্রযুক্তিকে অন্যতম প্রধান অবলম্বন হিসেবে বেছে নিয়েছে৷
ছবি: Fotolia/Gernot Krautberger