1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বার্লিনে শলৎস-মোদী বৈঠক

২ মে ২০২২

দুই বছর পর তিন দিনের বিদেশ সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ সোমবার রাজধানী বার্লিনে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন তিনি৷

দুই বছর পর তিন দিনের বিদেশ সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ সোমবার রাজধানী বার্লিনে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন তিনি৷
ছবি: Michael Kappeler/dpa/picture alliance

ইউরোপে ভারতের বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার জার্মানি৷ জার্মানির সঙ্গে ভারতের ব্যবসার পরিমাণ প্রায় ২১ বিলিয়ন ডলার৷ ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও অংশ নেন এই বৈঠকে৷ দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকে জার্মানির সঙ্গে বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরো জোরদার করা নিয়ে কথা হয়েছে বলে টুইটে জানিয়েছেন মোদী৷

ইউক্রেনে রুশ হামলার পর ইউরোপের বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে৷ তবে মস্কোবিরোধী কোনো অবস্থান নেয়নি ভারত৷ ভারতের বেশিরভাগ সামরিক সরঞ্জাম রাশিয়া থেকে আমদানি করা হয়৷  জার্মানি যদিও চায়, ইউরোপের সংস্থাগুলি ভারতের কাছে অস্ত্র বিক্রি করুক, এর ফলে রুশ নির্ভরতা অনেকটা কমবে৷ রুশ আগ্রাসনের পরই একাধিক গণতান্ত্রিক দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন শলৎস৷

 

দীর্ঘসময় ধরে পশ্চিমা দুনিয়া এবং মস্কোর সঙ্গে কূটনৈতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে ভারত৷ রাজনৈতিক এই সফরের আগে মোদী এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, তিনি যে সময় ইউরোপে সফর করছেন, সে সময় এই মহাদেশ একাধিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে৷ বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়টিকে জোরদার করতে চান৷ ভারতের শান্তি ও সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে ইউরোপীয় দেশগুলির জরুরি ভূমিকা রয়েছে, এমনও বলা হয়েছিল বিবৃতিতে৷ বার্লিনে পৌঁছেও মোদী টুইট করে আশা প্রকাশ করেছিলেন, তার এই সফরের পর জার্মানি এবং ভারতের মধ্যে বন্ধুত্ব আরো জোরদার হবে৷

আগামী ২৬ থেকে ২৮ জুন জার্মানির বাভারিয়ান আল্পসে জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বৈঠক হওয়ার কথা৷ ব্লুমবার্গে প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, জার্মান চ্যান্সেলর ওই বৈঠকে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ করবেন মোদীকে৷ রাশিয়ার বিরুদ্ধে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে জি-৭ গোষ্ঠী মোদীকে আমন্ত্রণ জানাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷ ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পর বিশেষ ছাড়ে রাশিয়া থেকে তেল কিনেছে ভারত৷ ইউক্রেন ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান পাল্টাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ যদিও এ পদক্ষেপের সমালোচনার প্রেক্ষিতে বলা হয়েছিল, রাশিয়ার থেকে আমদানি করা জ্বালানি পণ্যের উপর ইউরোপ অনেক বেশি নির্ভরশীল৷

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা রোববার বলেছিলেন, সংকটের পরিস্থিতিতে ভারতের অবস্থান গভীরভাবে উপলব্ধি করছে ইউরোপের দেশগুলি৷ মোদীর ইউরোপ সফরের মূল উদ্দেশ্য, বাণিজ্য, শক্তি এবং টেকসই উন্নয়ন নিয়ে আলচোনা এবং ভারতের সঙ্গে ইউরোপের দেশগুলির সম্পর্ককে আরো বেশি মজবুত করে তোলা৷

তিন দিনের সফরে জার্মানি থেকে আগামিকাল অর্থাৎ ৩ মে ডেনমার্কে যাবেন মোদী৷ ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তার যোগ দেয়ার কথা রয়েছে৷ ওই বৈঠকে ডেনমার্কের প্রতিনিধি ছাড়াও ফিনল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে এবং আইসল্যান্ডের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন৷ ৪ মে ফ্রান্সের পুনর্নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবেন নরেন্দ্র মোদী৷

আরকেসি/এসিবি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ