1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইমরানের প্রতিবাদ মিছিল

৯ অক্টোবর ২০১২

নিহত ১২’শ মানুষের মধ্যে অনেকেই পাকিস্তানের বেসামরিক নাগরিক৷ যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন বিমান হামলার শিকার তারা৷ এমন অমানবিক হত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার ইমরান খান৷ সোমবার নেমেছিলেন প্রতিবাদ মিছিলে৷

Pakistan's ex-cricket star-turned-politician Imran Khan, center, is surrounded by his supporters as he arrives to lead what organizers are calling the "peace march," in Islamabad, Pakistan, Saturday, Oct. 6, 2012. Hundreds of Pakistanis, joined by dozens of American activists, set off Saturday on a motorcade "march" to protest against U.S. drone strikes, hoping to reach a militant-riddled Afghan border region that has been the focus of many such attacks. (Foto:AP/dapd)
ছবি: AP

পাখির মতো গুলি করে মারা – ড্রোন বিমান হামলায় যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে মানুষ মারছে তাকে অন্যভাবে ব্যখ্যা করতে নারাজ ইমরান খান৷ এভাবে মানুষ মারা বন্ধ করতে এবার রাস্তায় নেমেছেন তিনি৷

ইসলামাবাদ থেকে প্রতিবাদ মিছিল শুরু করে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের দিকে এগোচ্ছিলেন তেহরিক-ই ইনসাফ নামের রাজনৈতিক দলের প্রধান ইমরানছবি: Reuters

ইসলামাবাদ থেকে প্রতিবাদ মিছিল শুরু করে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের দিকে এগোচ্ছিলেন তেহরিক-ই ইনসাফ নামের রাজনৈতিক দলের প্রধান ইমরান৷ ২০০৪ সাল থেকে তালেবান আর আল-কায়েদার সশস্ত্র যোদ্ধাদের হত্যা করার উদ্দেশ্যে চালকবিহীন বিমান থেকে ওই অঞ্চলেই বেশির ভাগ হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ ইমরান বলছেন, এভাবে নির্বিচারে মানুষ মারা বন্ধ করা উচিত এবং পাকিস্তান সরকারের উচিত এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ প্রয়োগ করা৷ কিন্তু পাকিস্তানকে ১৯৯২-র বিশ্বকাপ জেতানো ইমরান মনে করেন, সরকার এ ব্যাপারে যে ভূমিকা পালন করছে তা খুবই নিন্দনীয়৷ ইসলাম ধর্মবিরোধী ছবির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে একদিন ছুটি ঘোষণা করলেও ড্রোন হামলা বন্ধ করার দাবিতে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন ইমরান৷

রবিবার দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের দিকে যাবার সময় মহাসড়কে মিছিলে বাধা দেয় সেনাবাহিনী৷ সমর্থকদের উপস্থিতিতে একটি গাড়িতে দাঁড়িয়ে ইমরান বলেন, ‘‘ড্রোন হামলা পাকিস্তানের জনগণের মানবাধিকার বিরোধী৷ আজ আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে এই বার্তা পাঠাতে চাই যে, যত বেশি ড্রোন হামলা হবে তাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ততই বাড়বে৷ এর ফলে পার্বত্য এলাকার মানুষ তোমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরবে এবং ড্রোন হামলা চালিয়ে তা থামানো যাবে না৷''

ইমরান বলেন, ‘‘এই সরকার যুক্তরাষ্ট্রের হাতের পুতুল৷ যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে বলছে ঠিক সেভাবেই কাজ করছে তারা৷ ওদের নিন্দা জানানো ভণ্ডামি ছাড়া কিছুই নয়৷ সরকার লুকিয়ে ড্রোন হামলা চালানোর অনুমতি দিয়ে জনগণকে বোকা বানাতে আবার তার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিচ্ছে৷''ছবি: Getty Images

মিছিলে যুক্তরাষ্টের ৩০ জন নাগরিকও অংশ নেন৷ নিউ ইয়র্ক থেকে আসা বিলি কেলি তাঁদেরই একজন, ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশ নেয়া বিলি বলেন, ‘‘এ ধরণের হত্যা বন্ধ করার জন্য অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে হবে৷'' পাকিস্তান সরকার তালেবান এবং আল-কায়েদার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না বা নিতে পারছেনা – এমন যুক্তিতেই ৮ বছর ধরে ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র৷ দেশটির দাবি এ হামলায় তালেবান আর আল-কায়েদার সদস্যরাই মারা যাচ্ছে৷ তবে দ্য বুরো অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম এক রিপোর্টে জানিয়েছে, আট বছরে ১২৩২ থেকে ১৩৬৬ জনের মতো লোক মারা গেছে ড্রোন হামলায়, যার মধ্যে ৪৭৪ থেকে ৮৮৪ জন বেসামরিক নাগরিক৷

অথচ পাকিস্তান সরকার এর বিরুদ্ধে কোনো শক্ত অবস্থান নিচ্ছে না৷ না নেয়ার কারণ জানাতে গিয়ে ইমরান বলেন, ‘‘এই সরকার যুক্তরাষ্ট্রের হাতের পুতুল৷ যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে বলছে ঠিক সেভাবেই কাজ করছে তারা৷ ওদের নিন্দা জানানো ভণ্ডামি ছাড়া কিছুই নয়৷ সরকার লুকিয়ে ড্রোন হামলা চালানোর অনুমতি দিয়ে জনগণকে বোকা বানাতে আবার তার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিচ্ছে৷''

সেনাবাহিনীর সদস্যরা রাত হলে সেখানে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ বলায় ইমরান খান এক পর্যায়ে সমর্থকদের নিয়ে ফিরে আসেন৷

এদিকে ড্রোন হামলা বন্ধ করার দাবিতে করা এ মিছিলেরও সমালোচনা হচ্ছে পাকিস্তানে৷ সে দেশের কমিউনিস্ট নেতা সরূপ ইজাজ প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘তালেবান এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনী তো বোমা মেরে আরো বেশি লোক মারছে৷ তার কোনো প্রতিবাদ নেই কেন?'' তালেবানও সমর্থন দেয়নি ড্রোনবিরোধী মিছিলকে৷ ইমরান খানের এ প্রতিবাদকে ‘‘রাজনৈতিক নাটক'' বলে আখ্যায়িত করেছে তারা৷

এসিবি/ডিজি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ