উগান্ডার অরণ্য আর গহীন নেই, সেখানকার আদিবাসিন্দা বনমানুষদেরও বিশেষ পালানোর জায়গা নেই৷ দেশে শান্তি ফিরেছে বটে, কিন্তু জঙ্গল কাটা চলেছে৷ তাই মানুষ আর শিম্পাঞ্জির সহাবস্থানের নতুন রাস্তা খোঁজা হচ্ছে৷
বিজ্ঞাপন
দাও ফিরে সে অরণ্য...
04:30
উত্তর উগান্ডায় বহু দশক ধরে গৃহযুদ্ধ চলার পর আবার শান্তি ফিরেছে৷ যেটুকু রেইনফরেস্ট বা ক্রান্তীয় অরণ্য বাকি আছে, সেখানে থাকে শিম্পাঞ্জি, অর্থাৎ বনমানুষরা৷ কিন্তু তাদের বাসস্থান বিপন্ন৷ বহু জায়গায় বন কেটে মাঠ ও চাষের জমি তৈরি হয়েছে৷ এর কারণ, মানুষজনের এখনও কৃষি ছাড়া জীবনধারণের অন্য কোনো উপায় নেই৷
কৃষিজীবী জানালেন, ‘‘আমাদের সব গাছ কেটে ফেলতে হয়েছে, কেননা বুনো শিম্পাঞ্জি, রেডটেইলড মাংকি আর বেবুনদের নিয়ে অনেক সমস্যা দেখা দিয়েছিল৷ ওরা আখের খেত নষ্ট করে৷ আমার এত বেশি ক্ষতি হচ্ছিল যে, চারপাশের জঙ্গল না কেটে কোনো উপায় ছিল না৷ কেননা ওখানেই ওরা ঘুমতো আর বাসা বাঁধত৷''
মানুষ এবং গোরিলার মধ্যে মিল কতটা?
আমরা কি গোরিলাদের চেয়ে শুধুই কিছুটা আধুনিক? সামাজিক চেতনা এবং সংস্কৃতির বিচারে মানুষ এবং বানরের মধ্যকার ব্যবধান আমাদের মুগ্ধ করেছে৷ বার্লিনে এক প্রদর্শনীতে মানুষ এবং গোরিলার মধ্যকার মিল, অমিল শৈল্পিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে৷
ছবি: Filip Van Dingenen (Detail)
সাহিত্যে বনমানুষ
বিভিন্ন সময় নানা ধরনের শিল্পে স্থান পেয়েছে গোরিলা বা বানর৷ ই.টি.এ হফমান, ভিলহেল্ম হাউফ এবং ফ্রানৎস কাফকার মতো লেখকরা বনমানুষদের সাহিত্যে স্থান দিয়েছেন৷ সত্তরের দশকে নারী ‘টকিং গোরিলা’ কোকো বেশ সাড়া জাগিয়েছিল৷
ছবি: Les Films du Losange (Detail)
সুন্দরীর সঙ্গে শিম্পাঞ্জির প্রেম
বার্লিনের একটি মিউজিয়াম ‘হাউস ডেয়ার কুলটুরেন ডেয়ার ভেল্ট’ শিল্পকলায় বনমানুষদের অবস্থান নিয়ে গবেষণা করছে৷ এখানে একজন কূটনীতিকের স্ত্রী একটি শিম্পাঞ্জিকে বেছে নিয়েছেন প্রেমিক হিসেবে৷ ১৯৮৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত কমেডি ছবি ‘মাক্স, মন আমোর’ বা ‘মাক্স, আমার প্রেমিক’-এর দৃশ্য এটি৷
ছবি: 2015 STUDIOCANAL GmbH, Berlin
বিশিষ্ট ভাবুক?
২০০৮ সালে শিল্পি ক্লাউস ভেবারের তৈরি এই ফটো কোলাজে একটি প্লাস্টিকের তৈরি বনমানুষকে ‘ভাবুক’ হিসেবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷ আর তার চারপাশে কমিক বাবলসের মতো রয়েছে বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তির মুখাবয়ব৷
ছবি: Klaus Weber
বানর এবং তার ক্ষমতা
ইন্দোনেশিয়ায় জাভার সংস্কৃতিতে ভগবান হনুমান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র৷ ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দ্য মাস্কড মাংকিস’ ছবিতে জাভার বানর ও তাদের মালিকদের মধ্যকার ক্ষমতার দ্বন্দ্ব এবং কর্মপরিবেশের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে৷
ছবি: Anja Dornieden & Juan David González Monroy (Detail)
মানুষের মুখোশ
নিজের স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবিটি তৈরির ক্ষেত্রে ইউটিউব-এর একটি ভিডিও ছিল ফরাসি শিল্পী পিয়ের উইঘের প্রেরণা৷ ভিডিও-র ‘ফুকু-চান মাংকি ইন উইগ, মাস্ক, ওয়ার্কস রেস্টুরেন্ট’ ক্লিপে একটি পুরুষ বানরকে দেখানো হয়েছে, যে কিনা মুখোশ এবং পরচুলা পরে ছোট একটি মেয়ের রূপ নিয়ে একটা রেস্তোরাঁয় থাকে৷ এই ক্লিপটি দেখেই সেই বানরটি খুঁজে বের করেন উইঘ এবং তৈরি করেন ১৯-মিনিট দৈর্ঘ্যের ছবি ‘হিউম্যান মাস্ক৷’
ছবি: Marian Goodman Gallery, New York; Hauser & Wirth, London; Esther Schipper, Berlin; Anna Lena Films, Paris (Detail)
আমার মধ্যে বানর
এরিক স্টাইনব্রেশার ‘মাল্টিলেয়ার্ড ইমেজ’ বা বিভিন্ন ধরনের, নানা স্তরের ছবি ও ‘স্যাটায়ার’ বা ব্যঙ্গরচনা, তথা হাস্যরস নিয়ে কাজ করেন৷ তাঁর তৈরি ইনস্টলেশন আর্ট ‘এএফএফই’ বিভিন্ন প্রাকৃতিক এবং অজৈব উপাদান দিয়ে তৈরি৷ এই শিল্পবস্তুটির অর্থ নানারকম হতে পারে, অর্থাৎ দর্শকের চোখে তা ধরা পড়তে পারে ভিন্ন ভিন্নভাবে৷ বার্লিনে এই প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত৷
ছবি: Andreas Meichsner (Detail)
6 ছবি1 | 6
জঙ্গলের তিন শতাংশ প্রতিবছর কাটা হচ্ছে – এভাবে চললে উগান্ডার গোরিলা, শিম্পাঞ্জি বা অন্যান্য প্রাইমেটরা আর কতদিন থাকবে? জুলিয়াস কোয়ামিয়া বেশ কিছুদিন ধরে সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন৷ আগে তিনি নিজেই শিম্পাঞ্জি শিকার করতেন, কেননা ওরা তাঁর খেত নষ্ট করত৷ আজ তিনি শিম্পাঞ্জি স্যাংকচুয়ারি অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন ট্রাস্ট্রের সঙ্গে কাজ করেন৷ সবাই মিলে এমন একটি চাষের পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, যা থেকে শিম্পাঞ্জি ও মানুষ, দু'পক্ষই উপকৃত হবে৷
শিম্পাঞ্জি আর মানুষ
জুলিয়াস বলছিলেন, ‘‘এগুলো হলো প্যাশন ফ্রুট৷ এই ফলের চাষ করে ভালো মুনাফা করা যায়৷ কাজেই আমরা চাষিদের ফলের চাষ করার উৎসাহ দিই, যা-তে তাদের রোজগার বাড়ে৷'' প্যাশন ফ্রুট বছরে দু'বার হয়, কাজেই চাষিদের এ থেকে ভালো রোজগার হয়, আবার শিম্পাঞ্জিদের জন্যেও যথেষ্ট বাকি থাকে৷ এছাড়া জুলিয়াস কোয়ামিয়া রাফিয়া পাম লাগিয়ে থাকেন, যা তামাক শিল্পে কাজে লাগে৷ শিম্পাঞ্জি মায়েরা এই খেজুর গাছের মতো দেখতে গাছগুলোর ফাঁকে তাদের বাচ্চাদের লুকিয়ে রাখতে ভালোবাসে, যাতে হিংস্র জন্তুরা তাদের সন্ধান না পায়৷
যেটুকু জঙ্গল বাকি আছে, সেখানে শিম্পাঞ্জিরা আজও শান্তিতে থাকতে পারে – তবে বিজ্ঞানীরা আসেন মুক্ত প্রকৃতিতে শিম্পাঞ্জিদের আচার-ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করতে৷ চান্দিয়া বস্কো যেমন নিয়মিত আসেন শিম্পাঞ্জিদের দেখতে৷ বুডোঙ্গোর জঙ্গলে আপাতত একটি মদ্দা শিম্পাঞ্জি গোল বাঁধিয়েছে, কেননা সে পালের গোদা হতে চায়৷ ফিল্ড অ্যাসিস্টেন্ট চান্দিয়া বস্কো জানালেন, ‘‘ওর নাম হলো কাটো৷ বয়স ২৬ বছরের কাছাকাছি৷ দঙ্গলের মধ্যে আধিপত্য পরম্পরায় ওর স্থান হলো চার কিংবা পাঁচ৷''
বেচারা ওরাংউটান
ইন্দোনেশিয়ায় বনভূমি উধাও আর দাবানলের শিকার শুধু মানুষই হচ্ছে না, ওরাংউটানরাও পড়েছে বিপদে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Fully Handoko
সংখ্যা কমছে
২০০৮ সালের হিসেবে বোর্নিও ওরাংউটানের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫৬ হাজার৷ কিন্তু সেই সংখ্যাটা কমে ৩০ থেকে ৪০ হাজার হয়েছে বলে ধারণা করা হয়৷ অবৈধভাবে গাছ কেটে বনভূমির এলাকা কমিয়ে ফেলা ও দাবানল – এই দুটি অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে৷ উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা ও বোর্নিওতেই মূলত ওরাংউটানদের বাস৷
ছবি: picture alliance/dpa
দাবানলের শিকার
সাম্প্রতিক সময়ে ইন্দোনেশিয়ার বনাঞ্চলগুলোতে দাবানলের সংখ্যা বেড়ে গেছে৷ ফলে সেখানকার পরিবেশ প্রায়ই কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে৷ ‘বোর্নিও ওরাংউটান সার্ভাইভ্যাল ফাউন্ডেশন’ (বিওএসএফ) বলছে, বিরূপ পরিবেশের কারণে অন্তত ১৬টি শিশু ওরাংউটানের স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ তবে কতটি ওরাংউটান মারা গেছে সেই সংখ্যা জানাতে পারেনি সংস্থাটি৷
ছবি: Reuters/FB Anggoro/Antara Foto
বেশি ঘুমাচ্ছে
কুয়াশাচ্ছন বনের কারণে ওরাংউটানদের ঘুমের সময়ে পরিবর্তন হয়েছে৷ সাধারণ সময়ে তারা বিকাল ৫টায় ঘুমিয়ে ভোর সাড়ে চারটা থেকে ৫টার মধ্যে উঠে গেলেও এখন তারা দুপুর আড়াইটা-তিনটায় ঘুমিয় পরদিন সকাল ৬টার দিকে ঘুম থেকে উঠছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Burgi
বাসা বানানোতেও পরিবর্তন
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ওরাংউটানদের অনেক কিছুই পাল্টেছে৷ আগের চেয়ে একটু নীচু করে অর্থাৎ ভূমির কাছাকাছি বাসা তৈরি করছে তারা৷ এছাড়া খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন এসেছে৷
ছবি: picture-alliance/WILDLIFE
মানুষের এলাকায় ঢুকে পড়ছে
ওরাংউটানরা সাধারণত লাজুক স্বভাবের হয়ে থাকে৷ মানুষের সংস্পর্শে আসতে চায়না তারা৷ কিন্তু দিন দিন বাসস্থানের এলাকা কমে যাওয়ায় খাদ্য ও বাসস্থানের খোঁজে তারা প্রায়ই মনুষ্য অঞ্চলে ঢুকে পড়ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Fully Handoko
5 ছবি1 | 5
কাটো দুপুরবেলাটা একা কাটাতে ভালোবাসে৷ সম্মুখসমরে তার বিশেষ আগ্রহ নেই৷ বরং সে মিত্র খোঁজার চেষ্টা করে৷ দলে কাটোর কিছু বন্ধুবান্ধবও আছে৷ চান্দিয়া বস্কো জানালেন, ‘‘দলের মধ্যে আধিপত্যের জন্য লড়াইয়ে নানা ধরনের প্রক্রিয়া চলে৷ শুধু গায়ের জোর কিংবা বুদ্ধি থাকলে চলে না, দু'টোই থাকা চাই: বুদ্ধি এবং গায়ের জোর৷''
কাটো দলের কাছাকাছি এলেই হইচই শুরু হয়ে যায়৷ বর্তমানে যে পালের গোদা, বিশেষ করে তার নজর কাটোর উপর৷ চান্দিয়া বস্কো বললেন, ‘‘ওরা প্রায় মানুষের মতোই আচরণ করে৷ আমার কাছে সেটা খুব ইন্টারেস্টিং মনে হয়, আমি ওদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখি৷ হ্যাঁ, আমিও একদিন ওদের মতো বড় নেতা হতে চাই৷''
তাহলে বস্কো নাকি শিম্পাঞ্জি আর তাদের বুনো ভায়রাভাইদের জন্যও রাজনীতি করবেন৷
কার্ল গিয়ার্সটর্ফার/এসি
জীব-জন্তুর বসন্ত মানেই বাচ্চা-কাচ্চা
জার্মানির চিড়িয়াখানায় বেশিভাগ পর্যটকদের ভিড় হয় বসন্তকালে৷ কারণ জীব-জন্তুরা তখন সন্তানের জন্ম দেয়৷ আর এই শিশু প্রাণীরা সাধারণত হয় বুদ্ধিমান ও আবেগপ্রবণ৷
ছবি: Lutz Schnier
সত্যিকারের বানর প্রেমী
লাইপসিশ: চিড়িয়াখানায় বানর মা কুমিলিকে দেখে বোঝা যায় যে, মাতৃত্বের আনন্দ তার চোখে-মুখে ফুটে উঠেছে৷ তবে ছোট্ট মেয়ে দিয়ারাকে দেখে মনে হচ্ছে যে, পৃথিবীর আলো দেখে সে এখনো তেমন খুশি হতে পারেনি৷ দিয়ারা যেন খানিকটা ভীত৷
ছবি: Zoo Leipzig
এত উঁচু অবস্থায় কেউ জন্মায় না
বার্লিন: জিরাফের মেয়ে বিনে, দুই মিটার উঁচু হওয়ার কারণে ৩০শে এপ্রিল ওর জন্মের সময় বেশ কষ্ট হয়েছে৷ তবুও বিনে জন্মের মাত্র ৪০ মিনিট পরেই হাঁটতে শুরু করে দেয়৷
ছবি: Tierpark Berlin
এত ছোট্ট প্রাণী !
ফ্রাংকফুর্ট: জীবজন্তুদের মধ্যে এই প্রাণীটিকেই সবচেয়ে ছোট প্রাণী দলের মধ্যে ফেলা হয়৷ অর্থাৎ মাত্র ২০ সেন্টিমিটার৷ দক্ষিণ এশিয়া থেকে আসা এই প্রাণীরা খুবই লাজুক স্বভাবের হয়৷ ওদের পা এতটাই ছোট যে, কোথাও পালিয়ে যেতে চাইলেও ওরা যেতে পারে না৷
ছবি: Zoo Frankfurt/Winfried Faust
মিশ্র দম্পতির সন্তান
ডর্টমুন্ড: কী খুসি, মেয়ে হয়েছে, মেয়ে! ও কিন্তু সত্যিকার অর্থেই মিশ্র দম্পতির বাচ্চা৷ বাবা আমারি এসেছে জার্মানির ইয়ারফুর্ট শহরের চিড়িয়াখানা থেকে আর মা সাকিনা দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাধীনতা ভোগ করা মেয়ে৷
ছবি: Stadt Dortmund
চিড়িয়াখানায় বিশেষ শো
কোলন: এ বছর কার্নিভালের সময়, অর্থাৎ গোলাপি সোমবার কোলন চিড়িয়াখানায় দেড় কেজি ওজনের এই ভালুক ছানাটির জন্ম হয়৷ এটাও যেন ছিল কার্নিভালের উৎসবের মতোই আনন্দের৷ কারণ এর আগে কখনো এ চিড়িয়াখানায় এই বিশেষ দিনে কোনো প্রাণীর জন্ম হয়নি৷
ছবি: Kölner Zoo
তুমিই কি আমার ‘মা’?
মিউনিখ: লম্বা লেজওয়ালা ‘কাটা’ প্রজাতির মা বানর তার শিশুটিকে সাথে নিয়ে ‘হেলাব্রুন’-এর পশু পার্ক থেকে মিউনিখ শহরে এসেছে৷ এই প্রজাতি বানরের আসল বাড়ি কিন্তু মাদাগাস্কারে৷
ছবি: Münchener Tierpark Hellabrunn AG
বিদেশিদের সাথে যোগাযোগ
বার্লিন: পূর্ব আফ্রিকার এই জেব্রাদের অন্য পশুদের কাছাকাছি যেতে বা থাকতে কোনো ভয় নেই৷ যে কোনো জায়গাতেই ওরা নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে৷
ছবি: Zoo Berlin
খেলনা নয়, আসল ভাল্লুক
হামবুর্গ: হামবুর্গের হাগেনবেক চিড়িয়াখানার প্রধান আকর্ষণ এখন ইগোর আর ইভান৷ এরা দু’জনই জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি পৃথিবীর আলো দেখেছে৷