1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বায়ার্ন নয়, ফাইনালে রেয়াল

৩০ এপ্রিল ২০১৪

রোনাল্ডো, রামোসদের মধুর প্রতিশোধ৷ গত মৌসুমে যে আলিয়ানৎস আরেনায় ডুবেছিল তাদের স্বপ্নতরী, বায়ার্ন মিউনিখের সেই দুর্গেই রেয়াল উড়িয়েছে বিজয় নিশান৷ সেমিফাইনালে বায়ার্নকে ৫-০ গোল পার্থক্যে উড়িয়ে রেয়াল উঠে গেছে ফাইনালে৷

ছবি: Getty Images

মঙ্গলবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে পেপ গুয়ার্দিওলার দুঃসময় আরো প্রলম্বিত হলো৷ নিজেদের মাঠে বায়ার্ন এই রেয়ালকেই গত মৌসুমে হারিয়েছিল ৩-০ গোলে৷ ৪-০ গোল পার্থক্যে সেমিফাইনাল উতরে ফাইনালে বোরুসিয়া ডর্টমুন্ডকেও হারিয়ে কাটিয়েছিল ১২ বছরের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খরা৷ সঙ্গে বুন্ডেসলিগাসহ তিনটি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট জিতে রীতিমতো আকাশে উড়ছিল বাভেরিয়ানরা৷ এমন দলের দায়িত্ব নিয়েছলেন পেপ গুয়ার্দিওলা৷ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাঁর আশার ভরাডুবি হলো৷ ‘অ্যাওয়ে' ম্যাচে তবু সিংহভাগ সময়ে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে রাখার সান্ত্বনা ছিল৷ মঙ্গলবার তা-ও গেল৷ আলিয়ানৎস আরেনার দর্শকঠাসা গ্যালারি হতবাক হয়ে দেখলো প্রিয় দলের টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বপ্নটাকে ভেঙে চুরমার হতে৷

ছবি: picture-alliance/dpa

গ্যারেথ বেল জাল ছেঁড়ার বাসনায় জোরালো শট না নিলে প্রথম গোলটা হয়ত ১৫ মিনিটেই পেয়ে যেত রেয়াল৷ সে যাত্রা বার উঁচিয়ে চলে গেলেও পরের মিনিটেই অবশ্য জাল খুঁজে পায় বল৷ মডরিচের কর্নার, রামোসের হেড এবং গোল! পরের গোলটিও রেয়ালের তিন ফরোয়ার্ড রোনাল্ডো, বেল বা বেনজেমার নয়৷ ডি মারিয়ার ফ্রি কিকে মাথা ছুঁইয়ে সেই রামাসোর দিকেই বল বাড়িয়েছিলেন পেপে, রেয়াল ডিফেন্ডার গোলরক্ষক নয়ারকে বোকা বানাতে সেবারও ভুল করেননি (২-০)৷

তৃতীয় গোলে আর অন্যদের কিছু করতে দেননি বেনজেমা, বেল আর রোনাল্ডো৷ নিজেদের সুন্দর বোঝাপড়ার নমুনা দেখিয়ে ৩৪ মিনিটে তাঁরাই ঠুকেছেন বায়ার্নের কফিনের তৃতীয় পেরেক৷ বেনজেমার পাস বেল-এর পায়ে, বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়ের পা থেকে বল গেল ফিফা বিশ্ব সেরার পায়ে, তারপর রোনাল্ডোর পায়ের ছেলেখেলা (৩-০)!

রেয়ালকে ফাইনালে নিতে রোনাল্ডো করেছেন দুই গোল, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এক আসরে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডটি এখন তারই দখলেছবি: Getty Images

রোনাল্ডোর চমকের তারপরও খানিকটা বাকি ছিল৷ ম্যাচ শেষ হতে তখন এক মিনিট বাকি৷ ফ্রি কিক নেবেন রোনাল্ডো৷ সামনে পা ফাঁক করে দুর্ভেদ্য প্রাচীর গড়েছেন বায়ার্নের খেলোয়াড়রা৷ ঠিক পায়ের ফাঁক দিয়েই মাটি কামড়ানো শটে জার্মান চ্যাম্পিয়নদের বোকা বানালেন পর্তুগিজ সুপারস্টার৷

২০০১-২০০২ মৌসুমের পর আবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের আশায় আনন্দে ভাসছে মাদ্রিদ৷ স্পেনের শহরটিতে যখন আনন্দবন্যা, বায়ার্নে তখন শোকের ছায়া৷

এসিবি/ডিজি (রয়টার্স,এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ