1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বাবা গুলিবিদ্ধ, আমরা নিশ্চিত'

সমীর কুমার দে ঢাকা
১৫ মার্চ ২০১৯

নিউজিল্যান্ডে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের তিনজন বাংলাদেশি৷ এদের একজন ড. মো. আব্দুস সামাদ৷ তাঁর পুত্র তোহা মোহাম্মদের সঙ্গে কথা বলেছে ডয়চে ভেলে৷

Neuseeland Angriff auf Moscheen in Christchurch
ছবি: Getty Images/AFP/L. Fievet

‘মুয়াজ্জিন ছিলেন, ইমামতিও করতেন’: তোহা

This browser does not support the audio element.

ডয়চে ভেলের সঙ্গে ঘটনার কিছুক্ষণ পর যখন তাঁর ছেলে মোহাম্মদ তোহা'র সঙ্গে কথা হয় তখনও তিনি নিশ্চিত নন বাবার মৃত্যুর বিষয়ে৷

ড. সামাদের তিন ছেলের শুধুমাত্র বড় ছেলে তোহা মোহাম্মদ দেশে থাকেন৷ চাকরি করেন ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে৷

আর বাকি দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে নিউজিল্যান্ডে বসবাস করছিলেন সামাদ৷

ড. সামাদের বড় ছেলে তোহা ডয়চে ভেলেকে বলেছিলেন, ‘‘বাবা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সেটা আমরা নিশ্চিত৷ খবর শুনে মা আর ছোট ভাই হাসপাতালে গিয়েছিল৷ কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে নিশ্চিত করেনি যে বাবা মারা গেছেন৷ তারা বলছেন, যারা গুলিবিদ্ধ হয়ে এসেছেন তাদের সবার চিকিৎসা চলছে৷ এখন যেহেতু সেখানে রাত, সকালে নিশ্চিত হওয়া যাবে আসলে বাবার অবস্থা কী? বাবা-মা ও দুই ভাই সবাই নিউজিল্যান্ডের নাগরিক৷ বাবা ওই মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে কাজ করতেন৷ আর আরবের একজন ইমাম ছিলেন, তিনি না থাকলে বাবা ইমামতিও করতেন৷''

‘মুয়াজ্জিন ছিলেন, ইমামতিও করতেন’: তোহা

This browser does not support the audio element.

ড. সামাদ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন৷ গত ৮-১০ বছর ধরে স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে নিউজিল্যান্ডের নাগরিকত্ব পেয়ে সেখানেই বসবাস করছিলেন তিনি৷ তবে মাঝে মাঝে তিনি দেশে আসতেন৷ এদিকে, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. সুলতান উদ্দিন ভূঞা সাংবাদিকদের বলেছেন, ড. সামাদ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন৷ তিনি গত বছর চাকরি থেকে ইস্তফা দেন৷ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদে লেখাপড়া শেষ করে ১৯৮০ সালে ড. সামাদ কৃষিতত্ত্ব বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন৷ এর আগে তিনি একবছর বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে চাকরি করেছেন৷ চাকরিরত অবস্থায় ১৯৮৮ সালে তিনি নিউজিল্যান্ডের লিংকন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন৷ ওই সময় নিউজিল্যান্ডেই তার দুই ছেলের জন্ম হয়৷

স্বামী বেঁচে গেলেও মারা গেলেন পারভীন

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত তিন বাংলাদেশির মধ্যে একজন সিলেটের হুসনে আরা পারভীন (৪২)৷ সন্ত্রাসী হামলা থেকে বেঁচে গেছেন তাঁর অসুস্থ স্বামী ফরিদ উদ্দিন আহমদ৷ ফরিদ উদ্দিনের বাড়ি বিশ্বনাথ উপজেলার চকগ্রামে৷ আর তাঁর স্ত্রী হুসনে আরা পারভীনের বাবার বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জের জাঙ্গালহাটা গ্রামে৷

নিউজিল্যান্ডে বসবাসকারী স্বজনদের বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত হুসনে আরার ভাগ্নে মাহফুজ চৌধুরী৷ তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ এলাকায় একটি মসজিদ রয়েছে৷ এই মসজিদের একাংশে নারীরা ও অন্য অংশে পুরুষরা নামাজ আদায় করেন৷ ঘটনার প্রায় আধঘণ্টা আগে আমার খালা হুসনে আরা তাঁর অসুস্থ স্বামীকে (প্যারালাইসড) নিয়ে মসজিদে যান৷ সেখানে খালা তাঁর স্বামীকে হুইল চেয়ার করে মসজিদে পুরুষদের অংশে ভেতরে রেখে নিজে নারীদের অংশে নামাজ আদায় করতে যান৷ প্রায় ১৫ মিনিট পর গুলির শব্দ শুনে পারভীন তাঁর স্বামীকে বাঁচানোর জন্য বের হন৷ এ সময় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাঁকে গুলি করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ