1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাস্তবের নিখুঁত নকল

আন্টিয়ে বিন্ডার/এসি২ এপ্রিল ২০১৫

মার্চেলো বারেংগি ইটালির এক অতিবাস্তববাদী শিল্পী৷ লেড পেন্সিল থেকে শুরু করে অ্যাক্রিলিক রং দিয়ে যে কোনো বস্তুর অবিকল প্রতিকৃতি আঁকেন মার্চেলো, কফির কাপ থেকে দা ভিঞ্চির মোনা লিসা অবধি!

Kulturmagazin Camarote.21 13 02 EINSCHRÄNKUNG
ছবি: DW/Marcello Barenghi

আসল কথা: আদত বিষয়বস্তুর প্রতিটি খুঁটিনাটি এমনভাবে তুলে ধরতে হবে যে, কোনটা বাস্তব আর কোনটা ছবি, তা যেন আলাদা না করা যায়৷ যেমন একটা পাঁচ ইউরো-র নোটের ছবি: একটু কোঁচকানো-মোচকানো, কিন্তু দেখলে মনে হবে যেন – আসল টাকা! দর্শকরা ভাববেন: ফটো না হাতে আঁকা ছবি? মার্চেলো বলেন, ‘‘আসলে এর পেছনে আঁকার কোনো বিশেষ পদ্ধতি নেই৷ এই আঁকার কায়দাটাকে বলে হাইপাররিয়ালিজম বা অতিবাস্তববাদ৷ চেষ্টাটা হল, একটা জিনিসের সব খুঁটিনাটি যতোটা বিশদ করে সম্ভব আঁকা৷ তার ফলে পুরো ছবিটা একটা নিজস্বতা পায়৷''

মার্চেলো বারেংগি আঁকেন ফটো থেকে, কিংবা সরাসরি বস্তুটিকে সামনে রেখেছবি: Marcello Barenghi

ইটালির মানুষ মার্চেলো বারেংগি-র নানা প্রতিভা আছে৷ তিনি আঁকেন ফটো থেকে, কিংবা সরাসরি বস্তুটিকে সামনে রেখে৷ বস্তুটির নিখুঁত প্রতিকৃতি আঁকতে দৃশ্যত তাঁর কোনো কষ্টই হয় না৷ মার্চেলো-র ভাষ্যে, ‘আমি মোটা পিচবোর্ডের কাগজের ওপর আঁকি৷ আঁকি বিভিন্ন ধরনের রং-তুলি দিয়ে: খুব গাঢ় জলরং থেকে শুরু করে লেড পেন্সিল কিংবা রং পেন্সিল দিয়ে৷ সবশেষে সাদা অথবা কালো অ্যাক্রিলিক রং দিয়ে ছবির কিছু খুঁটিনাটি আরো স্পষ্ট করে দিই৷''

আঁকার গোটা প্রক্রিয়াটা ভিডিও-য় ধরে রাখেন মার্চেলো৷ কম্পিউটারে ফিল্মটা কাটতে কিন্তু মাত্র কয়েক মিনিট সময় লাগে৷ ধীরে ধীরে ত্রিমাত্রিক এফেক্ট-টা দেখতে পাওয়া যায়: আলো আর ছায়ার খেলা, ড্রইং-এর ভাষায় পার্ফেক্ট শেডিং৷

প্রতি সপ্তাহে এইভাবে একটি ভিডিও সম্পূর্ণ করে ইউটিউবে দেন মার্চেলো৷ ইউটিউবে-র বিজ্ঞাপন থেকে যা আয় হয়, তাতে ৪৫ বছর বয়সি মার্চেলো-র ভালোই চলে যায়৷ অনেক ভিডিও হাজার-হাজার, এমনকি লক্ষ-লক্ষ ক্লিক পায়৷ মার্চেলো বলেন, ‘‘আমি অতোটা প্রত্যাশা করিনি৷ বিশেষ করে যখন অতীতে অনেকে আমাকে বলেছিলেন: ‘তোর আঁকা এমন কিছু নয়৷' কয়েকজন আমাকে আঁকা ছেড়ে দেবার পরামর্শও দিয়েছিলেন৷ আজ হঠাৎ আমার ছবিগুলো সারা বিশ্বের মানুষদের ভালো লাগছে – আমাকে সেটা সত্যিই চমকে দিয়েছে৷''

বারো বছর বয়সে মার্চেলো বারেংগি: এটাও একটা ড্রয়িং, তাঁর ছেলেবেলার ফটো থেকে আঁকা৷ সেই বারো বছর বয়সেই আঁকার দিকে মন ছিল৷ পরে তিনি মিলান-এর একটি আর্ট স্কুলে পড়াশুনা করে গ্র্যাফিক আর্টিস্ট বা অঙ্কণশিল্পী হন, কিন্তু নব্বইয়ের দশকে সে পেশাও ছেড়ে দেন৷ মার্চেলো-র ব্যাখ্যা, ‘‘সময়টাই খারাপ ছিল৷ সে আমলে প্রথম কম্পিউটার গ্র্যাফিক্স ওঠে, যার ফলে বহু অলঙ্করণ শিল্পী তাদের জীবিকা হারান৷ বিশ বছর পরে পরিস্থিতি আজ বদলে গেছে৷ হাতে করে কী করে আঁকতে হয়, কম্পিউটারে কাজ করে করে অনেক গ্র্যাফিক আর্টিস্ট তা ভুলেই গেছেন৷''

মার্চেলো আজ মিলান-এর কাছে একটি ছোট্ট শহরে বাস করেন এবং সেখান থেকেই কাজ করেন৷ এখানে তিনি তাঁর অতিবাস্তববাদী, ত্রিমাত্রিক ছবি আঁকার জন্য অপরিমিত বিষয়বস্তু খুঁজে পান৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি স্রেফ আমার বাড়িতে কিংবা সুপারমার্কেটে ঘুরে দেখি, কী চোখে পড়ল৷ যেমন এই কফির কাপগুলো: এগুলো আগেই এঁকেছি৷ ফলমূল, দৈনন্দিন কাজের জিনিস অথবা একটা কর্কস্ক্রু৷ আমার কাছে এ সবই আঁকার মতো৷''

পুরনো যুগের নামীদামী শিল্পীদের নিখুঁত নকল করে থাকেন মার্চেলো৷ যেমন দা ভিঞ্চির মোনা লিসা৷ তারও আছে এক মার্চেলো সংস্করণ!

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ