আজও প্রাসাদ তৈরি হয়: ভিতরের খাঁচাটা হয়ত কংক্রিটের; বাইরেটা চুনাপাথরে মোড়া, সুন্দর খোদাই করা পাথরের থাম ও খিলান৷ যেমন ধরুন বার্লিনের সিটি প্যালেস৷
বিজ্ঞাপন
জার্মান মহানগরীর ‘নগর প্রসাদ’
04:31
বার্লিন প্রাসাদের তোরণের স্তম্ভগুলির পায়া থেকে শুরু করে বাকিটা তৈরি হয় স্যাক্সনির এক কারখানায়৷ সেখানে কাজ করেন ২০ জন পাথর কাটার মিস্ত্রি আর ভাস্কর৷ বার্লিন প্রাসাদের জন্য শত শত পাথরের ব্লক আনা হয়েছে৷
প্রাসাদটির সামনের দিকে কোন পাথর কোথায় বসবে, তা আগেই ঠিক করা আছে৷ সেজন্য দেওয়ালে প্রাসাদের ব্লুপ্রিন্ট ঝুলছে৷ কারিগররা তা থেকে বুঝতে পারবেন, তাদের কোঁদা বা খোদাই করা চুনাপাথরটি কোথায় বসবে ও কী রকম দেখতে হওয়া চাই৷
‘প্রজাতন্ত্রের প্রাসাদ’ ভেঙে ‘নগর প্রাসাদ’
‘পালাস্ট ডেয়ার রেপুবলিক’ ছিল পূর্ব জার্মানির ক্ষমতার কেন্দ্র, তথাকথিত ‘ফলক্সকামার’ বা গণপ্রতিনিধিদের কক্ষ৷দশ বছর আগে জার্মান সংসদ ভবনটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়৷
ছবি: picture alliance/akg-images
জিডিআর-এর ট্রেডমার্ক
প্রজাতন্ত্রের প্রাসাদ ছিল কমিউনিস্ট পূর্ব জার্মানির প্রেস্টিজ প্রোজেক্ট৷ তৈরি হতে প্রায় তিন বছর লাগে, উদ্বোধন হয় ১৯৭৬ সালের ২৩শে এপ্রিল তারিখে৷ বাড়ির বাইরেটা এক ধরনের সোনালি-বাদামি আয়নার কাচ দিয়ে ঢাকা৷ এখানে যে শুধু পূর্ব জার্মান সংসদের অধিবেশন বসতো, এমন নয় – রক কনসার্ট, থিয়েটার, ফ্যাশন শো, সব কিছু হয়েছে এখানে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বড়লোকি চাল
আলোঝলমলে পালাস্ট ডেয়ার রেপুবলিক-কে পূর্ব জার্মানির মানুষরা বলতেন, লোকদেখানো, বড়লোকি চাল৷ নয়তো এরিক-এর বাতির দোকান৷ এরিক বলতে কমিউনিস্ট এসইডি দলের তৎকালীন জেনারেল সেক্রেটারি এরিক হনেকার৷ প্রাসাদটি ব্যবহার করা হয় মাত্র ১৯৯০ সাল অবধি৷ সে-বছর পূর্ব জার্মানির প্রথম নিরপেক্ষভাবে নির্বাচিত সংসদ ভবনটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, প্রাসাদ নির্মাণে বিষাক্ত অ্যাজবেস্টস স্প্রে ব্যবহার করা হয়েছে বলে৷
ছবি: picture alliance/akg-images
প্রাসাদের চত্বর
দুই জার্মানির পুনর্মিলনের পর জার্মান বুন্ডেসটাগ একবার নয়, দু’বার নয়, তিন-তিনবার প্যালেসটি ভেঙে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে – ২০০২, ২০০৩ ও ২০০৬ সালে৷ তার জায়গায় বার্লিনের কেন্দ্রে একটি নতুন সাংস্কৃতিক ফোরাম তৈরি করার কথা ভাবা হচ্ছিল৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Eisele
ভাঙাগড়া
অ্যাজবেস্টস পরিষ্কার করা খুব সহজ নয়৷ কাজেই বাড়িটা ভাঙতেও দেরি হয়েছে৷ গোড়ায় ২০০৭ সালের মধ্যেই তা ভেঙে ফেলার কথা ছিল, কিন্তু সে সময়সীমা বজায় রাখা সম্ভব হয়নি৷ শেষমেষ সেই বাড়ি ভাঙায় খরচা হয়েছে এক কোটি ইউরোর বেশি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Pilick
খোলনলচে
১৯৯০ সালে ভবনটি বন্ধ করে দেবার পর, সেটির ভিতর থেকে সব কিছু সরিয়ে নেওয়া হয়, যা-তে শুধু বাইরের খোলটাই পড়ে থাকে৷ ২০০৬ সালের বসন্তে বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হয়৷ সব মিলিয়ে মোট ৫০০ টন কাচ, দু’হাজার টন ইস্পাত ও ৫৬ হাজার টন কংক্রিট সরাতে হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/S. Gallup
ধাপে ধাপে
ভবনটা তৈরি করতে সময় লেগেছিল ৩২ মাস৷ সেটাকে ভেঙে ইট-কাঠ-পাথর সব সরাতে সময় লেগেছে তার চেয়ে বেশি – সে কাজ শেষ হয় ২০০৮ সালে৷ তারপর প্রাসাদের কংক্রিটের ভিত্তিটা এক লক্ষ ঘনমিটার বালি দিয়ে ভরাতে হয়৷ নয়ত রাস্তার অপর পারে বার্লিন ক্যাথিড্রাল ধসে যেতে পারত৷
ছবি: Getty Images/AFP/B. Sax
বিতর্কিত বিষয়
বার্লিনের ঐতিহাসিক ‘স্টাটশ্লস’ বা সিটি প্যালেস খাড়া ছিল ঠিক এই পালাস্ট ডেয়ার রেপুবলিকের জায়গায় – ১৪৪৩ সাল থেকে ১৯৫০ সাল অবধি৷ প্যালেস ভেঙে ‘স্টাটশ্লস’ করা নিয়ে বহুদিন বিতর্ক চলেছে৷ কেন তা করা হবে? এভাবে কি জার্মানি তার নিজের ইতিহাসের একটা অধ্যায় মুছে দেবার চেষ্টা করছে না?
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Burgi
‘হুমবোল্ট-বক্স’
পালাস্ট ডেয়ার রেপুবলিক ভেঙে ফেলার পর জায়গাটায় ঘাস বোনা হয় ও গাছপালা লাগানো হয়৷ ২০১১ সালে আসে হামবোল্ট বক্স নামধারী এই সাময়িক কাঠামোটি, যেখানে সিটি প্যালেস ও হামবোল্ট ফোরাম সম্পর্কে নানা তথ্য জানতে পাওয়া যাবে৷ মডেল ও ইন্টারঅ্যাকটিভ প্রদর্শনীর মাধ্যমে এলাকাটির চূড়ান্ত রূপ কী হবে, দর্শকরা সে বিষয়ে জানতে পারবেন৷
ছবি: picture-alliance/D. Kalker
নতুন প্রাসাদ
আপাতত দেখতে পাওয়া যাবে বার্লিন সিটি প্যালেসের কংক্রিটের ধাঁচা, তার বেশি কিছু নয়৷ তা-তেই ইতিমধ্যে কেন্দ্রের খরচা পড়েছে ৫৯ কোটি ইউরো৷ প্রাসাদের ব্যারোক শৈলীর সম্মুখভাগ তৈরিতে খরচ পড়বে আট কোটি ইউরো, যার সবটাই নাকি আসবে দান থেকে৷ ২০১৯ সাল থেকে হামবোল্ট ফোরাম এখানে বিভিন্ন প্রদর্শনী, নাট্যাভিনয় ও আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Zinken
9 ছবি1 | 9
কারখানা থেকে সাইটে
অকুস্থলে বার্লিন সিটি প্যালেস তৈরির কাজ চলেছে৷ শুব্যার্ট কোম্পানি থেকে আনা পাথরগুলো এখানে প্রাসাদের গায়ে বসানো হচ্ছে৷ একটি পাথরের ওজন প্রায় এক টন, দাম দু'হাজার ইউরো৷ কারিগররা প্রতিদিন ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের পাথর বসান৷ প্রাসাদভবনের কাঠামো হচ্ছে কংক্রিটের, তার ওপর বসছে চুনাপাথরের স্ল্যাব আর টালি৷ কাজ শেষ হবার কথা ২০১৮ সালে৷ শুব্যার্ট কারখানার লোকজন ওয়েবক্যাম দিয়ে প্রাসাদের কাজ দেখছেন৷ কম্পিউটারের সাহায্যে তারা কোন কোন পাথর এখনও বসানো বাকি আছে, তা দেখছেন৷
মূল পাথরটির নিখুঁত ত্রিমাত্রিক কপি বানায় এক কম্পিউটার৷ রোবট সব মাপজোক পায় কম্পিউটার থেকে৷ তিন দিনের মধ্যে পাথরটিকে ঘষে-মেজে তৈরি করে দেবে রোবট – পাথর কাটার কারিগরদের যা করতে দু'সপ্তাহ সময় লেগে যেত৷
ওরা একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ নিয়ে ব্যস্ত৷ বার্লিন প্রাসাদের জন্য মোটা দাগের মিলিং করে কাটা দেবদূতের পাখনাগুলো তৈরি করেছে রোবট৷ কিন্তু তার শিল্পীসুলভ, নান্দনিক খুঁটিনাটিগুলো এখনও ভাস্কর রাল্ফ ক্নি-র হাতে৷ এ কাজে তাঁর এক সপ্তাহ সময় লাগবে৷ বার বার মূলের সঙ্গে নকলটাকে মিলিয়ে দেখতে হবে৷
মূল তোরণের ক্যাপিটাল বা স্তম্ভশীর্ষগুলি সবে শেষ হয়েছে৷ স্ভেন শুব্যার্ট-এর কারখানার কর্মীরা গত দু'বছর ধরে বারোক শৈলীর এই তোরণটির কাজ করছেন৷ ২০১৮ সালে তা বার্লিন প্রাসাদে লাগানো হবে৷ এত বড়ো একটা কাজ জীবনে একবারই পাওয়া যায়, স্ভেন সে কথা ভালো করেই জানেন৷
ইউরোপের সবচেয়ে সুন্দর দশটি প্রাসাদ
প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক ইউরোপের দুর্গ ও প্রাসাদগুলি দেখতে আসেন৷ তাদের অপরূপ স্থাপত্য এই সুপ্রাচীন মহাদেশের সুদীর্ঘ ইতিহাসের সুন্দরতম অভিব্যক্তি৷ যদিও আজ আর কে রাজপ্রাসাদে বাস করার স্বপ্ন দেখতে পারে!
ছবি: picture-alliance/ZB/W. Thieme
ফ্রান্সের ভার্সাই প্রাসাদ
প্যারিসের কাছে অবস্থিত ভার্সাই প্রাসাদে কক্ষের সংখ্যা মোট এক হাজার আটশো! ইউরোপের বৃহত্তম প্রাসাদগুলির মধ্যে গণ্য এই সুবিশাল প্রাসাদ ও উদ্যান নির্মিত হয় ১৬৭৭ সালে৷ ফরাসি নৃপতি চতুর্দশ লুই নিজের বাসভবন হিসেবে প্রাসাদটি তৈরি করান৷ পরে ইউরোপের অপরাপর শাসক তাঁদের নিজস্ব ‘ভার্সাই’ তৈরি করার চেষ্টা করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/ZB/A. Engelhardt
রাশিয়ার পেটারহোফ প্রাসাদ
সেন্ট পিটার্সবার্গের পশ্চিমে, ফিনল্যান্ড উপসাগরের কূলে অবস্থিত প্রাসাদটি ‘রুশ ভার্সাই’ নামেও পরিচিত৷ জার পিটার দ্য গ্রেট ১৭২৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রাসাদটির উদ্বোধন করেন – তাঁর গ্রীষ্মকালীন বাসস্থান হিসেবে৷ প্রাসাদটির অন্যতম আকর্ষণ হল গ্র্যান্ড ক্যাসকেড কিংবা স্যামসন ফাউন্টেন-এর মতো ফোয়ারা৷
ছবি: picture-alliance/ZB/A. Engelhardt
তুরস্কের টপকাপি প্রাসাদ
ইস্তানবুলের টপকাপি প্রাসাদ ছিল পঞ্চদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি তুর্কি সম্রাটের বাসভবন৷ প্রাসাদের চারটি মুখ্য চত্বর এবং অন্যান্য ছোটখাটো ভবন আছে, যেখানে প্রাসাদের প্রায় পাঁচ হাজার কর্মী বসবাস ও কাজ করতেন৷
ছবি: picture-alliance/ZB/B. Settnik
ব্রিটেনের উইন্ডসর ক্যাসল
যেখানে মানুষজন বাস করে, এবং সবচেয়ে বেশিদিন ধরে বাস করে আসছে, এমন সব প্রাসাদ-দুর্গগুলির মধ্যে ইউরোপের বৃহত্তম ক্যাসল হল উইন্ডসর৷ প্রথম হেনরি-র আমল থেকে ইংল্যান্ডের রাজপরিবার এখানে বাস করে আসছে৷ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয় ১০৭৮ সালে৷ পরে এই ক্যাসল সেনা ছাউনি এবং কারাগার হিসেবেও ব্যবহৃত হয়েছে৷ আজ এই উইন্ডসর ক্যাসল ইংল্যান্ডের রানির মূল বাসভবন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/U. Gerig
অস্ট্রিয়ার শ্যোনব্রুন প্রাসাদ
প্রায় ৩০০ বছর আগের কথা৷ অস্ট্রো-হাঙ্গেরীয় সাম্রাজ্যের সম্রাজ্ঞী মারিয়া টেরেজা ভিয়েনার শ্যোনব্রুন প্রাসাদ-কে ইউরোপের রাজকীয় ঐতিহ্যের কেন্দ্রবিন্দু করে তোলেন৷ প্রতিবছর পঁচিশ লক্ষের বেশি টুরিস্ট আসেন এই শ্যোনব্রুন প্রাসাদ দেখতে৷
ছবি: picture-alliance/ZB/W. Grubitzsch
স্পেনের এল এস্কোরিয়াল
মাদ্রিদের কাছে এল এস্কোরিয়াল নামধারী প্রাসাদটি দৈর্ঘ্যে ২০৭ মিটার এবং প্রস্থে ১৬১ মিটার৷ বিশ্বের বৃহত্তম রেনেসাঁস স্থাপত্য হল এল এস্কোরিয়াল৷ স্পেনীয়রা বলেন, বিশ্বের অষ্টম আশ্চর্য৷ স্পেনের অধিকাংশ নৃপতির মরদেহ রাখা রয়েছে শ্বেতপাথরের ২৬টি কবর বিশিষ্ট একটি সমাধিগৃহে৷
ছবি: picture alliance/Prisma Archivo
চেক প্রজাতন্ত্রের লুবোকা প্রাসাদদুর্গ
বোহেমিয়ার শোয়ারৎসেনবার্গের নৃপতিদের সাবেক বাসভবনটি আজ চেক প্রজাতন্ত্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রাসাদগুলির মধ্যে পড়ে৷ এখানে সপ্তদশ শতাব্দীর ওয়ালপেপার-এর যে সংগ্রহ আছে, তা সত্যিই দর্শনীয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/W. Matheisl
জার্মানির নয়শোয়ানস্টাইন ক্যাসল
বাভারিয়ার রাজা দ্বিতীয় লুডভিশ-এর স্বপ্ন ছিল, মধ্যযুগীয় নাইট-দের মতো তাঁর একটি দুর্গ থাকবে – তা যদি সে দুর্গ তৈরি করতে হয়, তাও সই৷ যেমন কথা, তেমনি কাজ: লুডভিশ টুরিঙ্গিয়ার ভার্টবুর্গ প্রাসাদ-দুর্গের কায়দায় নয়শোয়ানস্টাইন তৈরি করালেন – যদিও সে দুর্গ সমাপ্ত হতে হতে ১৮৮৬ সাল হয়ে যায়৷ রাজা লুডভিশ-এর রূপকথার ক্যাসল আজ বাভারিয়ার একটি টুরিস্ট ম্যাগনেট৷
ছবি: picture-alliance/ZB/F. Baumgart
ইটালিতে ‘দোজে’-র প্রাসাদ
ভেনিস-এর সাবেক প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আধিকারিক ছিলেন ‘দোজে’ বা ডিউক৷ সান মার্কো চত্বরে তাঁর প্রাসাদটি ছিল একাধারে বাসভবন তথা নৌ- এবং বাণিজ্যশক্তি হিসেবে ভেনিসের প্রতিপত্তির প্রতীক৷ ভেনেশিয়ান গথিক শৈলীর প্রাসাদটি বারংবার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বারংবার তা সারানো হয়েছে৷ প্রাসাদটি আজ একটি মিউজিয়াম৷
ছবি: picture-alliance/dpa/dpaweb/M. Schrader
পর্তুগালের পেনা জাতীয় প্রাসাদ
রোম্যান্টিসিজমের আমলের এই প্রাসাদটিতে নানা ধরনের স্থাপত্যশৈলীর খেয়ালি সংমিশ্রণ৷ অনেকের তা দেখে ডিজনিল্যান্ডের কথা মনে পড়ে যায়৷ টুরিস্টরা কিন্তু সিন্ত্রা শহরের এই প্রাসাদটির প্রেমে পড়ে আছেন! চতুর্দশ শতাব্দি থেকেই পেনা প্রাসাদটি পর্তুগালের রাজপরিবারের গ্রীষ্মকালীন বাসভবন হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে আসছে৷