1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বার্ড ফ্লু-র ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

১৯ জুন ২০১৪

বাংলাদেশসহ এশিয়ার পাঁচটি দেশ বার্ড ফ্লু-র নতুন ভাইরাস এইচ৭এন৯-এর ঝুঁকির মুখে রয়েছে, যে রোগে গত এক বছরে চীনে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ বার্ড ফ্লু মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছিল প্রায় ১১ বছর আগে৷

Symbolbild Vogelgrippe Bangladesh
ছবি: picture-alliance/dpa

বিজ্ঞানীরা বলছেন, বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন্স ও ভিয়েতনামেও নতুন এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে পারে, কেননা এসব দেশে চীনের মতোই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় খোলা বাজারে হাঁস-মুরগি বিক্রি হয়৷

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে চীনের পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব উপকূলের শহুরে এলাকা, বাংলাদেশ এ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ভিয়েতনামের রেড রিভার ও মেকং বদ্বীপ এবং ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন্সের বেশ কিছু এলাকা৷ কোন এলাকা কতটা ঝুঁকিতে রয়েছে, তার একটি মানচিত্র মঙ্গলবার প্রকাশ করেছে বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার কমিউনিকেশন্স

ব্রাসেলসের ফ্রি ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউট, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র যৌথভাবে এইচ৭এন৯-এর বিস্তার নিয়ে এই গবেষণাটি চালিয়েছে৷

হাঁস-মুরগির রোগ এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা যখন মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়, তখন তাকে বলা হয় ‘বার্ড ফ্লু'৷ তবে সাধারণভাবে বার্ড ফ্লু নামটিই বেশি পরিচিত৷ বিগত বছরগুলোতে এইচ৫এন১ ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পোল্ট্রি শিল্পের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে৷ আর নতুন এইচ৭এন৯ ভাইরাসটি মানবদেহে সংক্রমণের প্রথম ঘটনা ধরা পড়ে গত বছরের মার্চে, চীনের পূর্ব জিয়ানশি প্রদেশে৷

সাধারণত যাঁরা পোল্ট্রি খামারে কাজ করেন অথবা বাজারে হাঁস-মুরগি বিক্রি করেন, তাঁদেরই বার্ড ফ্লু-তে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে৷ হাঁস-মুরগি থেকে মানবদেহে ছড়ালেও মানুষ থেকে মানুষে এইচ৭এন৯ ছড়ানোর কোনো প্রমাণ এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা পাননি৷

এইচ৫এন১ ভাইরাস মানুষের জন্য এইচ৭এন৯-এর তুলনায় অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও এর সংক্রমণ শনাক্ত করা সহজ৷ খামারে ভাইরাস সংক্রমণের তিন থেকে ১০ দিনের মধ্যে মুরগির মধ্যে রোগের লক্ষণ প্রকাশিত হতে থাকে৷ আক্রান্ত মুরগির পালক উসকোখুসকো হয়ে যায়, ঝুঁটির গোড়া ও পায়ের পাতায় রক্তক্ষরণ হয়৷ ডিম উৎপাদন কমে যায় এবং মুরগি শ্বাসকষ্টে ভোগে৷ কিন্তু এইচ৭এন৯-এর ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় রোগের স্পষ্ট লক্ষণ দেখা যায় না৷ ফলে এ ভাইরাস যে সংক্রমিত হয়েছে, তা বোঝা যায় অনেক দেরিতে৷

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘চীনের মধ্য এ উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে এইচ৭এন৯ ভাইরাস যেভাবে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে এটা স্পষ্ট যে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও এ ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করা এখনো সম্ভব হয়নি৷ মানব দেহে বার্ড ফ্লু সংক্রমণের যে ক'টি ধরন আমাদের জানান আছে, তার বাইরে অন্য কোনোভাবে হয়ত এ রোগ ছড়াচ্ছে৷''

চীনের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, বড় পোল্ট্রি ফার্মগুলোর তুলনায় ছোট খামারগুলো থেকে বার্ড ফ্লু বেশি ছড়িয়েছে, কারণ এ সব খামারে অন্যান্য পাখিও হাঁস-মুরগির সংস্পর্শে আসার সুযোগ পায় এবং আক্রান্ত হয়৷

১৯৯৭ সালে হংকংয়ে প্রথমবারের মতো এইচ৫এন১ ভাইরাসের কারণে বার্ড ফ্লু-র সংক্রমণ ধরা পড়ে৷ বাংলাদেশ প্রথম এ ভাইরাসটি ধরা পড়ে ২০০৮ সালে৷ আর ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে এইচ৫এন১ ভাইরাসের সংক্রমণে প্রথমবারের মতো একটি শিশুর মৃত্যু হয়৷

জেকে/ডিজি (এএফপি, নেচার কমিউনিকেশন্স, ডাব্লিউএইচও)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ