২৫ বছর আগে বার্লিন প্রাচীরের পতন ঘটেছে৷ পুনরেকত্রিত জার্মানি আজ এক হিসেবে প্রাপ্তবয়স্ক৷ পুনরেকত্রীকরণ যাবৎ একট গোটা প্রজন্ম বড় হয়ে উঠেছে, বিভক্ত জার্মানি যাদের কাছে শুধু ইতিহাস৷
বিজ্ঞাপন
ইতিহাসের সন-তারিখ কোনোদিনই আমার ভালো মনে থাকে না, এক ১৯৮৯ সালটা বাদে৷ সে'বছর বার্লিন প্রাচীরের পতন ঘটে৷ আবার ঠিক সেই বছরেই আমার জন্ম৷ পূর্ব জার্মানির নাগরিকদের জন্য যখন প্রথমবার সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়, তখন আমার বয়স ছ'মাস৷ মা টেলিভিশনে সেই খবর দেখছিলেন আর আমি তাঁর কোলে শুয়ে ঘুমোচ্ছিলাম৷
বার্লিন প্রাচীরের সঙ্গে আমার প্রথম বাস্তব মোলাকাত পশ্চিমের রুর শিল্পাঞ্চলের রেকলিংহাউজেন শহরে - যেখানে আমি মানুষ হয়েছি৷ সেখানে কোন এক বসতবাড়ির বাগানে এক টুকরো ‘‘মাওয়ার'' বা দেওয়াল রাখা ছিল, আদত বার্লিন প্রাচীরের একটি অংশ, যা দেখে আমার মনে হয়েছিল: বাগানে ফুলের গাছ না লাগিয়ে পুরনো কংক্রিট রাখার অর্থ?
‘‘প্রাচীর কি এখনও আছে?''
১৬ বছর বয়সে এক্সচেঞ্জ স্টুডেন্ট হিসেবে ব্রাজিলে গিয়েছিলাম৷ সেখানকার স্কুলে প্রথমদিনেই শুনতে হল: ‘‘প্রাচীর কি এখনও আছে?'' আর: ‘‘পূর্ব জার্মানিতে জীবনযাত্রা কি'রকম?'' আমি তো প্রথমে বুঝতেই পারিনি৷ যখন বুঝলাম, তখন বললাম: না, দেওয়ালটা আর নেই৷ পর্তুগিজ ভাষায় ওর চাইতে বেশি বলা আমার পক্ষে তখন সম্ভব ছিল না৷
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বান্ধবী যখন জানালেন যে, তিনি মেকলেনবুর্গ-ফোরপমার্ন থেকে এসেছেন, তখনও আমি প্রথমে খেয়াল করিনি যে, তিনি সাবেক পূর্ব জার্মানি থেকে আগত - কেননা আমার মাথায় পশ্চিম জার্মানি, পূর্ব জার্মানি, এ'সব বিভাজন ছিল না৷ ছিল শুধু একটাই দেশ, সেটা হলো জার্মানি৷
অজ্ঞানের অন্ধকার
‘‘দি সাইৎ'' সাপ্তাহিক পত্রিকার একটি সাম্প্রতিক প্রবন্ধ পর্যায়ের শীর্ষক হলো: ‘‘সব কিছু ঠিক আছে, এমন ভান কোরো না''৷ পর্যায়টিতে সাবেক পূর্ব জার্মানির তরুণ বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাদের মতে পুনরেকত্রিত জার্মানিতে আজ অবধি কোন কোন জিনিস ঠিক নয়; ‘ওয়েসি', অর্থাৎ জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলের বাসিন্দাদের আচরণে ঠিক কোন কোন বস্তু তাদের অপছন্দ৷ যেমন: পুবের মানুষ হয়তো ‘দেশে' যাচ্ছেন, অর্থাৎ সাবেক পূর্ব জার্মানির কোথাও ফিরছেন; পশ্চিমের বন্ধুদের কেউ ঠাট্টা করে বললেন: ‘অন্ধকার জার্মানিতে ফিরছিস?'
ঐতিহাসিক বার্লিন প্রাচীর পতনের ২৫ বছর
আজ থেকে ঠিক ২৫ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৮৯ সালের ৯ নভেম্বর ঐতিহাসিক বার্লিন প্রাচীর ভাঙার মধ্য দিয়ে দুই জার্মানির একত্রীকরণ হয়েছিল৷ তৎকালীন পূর্ব জার্মানির শান্তিপূর্ণ বিপ্লব, বার্লিন প্রাচীরের নানা কথা থাকছে এই ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বিশ্বের ইতিহাস বদলে দেয়া আন্দোলন
২৫ বছর আগে পূর্ব জার্মানির লাইপশিস শহরে শান্তিপূর্ণ মিছিলের মধ্য দিয়ে এক আন্দোলন শুরু হয়েছিল, যে মিছিলে অংশ নিয়েছিলো ৭০,০০০ মানুষ৷ সেই মিছিলের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছিল অন্যান্য শহরেও৷ ভেঙে গিয়েছিল বার্লিন প্রাচীর৷ বিশ্বের ইতিহাসে জন্ম নিয়েছিল এক নতুন ইতিহাস৷
ছবি: picture-alliance/dpa
‘চেক পয়েন্ট চার্লি’
বার্লিন প্রাচীর ঘেঁষে ছিল এই সীমান্ত পাহারা কেন্দ্রটি, যেটা চেক পয়েন্ট চার্লি নামেই পরিচিত ছিল৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মিত্র বাহিনীর সেনা এবং কূটনীতিকরা যাতায়াত করতেন এই রাস্তা দিয়ে৷ রাস্তাটি ছিলো ১৯৬১ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত৷ বর্তমানে এই ঐতিহাসিক জায়গায় একটি মিউজিয়াম তৈরি করা হয়েছে৷
ছবি: AFP/Getty Images
এখন তাঁরা সবাই এক জনগোষ্ঠী
যে প্রাচীর টপকাতে গেলেই মৃত্যুর ভয় ছিলো সে প্রাচীর খুলে দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পরই সমস্ত ভয় কেটে যায় জার্মান জনগণের৷ প্রাচীরের সামনে পেছনে, ওপরে, সব জায়গায়ই যেন আনন্দের বন্যা বইছিল৷ এখন পূর্ব আর পশ্চিমের মানুষ বলে কিছু নেই, এখন তাঁরা সবাই এক জনগোষ্ঠী৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ
নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে প্রতিবাদ আন্দোলন পোঁছে পূর্ব জার্মানির রাজধানী পূর্ব বার্লিনে৷ হাজার হাজার মানুষ সংস্কার ও সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে৷ তবে তাঁদের লক্ষ্য ছিলো, এসময় যেন কোনো হিংসাত্মক ঘটনা না ঘটে৷ এটা ছিলো পূর্ব জার্মানি ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ৷
ছবি: Reuters/Hannibal
বিরোধীরা আরো সক্রিয় হয়
পূর্ব বার্লিনের আলেকজান্ডার প্লাৎসে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভটি সরাসরি টিভিতে সম্প্রচার করা হয়৷ বিক্ষোভকারীরা ভ্রমণ ও সমাবেশ অনুষ্ঠানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি জানায় সেখানে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Martti Kainulainen
স্বপ্ন যখন সত্য হয়
১৯৮৯ সালের ৯ নভেম্বর রাতে অনেক স্মরণীয় ঘটনা ঘটে৷ মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পূর্ব জার্মানির শত শত নাগরিক হেঁটে, সাইকেলে এবং ট্রামান গাড়িতে করে পশ্চিম বার্লিনে প্রবেশ করে৷ সেদিন চেক পয়েন্ট চার্লি বা সীমান্ত পাহাড়া কেন্দ্রে মানুষ আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে, ঠিক যেন কোলনের কার্নিভালের মতো৷
ছবি: imago/Sven Simon
বার্লিন প্রাচীরের আসল টুকরো
ইতিহাসকে স্মরণীয় করে রাখতে রাজনীতিকদের লক্ষ্য ছিলো ১৯৬১ সালে বার্লিন প্রাচীর তৈরির সময়কার কিছু ইটের নমুনা যেন বন শহরের ইতিহাস বিষয়ক মিউজিয়ামে স্থান পায়৷ আজ সেই স্মৃতিচিহ্ন মিউজিয়াম দর্শনার্থীদের দৃষ্টি কেড়ে নেয়৷
ছবি: DW/H. Mund
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা
১৯৮৯ সালের ৯ নভেম্বরের রাতে ডয়চে ভেলের বিভিন্ন ভাষা বিভাগের কর্মীরা সরাসরি সম্প্রচার করার জন্য ‘ভ্রাম্যমাণ ট্রান্সমিটার’ নিয়ে উপস্থিত ছিলেন ডুডারস্টাট শহরের সীমান্তে৷ সে দলের সঙ্গী হয়ে ছিলাম আমিও৷ পূর্বের মানুষেরা এত বছর পর কীভাবে মিলিত হচ্ছেন পশ্চিমের মানুষদের সঙ্গে সেটা দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার৷ সবার চোখে ছিল জল আর ঠোঁটে হাসি৷ স্বচক্ষে দেখা এ ঘটনা কোনোদিনই ভোলার নয়!
ছবি: picture-alliance/dpa
কলকাতায় উদযাপন
বার্লিনের প্রাচীর পতনের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে জার্মান কনসুলেটের উদ্যোগে কলকাতায় নানা অনুষ্ঠান হচ্ছে৷ এর মধ্যে আন্তর্জাতিক গ্রাফিতি ও হিপ হপ কর্মশালা উল্লেখযোগ্য৷ ছবির এই দেয়ালচিত্রটি কলকাতা থেকেই পাঠানো৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
কূটনীতিকদের বাগানে রিফিউজি ক্যাম্প
১৯৮৯ সালের গ্রীষ্মে সাবেক পূর্ব জার্মানির জনগণের কাছে এই জায়গাটি খুবই জনপ্রিয় ছিলো৷
ছবি: picture-alliance/dpa
10 ছবি1 | 10
আরেকজনের মতে ‘ওয়েসি', অর্থাৎ পশ্চিমিরা উদ্ধত, পুবের সম্পর্কে কিছু না জেনেই তারা মনে করে, তারা অনেক জানে৷ আরেকজন বলছেন: পুনরেকত্রীকরণ তো একটা ওয়ান-ওয়ে স্ট্রিট, ‘‘পূর্ব জার্মানি কি কিছু দিতে পেরেছে? সামান্যই৷'' বার্লিন ফ্রি ইউনিভার্সিটি'র অধ্যাপক ক্লাউস শ্রোয়ডার সাবেক পূর্ব জার্মানি সংক্রান্ত গবেষণা সমিতির প্রধান৷ তিনি বলেন: ‘‘বহু পুবের মানুষ বলেন, পশ্চিমিরা - বিশেষ করে উত্তর রাইন পশ্চিম ফালিয়া রাজ্যের মানুষদের - পূর্ব জার্মানি, তার ইতিহাস অথবা সেখানকার মানুষদের কাহিনি সম্পর্কে কোনো আগ্রহ নেই৷'' এবং পরিস্থিতি সত্যিই তাই, বলে প্রফেসর শ্রোয়ডার'এর অভিমত৷ আমার মুশকিল: আমি আবার ঠিক ঐ উত্তর রাইন পশ্চিম ফালিয়া'র মানুষ কিনা!
বার্লিন প্রাচীরকে ঘিরে শিল্পকর্ম
জার্মানির রাজধানী বার্লিনে গেলে বার্লিন প্রাচীর নিয়ে অনেক শিল্পকর্ম চোখে পড়বে৷ তার কয়েকটি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে এই ছবিঘরে৷
ছবি: DW/Frederike Müller
‘ইস্ট সাইড গ্যালারি’
বার্লিন প্রাচীরের পতনের পর ১৯৯০ সালে ২১ দেশের ১১৮ জন শিল্পীর উদ্যোগে এই গ্যালারির সৃষ্টি হয়৷ অরিজিনাল বা মূল বার্লিন প্রাচীরের প্রায় ১.৩ কিলোমিটার অংশজুড়ে থাকা এই গ্যালারিতে অনেক চিত্রকর্মের দেখা পাওয়া যায়৷
ছবি: DW/Frederike Müller
রাজনৈতিক ও অবৈধ
মূল বার্লিন প্রাচীরের এই অংশটির নাম ‘হিন্টারলান্ডমাওয়ার’৷ এখানে কয়েকদিন পরপর নতুন দেয়ালচিত্র অঙ্কন করা হয়, যার বিষয় কখনও কখনও রাজনৈতিক হয়ে থাকে৷ তবে এই দেয়ালে আঁকার কাজটা কিন্তু অবৈধ৷ তাই শিল্পীদের মাঝেমধ্যে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হতে হয়৷
ছবি: DW/Frederike Müller
আশ্চর্য শিল্পকর্ম
পশ্চিম বার্লিনের সাবেক বাসিন্দা ও পূর্ব জার্মানির নাগরিকদের মধ্যে যাঁদের ভিসা বা বিশেষ ‘পাস’ ছিল, তাঁরা এই সেতু দিয়ে জার্মানির অভ্যন্তরীণ সীমানাটা পার হতেন৷ শিল্পী গাব্রিয়েল বাশ এই সেতুতে ‘গোল্ডেন ওয়েস্ট’ নামের একটি চিত্রকর্ম সৃষ্টি করেছেন, যেখানে সে সময়ে সীমান্ত পার হওয়া নাগরিকদের আশা প্রতিফলিত হয়েছে৷
ছবি: DW/Frederike Müller
মাঝখানে প্রাচীর
বর্তমানের যে বার্লিন শহর, তার একেবারে মাঝখান দিয়ে বার্লিন প্রাচীর চলে গিয়েছিল৷ ১৯৯০ সালে সেখানে ‘পার্লামেন্ট অফ ট্রিস’ নামের একটি চিত্রকর্ম তৈরি করা হয়৷ মূল প্রাচীরের এই অংশে নিয়ন্ত্রণ, সংঘাত ও মুক্তি বিষয়ক নানা ছবি স্থান পেয়েছে৷
ছবি: Lars Wendt
১৫ মিটার উঁচু চিত্রকর্ম
গত শতকের আশির দশকে বার্লিন-ক্রয়েৎসব্যার্গ এলাকায় বাস করতেন শিল্পী ইয়াদেগার আসিসি৷ সে সময় বার্লিনের ছবি কেমন ছিল সেটা দেখা যাচ্ছে ১৫ মিটার উঁচু এই চিত্রকর্মে৷ এর দেখা পাওয়া যাবে বার্লিনের বিখ্যাত ‘চেকপয়েন্ট চার্লি’ এলাকায়৷
ছবি: Tom Schulze
এক টুকরো বার্লিন প্রাচীর কেনা
চেকপয়েন্ট চার্লি এলাকার ‘ফ্রিডম পার্ক’ নামক স্থানে গেলে আপনি টুকরো টুকরো বার্লিন প্রাচীর দেখতে পাবেন যেগুলোর গায়ে অনেক শিল্পকর্ম রয়েছে৷ চাইলে সেগুলো কেনাও যাবে!
ছবি: DW/Frederike Müller
মানুষের অস্তিত্ব
জোনাথন বোরোফস্কি-র ‘মলিকিউল ম্যান’ নামক এই শিল্পকর্মটি স্প্রে নদীর মাঝে অবস্থিত৷ পূর্ব আর পশ্চিম জার্মানিকে আলাদা করেছিল এই নদী৷ ফলে স্প্রে নদীর মাঝে স্থাপিত ৩০ মিটার উঁচু ও ৪৫ টন ওজনের এই শিল্পকর্মটি (যেখানে তিনটি মানবদেহ পরষ্পরকে ধরে আছে) বিশেষ একটা অর্থ বহন করছে৷
ছবি: DW/Frederike Müller
7 ছবি1 | 7
তরুণ প্রজন্মের চোখে পুনরেকত্রীকরণ সফল
কোলোন রেলওয়ে স্টেশনের একটি স্ট্যান্ডে ‘‘নিয়ন'' পত্রিকাটি হাতে এলো৷ এ'টি হল জার্মানির তরুণ-তরুণীদের জন্য সবচেয়ে বড় পত্রিকা৷ ম্যাগাজিনের কভারেই ঝলকানো সব রঙে জানানো হয়েছে: ‘‘তরুণ-তরুণীদের ৭৮ শতাংশ প্রেমে বিশ্বাস করেন৷ ৫০ শতাংশের কাছে সামাজিক ন্যায় হলো রাজনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য৷ বিশ শতাংশ মহিলা ওয়াক্সিং করেন৷ এই হলাম আমরা!'' পত্রিকাটি ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে এক হাজার তরুণ-তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে৷
জার্মানির পুনরেকত্রীকরণ সম্পর্কেও৷ আজ মাত্র ১৪ শতাংশ বিশ্বাস করেন যে, জার্মানির পূর্বাঞ্চল আর পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য আছে - ২০০৫ সালে এই অভিমত ছিল ২৮ শতাংশের৷ ৪৭ শতাংশের কাছে পুনরেকত্রীকরণ পুরোপুরি সফল, ২০০৮ সালে যে অভিমত ছিল মাত্র ১৪ শতাংশের৷ আর পুনরেকত্রীকরণ ব্যর্থ হয়েছে, একথা আজ ভাবেন মাত্র চার শতাংশ৷
কে জানে, একদিন হয়তো আমরা পুব আর পশ্চিমের মধ্যে এককালের ভুল-বোঝাবুঝি নিয়ে হাসাহাসি করব!