সিয়েরা লিওনের গোলা ন্যাশনাল পার্কের কাহিনি অনেকটা রূপকথার মতো: বামন জলহস্তিকে বাঁচাতে গিয়ে কোকোর চাষ; সেই কোকো খেতে এলো পাখি, পোকামাকড়, বাঁদর, আরো কত কী৷ সব মিলিয়ে জঙ্গল জমজমাট!
বিজ্ঞাপন
সিয়েরা লিওনের গোলা রেনফরেস্ট ন্যাশনাল পার্কে ভোরবেলা৷ লাইবেরিয়ার সীমান্ত থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে৷
একদল রেঞ্জার আর গবেষক যে প্রাণীটির খোঁজে রয়েছেন, সে হলো পিগমি হিপোপটেমাস বা বামন জলহস্তি – এক অতি বিরল প্রাণী৷ গোলা ন্যাশনাল পার্কের চিফ রেঞ্জার মুস্তাফা ওয়াই বলেন, ‘‘আমি একটি পিগমি হিপোকে জীবন্ত দেখতে চাই৷ কাজটা সোজা নয়, সাত বছর আগে কাজ শুরু করা অবধি সচক্ষে দেখিনি৷ কাজেই আমি সত্যিই একটাকে দেখতে চাই, আমার তালিকায় সবার ওপরে এখন এই প্রাণীটি৷’’
পিগমি হিপোরা এই ঘোলা জলে থাকে আর ডাঙায় ওঠে শুধু খাবারের খোঁজে৷ শেষমেষ পায়ের ছাপ খুঁজে পাওয়া গেল – টাটকা নয়, তবু জীবগুলো যে এখানে ভালোই আছে, এটা তার প্রমাণ৷ পার্কের বায়োলজিস্টরা পিগমি হিপোদের ছবি তোলার জন্য নতুন একটা ক্যামেরা ট্র্যাপ বসিয়েছেন৷ হিপোদের সংখ্যা স্থিতিশীল আছে কিনা, তা জানার একটি উপায় হলো এই ক্যামেরা ট্র্যাপ৷
বামন জলহস্তিদের রূপকথার মতো এক দেশ
05:26
মাত্র হাজার দু'য়েক পিগমি হিপো এখনও অবশিষ্ট আছে বলে অনুমান করা হয়৷ পিগমি হিপোরা আকারে আসল হিপোদের চার ভাগের এক ভাগ৷ এদের বাস প্রধানত এখানকার আপার গিনি রেনফরেস্টে৷
ন্যাশনাল পার্কে ৬০টি বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদের বাস৷ মুস্তাফা ওয়াই ছাড়া আরো দু'টি দল এখানে টহল দেয়৷ পার্কের চৌহদ্দির মধ্যে শিকার করা, মাছ ধরা অথবা হীরের খোঁজ করা নিষিদ্ধ – অতীতে যা প্রায়ই ঘটত৷
সিয়েরা লিওনের আদিবনভূমির মাত্র পাঁচ শতাংশ এখনও বজায় আছে৷ গোলা রেনফরেস্ট ন্যাশনাল পার্ক যেন একটা মরুদ্যান৷ অন্যান্য স্থানে পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য অর্থের অভাব রয়েছে৷
কী নেই ভিরুঙ্গা পার্কে!
আফ্রিকার দেশ ডিআর কঙ্গোর ভিরুঙ্গা ন্যাশনাল পার্কে কী নেই? সক্রিয় আগ্নেয়গিরি, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বন, সাভানা আর বরফে আচ্ছাদিত পর্বতমালা, গোরিলা, বিভিন্ন জাতের পাখি, উদ্ভিদ – আছে সবই৷ কিন্তু তারপরও যেন কী নেই?
ছবি: WWF/Brent Stirton
বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ
সক্রিয় আগ্নেয়গিরি, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বন, সাভানা আর বরফে আচ্ছাদিত পর্বতমালা সমৃদ্ধ আফ্রিকার দেশ ডিআর কঙ্গোর ‘ভিরুঙ্গা ন্যাশনাল পার্ক’৷ তাই ইউনেস্কো ১৯৭৯ সালে এই পার্কের নাম বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে৷ এর আগে ১৯২৫ সালে তৎকালীন ঔপনিবেশিক শাসক বেলজিয়াম ভিরুঙ্গাকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছিল৷
ছবি: WWF/Brent Stirton
বিভিন্ন জাতের পাখি ও উদ্ভিদ
ভিরুঙ্গা পার্কে প্রায় ৭০০ প্রজাতির পাখি ও দুই হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে৷ পাশের গোমা শহরের জন্য জ্বালানি সরবরাহ করতে গিয়ে প্রতি বছর পার্কের বনাঞ্চলের একটা বড় অংশ হারিয়ে যাচ্ছে৷ জঙ্গিরাও এই বনের কাঠ কেটে বিক্রি করে সেই অর্থ দিয়ে অস্ত্র কিনে থাকে৷
ছবি: WWF/Brent Stirton
গোরিলার বাস
ভিরুঙ্গা পার্কের অন্যতম বাসিন্দা প্রায় ২০০ গোরিলা৷ ইউনেস্কোর এই পার্ককে স্বীকৃতি দেয়ার পেছনে বিলুপ্ত হতে থাকা এই প্রাণীর অবস্থানও একটা কারণ৷
ছবি: WWF/Brent Stirton
তেল অনুসন্ধান নয়
লন্ডন-ভিত্তিক একটি কোম্পানি ‘সোকো ইন্টারন্যাশনাল’ ভিরুঙ্গা পার্কে তেল অনুসন্ধান করতে চেয়েছিল৷ কিন্তু আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচার’ বা ডাব্লিউডাব্লিউএফ এর প্রতিবাদ জানালে সেই পরিকল্পনা বাদ হয়ে যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অনুসন্ধানে যে বিপদ হতে পারতো
তেল অনুসন্ধানের অনুমতি দিলে ভিরুঙ্গা পার্কের এডওয়ার্ড লেকের পানি দূষিত হয়ে পড়তো৷ এতে ঐ লেকের ধারে বাস করা প্রায় ৫০ হাজার পরিবারের সমস্যা হতো৷ কারণ তাঁরা পানি পান ও রান্নার কাজের প্রয়োজনীয় পানি ঐ লেক থেকেই সংগ্রহ করে থাকেন৷ এছাড়া লেকে থাকা মাছগুলোও মরে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল৷ এই মাছ ঐ পরিবারগুলোর আয়ের একটা বড় উৎস৷
ছবি: WWF/Brent Stirton
যুদ্ধ থেকে পালিয়ে
মহিলারা পার্কের একটি স্থানীয় বাজারে শুঁটকি বিক্রি করছেন৷ ডিআর কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠী সক্রিয় থাকায় ভয়ে সেখান থেকে অনেক মানুষ পালিয়ে এই পার্কে অবস্থান নিয়েছে৷ অবশ্য এই পার্কেরও একটা অংশে এক সময় অনেক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে৷
ছবি: WWF/Brent Stirton
লোকদের বোঝাতে হবে
পার্কের ডিরেক্টর ইমানুয়েল দ্য মেরোড বলেন, ‘‘ভিরুঙ্গাকে বাঁচাতে হলে আমাদের মানুষদের বোঝাতে হবে যে বন সংরক্ষণের একটা আর্থিক দিক রয়েছে৷’’
ছবি: Getty Images
সংরক্ষণের আর্থিক দিক
ডাব্লিউডাব্লিউএফ বলছে ভিরুঙ্গা পার্ককে ঘিরে প্রায় ৪৫ হাজার চাকরি সৃষ্টি করা যেতে পারে৷ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র, মৎস্য উৎপাদন, ইকো ট্যুরিজম, গবেষণা, শিক্ষা – এ সব খাতে এই চাকরির ব্যবস্থা করা সম্ভব৷ ঠিকমতো পরিকল্পনা করলে এই পার্ক থেকে বছরে প্রায় দশ লক্ষ ইউরো আয় করা সম্ভব৷
ছবি: WWF/Brent Stirton
8 ছবি1 | 8
শান্তির প্রতীক
আজ অন্তত শান্তি আছে৷ ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত গোলা রেনফরেস্ট ন্যাশনাল পার্ক সেই শান্তির প্রতীক৷ কাছের লাইবেরিয়াতেও একটি ন্যাশনাল পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে, ফলে একটি আন্তঃ-সীমান্ত ‘শান্তি উদ্যান’ গড়ে উঠেছে৷ কিন্তু ন্যাশনাল পার্ককে রক্ষার একমাত্র পথ হলো, গ্রামবাসীদের শিকার করা, রান্নার কাঠ সংগ্রহ অথবা খনি কাটা থেকে বিরত করা৷ যে কারণে পার্কের কর্মীরা গ্রামবাসীদের নানান হারানো পেশার সন্ধান দিতে চান৷ ওয়াই-এর সহকর্মী আমিনাতা বেরেওয়া কোকো চাষিদের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করে তাদের মার্কেটিং-এর উন্নতি ঘটাতে চাইছেন৷
গোলা ন্যাশনাল পার্ক কোকো প্রকল্পের আমিনাতা বেরেওয়া বলেন, ‘‘এই সব কমিউনিটির মানুষদের নিয়ে কাজ করাটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ, কেননা এই কমিউনিটিগুলি সত্যিই দূর দূর এলাকায়৷ তাদের গোলা ন্যাশনাল পার্কের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বোঝানোটা আমাদের পক্ষে একটা কঠিন কাজ৷’’
মোহামেদ কোরোমা কোকোর চাষ করেন, ঠিক তাঁর বাবার মতো৷ কিন্তু কোকো চাষ থেকে তাঁর বিশেষ লাভ হয় না৷ কোকো গাছে যাতে আরো বেশি ফল ধরে, তার জন্য কী করা যায়? কোন কোকো বীজগুলোর মান সত্যিই রপ্তানি করার মতো? কোকো চাষিরা আমিনাতার কাছ থেকে এ সব জানতে পারেন৷ কোকো ফসল তোলা শুধু চাষিদের জন্যই নয়, জঙ্গলের পক্ষেও ভালো৷ আমিনাতা বেরেওয়া বলেন, ‘‘কোকো নিজেই একটা জঙ্গলের গাছ৷ কিছু কিছু পাখি এখানে আসে খাবারের খোঁজে – কাজেই এটা পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য ভালো৷’’
জার্মানির বন-জঙ্গল
জার্মানরা বন-জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন৷ এভাবে অবসর সময় কাটাতে আর হাঁটতেও ভালোবাসেন তাঁরা৷ চলুন সে রকমই জার্মানির কিছু বনানির সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া যাক৷
ছবি: picture-alliance/Thomas Muncke
জাতীয় পার্ক ইয়াসমুন্ড
ইয়াসমুন্ডের এই পার্কটি জার্মানির জাতীয় পার্কগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ছোট পার্ক৷ বিখ্যাত ব়্যুগেন দ্বীপের একেবারে উত্তরে অবস্থিত এই পার্কের সৌন্দর্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে, করে মুগ্ধ৷ ইউনেস্কো ২০১১ সালে ইয়াসমুন্ড পার্কটিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়৷
ছবি: Scoopshot/ac-images
এলবে নদীর নিসর্গ
প্রকৃতি সৃষ্ট নিসর্গের মধ্যে অন্যতম নদী পরিবেষ্টিত চরগুলি৷ নিয়মিত বন্যা হওয়ার কারণে এই সব চরে গাছপালা এবং পশুপাখিরা আনন্দে বেঁচে থাকে৷ যেমনটা এখানে, ব্রান্ডেনবুর্গের এলবে নদীতে৷ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য এলবে নদীর এই চরটিকে ১৯৭৯ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যর অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/ZB
হারৎস
জার্মানির মধ্যভাগে অবস্থিত হারৎসের পাহাড়ি অঞ্চল শুধু জার্মানির সবচেয়ে বড় বনভূমি নয়, জার্মানির সবচেয়ে জনপ্রিয় বনাঞ্চলও বটে৷ ১৮২৪ সালে অন্যতম জার্মান লেখক হাইনরিশ হাইনে তাঁর ভ্রমণ কাহিনিতে এই অঞ্চলকে তুলে ধরেন৷ যাঁরা হাঁটতে পছন্দ করেন তাঁদের কাছে জায়গাটি খুবই প্রিয়৷
ছবি: picture-alliance/ZB
হাইনিশ জাতীয় পার্ক
জার্মানির ট্যুরিঙ্গেন রাজ্যে রয়েছে ‘বুখেন’ বা বীচ গাছে ঘন জঙ্গল৷ এই বনের কয়েকটা গাছ আবার গত ৮০০ বছর ধরে এইভাবে একেবারে সাড়ি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে৷ এর জন্যই ইউনেস্কো ২০১১ সালে এই বনভূমিকে বিশ্ব প্রাকৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে৷ এখানে বনবিড়ালের মতো অনেক বিরল প্রাণীও দেখা যায়৷
ছবি: DW/C. Hoffmann
স্পেসার্ট
জার্মানির দক্ষিণে অবস্থিত বাভারিয়া এবং হেসেন রাজ্যের মাঝামাঝি একটি পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত এই বনটি৷ আগে স্পেসার্ট ছিল ধনী ও বিশপদের শিকার করার জায়গা৷ শুধু তাই নয়, ঊনিশ শতকে এই জঙ্গলেই আস্তানা গড়েছিল জার্মানির কুখ্যাত ডাকাতরা৷ ১৮২৭ সাল থেকে ‘‘দাস ভির্টহাউস ইম স্পেসার্ট’’ নামে পরিচিতি লাভ করে এই ঘন বনাঞ্চল৷
ছবি: picture-alliance/Thomas Muncke
ব্ল্যাক ফরেস্ট
ব্ল্যাক ফরেস্ট বা কৃষ্ণ অরণ্য নিয়ে নানা রকম ভূতের গল্প প্রচলিত আছে জার্মানিতে৷ আছে এই জঙ্গলের নামে একটি কেক-ও৷ সে জন্যই হয়ত এই কৃষ্ণ অরণ্যের জাতীয় পার্কের মর্যাদা পাওয়া উচিত বলে মনে করেন অনেকে৷ আবার অন্যদের আশঙ্কা, জাতীয় পার্ক হলে এখান থেকে আর ফল সংগ্রহ বা গাছ কাটা যাবে না – জার্মানিতে পরিবেশ রক্ষা সত্যিই যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়!
ছবি: picture-alliance/Ronald Wittek
বাভারিয়ার জাতীয় পার্ক
রাখেল লেক বাভারিয়ার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ হ্রদের মধ্যে একটি৷ লেকটি ঘিরে প্রায় ১০৭০ মিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত এই বন, যেখানে গত কয়েক দশকে একটি গাছও কাটা হয়নি৷ খুবই নিরিবিলি ও শান্ত পরিবেশ এখানে৷ তাই হাঁটার জন্যও খুব উপযোগী এই অঞ্চল৷ ১৯৭০ সালে এই পার্কটিকে জার্মানির প্রথম জাতীয় পার্ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
জাতীয় পার্ক ব্যার্শটেসগাডেন
এটা আলপস পর্বতমালায় অবস্থিত জার্মানির একমাত্র জাতীয় পার্ক৷ পার্কটি উচ্চ পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থানের কারণে পর্যটকরা এখানে এলে বিরল প্রাণীর দেখা পান৷ তাই তো পক্ষীপ্রেমী আর বন্যপ্রাণী গবেষকদের জন্য এটা দারুণ একটা জায়গা৷
ছবি: picture-alliance/Thomas Muncke
8 ছবি1 | 8
বড় গাছের ছায়ায় কোকো গাছ বাড়ে ভালো৷ এর অর্থ, ন্যাশনাল পার্কের এই প্রান্তে জঙ্গলকেও বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে৷ কোকো গাছ থাকার ফলে মাটি শুকিয়ে যেতে পারে না – এছাড়া পাখি, পোকামাকড় কিংবা বানররা এখানে বাস করতে পারে৷
কোকোর ব্যবসা
এখানে কোকো জমা হয়: এক হাজারের বেশি কোকো চাষি এই প্রকল্পে অংশ নিচ্ছেন৷ কোকো পাইকারী দরে বিক্রি করা সহজ৷ এবার মোহামেদের কোকোর গুণগত উৎকর্ষ পরীক্ষা করা হবে৷ আমিনাতা বেরেওয়া বললেন, ‘‘বেশ ভালোভাবে গ্যাঁজানো হয়েছে, তাই চকোলেটের রংটা এসেছে৷ প্রায় সাতদিন ধরে ভালোভাবে শুকানো হয়েছে৷’’
আমিনাতা সন্তুষ্ট – মোহামেদ তাঁর ২৫ কিলোগ্রাম কোকোর বীজের জন্য পেলেন ৪০ মার্কিন ডলার৷ মোহামেদ বললেন, ‘‘এই ব্যবসার মানে আমাদের পয়সা বাঁচে আর অনেক সমস্যা মিটে যায়৷ আমি আমার ছেলেমেয়েদের স্কুলের ফি দিতে পারি৷ সেটা আমার ভালো লাগে৷’’
আমিনাতা ও তাঁর সহকর্মীরা এখন তাঁদের অরগ্যানিক, ফেয়ারট্রেড কোকোর জন্য একজন আন্তর্জাতিক ক্রেতা খুঁজছেন৷
সত্যিই একটি সাফল্যের কাহিনি৷ সিয়েরা লিওনের অধিকাংশ এলাকায় প্রজাতিরা বিলুপ্ত হচ্ছে, কিন্তু গোলা রেনফরেস্ট ন্যাশনাল পার্ক তার জীববৈচিত্র্যকে বাঁচিয়ে রাখছে৷