গত এক দশকে বিশ্ব জুড়ে বাল্যবিবাহের হার চোখে পড়ার মতো কমেছে৷ তবে এখনো অনেক পথ চলার বাকি৷ চোখে পড়ার মতো উন্নতি হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়৷ সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানালো ইউনিসেফ৷
বিজ্ঞাপন
খানিকটা হলেও আশার আলো৷ সম্প্রতি ইউনিসেফ তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পৃথিবী জুড়ে বাল্যবিবাহের শতকরা হার আগের চেয়ে অনেকটাই কমেছে৷ তবে এখনো বাল্যবিবাহের হার নিরাপদ নয়৷ বাল্যবিবাহ বন্ধের জন্য লড়াই চালাতে হবে আরো অনেকদিন৷
সমীক্ষা বলছে, গত কয়েক বছরে বাল্যবিবাহ ১০ শতাংশ কমেছে৷ তথ্যটি আশাপ্রদ হলেও এখনো বিশ্বের প্রতি পাঁচজন কিশোরীর একজন ১৮ বছরের আগেই বিয়ে করে ফেলতে বাধ্য হচ্ছে৷ ইউনিসেফের লক্ষ্য, ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যাটিকে শূন্যে নিয়ে যাওয়া যাবে৷
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অবশ্য বাল্যবিবাহ আগের চেয়ে অনেকটাই কমেছে৷ ইউনিসেফের দাবি, এর কারণ, শিক্ষা এবং সচেতনতা৷ ওই অঞ্চলের সরকারগুলিও বাল্যবিবাহ বন্ধের জন্য বিবিধ পদক্ষেপ করেছে৷ ফলও মিলেছে হাতেনাতে৷ একদশক আগে যেখানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাল্যবিবাহের হার ছিল ৫০ শতাংশ, সেটি কমে দাঁড়িয়েছে ৩০ শতাংশে৷
Combating child marriages
01:23
কিন্তু এত উন্নতির পরেও মোট বাল্যবিবাহের হার বেশ উদ্বেগের৷ এখনো বিশ্বের ৬৫০ মিলিয়ন কিশোরী বয়সের আগেই বিয়ে করতে বাধ্য হচ্ছে৷ এর একটা বড় অংশ আফ্রিকা মহাদেশে ঘটছে৷ বিশেষত সাহারা অঞ্চলে৷
ইউনিসেফ জানিয়েছে, ২০০৮ সালে তারা যা ধারণা করেছিল, তার চেয়ে ৮ মিলিয়ন কম কিশোরীর বাল্যবিবাহ হয়েছে৷
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের জন্য সুখবর রয়েছে৷ উপমহাদেশে বাল্যবিবাহ বহু শতাব্দীর সংকট৷ সেই বিদ্যাসাগরের আমলেও বাল্যবিবাহ নিয়ে বহু হইচই হয়েছে৷ ভারতের কোনো কোনো অঞ্চলে বাল্যবিবাহ এখনো সামাজিক রীতি৷ কিন্তু ইউনিসেফ বলছে, গত এক দশকে ভারতে বাল্যবিবাহের হার চোখে পড়ার মতো কমেছে৷ ৪৭ শতাংশ থেকে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩০ শতাংশ৷ তবে এখনই উৎফুল্ল হওয়ার কোনো কারণ নেই৷ ৩০ শতাংশ মানে, এখনো ১০০ জন কিশোরীর মধ্যে ৩০ জন বাল্যবিবাহের শিকার৷ ইউনিসেফের আশা, শিক্ষার বিস্তার এবং সামাজিক সংস্কারের মাধ্যমে আগামী কয়েক দশকে সংখ্যাটিকে আরো অনেকটাই কমানো যাবে৷
বস্তুত, গত কয়েক বছরে ভারতে বাল্যবিবাহ বন্ধের জন্য বহু সামাজিক আন্দোলন হয়েছে৷ সবচেয়ে বড় কথা, বাল্যবিবাহের শিকার বহু কিশোরীই সেই আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন৷ পশ্চিমবঙ্গে পুরুলিয়া অঞ্চলে বেশ কয়েকজন স্কুলছাত্রী সেই আন্দোলনের সূচনা করেছিলো৷ তাঁরা পাশে পেয়েছিলো বহু সমাজকর্মীকে৷ রাজস্থান এবং হরিয়ানাতেও বেশ কয়েকটি বাল্যবিবাহবিরোধী আন্দোলন গড়ে উঠেছিল৷
বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের যে ছবি আলোড়ন তুলেছে
বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ এখনো এক বড় সমস্যা৷ দেশটিতে ৬৫ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হচ্ছে আঠারো বছর বয়স পার হওয়ার আগেই৷ বার্তা সংস্থা গ্যাটি ইমেজেস-এর এক ফটোগ্রাফার তাঁর ক্যামেরায় ধারণ করছেন এমনই একটি বাল্যবিবাহের কিছু ছবি৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
নওশিনের বিয়ে
নওশিন আক্তারের বয়স ১৫ বছর৷ বাবার বাড়ি বাংলাদেশের মানিকগঞ্জে৷ বিয়ের দিনও সে ছুটে বেড়াচ্ছিল পড়শিদের বাড়ি বাড়ি৷ সেখান থেকেই ধরে এনে বিয়ের পিড়িতে বসানো হয় তাকে৷ তার বিয়ের, আইনি দৃষ্টিতে যা অবৈধ, কিছু ছবি থাকলো এই ছবিঘরে৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
বিয়ে বাড়িতে উৎসব
আগস্টের ২০ তারিখে বিয়ে হয় নওশিনের৷ নিজে বিয়ের অর্থ সে তেমন না বুঝলেও, পাড়াপড়শির এই বিয়ে নিয়ে আগ্রহের কমতি ছিল না৷ বিয়ের দিন উৎসবের এই ছবি জানান দিচ্ছে একটি অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরের বয়স নিয়ে তাঁদের কোনো ভাবনা নেই৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
নওশিনের গোসল
বিয়ের দিন প্রকাশ্যেই গোসল করানো হয় নওশিন আক্তারকে৷ বাল্যবিবাহের জন্য তাকে প্রস্তুত করার অংশ এই গোসল৷ অনেকের সঙ্গে এএফপি-র আলোকচিত্রিও দেখেছেন সেই আচার৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
বিউটি পার্লারে নওশিন
বিয়ের জন্য সাজাতে নওশিনকে নেয়া হয়েছে বিউটি পার্লারে৷ বাংলাদেশের আনাচেকানাচে এ রকম পার্লারের সংখ্যা অনেক৷ ছবিতে কাপড় পরার সময় অপর এক নারীকে দেখছে নওশিন৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
কনের মেকআপ
বিয়ের সাজে সাজানো হচ্ছে নওশিনকে৷ বাংলাদেশে কনেকে বেশ রংচংয়ে মেকআপে সাজানো হয়৷ অনেক সময় চেহারার রং ফর্সা করার চেষ্টা করা হয় জোর করে, যা অনেকসময় দেখতে কিছুটা দৃষ্টিকটু হলেও ঐতিহাসিকভাবে চলে আসছে৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
গহনা ছাড়া কি বিয়ে হয়?
কনে নওশিনকে গহনা পড়িয়ে দিচ্ছেন তার আত্মীয়রা৷ বাংলাদেশে বিয়েতে সোনার গহনা এক অপরিহার্য উপাদান৷ কনের পরিবারের আর্থিক অবস্থা যেমনই হোক, সোনাদানা ছাড়া বিয়ে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে একরকম ভাবাই যায় না৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
জোর করে বিছানায় নেয়া হচ্ছে নওশিনকে
নওশিনকে তার এক আত্মীয় জোর করে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন একটি বিছানায়, যেখানে তার ছবি তোলা হবে৷ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশে গড়ে ২৯ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয় তাদের বয়স ১৫ পার হওয়ার আগে৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
ভিডিও-র জন্য ‘পোজ’
ভিডিও-র জন্য পোজ দিচ্ছে নওশিন আক্তার৷ তার বিয়ের মুহূর্তগুলো এভাবেই ক্যামেরাবন্দি করেছেন ভাড়া করা আলোকচিত্রিরা৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
৩২ বছর বয়সি বর
নওশিনের বরের নাম মোহাম্মদ হাসামুর রহমান, বয়স ৩২ বছর৷ বিয়ের সন্ধ্যায় অপ্রাপ্তবয়স্ক কনের সঙ্গে ছবির জন্য পোজ দিয়েছেন রহমান৷ এএফপি-র একজন বিদেশি আলোকচিত্রি সেই বিয়েতে উপস্থিত হতে পারলেও বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পারেনি গিয়ে বিয়েটি বন্ধ করতে৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে নওশিন
বিয়ে শেষে শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে ১৫ বছর বয়সি নওশিন৷ পরিবারের সদস্যরা তাকে গাড়িতে তুলে দিচ্ছেন৷ বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের এ সব ছবি গোটা বিশ্বের আলোড়ন তুলেছে৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
10 ছবি1 | 10
ইউনিসেফের মুখপাত্র অনজু মালহোত্রা ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, বাল্যবিবাহের শিকার হলে একের পর এক সামাজিক এবং শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হতে শুরু করেন কিশোরীরা৷ প্রথমত, তাদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়৷ দ্বিতীয়ত, যৌনমিলনের কারণে নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়৷ আনন্দের কথা, বাল্যবিবাহের হার কমছে৷ কিন্তু এখনো অনেক কাজ বাকি৷ অনেক পথ চলার বাকি৷
বিশ্বের একশ'টি দেশে বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত সমীক্ষা চালিয়েছিল ইউনিসেফ৷ সেখান থেকেই এই ফলাফল পেয়েছে তারা৷ ইউনিসেফ সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েক বছর বিষয়টি নিয়ে লাগাতার প্রচার এবং আন্দোলন চালিয়ে যাবে তারা৷ তাদের আশা, ২০৩০ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহের সমস্যা প্রায় নিশ্চিহ্ন করে ফেলতে পারবে তারা৷
আলেকজান্ডার পিয়ারসন, এসজি (রয়টার্স, এফপি)
যেসব দেশে বাল্যবিবাহের হার সবচেয়ে বেশি
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত ইউনিসেফ-এর ‘স্টেট অফ দ্য ওয়ার্ল্ডস চিলড্রেন’ রিপোর্টে বিভিন্ন দেশের বাল্যবিবাহের হিসাব রয়েছে৷ মেয়েদের বয়স ১৮ হওয়ার আগে বিয়ে হলে সেটিকে বাল্যবিবাহ হিসেবে গণনা করে ইউনিসেফ৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/P. Hatvalne
নাইজার (৭৬%)
ইউনিসেফ বলছে, আফ্রিকার এই দেশটিতেই বাল্যবিবাহের হার বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি৷ সেখানে মেয়েদের বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স ১৫৷ তবে এটি পরিবর্তন করে ১৮ করার প্রস্তাব করা হয়েছে৷ মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দেয়ার পেছনে দরিদ্রতা একটি অন্যতম বড় কারণ হিসেবে কাজ করে৷ এছাড়া বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে মেয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়লে সামাজিকভাবে যে হেনস্তার শিকার হতে হয়, তা এড়াতেও মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেয় পরিবার৷
ছবি: picture alliance/Godong
সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক (৬৮%)
দ্বিতীয় স্থানে থাকা এই দেশটিতে মেয়েদের বিয়ে করার বা দেয়ার বৈধ সর্বনিম্ন বয়স ১৮৷ তবে বাবা-মা ১৩ বছর বয়সি মেয়েরও বিয়ে দিতে পারেন, যদি আদালত অনুমতি দেয় কিংবা মেয়েটি যদি গর্ভবতী হয়৷ বাবা-মায়ের অনুমতি সাপেক্ষে তার চেয়েও কমবয়সি মেয়েদের বিয়ে দেয়া বৈধ সেখানে৷
ছবি: Reuters
চাড (৬৮%)
২০১৫ সালের জুনে চাডের সংসদে পাস হওয়া অর্ডিন্যান্সে, মেয়েদের বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স ১৫ থেকে বাড়িয়ে ১৮ করা হয়েছে৷ এছাড়া বাল্যবিয়ের সঙ্গে জড়িতদের জরিমানাসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷
ছবি: picture alliance/dpa/O.Cicek
মালি (৫৫%)
মেয়েদের বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স ১৬ আর ছেলেদের ক্ষেত্রে ১৮ বছর৷ তবে শরিয়া আইন অনুযায়ী ১৬ বছরের কমবয়সি মেয়েদেরও বিয়ে দেয়া যেতে পারে৷ কমবয়সি মেয়েদের সাধারণত দ্বিতীয়, তৃতীয় কিংবা চতুর্থ স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করে থাকে বেশি বয়সি পুরুষরা৷
ছবি: Joel Saget/AFP/Getty Images
বাংলাদেশ (৫২%)
মেয়েদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স ১৮, ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১৷ তবে সম্প্রতি পাস হওয়া একটি আইনে ‘বিশেষ প্রেক্ষাপট’ বিবেচনায় ১৮ বছরের কম বয়সিদেরও বিয়ের সুযোগ রাখা হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
বুর্কিনা ফাসো (৫২%)
২০ থেকে ২৪ বছর বয়সি নারী, যাদের বয়স ১৮ হওয়ার আগেই বিয়ে হয়েছে, তাদের সংখ্যা ধরে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে ইউনিসেফ৷ ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্য এতে ব্যবহার করা হয়েছে৷ বুর্কিনা ফাসোতে ১৫ বছরের কম বয়সি মেয়েদের বিয়ের হার ১০ শতাংশ৷ আর ১৮ বছরের কমবয়সিদের ক্ষেত্রে হারটি ৫২ শতাংশ৷
ছবি: Getty Images/P.Parrot
গিনি (৫২%)
মা-বাবা’র অনুমতি নিয়ে বা না নিয়ে ১৮ বছরের ছেলে কিংবা মেয়ে সেখানে বিয়ে করতে পারেন৷ দেশটিতে যার যতজন অল্পবয়সি স্ত্রী আছে তার সামাজিক মর্যাদা তত বেশি বলে ধরে নেয়া হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. von Trotha
দক্ষিণ সুদান (৫২%)
চরম দারিদ্র্য, যুদ্ধ, দেশের অস্থির পরিবেশ, শিক্ষিতের হার কম হওয়া, মেয়েদের শিক্ষার সুযোগের অভাব - এসব নানা কারণে আফ্রিকার সবচেয়ে নবীন দেশটিতে মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দেয়া হচ্ছে৷ অল্প বয়সি মেয়ে ও তাদের পরিবার মনে করে, বিয়ে দেয়ার মাধ্যমে দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে৷
ছবি: picture alliance/dpa/M.Elshamy
মোজাম্বিক (৪৮%)
মেয়েদের জন্য বিয়ের বৈধ সর্বনিম্ন বয়স ১৮৷ তবে পরিবারের সম্মতিতে ১৬ বছর বয়সিরাও বিয়ে করতে পারে বা তাদের বিয়ে দেয়া যায়৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/S.Mohamed
ভারত (৪৭%)
মেয়েদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স ১৮, আর ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১৷ দেশটিতে ১৫ বছরের কম বয়সি মেয়েদের মধ্যে বিয়ের হার প্রায় ১৮ শতাংশ৷ ভারতের অনেক সমাজে মেয়েদের অর্থনৈতিকভাবে বোঝা মনে করা হয়৷ বিয়ে দেয়ার মাধ্যমে সেই বোঝা স্বামীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া যায় বলে মনে করে অনেক পরিবার৷