1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বার্লিনে হাসিনা-ম্যার্কেল বৈঠক

২৬ অক্টোবর ২০১১

জার্মানি সফরের শেষ দিনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল'এর আলোচনা হয়েছে৷ মঙ্গলবারই দেশে ফিরছেন শেখ হাসিনা৷

German Chancellor Angela Merkel, left, welcomes the Prime Minister of Bangladesh Sheikh Hasina at the chancellery in Berlin, Tuesday, Oct. 25, 2011. (Foto:Markus Schreiber/AP/dapd)
বার্লিনে জার্মান চ্যান্সেলার ম্যার্কেলের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাছবি: dapd

সকাল থেকেই বার্লিন ছিল ধূসর৷ মনে হয় নি রোদ দেখা দেবে৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি যখন চ্যান্সেলর দপ্তরের চত্বরে এসে পৌঁছালো, তখন রোদ দেখা দিয়েছে বেশ কিছুটা৷ চ্যান্সেলর ম্যার্কেল বেরিয়ে এলেন, শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানালেন৷ ক্যামেরার ক্লিক, ক্লিক, ক্লিক৷ শুভেচ্ছা বিনিময় হলো৷ তারপর সামরিক মর্যাদায় গার্ড অফ অনার৷ বেজে উঠলো বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের সুর৷ দুই নেত্রী গার্ড অফ অনার পরিদর্শন করলেন৷ ম্যার্কেল তাঁর অতিথিকে নিয়ে গেলেন ভিতরে৷

প্রায় দু'টোর দিকে সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত হলেন চ্যান্সেলার ম্যার্কেল এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ চ্যান্সেলার তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দু'দেশের মধ্যকার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্কের কথা জোর দিয়ে বললেন৷ তাঁদের আলোচনায় নানা বিষয়ের সঙ্গে, বিশেষ করে সহযোগিতার দু'টি ক্ষেত্রের কথা জানালেন তিনি৷ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে ক্লিষ্ট বাংলাদেশ তা প্রশমিত করতে এবং শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতার কথা জানালেন চ্যান্সেলার৷ চ্যান্সেলার ম্যার্কেল মনে করেন, বাংলাদেশের বেশ ভাল প্রবৃদ্ধি ঘটছে এবং তা নিয়ে উন্নয়নের সঠিক পথেই চলেছে বাংলাদেশ৷ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন৷ বিশেষ করে দারিদ্র দূরীকরণে এবং জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে শেখ হাসিনার গুরুত্বপূর্ণ অর্জনের প্রশংসাও করেন চ্যান্সেলার ম্যার্কেল৷

দুই নেত্রী গার্ড অফ অনার পরিদর্শন করলেনছবি: dapd

প্রত্যুত্তরে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে এবং স্বাধীনতার পর থেকে জার্মানি এবং জার্মান জনগণ যে সাহায্য-সহযোগিতা দিয়ে আসছে, তার উল্লেখ করেন৷ জ্ঞাপন করেন ধন্যবাদ৷ তিনি একথাও উল্লেখ করেন, যে ১৯৭৫ সালে যখন জাতির জনক বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হবার সময় তিনি এবং তাঁর বোন শেখ রেহানা জার্মানিতে থাকায় বেঁচে যান৷ প্রথম আশ্রয় পান তাঁরা এই জার্মানিতেই৷ শেখ হাসিনা জানান, চ্যান্সেলার ম্যার্কেলকে তিনি বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং সে আমন্ত্রণ তিনি গ্রহণ করেছেন৷ চ্যান্সেলার ম্যার্কেল যথাশীঘ্র সেই সফর করবেন, এই তাঁর প্রত্যাশা৷ চ্যান্সেলার অবশ্য বলেন, তিনি কখন যাবেন তা এখন বলতে পারছেন না৷ তবে তিনি বাংলাদেশে যাবেন৷

শেখ হাসিনা প্রসঙ্গত এও উল্লেখ করেন, যে আগামী নভেম্বর মাসে জার্মান প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন৷ বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন দুই নেত্রী৷

প্রতিবেদন: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ