প্রতিযোগিতার এক পর্যায়ে এক আইরিশ সেটার ও তার মালিককে বিশ্রাম নিতে দেখা যাচ্ছে। আইরিশ সেটার এক ধরনের শিকারি কুকুর৷

ক্রাফটস ডগ শোতে অংশ নেয়া প্রতিযোগীদের মধ্য ছিল এই ওল্ড ইংলিশ শিপডগও৷ পশুপালকেরা নিজেদের খামারের প্রাণীদের নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য যে কুকুরগুলো ব্যবহার করতেন, এই ওল্ড ইংলিশ শিপডগ তেমনই এক প্রজাতি৷ ইংল্যান্ডের এই প্রজাতিটি শেফার্ডস ডগ নামেও পরিচিত৷

চুলে ঝুঁটি বাঁধা এই কুকুরের প্রজাতির নাম বেয়ার্ডেড কোলি৷ অনেকে আদর করে এই কুকুরকে বেয়ার্ডি বা দাড়িওয়ালা বলেও ডেকে থাকেন৷ এই কুকুর মূলত স্কটল্যান্ডের পশুপালকেরা ব্যবহার করতেন৷ কিন্তু এখন ঘরের কুকুর হিসাবেও এর জনপ্রিয়তা বেড়েছে৷

নামের মধ্যে মালটা থাকলেও ইউরোপের দ্বীপরাষ্ট্র মালটার সঙ্গে এর কোনো ঐতিহাসিক বা বৈজ্ঞানিক সম্পর্ক নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷ ধারণা করা হয় দক্ষিণ-মধ্য ইউরোপের ইশপিৎস কুকুর থেকে এই মাল্টিজ কুকুরের উৎপত্তি হয়েছে৷ ছোটখাট গড়ন এবং লোমশ শরীরের জন্য শিশুদের কাছে খুবই পছন্দের এই কুকুর৷

স্ট্যান্ডার্ড প্রজাতির এক কুকুরকে আদর করছেন তার মালিক৷ উচ্চতাই এই কুকুরকে অন্য প্রজাতির পুডল থেকে আলাদা করে৷ স্ট্যান্ডার্ড পুডলের উচ্চতা ১৮ থেকে ২৪ ইঞ্চি হয়ে থাকে৷ অন্যদিকে ১০ থেকে ১৫ ইঞ্চি উচ্চতার পুডলকে মিনিয়েচার পুডল এবং ১০ ইঞ্চির নীচের পুডলকে টয় পুডল বলা হয়৷

এই কুকুর স্ভের্গপিনশার বা মিন পিন নামেও পরিচিত৷ ক্ষুদ্রাকৃতির এই কুকুরের উৎপত্তি জার্মানিতে৷ ধারণা করা হয় জার্মান পিনশার এবং ইটালিয়ান গ্রেহাউন্ড ও ডাখসহুন্ডসের সংকর হয়ে এই কুকুরের উৎপত্তি হয়েছে৷

আদুরে এই কুকুর বিশোন প্রজাতির অন্য কুকুরদের মধ্যে সবচেয়ে ছোটগুলোর একটি৷ উচ্চতায় এটি কেবল নয় থেকে ১১ ইঞ্চি হয়ে থাকে৷ আমুদে চরিত্রের জন্য এই কুকুরও শিশুদের খুবই পছন্দের৷

টেরিয়ার তো বটেই, সব ধরনের কুকুরদের মধ্য়েও ক্ষুদ্রতম প্রজাতির একটি এই ইয়র্কশায়ার টেরিয়ার৷ নাম শুনেই বুঝতে পারছেন যে ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারে এর উৎপত্তি৷ ধারণা করা হয়, উনিশ শতকে নানা প্রজাতির কুকুরের সংকরের ফলে এই প্রজাতির উদ্ভব হয়৷

রিট্রিভার গান ডগের ব্রিটিশ সংকর হচ্ছে এই ল্যাব্রাডর রিট্রিভার৷ একসময়ের ব্রিটিশ উপনিবেশ ক্যানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডে পাওয়া মাছ ধরা কুকুরের প্রজাতি থেকে সংকরের মাধ্যমে এর উদ্ভব হয়৷ উপনিবেশের ল্যাব্রাডর এলাকার নামানুসারে এর নাম দেয়া হয়৷

বলতে পারবেন এই কুকুর কোন দেশের­? হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন৷ হাঙ্গেরির এই কুকুর মাগিয়ার ভিশলা নামেও পরিচিত৷ খেলার সঙ্গী হিসাবে বেশ জনপ্রিয় এই প্রভুভক্ত কুকুর৷

খুবই প্রাণচঞ্চল এই কুকুর এক ধরনের গানডগ বা শিকারি কুকুরের প্রজাতি৷ অতীতে শিকারকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া বা শিকার ধরে আনার কাজে একে ব্যবহার করা হতো৷ তবে এখন সঙ্গী কুকুর হিসাবেও এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা৷