1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বারাক ওবামার ইরাক সফর

অরুণ শঙ্কর চৌধুরী২২ জুলাই ২০০৮

বারাক ওবামার ইরাক সফরের পটভুমিতে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং ইরাক থেকে মার্কিণ সৈন্যাপসারণের সময়সূচী নিয়ে বিতর্ক ও জল্পনা-কল্পনা৷

ওবামা এলেন মালিকির অফিসেছবি: AP

বস্তুতঃ ওবামার ইরাক না গিয়ে উপায় ছিল না৷ একে তো তাঁর বিদেশনীতি বিষয়ক যোগ্যতা নিয়ে প্রতিপক্ষের প্রশ্ন রয়েছে৷ দ্বিতীয়তঃ, সেই প্রতিপক্ষ, অর্থাত্ জন ম্যাককেন ইরাক গেছেন আটবার৷ সে তুলনায় ওবামার এটি দ্বিতীয় সফর, তা’ও আড়াই বছর পরে৷ তৃতীয়তঃ, ওবামা স্বয়ং ইরাকে মার্কিণ অভিযান ও উপস্থিতির প্রতি তাঁর বিরোধিতাকে তাঁর নির্বাচনী প্রচার অভিযানের মূলমন্ত্র করেছেন৷ কাজেই এবার ওবামা ইরাকে এসে জেনারেল ডেভিড পেট্রেয়াসের সঙ্গেই আলোচনা করুন, আর প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকির সঙ্গেই আলোচনা করুন, বাকি বিশ্ব ঘুরে ফিরে ঐ এক কথাই জানতে চাইছে৷ ওবামা সশরীরে, সরেজমিনে, অকুস্থলে পদার্পণ করার পর সৈন্যাপসারণের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন কিনা, এবং ইরাকীরাই বা তাঁকে সে-বিষয়ে কি বলেছে৷

ইরাকের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বারাক ওবামাছবি: AP

সৈন্যাপসারণের সন-তারিখ নিয়ে টানাপোড়েন

ওবামা স্বদেশে মার্কিণীদের, অর্থাত্ তাঁর ভোটারদের যা বলেছেন, তা হল, যে তিনি প্রেসিডেন্ট হলে ১৬ মাসের মধ্যে মার্কিণ কমব্যাট ট্রুপদের ঘরে ফিরিয়ে আনবেন৷ ইরাক সরকারের মুখপাত্র আলি আল-দাবাগ বলেছেন, যে ওবামা মালিকির সঙ্গে সাক্ষাতে বিষয়টি উল্লেখ করেননি৷ অপরদিকে মালিকি ওবামাকে বলেছেন, যে তিনি অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য বিদেশী সৈন্যদের উপস্থিতি কামনা করেন না, কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতির উপর তাদের বিদায়গ্রহণ নির্ভর করবে৷

অথচ দাবাগ স্বয়ং যোগ করেন, যে বাগদাদ সরকার ২০১০ সালের মধ্যে বিদেশী যুদ্ধসৈনিকদের বিদায় দিতে চান, অবশ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতি যদি অনুকুল হয়৷ তাহলে তো ওবামার টাইমটেবল আর মালিকির টাইমটেবলের মধ্যে বিশেষ ফারাক দেখা যাচ্ছে না, বলবেন নিন্দুকরা৷

বিতর্ক শুরু হয়েছে কয়েকদিন আগেই, যখন মালিকি জার্মানীর ডের স্পিগেল পত্রিকাকে বলেন, যে তিনি ওবামার টাইমটেবল সমর্থন করেন৷ পরে এই মন্থব্য নিয়ে সুদূর যুক্তরাষ্ট্রে ঝড় ওঠার পর সেটা আবার প্রত্যাহারও করে নেন৷

হোয়াইট হাউসের গোঁসা

প্রেস সেক্রেটারী ডানা পেরিনো এবার সরাসরি হোয়াইট হাউসের অসন্তোষই ব্যক্ত করেছেন, যে ইরাকী নেতৃবর্গ প্রকাশ্যভাবে ওবামার টাইমটেবলকে সমর্থন করছেন৷ আরো বলেছেন, যে বাগদাদ সম্ভবতঃ মার্কিণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুযোগ নিয়ে ভবিষ্যতে ইরাকে মার্কিণ সামরিক উপস্থিতি ও দায়িত্ব সংক্রান্ত আলাপ-আলোচনায় নিজের অবস্থান আরো জোরদার করতে চাইছে৷

ওয়াশিংটন এবং বাগদাদ সম্ভবতঃ পরিকল্পনা মতো ৩১শে জুলাই-এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট চুক্তিটি সম্পাদন করতে পারবে না, খোলসা করে বললেন ডানা পেরিনো৷ ওবামা তাঁর সংক্ষিপ্ত সফরে এই রাজনীতির চক্রের কতোটা আন্দাজ পেলেন অথবা পেলেন না, সেটা তিনিই জানেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ