আরো দু'জন জার্মান নাগরিকের সাম্প্রতিক গ্রেপ্তার নিয়ে বার্লিনের মাথা ঘামানো উচিত নয়, বলেছেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলু৷ অপরদিকে এঁদের একজনের মুক্তি পাবার খবর দিয়েছে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷
বিজ্ঞাপন
গত সপ্তাহে যে দু'জন জার্মান নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তাঁদের একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, বলে সোমবার জানায় বার্লিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আইনজীবীর কাছ থেকে এই ‘‘ইতিবাচক খবর'' পাওয়া গিয়েছে, বলে মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে যোগ করা হয়৷
এর মাত্র একদিন আগে তুর্কি কর্মকর্তারা বার্লিনকে তুরস্কের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলানো থেকে বিরত থাকতে বলেন৷ ইতিপূর্বে খবর বেরোয় যে, সংশ্লিষ্ট দু'জন জার্মান নাগরিককে ‘‘রাজনৈতিক কারণে'' গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷
তুরস্কের আনাদোলু সংবাদ সংস্থার বিবরণ অনুযায়ী তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলু জার্মানিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন যে, এটা জার্মানির ব্যাপার নয় – তিনি যুগপৎ জার্মান সরকারের তীব্র প্রতিক্রিয়াকে উপেক্ষা করেন৷
‘‘আমরা যখন (সামরিক অভ্যুত্থানের একজন যড়যন্ত্রকারীকে) গ্রেপ্তার করি, তখন জার্মানি উত্তেজিত হয়ে পড়ে৷ কিন্তু আমরা কি করতে পারি?'' আনাদোলুর বিবরণ অনুযায়ী চাভুসোগলু মন্তব্য করেছেন৷ ‘‘এটা একজন তুর্কি নাগরিকও বটে, কিন্তু (জার্মানি) জানতে চায়, তোমরা আমাদের নাগরিককে গ্রেপ্তার করছ কেন?''
২০১৬ সালের জুলাই মাসের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর তুরস্কে প্রায় ৫০,০০০ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তাদের মধ্যে অন্তত ৫৫ জন জার্মান নাগরিক হিসেবে জ্ঞাত এবং সেই ৫৫ জনের মধ্যে ১২ জনকে ‘‘রাজনৈতিক বন্দি'' হিসেবে ধরে রাখা হয়েছে, বলে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে৷
ব্যর্থ অভ্যুত্থান দিবসে তুরস্কের দুই চিত্র
ব্যর্থ অভ্যুত্থানের বছর পূর্তিতে তুরস্কের সব পথই ছিল প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান সমর্থকদের দখলে৷ তবে ডয়চে ভেলের ডিয়েগো কুপোলো আঙ্কারায় এর্দোয়ান সমালোচকদের সভয় উপস্থিতিও দেখেছেন৷ কুপোলোর তোলা ছবি নিয়েই আজকের ছবিঘর....
ছবি: DW/D. Cupolo
এক বছর পর
শনিবার ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার বর্ষপূর্তি উদযাপন করেছে তুরস্ক৷ গত বছরের ১৫ জুলাই সেনাবাহিনীর একাংশের অভ্যুত্থানের প্রয়াসকে রুখতে গিয়ে যে ২৫০ জন প্রাণ দিয়েছিলেন, তাঁদের স্মরণ করা হয়েছে শ্রদ্ধাভরে৷ দেশের প্রায় সব শহরের রাস্তায়ই নেমে এসেছিল প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ানের অগনিত সমর্থক৷ সবচেয়ে বড় জমায়েত দেখা গেছে ইস্তান্বুলের বসফরাস ব্রিজ এবং আঙ্কারার কেন্দ্রস্থলে৷
ছবি: DW/D. Cupolo
ব্যর্থ অভ্যুত্থান-পরবর্তী অস্বাভাবিকতা
শনিবারের গণজমায়েতে এমন অনেকেই ছিলেন, অভ্যুত্থান চেষ্টা রুখতে যাঁরা প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছেন৷ নির্বাচিত সরকারকে অপসারণের চেষ্টা রুখতে তাঁদের কেউ কেউ সরাসরি সেনা সদস্যদের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছেন৷ সেদিন এর্দোয়ান-বিরোধীরা মূলত ঘরে বসে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করেছেন৷ এক বছর ধরে চলমান জরুরি অবস্থার মধ্যে শনিবারও পরিস্থিতি প্রায় সেরকমই ছিল৷
ছবি: DW/D. Cupolo
গণতন্ত্রের প্রতি সজাগ দৃষ্টি
আঙ্কারার সমাবেশে একটি ব্যানারে লেখা, ‘‘আমরা গণতন্ত্রের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রেখে চলেছি৷’’ এক বছর আগে এর্দোয়ান সমর্থকদের বিশাল জমায়েতের দিকে ইঙ্গিত করেই লেখা হয়েছে বাক্যটি৷ এর্দোয়ান সমর্থকরা মনে করেন, দেশান্তরী ইসলামি নেতা ফেতুল্লাহ গুলেন এখনো অভ্যুত্থানের পাঁয়তারা করছেন৷ এক বছর আগের কথিত অভ্যুত্থান প্রয়াসের জন্য গুলেন এবং তাঁর সমর্থকদেরই দায়ী করে এর্দোয়ান সরকার৷
ছবি: DW/D. Cupolo
‘শুদ্ধি অভিযান’
অভ্যুত্থান চেষ্টার পর থেকেই তুরস্কে চলছে ব্যাপক ধরপাকড় এবং গণছাঁটাই৷ গত এক বছরে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষকে কারাবন্দি এবং দেড় লাখের মতো মানুষকে চাকরিচ্যুত করেছে এর্দোয়ান সরকার৷ ‘গুলেন সমর্থক’ হিসেবে চিহ্নিত করে চালানো হচ্ছে এই গ্রেপ্তার ও ছাঁটাইয়ের অভিযান৷ বলা হচ্ছে, গণতন্ত্রকে দীর্ঘজীবী করার জন্য এই ‘শুদ্ধি অভিযান’ দরকার৷
ছবি: DW/D. Cupolo
লাগাতার জরুরি অবস্থা এবং শঙ্কা
২০১৬ সালের ১৫ জুলাইয়ের সেই অভ্যুত্থান-চেষ্টা ব্যর্থ হবার পর থেকেই চলছে জরুরি অবস্থা৷ শনিবারে সমাবেশে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তরুণ বলছিলেন, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন, কেননা, এখন সৈন্যদের যা খুশি তা-ই করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে৷ আমি মনে করি, জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে যদি কোনো গণভোট হতো, তাহলে অধিকাংশ নাগরিকই মেয়াদ বাড়ানোর বিপক্ষে ভোট দিতো৷ ’’
ছবি: DW/D. Cupolo
‘জনগণ আপনার সাথে আছে’
সমাবেশে যোগ দেয়া এক এর্দোয়ান সমর্থকের হাতের ব্যানারে লেখা, ‘‘শক্ত থাকুন, জনগণ আপনার সঙ্গে আছে৷’’
ছবি: DW/D. Cupolo
‘আমরা অনেক অধিকার হারিয়েছি’
তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের শহর সিরমাকের মানবাধিকার আইনজীবী সেয়মা উর্পার৷ এর্দোয়ান-বিরোধী এবং সমালোচকদের দুরবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘অভ্যুত্থানের পর আমার পৌরসভার প্রায় সব কর্মীকেই ছাঁটাই করা হয়৷মেয়রের জায়গায় কাজ চালাচ্ছে সরকার নিযুক্ত ট্রাস্টি৷ আমরা অনেক অধিকার হারিয়েছি৷ আমার পক্ষে কাজ করা দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে৷’’
ছবি: DW/D. Cupolo
‘আমাদের দেশ যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী’
এরল কানমাজ এর্দোয়ান সমর্থক৷ অভ্যুত্থান চেষ্টার সময় প্রতিরোধ গড়তে গিয়ে তাঁর এক সন্তান সেনাবাহিনীর গুলিতে আহত হয়৷ এর্দোয়ানের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি বলছিলেন, ‘‘আজ রাতে এখানে এসেছি আমার জন্মভূমিকে রক্ষা করতে৷ গুলেনপন্থি বিশ্বাসঘাতকরা সেনাবাহিনীকে দ্বিধাগ্রস্থ করতে চেয়েছিল৷ কিন্তু এখন আমাদের দেশ অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী৷’’
ছবি: DW/D. Cupolo
‘প্রাণ দিতে বললে প্রাণ দেবো’
সুরেয়া কালায়াচি নামের এক এর্দোয়ান সমর্থকের (বাম দিকে) টি-শার্টে লেখা, ‘‘একটা ডাকই যথেষ্ট৷ ডাকুন আমাদের, আমরা চলে আসবো৷ মৃত্যু বরণ করতে বলুন, আমরা মৃত্যুকে বরণ করে নেবো৷’’
ছবি: DW/Diego Cupolo
‘আমরা অটোমানদের নাতি-নাতনি’
এর্দোয়ানের আরেক ভক্ত তুলে ধরেছেন, ‘আমরা অটোমানদের নাতি-নাতনি’ লেখা ব্যানার৷
ছবি: DW/D. Cupolo
10 ছবি1 | 10
সর্বাধুনিক গ্রেপ্তারিগুলি ঘটে গত সপ্তাহের শেষে, যখন দু'জন জার্মান নাগরিককে দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের আন্টালিয়া বিমানবন্দরে আটক করা হয়৷ ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল, বলে সন্দেহ করা হচ্ছে – বলে জানিয়েছে তুরস্কের দোগান সংবাদ সংস্থা৷
গ্রেপ্তারকৃত দু'জন ব্যক্তি তুর্কি নাগরিক, বলে জানিয়েছেন আংকারা সরকার; কিন্তু শুক্রবার জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে যে. সংশ্লিষ্ট দু'জনের শুধু জার্মান পাসপোর্ট ছিল, বলে বার্লিনের বিশ্বাস৷
চাভুসোগলুর মন্তব্যের আগের দিন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম ঐ দু'জন জার্মান নাগরিকের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে জার্মান বিধায়কদের তাদের ‘‘নিজের চরকায় তেল'' দিতে বলেন৷
জার্মানি তুরস্কের ইইউ সদস্যতা সংক্রান্ত আলাপ-আলোচনা বাতিল করতে প্রস্তুত
গত বছরের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থান ও তার ফলশ্রুতি হিসেবে সম্ভাব্য রাজনৈতিক ভিন্নমত পোষণকারীদের বিরুদ্ধে তুর্কি সরকারের দমন অভিযান যাবৎ বার্লিন ও আংকারার মধ্যে সম্পর্কে গুরুতর অবনতি ঘটেছে৷ জার্মান ‘ডি ভেল্ট' পত্রিকার ইস্তানবুল সংবাদদাতা ডেনিজ ইউচেল ও জার্মান মানবাধিকার আন্দোলনকারী পেটার স্টয়েডনার-এর গ্রেপ্তারের পর পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে৷
রবিবার সন্ধ্যায় চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও এসপিডি দলের চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী মার্টিন শুলৎসের মধ্যে টেলিভিশন বিতর্কে ম্যার্কেল ঘোষণা করেন যে, তিনি তুরস্কের ইইউ সদস্যতা সংক্রান্ত আলাপ-আলোচনা বাতিল করার জন্য সচেষ্ট হবেন৷ তুরস্ক কখনো ইইউ-তে যোগ দেবে ও তা কোনোদিন ঘটবে বলে তিনি মনে করেন না – ম্যার্কেল যোগ করেন৷
গত সপ্তাহে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গাব্রিয়েলকে বলতে শোনা যায় যে, তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান যতদিন তুরস্কের নেতৃপদে রয়েছেন, ততদিন তুরস্কের ইইউ-তে যোগদানের কোনো প্রশ্ন ওঠে না৷
‘‘এর্দোয়ান সরকারের নেতৃত্বাধীন তুরস্ক কোনোদিন ইইউ-তে যোগদান সংক্রান্ত আন্তরিক আলাপ-আলোচনা চালাতে পারবে না, কেননা উনি তুরস্ককে ইউরোপ থেকে আরো দূরে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন'', গাব্রিয়েল জার্মান জেডডিএফ টেলিভিশনকে বলেন৷ ‘‘কিন্তু উনি জার্মানি ও তুরস্কের তুর্কিদেরএই ধারণা দিতে চান যে, আমরাই সম্পর্ক ভেঙে দিচ্ছি'', গাব্রিয়েল মন্তব্য করেন৷
সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহে জার্মানি তুরস্কের প্রতি তার মনোভাব আরো কড়া করেছে৷ গত জুলাই মাসে গাব্রিয়েল জার্মান সরকারের তরফ থেকে তুরস্ক ও এর্দোয়ান সরকারের বিরুদ্ধে এ যাবৎ সবচেয়ে কড়া বিবৃতি দেন৷ তুরস্কের প্রতি জার্মানির নীতির ‘‘পুনর্বিন্যাস''-এর অঙ্গ হিসেবে গাব্রিয়েল জার্মান নাগরিকদের তুরস্ক যাত্রার সময় অতীব সাবধান থাকার পরামর্শ দেন ও জার্মান কোম্পানিদের তুরস্কে বিনিয়োগ বা ব্যবসা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন৷
এসি/ডিজি
এর্দোয়ানের পক্ষে, বিপক্ষে যারা
ক্ষমতা বাড়ানোর গণভোটে জয়ের পর এর্দোয়ানকে নিয়ে আলোচনা চলছে গোটা বিশ্বেই৷ সংখ্যাগরিষ্ঠ তুর্কি তাঁর ক্ষমতা বাড়ানোর পক্ষে রায় দিয়েছেন, তবে বিপক্ষেও আছেন অনেক মানুষ৷ রবিবারের সেই গণভোটের পর বিক্ষোভ হয়েছে ইস্তানবুলে৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/E. Gurel
প্রতিবাদ, গ্রেপ্তার
রবিবারের গণভোটের পর থেকে তুরস্কের ইস্তানবুলে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছিলেন রিচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ানের ক্ষমতা বাড়ানোর বিপক্ষে থাকা একদল প্রতিবাদকারী৷ শুরুতে পুলিশ তাদের বাধা না দিলেও বুধবারের খবর হচ্ছে, অন্তত ৩৮ বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ৷
ছবি: Reuters/K. Aslan
অল্প ব্যবধানে জয়
তুরস্ক সরকারের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, রবিবার ভোট দেওয়া তুর্কিদের মধ্যে ৫১ দশমিক চার শতাংশ ভোটর ‘হ্যাঁ’ ভোট দিয়েছেন৷ এই ভোট সেদেশের প্রেসিডেন্টের হাতে অভূতপূর্ব ক্ষমতা তুলে দেয়ার জন্য যথেষ্ট৷ বিক্ষোভকারীরা অবশ্য মনে করছেন, ভোটের জন্য প্রয়োজনীয় ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা হয়নি৷ ৬০ শতাংশ ভোট পুর্নগণনার দাবি জানিয়েছেন এর্দোয়ানের বিরোধী পক্ষ৷
ছবি: Reuters/K. Aslan
অভিনব প্রতিবাদ
ইস্তানবুলে প্রতিবাদকারীরা হাড়ি পাতিল হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন৷ তারা সেসব দিয়ে শব্দ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন৷ কেউ কেউ আবার এর্দোয়ানকে ‘চোর, খুনি’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন৷ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিক্ষোভের খবর ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/E. Gurel
ভিন্নচিত্র
তুরস্কের সামগ্রিক চিত্রটা অবশ্য ভিন্ন৷ এর্দোয়ানের ক্ষমতা বাড়ানোর পক্ষের মানুষরা তুরস্কের বিভিন্ন শহরে আনন্দ মিছিল করেছেন৷ অনেক নারীও তাঁকে ভোট দিয়েছেন৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/E. Gurel
এর্দোয়ানের জনপ্রিয়তায় কমতি নেই
একরোখা আচরণের জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এর্দোয়ান এক সমালোচিত চরিত্র হলেও নিজের দেশের জনগণের মধ্যে তাঁর সমর্থন তেমন একটা কমেনি বলেই মনে হচ্ছে৷ গতবছর তাঁর বিরুদ্ধে সেনা অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়েছিল কার্যত জনগণ প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ানের পাশে থাকায়৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/L. Pitarakis
‘ডিক্টেটর’ এর্দোয়ান?
গণভোটে জয়ের পর এর্দোয়ান কি ‘ডিক্টেটরদের’ মতো ব্যবহার শুরু করবেন? এটা সত্য যে, এর ফলে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা অনেক বেড়ে যাবে৷ তুরস্কের সংবিধানে পরিবর্তন আনার ইচ্ছা বহু আগেই প্রকাশ করেছিলেন তিনি৷ এখন সে পথ পরিষ্কার৷ তবে সিএনএনকে তিনি জানিয়েছেন, গণভোট তাঁকে ‘ডিক্টেটর’ বানাচ্ছে না৷ বরং নতুন ব্যবস্থা তাংর জন্যনয়, তুরস্কের মঙ্গলের জন্যই, বলেন এর্দোয়ান৷