1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাবুনগরীর ওপর শাপলা চত্বরের দায়

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
১৭ ডিসেম্বর ২০২০

হেফাজতে ইসলাম নতুন করে আরো চাপের মুখে পড়ছে৷ সাবেক হেফাজত নেতারা দাবি করছেন ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে রাতে অবস্থানের দায় মাওলানা জুনাইদ বাবুনগরীর৷ তার আশা ছিলো অবস্থান নিলে সেনাবাহিনী নেমে আসবে৷

হেফাজতে ইসলাম আরো নতুন করে চাপের মুখে পড়ছে৷ সাবেক হেফাজত নেতারা দাবি করছেন ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে রাতে অবস্থানের দায় মাওলানা জুনাইদ বাবুনগরীর৷ তার আশা ছিলো অবস্থান নিলে সেনবাহিনী নেমে আসবে৷
ফাইল ছবিছবি: bdnews24.com

আর হেফাজতের সাবেক আামির মাওলানা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর প্রায় তিন মাস পর হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে৷

আহমদ শফী মারা যান গত ১৮ সেপ্টেম্বর৷ চট্টগ্রামের আদালতে দায়ের করা ওই মামলায়  হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব ও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেয়ার হুমকিদাতা মাওলানা মামুনুল হকসহ ৩৬ জনকে আসামি করা হয়েছে৷ মামলাটি দায়ের করেছেন মাওলানা আহমদ শফীর শ্যালক মোহাম্মদ মাঈনুদ্দিন৷ আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে৷ তার ছেলেরা মামলা না করে শ্যালক হয়ে কেন মামলা করলেন এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আল্লামা শফীর পুত্ররা হুমকির মুখে আছেন৷ তারা মামলা করতে যেতে পারছেন না৷ এ কারণেই তিনি মামলা করেছেন৷ আর মৃত্যুর পর মামলা না করে তিন মাস পরে কেন মামলা করা হলো তার জবাবে তিনি বলেন, তখনো তারা হুমকির কারণে মামলা করতে পারেননি৷ এমনকি মাওলানা শাহ আহমদ শফীর এক ছেলে আনাস মাদানীকে তার পিতার জানাজাও পড়তে দেয়া হয়নি৷ তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘তিন দিন ধরে হাটহাজারী মাদ্রাসায় হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে কৌশলে আহমদ শফীকে হত্যা করা হয়৷'' তিনি এজাহারে অভিযোগ করেছেন, এটা একটি পরিকল্পিত হত্যা৷ আহমদ শফী ওই হামলার সময় অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে হাসপাতালে নিতে বাধা দেয়৷ অ্যাম্বুলেন্স ফিরিয়ে দেয়া হয়৷ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার অক্সিজেন মাস্ক খুলে এবং মানসিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়৷’’

আহমদ শফীর মৃত্যু স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে

This browser does not support the audio element.

এর জবাবে মামলার আসামি হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘‘মাওলানা আহমদ শফীর মৃত্যু স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে৷ তার মৃত্যুর পর তার বড় ছেলে মোহাম্মদ ইউসুফ এবং মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ যে বিবৃতি দিয়েছে তাতে স্বাভাবিক মৃত্যুর কথাই বলা হয়েছে৷ আর আমি তো এই ঘটনার পুরোটা সময়ই ঢাকায় ছিলাম৷ ‘‘তিনি দাবি করেন, ‘‘মাওলানা আহমদ শফী বেঁচে থাকতে যারা তার ইমেজকে ব্যবহার করে নানা সুবিধা নিয়েছে তারাই এখন আমাদের প্রতিপক্ষ মনে করে এসব মিথ্যা মামলা করছে৷’’

এদিকে চট্টগ্রামে বুধবার শাহ আহমদ শফীর ওপর এক আলোচনা সভায় হেফাজতের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব সলিমুল্লাহ দাবি করেন, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরের ঘটনার দায় বর্তমান আমির জুনাইদ বাবুনগরীর৷ তিনি তখন হেফাজতের মহাসচিব ছিলেন৷ শাপলা চত্বরে রাতে অবস্থানের কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না৷ রাতে থাকলে সেনাবাহিনী নামবে বলে তিনি একক সিদ্ধান্তে রাতে অবস্থানের নিদেশ দেন৷ সাবেক হেফাজত নেতা সলিমুল্লাহ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘আমি নিজে যা দেখেছি তাই বলেছি৷ তিনি কী উদ্দেশ্যে এটা করেছেন৷ কাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন তা তিনিই ভাল বলতে পারবেন৷’’

বাবুনগরী বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করছিলেন

This browser does not support the audio element.

তিনি বলেন, ‘‘মাওলানা আহমদ শফী ও মাওলানা কাসেমী বলেছিলেন সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করে যে যার মত চলে যাবেন৷ কাসেমী এবং মুফতি ওয়াক্কাস তাকে বার বার সমাবেশ শেষ করার জন্য বলছিলেন৷ কিন্তু বাবুনগরী বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করছিলেন৷ আর বলছিলেন অবস্থান করলে রাতে সেনাবাহিনী নামবে৷ এটা তিনি বার বার বলছিলেন৷ এরপর তিনি মাওলানা শফীকে না জানিয়ে রাতে অবস্থানের সিন্ধান্ত ঘোষণা করেন৷ তার কারণেই এত হতাহতের ঘটনা ঘটে৷’’

এই বিষয়ে চেষ্টা করেও জুনাইদ বাবুনগরীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি৷ তবে হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী দাবি করেন, ‘‘সলিমুল্লাহ সাহেবের এই বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা৷ আমারও তখন দায়িত্বে ছিলাম৷ আমরা তো জানি না৷ উনি জানলেন কীভাবে?’’

তিনি আরো দাবি করেন, ‘‘এটা বাবুনগরী সাহেবের ইমেজ ক্ষুন্ন করা এবং মূর্তি ও ভাস্কর্যবিরোধী আন্দোলনকে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র৷ একটি মহলের মদতে তিনি এসব করছেন৷''  তিনি আহমদ শফীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলাকেও মিথ্যা অভিহিত করে দাবী করেন, ‘‘যাদের আসামি করা হয়েছে তারা সবাই নির্দোষ৷’’

তার কথা, এসব করে মূর্তির বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান থেকে সরানো যাবে না৷ এটা তাদের ঈমানী দায়িত্ব৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ