সিরিয়া সংকটকে ঘিরে কূটনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে৷ বুধবার বার্লিনে এক বৈঠকে বর্তমান অচলাবস্থা কাটানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে৷ জার্মানি ও ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও তাতে অংশ নিচ্ছেন জাতিসংঘের দূত ও এক সিরীয় বিরোধী নেতা৷
বিজ্ঞাপন
সিরিয়ায় অস্ত্রবিরতি সংক্রান্ত বোঝাপড়া কাগজে-কলমে স্থির হলেও কার্যক্ষেত্রে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না৷ তার সর্বশেষ দৃষ্টান্ত হলো আলেপ্পো শহরের উপর হামলা৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এর জন্য সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে আবার সতর্ক করে দিয়েছেন৷ অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করতে থাকলে আসাদকে তার পরিণাম ভোগ করতে হবে৷ তখন পুরোপুরি যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে৷ এটা হলে আসাদ বা রাশিয়া, কারও লাভ হবে না, বলেন কেরি৷
এমনই প্রেক্ষাপটে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এক কূটনৈতিক বৈঠক৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ার, ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ মার্ক এরো এবং জাতিসংঘের বিশেষ দূত স্তাফান দে মিস্তুরা ছাড়াও তাতে অংশ নিচ্ছেন সিরিয়ার স্বীকৃত বিরোধী পক্ষের সমন্বয়ক রিয়াদ হিজাব৷
এদিকে বুধবারই সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ৷ আলেপ্পো শহরের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে এক রিপোর্টের ভিত্তিতে অস্ত্রবিরতি কার্যকর করার নতুন উদ্যোগ আশা করা হচ্ছে৷ রাশিয়াও তাতে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ জাতিসংঘের বিশেষ দূত স্তাফান দে মিস্তুরা শান্তি ফেরানোর নতুন উদ্যোগ সম্পর্কে কিছুটা আশাবাদী৷
সাহায্য নিয়ে তুরস্কে স্থির হচ্ছে শরণার্থীরা
তুরস্কের ইজমিরে বসবাসরকারী সিরিয় শরণার্থীর সংখ্যা ৮৫ হাজারের মতো৷ তাদের সেখানে স্থির হতে সহায়তা করেছে কয়েকটি দাতা গোষ্ঠী এবং স্বেচ্ছাসেবীরা৷
ছবি: DW/D. Cupolo
শরণার্থীদের দোকান, রেস্তোরাঁ
ইজমিরের বাসমানি জেলা মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানের এলাকা হিসেবে পরিচিত৷ সাম্প্রতিক সময়ে সেখানে শরণার্থীদের দোকান-পাটের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে৷ অনেক সিরীয় এখানে বসবাস করেন৷ এদের অনেকে আবার তুর্কী বন্ধুদের নামে দোকান খোলেন, জানান রিলিফ সোসাইটির এক সদস্য৷
ছবি: DW/D. Cupolo
বেকার এবং অবহেলিত
শরণার্থীদের জন্য নিত্যদিনের বিল পরিশোধ অনেক সমস্যার মধ্যে একটি সমস্যা৷ তারা তাদের বেকার জীবনের অধিকাংশ সময় কাটান ক্যাফেতে বসে৷ অনেকেই সাধারণ স্বাস্থ্য সেবাও পান না৷ জার্মান মেডিক্যাল শিক্ষার্থী লিয়া ভিল্মসেন সেখানে অনেক শরণার্থীকে বিনা খরচায় চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন৷
ছবি: DW/D. Cupolo
দোভাষীর সহায়তা
দোভাষীর সহায়তায় শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন ভিল্মসেন৷ তাদের বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা করেন তিনি৷ ছবির শিশুটির শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ ভিল্মসেন মনে করেন, দু’টি ছোট্ট রুমে ১৪ জন মানুষ বসবাস করছেন৷ ফলে এই সমস্যা৷
ছবি: DW/D. Cupolo
পথশিশুরা
লাইফ জ্যাকেটের দোকানের পাশে খেলছে এক শিশু৷ ইজমিরে থাকা অধিকাংশ শরণার্থী শিশু কিশোর নিয়মিত স্কুলে যায় না৷ তারা বরং বাড়িভাড়া জোটাতে ছোটখাট কাজ করে৷
ছবি: DW/D. Cupolo
শরণার্থী শিবির তৈরি
শরণার্থীদের জন্য কমিউনিটি সেন্টার তৈরির লক্ষ্যে একটি পরিত্যাক্ত ভবন সংস্কার করছেন ইউনিয়ন আয়োজক ইয়ালচিন ইয়ানিক৷ তিনি বলনে, ‘‘আমি শরণার্থীদের সেভাবে সহায়তা করছি, যেভাবে একসময় শ্রমিকদের সহায়তা করতাম৷’’
ছবি: DW/D. Cupolo
নির্ভরশীল করা নয়
আরেক স্বেচ্ছাসেবী ক্রিস ডাউলিং জানান, শরণার্থীদের এমনভাবে সাহায্য করা হয় যাতে তারা সাহায্যের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে না যান৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদের সমাজের সঙ্গে একীভূত করা, তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা এবং কাজে পেতে কিংবা নিজের মতো কিছু করতে সাহায্য করা৷’’
ছবি: DW/D. Cupolo
গৃহায়ন সমস্যা
মানবিক সাহায্য সংস্থা মার্সি কর্পস ইউরোপীয় অনুদানে চলে৷ সংস্থাটি সম্প্রতি ইজমিরে কাজ শুরু করেছে৷ মূলত শরণার্থীদের গৃহায়ন সমস্যা সমাধানে কাজ করে তারা৷