নাইট ফ্র্যাংক কনসাল্টেন্সির নতুন রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৭ সালে বিশ্বের সব ক'টি বড় শহরের মধ্যে বার্লিনেই জমি বা বাড়িঘরের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি৷ এক্ষেত্রে বিশ্ব টপ টেনে আরো তিনটি জার্মান শহর রয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
নাইট ফ্র্যাংক প্রপার্টি কনসাল্টেন্সির ‘গ্লোবাল রেসিডেন্সিয়াল সিটিজ ইনডেক্স’ বা বিশ্বব্যাপী আবাসিক শহর এলাকার সূচক অনুযায়ী ২০১৭ সালে জার্মানির রাজধানীতে স্থাবর সম্পত্তি, অর্থাৎ জমি বা বাড়িঘরের গড় দাম বাড়ে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ, অর্থাৎ দ্বিতীয় স্থানাধিকারী তুরস্কের ইজমির শহরের চেয়ে প্রায় দুই শতাংশ বেশি৷
আরো তিনটি জার্মান শহর স্থাবর সম্পত্তির মূল্যবৃদ্ধির তালিকার প্রথম ১০টি স্থানের মধ্যে আছে৷ সপ্তম স্থানাধিকারী হামবুর্গে হাউজিং-এর দাম বেড়েছে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ; অষ্টম স্থানাধিকারী মিউনিখে সম্পত্তির দাম বেড়েছে ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ; দশম স্থানাধিকারী ফ্রাংকফুর্টে বাড়িঘরের দাম বেড়েছে ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ৷
বসবাসের জন্য সেরা ১০টি শহর
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এ বছর বসবাসযোগ্য সেরা শহরের যে তালিকা দিয়েছে, তার শীর্ষে রয়েছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Crock
ভিয়েনা
অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা বসবাসের জন্য সেরা শহরের তালিকায় রয়েছে শীর্ষে৷
ছবি: Fotolia/JFL Photography
মেলবোর্ন
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহর রয়েছে তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Crock
ওসাকা, জাপান
ওসাকা শহরটি আছে তিন নম্বরে৷
ছবি: Getty Images/T.Kitamura
ক্যালগেরি, ক্যানাডা
ক্যানাডার ক্যালগেরি শহরটি আছে চতুর্থ অবস্থানে৷
ছবি: Imago/M. Wheatley
সিডনি, অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি আছে পঞ্চম অবস্থানে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Ashen
ভ্যানকুভার, ক্যানাডা
ক্যানাডার ভ্যানকুভার শহরটি আছে ষষ্ঠ অবস্থানে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Makarewicz
টোকিও, জাপান
জাপানের রাজধানী টোকিওর অবস্থান ৭ নম্বরে৷
ছবি: picture-alliance/ZB/Peter Jaehnel
টরন্টো, ক্যানাডা
ক্যানাডার সবচেয়ে পরিচিত শহর টরন্টো তালিকার অষ্টম অবস্থানে রয়েছে৷
অথচ সারা বিশ্বে হাউজিং বা আবাসিক সম্পত্তির মৃল্যবৃদ্ধির হার কিন্তু ২০১৬ সালে সাত শতাংশ থেকে ২০১৭ সালে সাড়ে চার শতাংশে কমে এসেছে৷ ২০১৬ সালে বিশ্বের ১২টি শহরে সম্পত্তির মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ২০ শতাংশের বেশি, কিন্তু ২০১৭ সালে একমাত্র বার্লিনই ২০ শতাংশ অতিক্রম করতে সক্ষম হয়৷
বার্লিনের এই রমরমার কারণ হিসেবে নাইট ফ্র্যাংকের সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে, ‘‘অধিবাসীদের ব্যাপক সংখ্যাবৃদ্ধি, স্থিতিশীল অর্থনীতি, অতি নিম্ন বেকারত্বের হার এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ মিলে বাড়িঘরের দাম বাড়িয়ে চলেছে৷’’
বাড়ির দাম নিয়ে ফাটকা?
বস্তুত বিগত দু'দশক ধরে বার্লিনে বাড়িঘরের দাম জার্মানির অন্যান্য শহরের তুলনায় কমই ছিল৷ কিন্তু ২০০৪ সাল যাবৎ বার্লিনে বাড়িঘরের দাম বেড়েছে মোট ১২০ শতাংশ৷ অপরদিকে জার্মানির কেন্দ্রীয় ব্যাংক (‘বুন্ডেসবাংক’) গত ফেব্রুয়ারি মাসে আভাস দেয় যে, জার্মানির শহরগুলিতে বাড়িঘরের দাম ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ ফাঁপানো হয়ে থাকতে পারে – জার্মানির ক্ষেত্রে বাড়িঘরের দাম হয়ত বাস্তবিক মূল্যের চেয়ে ৩৫ শতাংশ বেশি চড়ে রয়েছে৷
বার্লিনের ক্যাফে সংস্কৃতি
হংকংয়ের গ্রাফিক শিল্পী চ্লে কা কেই ইয়াউ সম্প্রতি বার্লিনে এসেছিলেন৷ বার্লিনের বিভিন্ন ক্যাফেতে সময় কাটান তিনি৷ ছবিও আঁকেন৷ তাঁর সেই স্কেচ এখন বার্লিনের কফি হাউস খোঁজার বিশ্বস্ত গাইড৷
ছবি: Chloe Ka Kei Yau
ওরা, ক্রুৎসবার্গ
ওরানিয়েনপ্লাৎসের ‘ওরা’ বার্লিনের অন্যতম থিম ক্যাফে৷ আগে এই ক্যাফের জায়গায় একটি ওষুধের দোকান ছিল৷ পরবর্তীকালে ওষুধের দোকান ক্যাফেতে পরিণত হলেও, পুরনো অনেক জিনিসই রেখে দেওয়া হয়৷ পুরনো সিঙ্ক, ঘড়ি, ক্যাবিনেট সবই রেখে দেওয়া হয়েছে আগের মতো৷ কাঠের কাউন্টারে মোমবাতির আলোয় কফি অন্যরকম এক অনুভূতি তৈরি করে৷ ক্যাফের কর্মীরা বন্ধুত্বপূর্ণ৷ খাবারও ভালো৷
ছবি: Chloe Ka Kei Yau
কাফে কানেল, নয়-কোলন
বার্লিনের নয়-কোলন অঞ্চলে রয়েছে এই ক্যাফেটি৷ টেম্পলহফার ফেল্ডের কাছে৷ অর্থাৎ, পুরনো বিমানবন্দরের কাছে৷ কাফে কানেলে ঢুকলে সময়ের নিয়ম গুলিয়ে যায়৷ নানা ধরনের কফি এবং পেস্ট্রি পাওয়া যায় এখানে৷ সবচেয়ে বড় কথা, এই ক্যাফেতে ঢুকলে মনে হয় নিজের বাড়ি৷
ছবি: Chloe Ka Kei Yau
রোমার্স, নয়-কোলন
চলতি হাওয়ার পন্থি এই ক্যাফে কখনও বিমর্ষ করে না৷ লোকে বলে শহরের সেরা চায়ে লাতে পাওয়া যায় এখানে৷ সঙ্গে অসাধারণ দেখতে এবং খেতে কেক৷ বার্লিনে এলে অবশ্যই একবার এখানে ঢুঁ মারা উচিত৷ তবে দেরি করা যাবে না৷ দ্রুত এদের খাবার ফুরিয়ে যায়৷
ছবি: Chloe Ka Kei Yau
এফ৫, ক্রয়েৎসব্যার্গ
স্পেশালিটি কফি খেতে চাইলে এফ৫ সঠিক নির্বাচন৷ রোস্টেড কফি বিন এবং ওটের দুধ, অসাধারণ কম্বিনেশন৷ সবচেয়ে বড় কথা হলো, এককাপ কফি নিয়ে এখানে দীর্ঘক্ষণ কাটিয়ে দেওয়া যায়৷ চাইলে আড্ডা মারা যায় আশপাশের ক্রেতাদের সঙ্গেও৷
ছবি: Chloe Ka Kei Yau
হোমমেড, ফ্রিডরিশহাইন
সিমোন-ডাখ রাস্তার উপরেই ‘হোমমেড’ ক্যাফে৷ দুপুরবেলা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে ঘুরতে এক ঢুঁ মারা যায় এই ক্যাফেতে৷ রঙিন ডেকোরেশনের এই ক্যাফেতে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা যায়৷ বিশেষত, সপ্তাহান্তে এই ক্যাফের মজাই অন্যরকম৷ আড্ডা মারার আদর্শ জয়াগা৷
ছবি: Chloe Ka Kei Yau
ফ্রিডল, প্রেনৎসলাওয়ার ব্যার্গ
কফি নিয়ে যাঁদের পড়াশোনা আছে, তাঁদের অবশ্য গন্তব্য এই ক্যাফে৷ নানাবিধ কফির বিন পাওয়া যায় এখানে৷ সিঙ্গল অরিজিন, ডার্ক ব্লেন্ড, ডিক্যাফ কফির মতো ঐতিহ্যবাহী কফি বিনের সন্ধান পাওয়া যাবে এখানে৷ এছাড়াও এখানে পাওয়া যায় নানারকমের কুকি৷ চাইলে এখানে এসে ব্রাজিলিয়ান ক্যাপুচিনো খেয়ে দেখা যেতেই পারে৷
ছবি: Chloe Ka Kei Yau
পাকোলাট, প্রেনৎসলাওয়ার ব্যার্গ
ঐতিহ্যকে আধুনিক জীবনে ফিরিয়ে আনাই এই ক্যাফের বৈশিষ্ট্য৷ হাতে তৈরি বিনের কফি পাওয়া যায় এখানে৷ রয়েছে অ্যান্টিক কফি এবং চায়ের পাত্র৷ চা, কফির পাশাপাশি নানারকম হাতে তৈরি কেকও পাওয়া যায় এই ক্যাফেতে৷
ছবি: Chloe Ka Kei Yau
শ্নাইডেরাই , প্রেনৎসলাওয়ার ব্যার্গ
ছোট্ট দোকান৷ ভাবনা ছোট্ট নয়৷ রাস্তার এক কোণে এই ক্যাফেতে ঢুকলে মন ভরে যেতে বাধ্য৷ জানালার ধারে বসে কফিতে চুমুক দেওয়ার মজাই আলাদা৷
ছবি: Chloe Ka Kei Yau
8 ছবি1 | 8
বার্লিনে স্থাবর সম্পত্তির দাম কিন্তু এখনও তুলনামূলকভাবে কম, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক তুলনায়৷ কাজেই বিদেশি বিনিয়োগকারীরা পূর্বাপর বার্লিনে সম্পত্তি কিনতে আগ্রহী৷ স্থাবর সম্পত্তির বিশ্লেষকরাও পূর্বাপর ইউরোপে স্থাবর সম্পত্তি কেনার ‘টপ স্পট’-গুলির মধ্যে বার্লিনকে দেখিয়ে যাচ্ছেন৷ গত মার্চ মাসের সূচনায় মার্কিন বিলিওনেয়ার ওয়ারেন বাফেট বার্লিনে অভিজাত আবাসিক সম্পত্তি কেনার ব্যাপারে বার্লিনের রুবিনা রিয়্যাল এস্টেট কোম্পানির সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন৷
বহু বিদেশি বিনিয়োগকারী বার্লিনে আবাসিক বসতবাড়ি কিনছেন ও পর্যটকদের ফ্ল্যাট ভাড়া দিচ্ছেন, যার ফলে বার্লিনে ঘরবাড়ির বাজারের উপর আরো চাপ সৃষ্টি হয়েছে৷
বিধায়করা বাড়িঘরের দাম বাড়া নিয়ন্ত্রণের জন্য নানারকম পন্থা অবলম্বন করছেন৷ ২০১৬ সালে বার্লিনের সামাজিক গণতন্ত্রী প্রশাসন টুরিস্টদের বেআইনিভাবে ফ্ল্যাট ভাড়া দেওয়ার অপরাধে বাড়িওয়ালাদের এক লাখ ইউরো অবধি জরিমানার ব্যবস্থা করেন৷
গত জানুয়ারি মাসে বার্লিন সেনেটের নগর উন্নয়ন ও আবাসন বিভাগ জানায় যে, ঐ আইনের ফলে ২০১৭ সালে বার্লিনে ৮,০০ ফ্ল্যাট আবার স্থায়ী আবাসন হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়েছে৷ এছাড়া সে-বছর বাড়িওয়ালাদের ২৬ লাখ ইউরোর বেশি জরিমানা করা হয়েছে, বলে জানিয়েছে সরকারি আরবিবি টেলিভিশন কেন্দ্র৷
বার্লিনের জনসংখ্যা বর্তমানে ৩৫ লাখ, কিন্তু তা ২০৩০ সালের মধ্যে দশ শতাংশের বেশি বেড়ে ৪০ লাখে পৌঁছাবে, বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে৷ কাজেই বার্লিনে বাড়িঘরের বাজারের উপর চাপ সেই অনুপাতে বাড়বে বলেই ধরে নেওয়া যেতে পারে৷
ডাভিস ফ্যানঅপডর্প/এসি
বার্লিনের শীর্ষ ১০টি ‘রুফটপ বার’
ঋতু পরিবর্তন কারণেই বার্লিনের ছাদের ওপরে অবস্থিত বারগুলোয় যাওয়ার মোক্ষম সময় এখন৷ কারণ এখন, শীতের আগের শেষ কয়েকটি মনোরম সন্ধ্যা আর সূর্যাস্ত উপভোগ করার সময়৷ বার্লিনের সর্বকালের সেরা রুফটপ বারগুলি থেকে চলুন ঘুরে আসি৷
ছবি: Eesha Kheny
আমানো ছাদ বার
গ্রীষ্মকালের দেরির সূর্যাস্ত দেখতে অধীর আগ্রহে যাঁরা অপেক্ষা করেন, তাঁদের জন্য অন্যতম আকর্ষণ বার্লিনের একেবারে মাঝখানে অবস্থিত মদ্যপানের এই জায়গাটি৷ বেশ সাদাসিধে, কিন্তু আধুনিক সজ্জা আর সুস্বাদু ককটেলের জন্য এই বার বেশ জনপ্রিয়৷ বার্লিনের পূর্ব দিকটাতে ভালোমতো নজর রাখার পাশাপাশি আইকন টেলিভিশনের টাওয়ার দেখার জন্য এই ছাদ বারটি আদর্শ৷
ছবি: Hotel Amano
জো ছাদ বার
শহরের কেন্দ্রে হাকিশে মার্কেটের কাছাকাছি ছোট এক বুটিক হোটেল এটি৷ এই সময়ের ডিজাইনের এক বাড়ির ছাদে মূলত এই বার অবস্থিত৷ আধুনিক সমসাময়িক পরিবেশ, ডজনখানেরকের বেশি বৈচিত্র্যপূর্ণ জিনের সংগ্রহের কারণে গ্রীষ্মকালে এই বার বেশ জনপ্রিয়৷
ছবি: Jens Bösenberg
রুফটপ টেরাস
‘নজরকাড়া আবার একইসাথে ঐতিহাসিক’ – হোটেল ডি রোমের ছাদকে এর চেয়ে ভালো করে বোধহয় আর বর্ণনা করা যায় না৷ বার্লিন স্টেট অপেরা, সেন্ট হেডউইগ ক্যাথিড্রাল ও বেবেলপ্ল্যাৎসের অসাধারণ দৃশ্য – সাথে লাইভ সংগীত আর প্লেটে মজাদার বার্বিকিউ – সব মিলিয়ে বিলাসবহুল এক অভিজ্ঞতা৷ বার্লিন ক্যাথিড্রাল এবং টেলিভিশন টাওয়ারও এখানে থেকে দেখা যায়৷
ছবি: Hotel de Rome
বানর বার
জানলার ওপারেই চিড়িয়াখানা৷ আর সেদিকে তাকালেই দেখা যায় বানরের খাঁচাটি৷ তাই তো এই সুরাখানার নামকরণ করা হয়েছে ‘বানর বার’৷ এখানকার লাউঞ্জটি এক ধরনের ক্লাসিক ককটেলের অভিজ্ঞতা দেবে৷ হোটেল বিকিনি বার্লিনের দশম তলায় অবস্থিত এই বার থেকে শহরের পশ্চিমাংশের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য নজর কাড়ে৷ সেইসাথে পাশের নেনি রেস্তোরাঁর খাবারও বেশ জমিয়ে তোলে৷ তবে দর্শনার্থীদের জন্য কাঁচে ঘেরা বিশ্রামাগার – এখানকার অন্যতম আকর্ষণ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Pedersen
ওয়ান লাউঞ্জ
বার্লিনের জন্যপ্রিয় চত্বর কু-ডাম বা কুয়রফ্যুয়র্স্টেনডামে অবস্থিত হোটেল মোটেল ওয়ানের দশ তলায় এই বারটি৷ সব ধরনের আবহাওয়াতেই দারণ চলে এটি৷ ডিজাইনার হলেও আরামদায়ক, আলো দিয়ে সাজানো সুন্দর এক পরিবেশ৷ তার ওপর বিখ্যাত নানা ধরনের সিনেমার থিম নিয়ে চারিদিকে বড় বড় পোস্টার৷ শহরের হাইলাইটগুলোর মধ্যে কাইসার ভিলহেল্ম মেমোরিয়াল চার্চ, টিয়ারগার্টেন এবং বার্লিনের বিখ্যাত চিড়িয়াখানাটি এখান থেকে ভালো দেখা যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. C. Hurek
ডেক 5
পাম গাছ, সাদা ছাতা আর প্রচুর বালি দিয়ে সাজানো ‘ডেক ফাইভ’ নামের এই রেস্তোরাঁ৷ শহরের মধ্যে কেউ তড়িঘড়ি করে ছুটির পরিকল্পনা করলে এ জায়গাটা ঘুরে আসার জন্য দারুণ৷ প্রেন্সলাওয়ার ব্যার্গের অন্যতম শপিং সেন্টার শ্যোনহয়জার আলে আর্কাডেনে পার্কিং ডেকের সাত তালায় এই রেস্টুরেন্ট৷ এই সৈকত বারে এক ধরনের অবসরকালীন পরিবেশ, দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য আর ফলমূলের ককটেলের দেখা মেলে৷
ছবি: Deck 5
ক্লুনকারক্রানিশ
এই ছাদে বার্লিনের সত্যিকারের অভিজ্ঞতা পাওযা যায়৷ স্থানীয় এবং পর্যটক – উভয়েই নিয়মিত খোঁজেন এই জায়গাটি৷ নয়ক্যোলন আর্কাডেন শপিং সেন্টারের ছাদে অবস্থিত এই রেস্টুরেন্ট৷ এখান থেকে শহরের ছাদগুলির প্যানোরামিক দৃশ্য দেখা যায়, যা এক বোহেমিয়ান আবহ তৈরি করে৷
ছবি: Eesha Kheny
ছুটির দিনের বাড়ি
এটি মূলত পার্টির জায়গা৷ ছুটির দিনের বাড়ি আন্তর্জাতিক ডিজেদের আমন্ত্রণ করে নিয়ে আসে৷ এখান থেকে অতিথিরা আলেকজান্ডারপ্লাৎস ও খুব কাছ থেকে টেলিভিশন টাওয়ার দেখতে পান৷ গ্রীষ্মকালে কাজ শেষে কিছু পান করতে মন চাইলে বা মজার কিছু করার জন্য যাঁরা পার্টি পছন্দ করেন, তাঁরা এই জায়গাটিকে বেছে নেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Schlesinger
প্যানোরমা ৩৭
এই সুরাখানা বার্লিনের ‘পিকচার পোস্টকার্ড’-এর মতো সুন্দর৷ এমন দৃশ্য দেখার সুযোগ আছে শুধুমাত্র আলেকজান্ডারপ্লাৎসের হোটেল পার্ক ইনের টেরাস থেকে৷ মাটি থেকে ১৫০ মিটার ওপরের এ দৃশ্য দেখতে সাধারণত ৪ ইউরো ফি দিতে হয়৷ এটুকু মূল্য দিতে পারলেই এখান থেকে শহরের প্যানোরমিক দৃশ্যসহ লাউঞ্জে বসে পানীয় পান করতে পারবেন আপনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Zinken
ক্লাব সোহো হাউজ
যে কোনো ব্যক্তি চাইলেই এখানকার বাড়তি আকর্ষণগুলো পাবেন না৷ শিল্প, ফ্যাশন, সংগীত এবং বিশ্ব মিডিয়া – সব ক্ষেত্রে কেবল ক্লাবের সদস্যরাই এখানে আসার সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন৷ সাধারণত ফিল্ম ক্রু’রা এর বিলাসবহুল চিলেকোঠা ভাড়া করে৷ আর ছাদের বারে, ম্যান্ডোলিন বিস্ত্রো সূর্যাস্তের সময় ভূমধ্যসাগরীয় এলাকার খাবার পরিবেশন করে৷