করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বার্লিনে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে৷ সংক্রমণের বিস্তার রোধে রাজধানীর বার, রেস্তোরাঁ, দোকান এবং সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন সীমিত আকারে করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
বার, রেস্তোঁরা, স্থানীয় দোকান এবং অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাত ১১ টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে৷ এই নিষেধাজ্ঞা ১০ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে৷ মঙ্গলবার বার্লিনের সেনেট এ ঘোষণা দেয়৷ নিষেধাজ্ঞা চলার সময়ে ব্যক্তিগত আয়োজনে অন্য পরিবার থেকে সর্বোচ্চ পাঁচজন অংশ নিতে পারবে এবং রাতের বেলায় কোনো পার্কে সমবেত হওয়া যাবে না বলেও ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়েছে৷
সীমিত আকারের অনুষ্ঠানেও আগে যেখানে ২৫ জন অংশ নিতে পারতো, এখন একসাথে ১০জন থাকতে পারবেন৷
বার্লিনে করোনা সংক্রমণ বাড়ার বিষয়ে বাভারিয়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মার্কুস স্যোয়ডার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘বার্লিন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছে বলে আমি আশঙ্কা করছি৷ আমরা জার্মানিতে মাদ্রিদ বা প্যারিসের মতো পরিস্থিতি দেখতে চাই না৷’’
কেট মার্টির/এনএস
১৫ সেপ্টেম্বরের ছবিঘরটি দেখুন...
বার্লিনে করোনার ঝুঁকি দূরে রেখে আলোর উৎসব
প্রতি বছরের মতো এবারও বার্লিনে শুরু হয়েছে ‘ফেস্টিভ্যাল অফ লাইটস’৷ করোনা সংকট এই উৎসবে যোগ করেছে কিছু ভিন্নতা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Zinken
ব্রান্ডেনবুর্গ গেট
১৫ বছর পেরিয়ে এ বছর বার্লিনের ‘ফেস্টিভ্যাল অফ লাইটস’ পা দিলো ১৬ বছরে৷ এই উৎসবের মূলে থাকে শহরের সব গুরুত্বপূর্ণ স্থান৷ এৱ মধ্যে অবশ্যই রয়েছে বিখ্যাত ব্রান্ডেনবুর্গ গেট৷ আলো দেখতে আসা মানুষের ভিড় বেড়ে গেলে কিছুক্ষণের জন্য আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়, যাতে ভিড় কম হয়৷
ছবি: picture-alliance/Xinhua News Agency/S. Yuqi
জাদুঘরের সমাহার যেখানে...
জার্মানির সবচেয়ে উঁচু স্থাপত্য বার্লিনের এই টিভি টাওয়ার৷ আলোর উৎসব থেকে বাদ পড়েনি এটিও৷ বেশ কিছু জাদুঘর রয়েছে শহরের ‘মিউজিয়াম আইল্যান্ড’ অঞ্চলে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সচেতনতা প্রকল্পের আওতায় এবার টিভি টাওয়ারসহ বেশ কিছু স্থাপত্যের গায়ে জ্বলবে কমলা আলো৷ এই আলো বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্তদের প্রতি সহমর্মিতার প্রতীক৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Chr. Gateau
বার্লিন ক্যাথিড্রাল
মিউজিয়াম আইল্যান্ডের অদূরে বার্লিন ক্যাথিড্রাল৷ বেশ কিছুদিন ধরে সংস্কার কাজ চলছিল সেখানে৷ সেখানেও চলছে আলোর উৎসব৷
ছবি: picture-alliance/Xinhua News Agency/S. Yuqi
বেবেলপ্লাৎজ
ঐতিহ্যবাহী বেবেলপ্লাৎজে হাঁটলে মনে হবে যেন কোনো অসাধারণ শিল্পকর্মের মাঝখানে হেঁটে বেড়াচ্ছেন৷ এবারের উৎসবের ‘একসাথে জ্বলবো আমরা’ স্লোগানের সঙ্গে মিল রেখে সেজে উঠেছে বেবেলপ্লাৎজের হুমবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়, স্টেট অপেরা ও বিখ্যাত হোটেল ডে রোম৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Chr. Gateau
অপেরা
জার্মানি-ইসরায়েল সম্পর্কের ৫৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ইসরায়েল দূতাবাসের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে আলোকিত করা হয়েছে বার্লিন স্টেট অপেরাকে৷
ছবি: picture-alliance/Xinhua News Agency/S. Yuqi
হোটেল ডে রোম
উনিশ শতকের শেষের দিকে তৈরি হওয়া এই বাড়িটি যাত্রা শুরু করে ড্রেসডেনার ব্যাংকের কেন্দ্রীয় কার্যালয় হিসাবে৷ পরে ২০০৬ থেকে এটি অবশ্য হোটেল৷ এর মূল আকর্ষণ ছাদ থেকে পাওয়া বার্লিনের অসামান্য চিত্র, যা এই আলোর উৎসবের সময়ে পর্যটকদের নজর কাড়ছে৷
ছবি: picture-alliance/Xinhua News Agency/S. Yuqi
হুমবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ
বেবেলপ্লাৎজের অন্যতম অংশ হুমবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ ভবন৷ আঠারো শতাব্দীতে এই বাড়িটি তৈরির নির্দেশ দেন প্রাশিয়ান রাজা ফ্রেডেরিক৷ ১৯৬৯ সালে হুমবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ ভবনের মর্যাদা পাবার আগ পর্যন্ত এটি ছিল পাঠাগার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Chr. Gateau
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও বাদ যায়নি
জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভবনটিও সেজেছে উৎসবের আলোয়৷ সহনশীলতা ও সামাজিক মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে এবারের আলোর ডিজাইন বেছে নিয়েছেন চিত্রশিল্পী কার্স্টেন জান্ডের৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Chr. Gateau
শার্লটেনবুর্গ প্রাসাদ
করোনা সংকটের মাঝে মানুষের ভিড় যাতে শহরের একটি অংশেই সীমিত না থাকে, তা নিশ্চিত করতে এই উৎসবকে শহরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷ শহরের কেন্দ্র থেকে একটু দূরের শার্লটেনবুর্গ প্রাসাদ ও বের্গগ্রুয়েন জাদুঘরের আলোর সাজ সেই উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Zinken
পটসডামার প্লাৎজ
প্রতি বছরের মতো এবারও আলোর উৎসবের প্রাণকেন্দ্র বার্লিনের পটসডামের প্লাৎজ৷ এবারের আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে বিশাল এক ‘লাভ সাইন’, যা অস্ট্রেলিয়ান শিল্পী জারা পাসফিল্ডের সৃষ্টি৷