1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বার্লিনের কাছেই গিগা ফ্যাক্টরি খুললো টেসলা

২৩ মার্চ ২০২২

মহামারি ও যুদ্ধের দামামার মাঝে জার্মানিতে ইউরোপের সবচেয়ে বড় ইলেকট্রিক গাড়ির কারখানা খুললো টেসলা কোম্পানি৷ কর্মসংস্থান ও শিল্পোন্নয়নের ধ্বজা সত্ত্বেও পরিবেশের ক্ষতি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করছে এই প্রকল্প৷

ওলাফ শলৎস ও ইলন মাস্ক
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে ইলন মাস্কছবি: Patrick Pleul/dpa/picture alliance

জার্মানির রাজধানী বার্লিনের নতুন বিমানবন্দর তৈরি করতে প্রায় ১৪ বছর সময় লেগেছিল৷ লাল ফিতের ফাঁস ও দক্ষতার অভাবের সেই অপবাদ ঘুঁচিয়ে মাত্র দুই বছরের মধ্যে বার্লিনের কাছেই কারখানা গড়ে তুললো ইলন মাস্কের ইলেকট্রিক গাড়ি কোম্পানি টেসলা৷ ইউরোপে কোম্পানির সবচেয়ে বড় ‘গিগাফ্যাক্টরি’ নির্মাণের এই সাফল্য জার্মানির অনুন্নত পূর্বাঞ্চলে আরও বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

শিল্পপতি হিসেবে ইলন মাস্কের খামখেয়ালিপনা ও বিতর্কিত আচরণ কারো অজানা নয়৷ সম্প্রতি তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনকে সরাসরি লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে টুইট করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন৷ বড় ঝুঁকি নিতেও পিছপা হন না মানুষটি৷ তাই বার্লিনের কাছে জার্মানির ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্যে গ্র্যুনহাইডে এলাকায় টেসলা গাড়ির কারখানা গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি এমনকি সরকারি ছাড়পত্রের জন্য অপেক্ষা না করেই জমির উপর কারখানা নির্মাণের কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন৷

ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্য সরকারও আইনি সীমার মধ্যে তাঁর যথেষ্ট সহায়তা করেছিল৷ সেই অভিনব সহযোগিতার ফলে রেকর্ড দুই বছরের মধ্যে কারখানা গড়ে ৩০টি টেসলা গাড়ি উৎপাদন করে দেখালো ইলন মাস্কের কোম্পানি৷ আরও আট মাস আগে উৎপাদন শুরুর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেও অবশ্য বাস্তবে তা সম্ভব হয় নি৷ যাই হোক মঙ্গলবার যথেষ্ট আড়ম্বরের সঙ্গে সেই ‘মেড ইন জার্মানি’ গাড়িগুলি মালিক ও তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দিলেন স্বয়ং মাস্ক৷ জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ও ভাইস চ্যান্সেলর রোব্যার্ট হাবেকের উপস্থিতিতে নেচে-গেয়ে, মস্করা করে তিনি কারখানার উদ্বোধন অনুষ্ঠান মাতিয়ে রাখলেন৷ জার্মান ভাষায় লেখা এক টুইট বার্তায় তিনি জার্মানিকে তিনি ধন্যবাদ জানান৷

চ্যান্সেলর শলৎস জার্মানির পূর্বাঞ্চলে এমন বিশাল বিনিয়োগের সাফল্যে গভীর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন৷ তিনি এই কারখানাকে গাড়ি শিল্পের ভবিষ্যৎ দিশা হিসেবে তুলে ধরেন৷ বিশেষ করে প্রায় ১২,০০০ মানুষের কর্মসংস্থানের প্রেক্ষিতে ফেডারেল ও রাজ্য সরকার অত্যন্ত সন্তুষ্ট৷ এখনো পর্যন্ত প্রায় ৩,৫০০ কর্মী কারখানায় কাজ শুরু করেছেন৷ পূর্ণ ক্ষমতা অর্জিত হলে বছরে পাঁচ লাখ টেসলা গাড়ি উৎপাদিত হবার কথা৷ ২০২৫ সালের মধ্যে সেটা সম্ভব হবে বলে জেপি মর্গান কোম্পানি পূর্বাভাস দিচ্ছে৷

জার্মানিতে টেসলা কোম্পানির এই প্রকল্পকে ঘিরে বিতর্কও কম নেই৷ বিশেষ করে পরিবেশের উপর কারখানার দীর্ঘমেয়াদী কুপ্রভাব নিয়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলে আসছে৷ গাড়ি ও ব্যাটারি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় বিশাল পরিমাণ পানির সরবরাহের ফলে ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্যের শুষ্ক পরিবেশের উপর আরও চাপ বাড়বে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা করছেন৷ ফলে ভবিষ্যতধর্মী ব্যাটারিচালিত এই গাড়ির জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানির প্রয়োজন না হলেও সেটি নির্মাণের সময়ে পরিবেশের ক্ষতি নিয়ে বিতর্ক দূর হচ্ছে না৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এপি)

গত জুনের ছবিঘরটি দেখুন... 

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ