1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি মামলার রায় আজ

৩০ সেপ্টেম্বর ২০১০

অযোধ্যার একখন্ড জমিটা কার? সেটি কী আসলেই রামের জন্মভূমি ছিল, সম্রাট বাবর কী মন্দির ভেঙে সেখানে মসজিদ বানিয়েছিলেন, এসব প্রশ্নের ফয়সালা হবে আজ বৃহস্পতিবার৷ এদিকে রায়কে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে চিন্তিত ভারত সরকার৷

এলাহাবাদ হাইকোর্ট এলাকায় কড়া নিরাপত্তা নেয়া হয়েছেছবি: DW/Waheed

মামলার শুরু ১৯৯২ সালে৷ সেসময় হিন্দু উগ্রবাদীরা অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেললে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা শুরু হয়৷ তাতে মারা যায় প্রায় দুই হাজার মানুষ৷ যার বেশির ভাগই মুসলমান৷ হিন্দুদের দাবি, যে স্থানে মসজিদটি বানানো হয়েছিল সেটা ছিল রামের জন্মভূমি এবং চারশো বছর আগে সেখানে একটি মন্দির ছিল৷ মুঘল সম্রাট বাবর সেই মন্দির ভেঙে বাবরি মসজিদ স্থাপন করেন৷ কিন্তু মুসলমানরা হিন্দুদের এই কথা মানতে রাজি নয়৷ তাদের কথা, এগুলো সব মিথ্যা৷ আজকের রায়ে এই বিষয়গুলোরই ফয়সালা করবেন বিচারকরা৷

রেল স্টেশন পাহারায় নিরাপত্তা বাহিনীছবি: UNI

নিরাপত্তা ব্যবস্থা

সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে৷ কারণ এমন সময়ে রায়টি ঘোষিত হতে যাচ্ছে যখন কমনওয়েলথ গেমস শুরু হতে মাত্র বাকি দুই দিন৷ এমনিতেই গেমসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারত৷ তার ওপর যদি এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয় তাহলে বিপত্তি আরও বাড়বে৷ স্বাভাবিকভাবেই যেটা চাইছে না ভারত সরকার৷ তাই যেখানে রায় ঘোষিত হবে সেই এলাহাবাদ হাইকোর্ট এলাকায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে৷ আর পুরো রাজ্যে অর্থাৎ উত্তর প্রদেশ জুড়ে প্রায় দুই লক্ষ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে৷ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, কেরালা ও মহারাষ্ট্র সহ অন্যান্য প্রদেশেও৷ স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি. চিদাম্বরম নিরাপত্তা ব্যবস্থার দেখভাল করছেন৷ এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন ছেপে আইনের প্রতি সম্মান দেখাতে জনগণের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে৷

রায়ের বিষয়ে হিন্দু ও মুসলমান সমর্থিত দলগুলো কথাবার্তায় এখনও পর্যন্ত সংযম দেখিয়েছে৷ ধর্ম ভিত্তিক বিভিন্ন দলের নেতারা বলেছেন, রায় ঘোষণার পর তাঁরা বৈঠকে বসে করণীয় ঠিক করবেন৷ প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্ট যাওয়ার কথা বলছেন তাঁরা৷ আর রাজনৈতিক দলগুলো বিচার বিভাগের ওপর আস্থা রাখার কথা বলেছেন৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ