1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বার্লিন শহরে ‘শিল্পীদের গ্রাম'

মেগিন ডুডি লেই/এসি২১ জুলাই ২০১৬

জার্মানির রাজধানী বার্লিন যেমন একদিকে এক শশব্যস্ত মহানগরী, অন্যদিকে সেই শহরেই আবার এমন সব আবাসিক এলাকা আছে, যেখানে এলে মনে হবে যেন ছুটি কাটাতে এসেছেন৷

DW Sendung Euromaxx Ambiente San Sebastian
ছবি: DW

‘শিল্পীদের গ্রাম’ যেভাবে গড়ে উঠেছে মহানগরীতে

04:21

This browser does not support the video element.

বার্লিনের রুমেল্সবুর্গার বুখট বা বে-র কাছে ‘আর্টিস্টস ভিলেজ', শিল্পীদের গ্রাম৷ বাড়িগুলো জলের ধারেই, সব বাড়ি থেকে হ্রদের জল দেখা যায়৷ কিন্তু এই শান্তিপূর্ণ এলাকাটির অতীত খুব শান্তিপ্রিয় নয়৷ ১১৩ বছর ধরে এখানে একটি জেলখানা ছিল৷ ১৯৯০ সালে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ আজ তা কারো বোঝার উপায় নেই!

স্থপতি মার্কুস মাটিয়াসের বাড়ির পাঁচটি তলা মিলিয়ে বসবাসের এলাকা হল ২৪০ বর্গমিটার৷ মধ্যমণি হল একটি লফট বা ছাদের তলায় জিনিসপত্র রাখার ঘর৷ মার্কুস বলেন, ‘‘এই বাড়িটির বিশেষত্ব হল তিনতলার এই লফট, যার উচ্চতা হল সাড়ে পাঁচ মিটার৷ এখান থেকে লেকের দৃশ্য দেখা যায়৷ ঘরটাও বিরাট, এখানে সময় কাটাতে ভালো লাগে; টেলিভিশন দেখতে বা শুধু বসে বসে বাইরের দৃশ্যটা উপভোগ করতে৷''

লফট-টা গোটা পরিবারের প্রিয়৷ এখানেই সকলে মিলে বসা হয়, পার্টি করা হয়৷ মাঝের দেওয়ালটির একটি রহস্য আছে: তিন মিটার উঁচু পাল্লাগুলোর পিছনে বাড়ির ‘বার'-টি লুকনো আছে৷ মার্কুস ও তাঁর স্ত্রী দু'জনেই স্থপতি; দু'জনে মিলে বাড়ির ভেতরটা সাজিয়েছেন ২০০৬ সালে৷

মার্কুস বাড়ির অন্য তলাগুলোও দেখালেন, ‘‘এই তলাটায় আমাদের শোবার ঘর, সেই সঙ্গে স্নানের ঘর৷ আইডিয়াটা ছিল, দরজাগুলো খোলা থাকলে পাল্লাগুলো এমনভাবে দেওয়ালের সঙ্গে মিশে যাবে যে, সেগুলো দেখাই যাবে না৷ ফলে সব কিছু খুব খোলামেলা লাগবে৷''

দেওয়ালের ছবিগুলো দিয়ে একটা সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে৷ মারকুস জানালেন, ‘‘এটা হল বাড়ির দোতলা৷ এই তলায় আমাদের মেয়ের ঘর৷ আমরা এই তলায় একটা গেস্টরুমও রাখতে চেয়েছিলাম৷ এই তলায় বেশ কয়েকটা ছোট ছোট ঘর আছে; আইডিয়াটা ছিল, করিডরটা এমনভাবে তৈরি করা হবে, যাতে সব ক'টি দরজা ক্যাবিনেটের দরজার মতো হবে, মনে হবে, যেন একটি ক্যাবিনেট, মানে আলমারির মধ্যে বসে আছি৷ অথচ দরজাগুলো খুললেই নানা ঘর, এছাড়া অতিথিদের জন্য টয়লেট৷''

পুরো বাড়িতে দরজাগুলি এমনভাবে তৈরি, যাতে খোলামেলা পরিবেশ অক্ষুণ্ণ থাকে৷ কিচেনের স্লাইডিং দরজাটা একাধারে দেওয়াল ও ব্ল্যাকবোর্ড৷ মারকুস বললেন, ‘‘গোড়া থেকেই আমাদের প্রচেষ্টা ছিল, ঘরগুলো খোলামেলা রাখার৷ বাড়িতে ঢোকার পরেই বড় করিডর, সেখান থেকে কিচেন৷ কিন্তু আমরা আরো চেয়েছিলাম যে, কিচেনটার দরজা বন্ধ করা সম্ভব হবে; সেজন্যই বড় স্লাইডিং ডোর-টা লাগানো হয়েছে, যাতে কিচেনটা পুরোপুরি আলাদা করে দেওয়া যায়৷''

কিচেন থেকে বেরোলে সামনে ৭৫ বর্গমিটার আয়তনের একটি বাগান, যেখান থেকে এককালীন ‘জেলখানা'-টিকে দেখা যায়৷ মারকুস জানালেন, ‘‘প্রথম যখন এখানে আসি, তখন এখানে শুধু বালি ফেলা ছিল... জেলখানা ছাড়া আর কিছু ছিল না৷ আমরা এখানে আসার বছর দু'য়েক বাদে জেলখানার জায়গায় এই সব ফ্ল্যাটবাড়ি বানানো হয়৷ সেই সব ফ্ল্যাটে এখন লোক থাকে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ