পার্টি প্রেমিকদের তাদের প্রিয় ডিসকো আবার খোলার জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হবে৷ কারণ বার, ডিসকো আর ক্লাবগুলোতেই করোনার জীবাণু খুব দ্রুত ছড়ানোর সুযোগ রয়েছে বলে জানান ভাইরাস বিশেষজ্ঞ৷
বিজ্ঞাপন
ক্লাব, বার বা ডিসকোগুলোতে মানুষ খুব কাছাকাছি থাকে, কিংবা একে অন্যের কানের কাছে জোরে জোরে গান গায়, নাচানাচি করে ফলে শরীর ঘমে৷ ঠিক এমন পরস্থিতি থেকেই এর আগে বিভিন্ন দেশে করোনা জীবাণু ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে৷ এগুলোই হলো ভাইরাস হটস্পট, বিশেষ করে করোনা জীবাণু ছড়ানোর ক্ষেত্রে৷
বার এবং ডিসকোতে অ্যালকোহল পানের পর গেস্টদের করোনার ঝুঁকি আরো বেড়ে যায় মাতাল অবস্থায় ভাইরাসের গুরুত্বপূর্ণ বিধি নিষেধগুলো মেনে না চলার কারণে৷ তবে তুলনামূলকভাবে কিন্ডারগার্টেন এবং স্কুলগুলোতে করোনা সংক্রমণ অনেক কম ঝুঁকিপূর্ণ৷
শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে যেসব রোগ জীবাণু সংক্রামিত হয় সেসব জীবাণু বার, ক্লাব বা ডিসকোর মতো বন্ধ আবহাওয়ায় ছড়ানো আরো সহজ করে তোলে৷ এমন পরিবেশে নাচার সময় মাস্ক পরলেও তা কোনো কাজে আসবে না৷ করোনার জীবাণু ছড়ানোর ক্ষেত্রে মাস্কের চেয়ে অনেক বেশি জরুরি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা৷
ডিসকোতে ড্যান্স করা তখনই সম্ভব হবে যখন করোনার ভ্যাকসিন তৈরি হবে, মহামারি থাকবেনা এবং জনগণের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো বৃদ্ধি পাবে৷ তাই বার, ক্লাব বা ডিসকোতে যাওয়ার জন্য পার্টি প্রেমিকদেকদের দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হবে বলে সতর্ক করেন, জার্মান প্রেস এজেন্সির ব্যার্নহার্ড নক্ট ইনস্টিটিউট ফর ট্রপিকাল মেডিসিনের ভাইরাোলজিস্ট ইয়োহান স্মিট চানাসিট৷
এনএস/কেএম (ডিপিএ)
করোনার বিরুদ্ধে যৌনকর্মীদের লড়াই
যৌনব্যবসা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে জার্মানিতে৷ এর প্রতিবাদে খোলা চিঠি লিখেছেন যৌনকর্মীরা, করোনা ভাইরাসের কারণে মহাসংকটে থেকেও নেমেছেন নতুন লড়াইয়ে৷ দেখুন ছবিঘরে....
ছবি: picture-alliance/AP/M. Probst
‘তারা সুপার স্প্রেডার’
সম্প্রতি ১৬ জন সাংসদ জার্মানিতে যৌনব্যবসা নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছেন৷ এমন দাবি তুলে লেখা এক চিঠিতে তারা বলেছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যৌনকর্ম কখনো সম্ভব নয়৷ এ কারণে যৌনকর্মীদের মাধ্যমে ব্যাপক হারে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থায়ীভাবে যৌনব্যবসা নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে ১৬ জন সংসদ সদস্য৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Schlueter
‘আমরা সুপার স্প্রেডার নই’
ওই ১৬ জন সংসদ সদস্যের উদ্দেশ্যে লেখা খোলা চিঠি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জার্মানির যৌনকর্মীদের কেন্দ্রীয় সংস্থা বিএসডি৷ চিঠির মাধ্যমে 'পরিচ্ছন্নতার ধারনা' তুলে ধরে বার্লিনভিত্তিক সংস্থাটি বলেছে, ‘‘আমরা সুপার স্প্রেডার নই৷ অন্যসব ব্যবসার মতো আমাদেরকেও ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে৷’’
ছবি: picture-alliance/PA Wire/D. Lipinski
ভুল ধারণা, ভিত্তিহীন আশঙ্কা
খোলা চিঠি এবং সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা বক্তব্যে জার্মানির যৌনকর্মীরা দাবি করছেন, তাদের সম্পর্কে ভুল ধারণা থাকায় ওই সংসদ সদস্যরা যৌনব্যবসা নিষিদ্ধ করতে চাইছেন৷ বিএসডি-র পক্ষ থেকে বলা হয়, জার্মানিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা খুব কঠোরভাবে বজায় রেখেই যৌনব্যবসা পরিচালিত হয় এবং সতর্ক থাকলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি দূরে রেখে এই ব্যবসা চালু রাখা সম্ভব৷
ছবি: picture-alliance/AP/M. Probst
দাবি ও পরামর্শ
খোলা চিঠিতে অবিলম্বে জার্মানির সব যৌনপল্লী খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিএসডি৷ তাদের প্রশ্ন, মাসাজ পার্লার, চুল কাটার দোকান ইত্যাদি খুললে যৌনব্যবসা কেন বন্ধ থাকবে? ছোট যৌনপল্লীতে আপাতত একসময়ে সর্বোচ্চ ১০ জন যৌনকর্মীকে কাজ করার সুযোগ দেয়া এবং বড় যৌনপল্লীতে সব ঘর না খোলার পরামর্শ দিয়েছে তারা৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Macdougall
জার্মানিতে যৌন ব্যবসা বৈধ
গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে জার্মানিতে যৌনব্যবসা বন্ধ রয়েছে৷ তবে লকডাউন ধীরে ধীরে যখন শিথিল হচ্ছে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে শুরু করেছে, তখন যৌনকর্মীরাও একই নিয়মে ব্যবসায় ফিরতে পারবে বলে আশা করছে বিএসডি৷ জার্মানিতে যৌন ব্যবসা বৈধ৷ নিয়মিত আয়কর দেন যৌনকর্মীরা৷