বাহরাইনে দাফন অনুষ্ঠানে পুলিশি অ্যাকশন, পরিস্থিতি উত্তপ্ত
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১সোমবার দায়িহ গ্রামের শিয়া জনগোষ্ঠীর সদস্যদের লক্ষ্য করে চালানো পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারায় ২২ বছর বয়সি ঐ যুবক৷ মঙ্গলবার তার দাফন সম্পন্ন করতে সমবেত হয় বিপুল সংখ্যক মানুষ৷ কিন্তু এসময় সাধারণ মানুষের উপর আবারও চড়াও হয় পুলিশ৷ বিরোধী শিয়া দল ‘ওয়েফাক' থেকে নির্বাচিত সাংসদ ইব্রাহিম মাত্তার জানিয়েছেন, ‘‘হাসপাতালের পাশেই কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ার কারণে জনতা এদিক-ওদিক ছোটাছুটি শুরু করে৷ পরে আবারো তারা একত্রিত হয়৷''
তিনি আরো জানান যে, মঙ্গলবার আরো এক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে৷ আরবি টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দাফন অনুষ্ঠানে সংঘর্ষে দ্বিতীয় ব্যক্তি প্রাণ হারায়৷ অবশ্য দ্বিতীয় নিহত ব্যক্তি সোমবারের সংঘর্ষে আহত হয়ে থাকার পর মঙ্গলবার মারা গেছে কি না তা নিয়ে কিছুটা সন্দেহ রয়ে গেছে৷
এদিকে, বাহরাইনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টুইটারে প্রকাশিত বিবৃতিতে সোমবারের ঘটনায় নিহত শিয়া যুবকের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেছে৷ এছাড়া তাকে অন্যায়ভাবে মারা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে৷ বাহরাইন সরকার মূলত বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে সোমবারের ঘটনায় হতাহতদের অর্থ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মিশর এবং টিউনিশিয়ার সফল বিপ্লবে উৎসাহিত হয়ে বাহরাইনের শিয়া জনগোষ্ঠী যেন সরকার বিরোধী আন্দোলনে মেতে না ওঠে সে ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক রয়েছে সরকার৷ তবে শিয়া বিক্ষোভকারীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তাদের ক্ষোভ সুন্নি রাজপরিবারের বিরুদ্ধে নয়, তারা শুধু সমানাধিকারের জন্য লড়ছে৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন