জার্মানির রাজধানীর বার্লিনে পথচারীদের ভিড়ের উপর গাড়ি তুলে দেয়ায় সাতজন আহত হয়েছেন৷ এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর৷
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সময় রোববার সকাল সাতটার দিকে হার্ডেনব্যার্গপ্লাৎসে একটি রেল স্টেশনের বাইরে এই ঘটনা ঘটেছে৷ বেশ কয়েকজন পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে টুইটে জানিয়েছে বার্লিনের অগ্নি নিরাপত্তা বিভাগ৷ সহায়তার জন্য তারা হেলিকপ্টারও পাঠিয়েছে৷
এদিকে চাপা দেয়া যানটির চালককে আটক করেছে বার্লিন পুলিশ৷ এ নিয়ে তদন্ত চলছে৷ তবে ঘটনার সঙ্গে এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক বা ধর্মীয় উগ্রবাদের কোন যোগসূত্রের ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেছে কর্তৃপক্ষ৷
পরবর্তীতে পুলিশ জানিয়েছে, ২৪ বছর বয়সী চালক বামে ঘুরতে গিয়ে গতির কারণে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিল৷
জার্মান সংবাদপত্র বিল্ড তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, আহতদের একজন গাড়ির নিচে আটকা পড়ার পর জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন৷ এই দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন৷ তাদেরকে কাউন্সেলিং দেয়া হয়েছে, জানিয়েছে বিল্ড৷
এফএস/এআই (ডিপিএ, এপি)
জার্মানিতে পুলিশের ওপর হামলা
করোনাকালে জার্মানিতে যুবকদের তাণ্ডব এবং পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা বাড়ছে। প্রথমে স্টুটগার্ট, তারপর ফ্রাঙ্কফুর্টে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। দুই শহরেই পুলিশ আক্রান্ত হয়েছে। আক্রমণকারী যুবকরা মূলত অভিবাসী।
ছবি: picture-alliance/dpa/Julian Rettig
স্টুটগার্টের হাঙ্গামা
কয়েকশ যুবক গিয়ে দোকান ভাঙচুর করে। জিনিস লুঠ করে। রাস্তায় ফেলে। তারপর পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। দোকানের ভাঙা কাচে ভরে যায় রাস্তা।
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Rumpenhorst
ফ্রাঙ্কফুর্টেও সংঘর্ষ
ফ্রাঙ্কফুর্টের ছবিটাও আলাদা ছিল না। এখানে যুবকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোতল ছোড়ে। আশপাশের লোকেরা যুবকদের থামানো দূরের কথা, বরং তাদের উৎসাহিত করছিলেন।
ছবি: picture-alliance/dpa/Hit Radio FFH
ফ্রান্সের সঙ্গে তুলনা
স্টুটগার্ট ও ফ্রাঙ্কফুর্টে যা হয়েছে তার সঙ্গে ফ্রান্সের তুলনা করা হচ্ছে। ফ্রান্সের শহরতলিতেও একই ঘটনা ঘটেছে। জার্মানির মতো সেখানেও অভিবাসী যুবকরা দাঙ্গা করেছেন, পুলিশকে আক্রমণ করেছেন। জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ থেকে সহিংসতা হয়েছে।
ছবি: Getty Images/AFP/A. C. Poujoulat
করোনাকালে কেন
বিতর্কটা জার্মানিতে শুরু হয়ে গিয়েছে। করেনাকালের কড়াকড়ি, ঘরবন্দি থাকতে বাধ্য হওয়া, ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা ও হতাশার বহিঃপ্রকাশ কি এই হামলা? কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, করোনার সময়ে হতাশা আসা স্বাভাবিক। কিন্তু শুধু সে জন্যই এই হাঙ্গামা সেটা বলা অতি সরলীকরণ হবে। কারা হাঙ্গামা করছে, কেন করছে, সেটাও বুঝতে হবে।
ছবি: picture-alliance/dpa/Hit Radio FFH
কেন অভিবাসীরা
জার্মানি ও ফ্রান্সে হাঙ্গামা ও পুলিশকে আক্রমণের সঙ্গে জড়িত মূলত অভিবাসীরা। যে প্রশ্নটা উঠছে, তা হলো, এটা কি নিছক আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা, না কি সমস্যাটা অভিবাসীদের? নানা কারণে কি তাঁদের মধ্যে সহিংসতার প্রবণতা বাড়ছে? বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে একমত নন।