মোদীর মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন পঞ্জাবের হরসিমরত কাউর বাদল। তাঁর ইস্তফা বিজেপির জন্য বিড়ম্বনা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিজ্ঞাপন
চিরদিন সবার সমান যায় না। ভারতীয় সংসদের অলিন্দে এখন সে কথাই মূল আলোচনার বিষয়। এই প্রথম দ্বিতীয়দফার মোদী সরকার শরিক দলের কাছ থেকে একপ্রকার ধাক্কা খেল। এবং যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে পঞ্জাবের পর হরিয়ানাতেও ধাক্কা খাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
ধাক্কার সূত্রপাত, কৃষিক্ষেত্রে সংস্কারের লক্ষ্যে আনা তিনটি বিল পাস করানো নিয়ে। যার প্রতিবাদে ইস্তফা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কউর বাদল। বৃহস্পতিবার অকালি দলের এই সাংসদ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আর খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী থাকতে চান না। বস্তুত, তাঁর স্বামী এবং অকালি দলের সভাপতি সুখবীর সিংহ বাদলও সাম্প্রতিক কৃষিক্ষেত্র সংস্কার সংক্রান্ত বিল নিয়ে সরকারের তীব্র বিরোধিতা করেন। তাঁর ইস্তফা রাষ্ট্রপতি গ্রহণও করেছেন।
পঞ্জাবের অকালি দল দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির বন্ধু। বিজেপি শাসিত এনডিএ জোটের অন্যতম সদস্য। ফলে সেই দল থেকে এ ধরনের ধাক্কা, ভবিষ্যতে বিজেপিকে চাপে ফেলতে পারে বলেই মনে করছেন কোনও কোনও বিশেষজ্ঞ। বিজেপি-র সবচেয়ে পুরনো শরিক ছিল শিবসেনা ও অকালি। শিবসেনা আগেই বেরিয়ে গিয়েছে। এ বার অকালিও মন্ত্রিসভা ছাড়ল। তবে তারা আপাতত এনডিএ-তে আছে।
এক ঝলকে ভারতের নতুন মন্ত্রিসভা
নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ দ্বিতীয়বারের মোদী সরকারের ক্যাবিনেটে কারা রইলেন, কারা বাদ পড়লেন, দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: Reuters/A. Abidi
প্রধানমন্ত্রীর হাতে যা...
দ্বিতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণ করলেন নরেন্দ্র মোদী৷ নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করতে গিয়ে তিনি জানান, কর্মচারী, পেনশন ও অভিযোগ ছাড়াও পরমাণু শক্তি ও মহাকাশ বিষয়ক পোর্টফোলিও রাখছেন নিজের কাছেই৷
ছবি: picture-alliance/Photoshot
প্রতিরক্ষায় রাজনাথ
২০১৯ সালের নতুন মন্ত্রিসভায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন ভারতীয় জনতা পার্টির বরিষ্ঠ নেতা রাজনাথ সিং৷ এর আগে, প্রথম ‘মোদী সরকার’-এ এই ভার ছিল অরুণ জেটলি ও পরে নির্মলা সীতারমণের হাতে৷ তখন রাজনাথ সিং ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Khan
অমিত শাহ হলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী
ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতি ও নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ অমিত শাহ প্রথমবারের মতো মন্ত্রীত্বের স্বাদ পেতে চলেছেন৷ প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁকে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুদায়িত্ব৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/V. Bhatnagar
‘বিশ্বস্ত’ গডকড়ি পেলেন সড়ক, পরিবহন মন্ত্রনালয়
নীতিন গডকড়ি ও অমিত শাহ – নরেন্দ্র মোদীর দুই বিশ্বস্ত রাজনৈতিক লেফটেন্যান্ট৷ অমিত শাহ-র মতোই নীতিন গডকড়িকেও মোদী দিলেন মন্ত্রীত্ব৷ সড়ক, পরিবহণ ও ক্ষুদ্র-মধ্য মানের ব্যবসা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভার এবার গেল বিজেপির এই পোড়-খাওয়া নেতার হাতে৷ শাহ-গডকড়ি মন্ত্রীত্বে৷ ফলে কার হাতে উঠবে দল পরিচালনার রাশ?
ছবি: Ians
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন যিনি...
চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসাবে কাজ করার পর ২০১৮ সালে ভারতের বিদেশ সচিব হন ড. সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর৷ নরেন্দ্র মোদীর নতুন মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে যোগ দেবেন এই কূটনীতিক৷ তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ায় অনেকেই আঞ্চলিক রাজনীতিতে ভারতের নতুন কৌশল আশা করছেন৷ তিস্তা চুক্তিতেও কি পড়বে এর প্রভাব?
ছবি: AFP/Getty Images/S. Loeb
সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব
ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বে এনডিএ-র নতুন মন্ত্রিসভায় এবার রয়েছেন একজন ধর্মীয় সংখ্যালঘু সদস্য৷ সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন যিনি তিনি বিজেপির অন্যতম জনপ্রিয় মুসলিম নেতা মুখতার আব্বাস নকভি৷ গত মন্ত্রিসভাতে তিনি পালন করেছেন সংসদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব৷
ছবি: DW
ক’জন নারী?
নরেন্দ্র মোদী’র নেতৃত্বে ভারতের নতুন মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রীদের মিলিয়ে মোট সদস্য ৫৮ জন, যার মধ্যে মাত্র পাঁচজন নারী৷ এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নির্মলা সীতারমণ (অর্থ এবং কর্পোরেট এফেয়ার্স) ও স্মৃতি ইরানি (নারী ও শিশু কল্যাণ এবং বস্ত্র)৷
ছবি: Getty Images/AFP
বাংলা থেকে যাঁরা...
অভূতপূর্ব ফলাফলের জেরে এবার পশ্চিমবঙ্গ থেকে সাংসদ হয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টির ১৮জন প্রার্থী৷ কিন্তু মন্ত্রিসভায় স্থান পেলেন কেবল দুই বাঙালি – বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরী৷ বাবুল সুপ্রিয় এবারে পেয়েছেন পরিবেশ-বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর ভার৷ অন্যদিকে, রায়গঞ্জ আসন থেকে বিজয়ী সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী হলেন নতুন নারী ও শিশু কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী৷
ছবি: Imago Images/Hindustan Times
কোন রাজ্য থেকে সবচেয়ে বেশি মন্ত্রী?
মোদী-অমিত শাহ-আদিত্যনাথরা যে রাজ্য থেকে জয়ী হয়েছেন, সেই রাজ্য, অর্থাৎ উত্তর প্রদেশের এবারও মন্ত্রিসভায় জয়জয়কার৷ সবচেয়ে বেশি ১০ জন মন্ত্রী এসেছেন বিজেপির দুর্গ হয়ে ওঠা এই রাজ্য থেকে৷ এর পরেই আছে বিজেপির অন্যান্য শক্ত ঘাঁটি মহারাষ্ট্র (৭) ও বিহার (৬)৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Singh
বাদ পড়লেন যাঁরা
আগের বারের মন্ত্রিসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুই মুখ এবারের মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন৷ সাবেক অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির নাম নেই এবারের নতুন মন্ত্রীতালিকায়৷ সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও বাদ পড়েছেন৷ কেন বাদ গেলেন এই দুই হেভিওয়েট নেতা? জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে৷
ছবি: AP
10 ছবি1 | 10
কেন হঠাৎ মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেন হরসিমরত? সংসদের বাদল অধিবেশনে তিনটি কৃষি সংক্রান্ত বিল এনেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এক, অত্যাবশ্যক পণ্য আইনের সংশোধন করে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, গম, ভোজ্যতেল, তৈলবীজ যত ইচ্ছে মজুত করার ছাড়পত্র দেওয়া। দুই, কৃষিপণ্যের ব্যবসায়ী, রফতানিকারী ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সংস্থাগুলি চুক্তির ভিত্তিতে চাষ করিয়ে সরাসরি চাষিদের থেকে ফসল কিনতে পারবে এবং তিন, বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে ব্যবসায় ফসলের দাম নিশ্চিত করা যাবে। প্রথম বিলটি আগেই পাশ হয়ে গিয়েছিল। শেষ দু'টি বিল বৃহস্পতিবার লোকসভায় তোলা হয়।
পঞ্জাব এবং হরিয়ানাকে ভারতের ফসল ভান্ডার বলা হয়। বড় বড় চাষীরা বাস করেন এখানে। কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি সংক্রান্ত এই তিনটি বিলেরই তীব্র বিরোধিতা করছেন সেখানকার চাষীরা। তাঁদের বক্তব্য, প্রতিটি বিলই কৃষক স্বার্থের পরিপন্থী। কংগ্রেস, আপ সহ বিরোধী দলগুলিও এই বিলের বিরোধিতা করছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পঞ্জাবে বনধ ডেকেছেন চাষীরা। এই পরিস্থিতিতে চাষীরা জানিয়ে দেন, পঞ্জাবের যে সাংসদরা ওই বিল সমর্থন করবেন, তাঁদের গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
মোদীর বাহারি শিরস্ত্রাণ
বিশেষ অনুষ্ঠান হলেই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দেখা যায় বিশেষ কোনো শিরস্ত্রাণ পরে৷ ছবিঘরে দেখুন সেই শিরস্ত্রাণ...
ছবি: Getty Images/AFP/S. Panthaky
মারাঠি পাগড়ি মাথায়
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় নরেন্দ্র মোদীকে দেখা যায় মহারাষ্ট্রের মারাঠি গোষ্ঠীর এই বিশেষ পাগড়ি পরতে৷ মারাঠা ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছত্রপতি শিবাজির জীবন থেকে নেওয়া একটি নাটক দেখতে গিয়ে এমন সাজে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি৷
ছবি: Getty Images/AFP/S. Panthaky
মাথায় ‘লেহরিয়া’
রাজস্থানের একাংশে খুবই জনপ্রিয় ‘লেহরিয়া’ ধারায় ছাপানো কাপড়৷ ২০০৭ সালে গান্ধীনগরের একটি দলীয় সভায় এই লেহরিয়া ছোপের পাগড়ি পরেছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টি থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়া মোদী৷
ছবি: Getty Images/AFP/S. Panthaky
কেসরিয়া সাজে মোদী
২০০৯ সালে জগন্নাথের পুজোর আয়োজনে আহমেদাবাদে মোদী ফিরে যান রাজস্থানি সাজে৷ যোধপুরের বিখ্যাত কেসরিয়া আঙ্গিকে এই দুই রঙা পাগড়ি পরেছিলেন তিনি৷
ছবি: Getty Images/AFP/S. Panthaky
অনশনে সাদা পাগড়ি
২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে লড়ার আভাস দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী৷ গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনশন কর্মসূচী চলাকালীন সাদা পাগড়ি পরে সেখানে উপস্থিত ছিলেন তিনি৷ সেখান থেকেই শুরু হয় ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিকার্য৷
ছবি: Getty Images/AFP/S. Panthaky
অসমীয়া সাজেও তিনি
অসমীয়া সংস্কৃতিতে ‘জাপি’ লড়াকু অসমীয়া জাতিচেতনার প্রতীক৷ এই জাপি মাথায় দিয়ে দেখা যায় মোদীকে ২০১০ সালে৷
ছবি: Getty Images/AFP/S. Panthaky
স্বাধীনতা দিবসে পাগড়ির ধারা
প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হবার পর থেকে একটি বিশেষ ‘ট্রেন্ড’র সূচনা করেছেন মোদী৷ ২০১৪ সালে প্রথমবার নির্বাচিত হবার পর থেকে প্রতি বছর ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে দেখা যায় পাগড়ি মাথায় ভাষণ দিতে৷ ২০১৪ সালে তিনি বেছে নেন হলুদ-লাল এই পাগড়ি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/S. Das
২০১৯-এ রঙিন
সাম্প্রতিকতম স্বাধীনতা দিবসের উদযাপন অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদীকে দেখা যায় রাজস্থানি ধাঁচে রঙিন পাগড়ি পরতে৷ সাদা কুর্তা-পায়জামা ও গলায় উত্তরীয়ের সাথে পাগড়িও ছিল ভারতের ফ্যাশন দুনিয়ার আলোচিত বিষয়৷
ছবি: imago images/Hindustan Times
কেদারনাথে বাঘের ছাল
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হবার পর প্রধানমন্ত্রী কেদারনাথ যাত্রায় যান৷ সেই সফরের ছবিতে দেখা যায় তিনি হিমাচল প্রদেশের স্থানীয় স্টাইলের টুপি পরেছেন৷ কিন্তু সোশাল মিডিয়ায় বেশি আলোচিত হয়েছে তার ঘাড়ের কাছে থাকা বাঘের ছাল, যা কেদারনাথের আরাধ্য দেবতা শিবের চিহ্ন৷
ছবি: IANS/Twitter/@narendramodi
8 ছবি1 | 8
ফলে খানিকটা বাধ্য হয়েই, চাষীদের পক্ষ নিতে হয় অকালি দলকে। কারণ, এই দলে প্রচুর বড় কৃষক আছেন। বাদল পরিবারকেও অন্যতম বড় কৃষক বলা হয়। বৃহস্পতিবার লোকসভায় অকালি সাংসদ সুখবীর সিংহ বাদল প্রথম ওই বিলের বিরোধিতা করেন। তিনিই স্ত্রী হরসিমরতের পদত্যাগের কথা জানিয়ে দেন। তবে অকালির দুই সাংসদই জানিয়েছেন, বিলের বিরোধিতা করলেও তাঁরা আপাতত এনডিএ থেকে বেরিয়ে যাবেন না। বাইরে থেকে সমর্থন করবেন।
এর আগে মোদীর মন্ত্রিসভা থেকে একমাত্র শিবসেনার এক মন্ত্রী পদত্যাগ করেছিলেন। তবে তা উদ্ভব ঠাকরের সঙ্গে বিজেপির গণ্ডগোল এবং তার জেরে উদ্ভবের সমর্থন তুলে নেওয়ার পরে। ওই ঘটনাটি ছাড়া এখনও পর্যন্ত কোনও শরিক দলের মন্ত্রী এ ভাবে বিড়ম্বনায় ফেলেনি মোদী সরকারকে। অকালি সমর্থন সরিয়ে নিলেও মোদী সরকার পড়বে না। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতদিন মোদী সরকার দাবি করত, তাদের নিজেদের ভিতর কোনও সমস্যা নেই। বৃহস্পতিবারের ঘটনা নতুন সমস্যার সূত্রপাত ঘটিয়ে দিল। হরিয়ানার চাষীরাও নতুন বিল নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। ফলে বিজেপির আর এক বন্ধু দুষ্যন্ত চৌটালাও এ বার বিজেপিকে চাপে ফেলতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে অকালির অবস্থান নিয়ে বিরোধী শিবির যথেষ্ট ব্যঙ্গ করছে। তাদের বক্তব্য, বাদলরা যদি এতই কৃষকবন্ধু হন, তা হলে এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে আসছেন না কেন?