1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রমনীদের আলোচনায় বারাক ওবামা

আনিয়ে বিন্ডার/আরাফাতুল ইসলাম৬ নভেম্বর ২০১২

মার্কিন নির্বাচনী প্রচারণায় বড় ভূমিকা পালন করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো৷ অতীতে আর কোনো মার্কিন নির্বাচনে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেনি, যা ঘটেছে এবার৷ টেলিভিশনের চেয়েও গুরুত্ব পাচ্ছে এসব মাধ্যম৷

২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সি রমনীরা ওবামাকে নিয়ে ফেসবুকে চ্যাট করছেন বেশি৷ ওবামার কথা হচ্ছে, আমার এবং রমনির ভবিষ্যত পরিকল্পনা পড়ে দেখুন এবং এগুলোর মধ্য থেকে আপনার জন্য সুবিধাজনকটি বেছে নিন৷
ছবি: Reuters

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে দুই প্রার্থীর প্রথম টেলিভিশন বিতর্কের কথাই ধরুন৷ সেদিন এক ঘণ্টায় এই বিষয়ে প্রকাশ হয়েছিল এক কোটিরও বেশি টুইটার বার্তা৷ একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে এত অল্প সময়ে এত বেশি টুইট আগে কখনো দেখা যায়নি৷ আর ২০০৮ সালের সঙ্গে তুলনা করলে বলতে হয়, সেবার নির্বাচনের দিনে সাকুল্যে টুইটের সংখ্যা ছিল বিশ লাখেরও কম৷

মার্কিন নির্বাচনী প্রচারণায় সামাজিক যোগাযোগের ব্যবহার অবশ্য বাড়িয়েছে ওবামা শিবিরই৷ ২০০৮ সালে ‘হোপ' বা ‘চেইঞ্জ' শিরোনামে ইন্টারনেট প্রচারণাগুলো সাড়া ফেলেছিল৷ ওবামাকে এজন্য অনেকে বলেন ‘ইন্টারনেট প্রেসিডেন্ট'৷ ২০০৮ সালের তুলনায় বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারী বেড়েছে দশ গুণ৷ এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেক জনসাধারণ ফেসবুক সদস্য৷ চার বছর আগের তুলনায় টুইটার ব্যবহারকারীর সংখ্যাও এখন পাঁচ গুণ বেশি৷

২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সি বয়সি পুরুষদের আলোচনায় বেশি জায়গা পাচ্ছেন মিট রমনিছবি: Reuters

বর্তমানে টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের চাইতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে ফায়দা হচ্ছে বেশি, এমনটাই মনে করেন ‘সোশ্যাল বেকারস' নামক একটি সামাজিক মাধ্যম বিশ্লেষণকারী সংস্থার কর্মকর্তা মাইক গিসোন্ডি৷ তিনি বলেন, ‘‘টেলিভিশনের চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মার্কেটিং অনেক বেশি ফলপ্রসু৷ টেলিভিশন বিজ্ঞাপন অনেক ব্যয়বহুল এবং পুরোপুরি একমুখী৷ অন্যদিকে ফেসবুক কিংবা টুইটার বার্তা আলোচনার সূচনা করে যা পরবর্তীতে বিশ্লেষণও করা যায়৷''

প্রশ্ন জাগতে পারে, মার্কিন নির্বাচন নিয়ে ঠিক কি ধরনের আলোচনা চলছে ফেসবুকে৷ নির্বাচন বিষয়ক ‘ফেসবুক-সিএনএন ইলেকশন ইনসাইট্স টুল' জানাচ্ছে, ফেসবুকে রিপাবলিকান প্রার্থী মিট রমনির তুলনায় বারাক ওবামাকে নিয়ে মাতামাতি বেশি৷ বিশেষ করে ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সি রমনীরা ওবামাকে নিয়ে ফেসবুকে চ্যাট করছেন বেশি৷ অন্যদিকে, একই বয়সি পুরুষদের আলোচনায় বেশি জায়গা পাচ্ছেন মিট রমনি৷

বলাবাহুল্য, রমনি এবং ওবামা আনুষ্ঠানিকভাবেই আছেন ফেসবুক, টুইটারে৷ ফেসবুকে এই দুই প্রার্থীর প্রচারণায় ভিন্নতা চোখে পড়ার মতো৷ মিট রমনি তাঁর পাতায় লিখেছেন, দেশকে ভালোবেসে ভোট দিন৷ অন্যদিকে ওবামার কথা হচ্ছে, আমার এবং রমনির ভবিষ্যত পরিকল্পনা পড়ে দেখুন এবং এগুলোর মধ্য থেকে আপনার জন্য সুবিধাজনকটি বেছে নিন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ