কয়েক দশকের হিন্দু-মুসলিম বিবাদ, হিন্দুত্ববাদীদের বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলা, মামলা এবং ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায়৷ বহু প্রতীক্ষিত এ রায়ের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ৷
বিজ্ঞাপন
ভারতের অযোধ্যার এক বিতর্কিত জমি নিয়ে কয়েক দশক অপেক্ষার পর শনিবার রায় ঘোষণা করে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত৷ রায়ে ওয়াকাফ বোর্ডের আর্জি এবং নির্মোহী আখড়ার জমির উপর দাবি দুটোই খারিজ করে দেন বিচারকরা৷ বিতর্কিত সেই জমিতে একটি ট্রাস্টের অধীনে মন্দির নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত৷ পাশাপাশি, একটি মসজিদ গড়তে কাছাকাছি অন্য কোথাও মুসলমানদের পাঁচ একর জমি দিতেও বলা হয়েছে রায়ে৷
রায় ঘোষণার পরপরই এক টুইটে সাধুবাদ জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ তিনি বলেন, পুরো বিচার প্রক্রিয়ায় যথেষ্ট সময় দেয়া হয়েছে৷ এবং এই রায়ের ফলে বিচার ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে৷
এরপরপরই আরেকটি টুইটে তিনি ভারতের জনগণকে ধন্যবাদ জানান৷ তিনি ১৩০ কোটি ভারতীয় এ নিয়ে ধৈর্য দেখিয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রমাণই দিয়েছে৷
রায়ের পরপরই টুইট করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও৷ তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট আজ অযোধ্যা ইস্যুতে রায় ঘোষণা করেছে৷ আদালতের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক রক্ষা করতে হবে৷ এটা সব ভারতীয়ের ভ্রাতৃত্ব, বিশ্বাস ও ভালোবাসা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময়৷''
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভগবত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘‘অযোধ্যা ইস্যুতে আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সাধুবাদ জানাই৷ এই রায়কে কারো জয় বা কারো পরাজয় হিসেবে দেখাটা ভুল হবে৷ অতীতের বিভেদ ভুলে রাম মন্দির নির্মাণে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে৷''
শিবসেনার প্রধান উদ্ধভ ঠাকরে বলেছেন, ‘‘আজকের দিন ভারতের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে৷'' আদালতের রায় মেনে দ্রুত রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ নিতে এক বিবৃতিতে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ৷
আজমীর শরীফের দেওয়ান সৈয়দ জয়নুল আবেদীনও এ রায় সবাইকে মেনে নিতে আহ্বান জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা কারো জয় পরাজয়ের বিষয় নয়৷ আমাদের সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নেয়া উচিত৷ যা হয়েছে, দেশের স্বার্থের কথা চিন্তা করে আমাদের এই বিরোধের এখানেই সমাপ্তি টানা উচিত৷''
একই আহ্বান এসেছে দেশটির শিয়া ও সুন্নি মতাবলম্বী ধর্মীয় নেতাদের কাছ থেকেও৷
শিয়া নেতা মওলানা কালবে জাওয়াদ বলেছেন, এখনও রিভিউ পিটিশনের সুযোগ থাকলেও বেশিরভাগ মুসলিম এই রায় মেনে নিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নিয়েছি৷ আমি মনে করি এই বিষয়টির এখানেই সমাপ্তি ঘটা উচিত৷''
সুন্নি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান জাফর আহমাদ ফারুকিও আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন এবং একে চ্যালেঞ্জ করার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন৷
দিল্লী জামে মসজিদের শাহী ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারি এ নিয়ে আর জল ঘোলা না করার আহ্বান জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘ভারতের মুসলিমরা শান্তি চায়৷ ‘‘হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে বছরের পর বছর ধরে চলা বিরোধ এখানেই শেষ হওয়া উচিত৷''
তবে, এই রায় নিয়ে অসন্তুষ্টিও প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ৷ অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন এর প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি জানিয়েছেন, মামলার রায়ে তারা সন্তুষ্ট নন৷ সুপ্রিম কোর্টকে সর্বোচ্চ আদালত বলে মানলেও তিনি মনে করেন সুপ্রিম কোর্টও সবসময় ‘নির্ভুল' নয়৷ ভারতীয় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘সংবিধানে আমাদের সম্পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে, আমরা আমাদের অধিকারের জন্য লড়াই করছি৷ দান হিসেবে পাঁচ একর জমি আমাদের দরকার নেই৷ আমাদের এই পাঁচ একর জমি প্রত্যাখ্যান করা উচিত৷''
তবে ওয়াইসির বক্তব্যের পালটা প্রতিক্রিয়ায় ভারতের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি বলেছেন, কিছু মানুষের ‘তালিবানি মানসিকতা' রয়েছে এবং তারা দেশের বিচারব্যবস্থার ওপর ‘আস্থাশীল' নয়৷
তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্র (ছেলের নাতি) তুষার গান্ধী৷ এক টুইটে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘‘এই সুপ্রিম কোর্টে গান্ধী হত্যা মামলার বিচার হলে নাথুরাম গডসেকে (মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী) একইসঙ্গে খুনি এবং দেশপ্রেমিক বলে রায় দেয়া হতো৷''
অসন্তোষ প্রকাশ করে উত্তর প্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী জাফরিয়াব জিলানী ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ‘‘আমরা রায়কে সম্মান করলেও সন্তুষ্ট নই৷ আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী রায় না হওয়ায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত আলোচনার মাধ্যমে নেবো৷'' উত্তর প্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড এ মামলায় একটি পক্ষ হিসেবে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে৷
বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, ইসলামাবাদে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশী রায়ের সমালোচলা করেছেন৷ এ রায়কে মোদী সরকারের ‘ঘৃণাসূচক মানসিকতার' বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি৷
বাবরি মসজিদ: প্রতিষ্ঠা, ভাঙচুর, মামলা, রায়
হিন্দু দেবতা রামচন্দ্রের জন্মস্থান, রাম মন্দির, নাকি মোগল সম্রাট বাবরের আমলে নির্মিত একটি মসজিদ? বিষয়টি নিয়ে ১৮৫৩ সাল থেকে হিন্দু-মুসলমান বিরোধ চলেছে, যা চরমে ওঠে ১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বরে৷
ছবি: dpa - Bildarchiv
১৫২৮ সালে নির্মাণ
রামায়ণ-খ্যাত অযোধ্যা শহর ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের ফৈজাবাদ জেলায় অবস্থিত৷ তারই কাছে রামকোট পর্বত৷ ১৫২৮ সালে সেখানে সম্রাট বাবরের আদেশে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়, যে কারণে জনমুখে মসজিদটির নামও হয়ে যায় বাবরি মসজিদ৷ আবার এ-ও শোনা যায়, গত শতাব্দীর চল্লিশের দশকের আগে এই মসজিদ ‘মসজিদ-ই-জন্মস্থান' বলেও পরিচিত ছিল৷
ছবি: DW/S. Waheed
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি
বাবরি মসজিদ নিয়ে সংঘাত ঘটেছে বার বার৷ অথচ ফৈজাবাদ জেলার ১৯০৫ সালের গ্যাজেটিয়ার অনুযায়ী, ১৮৫২ সাল পর্যন্ত হিন্দু এবং মুসলমান, দুই সম্প্রদায়ই সংশ্লিষ্ট ভবনটিতে প্রার্থনা ও পূজা করেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. E. Curran
সংঘাতের সূত্রপাত
প্রথমবারের মতো হিন্দু মুসলমানের মধ্যে সংঘাতের সূত্রপাত৷১৮৫৯ সালে ব্রিটিশ সরকার দেয়াল দিয়ে হিন্দু আর মুসলমানদের প্রার্থনার স্থান আলাদা করে দেয়৷
ছবি: Getty Images/AFP/D .E. Curran
হিন্দুদের দাবি
আওয়াধ অঞ্চলের বাবর-নিযুক্ত প্রশাসক ছিলেন মির বকশি৷ তিনি একটি প্রাচীনতর রাম মন্দির বিনষ্ট করে তার জায়গায় মসজিদটি নির্মাণ করেন বলে হিন্দুদের দাবি৷
ছবি: AP
বেআইনিভাবে মূর্তি স্থাপন
১৯৪৯ সালের ২৩শে ডিসেম্বর – বেআইনিভাবে বাবরি মসজিদের অভ্যন্তরে রাম-সীতার মূর্তি স্থাপন করা হয়৷
ছবি: DW/S. Waheed
নেহরুর ঐতিহাসিক পদক্ষেপ
রাম-সীতার মূর্তি স্থাপনের পর ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী গোবিন্দ বল্লভ পন্থকে চিঠি লিখে হিন্দু দেব-দেবীদের মূর্তি অপসারণ করার নির্দেশ দেন, তিনি বলেন ‘‘ওখানে একটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করা হচ্ছে’’৷
ছবি: Getty Images
মসজিদের তালা খোলার আন্দোলন
১৯৮৪ সালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ মসজিদের তালা খুলে দেওয়ার দাবিতে ব্যাপক আন্দোলন শুরু করে৷ ১৯৮৫ সালে রাজীব গান্ধীর সরকার ঠিক সেই নির্দেশই দেন৷
ছবি: AFP/Getty Images
দুই সম্প্রদায় মুখোমুখি অবস্থানে
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ রাম মন্দির নির্মাণের জন্য একটি কমিটি গঠন করে৷ ১৯৮৬ সালে মসজিদের তালা খুলে সেখানে পূজা করার অনুমতি প্রার্থনা করে হিন্দু পরিষদ৷ অন্যদিকে, মুসলমানরা বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি গঠন করেন৷
ছবি: AP
‘রাম রথযাত্রা'’
১৯৮৯ সালের নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের আগে ভিএইচপি বিতর্কিত স্থলটিতে (মন্দিরের) ‘শিলান্যাস'-এর অনুমতি পায়৷ ভারতীয় জনতা পার্টির প্রবীণ নেতা লাল কৃষ্ণ আডভানি ভারতের দক্ষিণতম প্রান্ত থেকে দশ হাজার কিলোমিটার দূরত্বের ‘রাম রথযাত্রা'’ শুরু করেন৷
ছবি: AP
১৯৯২
১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর এল কে আডভানি, মুরলি মনোহর যোশি, বিনয় কাটিয়াসহ অন্যান্য হিন্দুবাদী নেতারা মসজিদ প্রাঙ্গনে পৌঁছান৷ ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপি, শিব সেনা আর বিজেপি নেতাদের আহ্বানে প্রায় দেড় লাখ মানুষ বাবারি মসজিদে হামলা চালায়৷ ছড়িয়ে পড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা৷
ছবি: AFP/Getty Images
সমঝোতার উদ্যোগ
২০০২ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী দু’পক্ষের সমঝোতার জন্য বিশেষ সেল গঠন করেন৷ বলিউডের সাবেক অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহাকে হিন্দু ও মুসলমানদের নেতাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করার দায়িত্ব দেয়া হয়৷
ছবি: AP
শিলালিপি কী বলে
পুরাতাতত্বিক বিভাগ জানায়, মসজিদের ধ্বংসাবশেষে যে সব শিলালিপি আবিষ্কৃত হয়, তা থেকে ধারণা করা হয়, মসজিদের নীচে একটি হিন্দু মন্দির ছিল৷ আবার ‘জৈন সমতা বাহিনী'-র মতে ধ্বংসপ্রাপ্ত বাবরি মসজিদের নীচে যে মন্দিরটির ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছে, সেটি ষষ্ঠ শতাব্দীর একটি জৈন মন্দির৷
ছবি: CC-BY-SA-Shaid Khan
বিজেপি দোষী
বিশেষ কমিশন ১৭ বছরের তদন্তের পর ২০০৯ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনায় প্রতিবেদন জমা দেয়৷ প্রতিবেদনে ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপিকে দোষী দাবি করা হয়৷
ছবি: AP
এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়
২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট তার রায়ে জানান, যে স্থান নিয়ে বিবাদ তা হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে ভাগ করে দেয়া উচিত৷ এক তৃতীয়াংশ হিন্দু, এক তৃতীয়াংশ মুসলমান এবং বাকি অংশ নির্মোহী আখড়ায় দেওয়ার রায় দেন৷ রায়ে আরো বলা হয়, মূল যে অংশ নিয়ে বিবাদ তা হিন্দুদের দেয়া হোক৷
ছবি: picture-alliance/dpa
হিন্দু ও মুসলমানদের আবেদন
হিন্দু ও মুসলমানদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১১ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের সেই রায় বাতিল করে৷ দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলেন, বাদী বিবাদী কোনো পক্ষই জমিটি ভাগ করতে চান না৷
ছবি: AP
ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায়
ভারতে হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের কণ্টকিত ইতিহাসে বাবরি মসজিদে হামলা একটি ‘কলঙ্কিত অধ্যায়’৷ গুটি কয়েক হিন্দু সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী দিনটিকে সূর্য দিবস বলে আখ্যায়িত করলেও বেশিরভাগ ভারতীয় দিনটিকে ‘কালো দিন’ বলে উল্লেখ করেন৷ অনেকেই বলেন, এই ঘটনায় দেশের অসাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তি একেবারে ভূলুন্ঠিত হয়েছিল৷
ছবি: AP
মন্দিরের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের রায়
ভারতের অযোধ্যার এক বিতর্কিত জমি নিয়ে কয়েক দশক অপেক্ষার পর ৯ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত৷ রায়ে ওয়াকাফ বোর্ডের আর্জি এবং নির্মোহী আখড়ার জমির উপর দাবি দুটোই খারিজ করে দেন বিচারকরা৷ বিতর্কিত সেই জমিতে একটি ট্রাস্টের অধীনে মন্দির নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত৷ পাশাপাশি, একটি মসজিদ গড়তে কাছাকাছি অন্য কোথাও মুসলমানদের পাঁচ একর জমি দিতেও বলা হয়েছে রায়ে৷