বায়ার্ন মিউনিখ খেতাবের দৌড়ে পজিশন নিল
৮ মার্চ ২০০৯ফুটবলে যেমন সবই সম্ভব, বুন্ডেসলিগাতেও তা’ই, এবং বায়ার্নের ক্ষেত্রে তো বটেই৷ গত বুধবারই মনে হচ্ছিল, যে বায়ার্ন কোচ ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমান এবার যাবার পথে৷ জার্মান কাপ থেকে বায়ার্নের বিদায়, বুন্ডেসলিগায় বায়ার্ন নড়বড়ে৷ কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লীগে পোর্তোর বিরুদ্ধে বায়ার্নকে যেমন ঝলসে উঠতে দেখা গিয়েছিল, হ্যানোভার ৯৬-এর বিরুদ্ধেও ঠিক সেই ঘটনাই ঘটল৷ আরো বলা দরকার, যে গতকাল ফ্রাঙ্ক রিবেরি, লুকা টোনি, ক্যাপ্টেন মার্ক ফ্যান বমেল, কেউ’ই মাঠে নেই৷ তায় আবার হ্যানোভারের ইরি স্টাইনার হ্যানোভারের হয়ে প্রথম গোল করে বসল৷ কুছ পরোয়া নেই, বায়ার্ন তার জবাব দিল ১৪ মিনিটের মধ্যে তিনটি গোল করে: একটি ডানিয়েল ফ্যান বয়টেন, একটি মিরোস্লাভ ক্লোজে এবং একটি হামিট আল্টিনটপ৷ পরে লুকাস পোডোলস্কি এবং মার্টিন ডেমিকেলিস আরো দুটি গোল যোগ করে৷
এর থেকে কি প্রমাণ হল? প্রমাণ হল, যে বায়ার্ন বায়ার্নই৷ ইউরোপীয় কিংবা জার্মান ফুটবলে বায়ার্নকে বাদ দিয়ে কোনো হিসেব চলে না৷ এবং জার্মানীর মধ্যেও যেমন ঐ বায়ার্ন নামধারী প্রদেশটির কায়দা-কানুনই আলাদা, তেমন ক্লাবটিরও৷ পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, যে বায়ার্ন বুন্ডেসলিগার হাল তো ছাড়ে নিই’ই – উল্টো চ্যাম্পিয়নস লীগেও এবার এস্পার-ওস্পার কিছু একটা করে বসবে৷ মুডি টীম, মুডি সব খেলোয়াড় এবং মুডি কোচ – তার সুবিধা, অসুবিধা দুই’ই আছে৷
হের্থার ভাগ্য না পুরুষকার?
কাটখোট্টা স্ট্রাইকার আন্দ্রেই ভরোনিনকে দেখতে গাঁট্টাগোট্টা গায়ের জোরীর খেলার ডিফেন্ডারের মতো৷ উক্রেইনের লোক, লিভারপুল থেকে ধারে হের্থায় এসেছে – এবং বুন্ডেসলিগায় হের্থার শেষ চারটে খেলায় ছ’টা গোল করেছে৷ হের্থা এখন চার পয়েন্টের ব্যবধান নিয়ে তালিকার শীর্ষে৷ কে জানে, ঐ ভরোনিনের কল্যাণে খোদ জার্মান রাজধানীর এই দলটি সুদীর্ঘ ৭৮ বছর পরে আবার বুন্ডেসলিগা চ্যাম্পিয়ন হবে কিনা!
বাকিরা
ভাবতেও আশ্চর্য্য লাগে, হামবুর্গ কিন্তু এখনও ৪২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্টের তালিকায় দ্বিতীয়দের মধ্যে পড়ে, যেমন বায়ার্ন, হফেনহাইম কিংবা আপাততঃ ভোলফসবুর্গও৷ তালিকার একেবারে ভাঁড়ারের মোয়েনশেনগ্লাডবাখের কাছে সেই হামবুর্গ হারল ১-৪ গোলে৷ খেলায় না ছিল লড়াকু মনোভাব, না শৈলী, না শৃঙ্খলা৷ বিশেষ করে তাদের ডিফেন্সের দুর্বলতা লক্ষণীয়৷
হফেনহাইমই বা এই নিয়ে পঞ্চম খেলায় জিততে পারল না কেন? ভের্ডার ব্রেমেনের বিরুদ্ধে ০-০৷ অবশ্য ছ’জন নিয়মিত খেলোয়াড় যখন নানা কারণে অনুপস্থিত, তখন কোচ রাফ রাংনিকের আর বিশেষ কিছু করারও ছিল না৷
ভোফসবুর্গের অবস্থা হফেনহাইমের ঠিক উল্টো: পঞ্চম খেলায় পঞ্চম জয়৷ তারা কার্লসরুহেকে হারিয়েছে ১-০ গোলে৷ আর স্টুটগার্ট ডর্টমুন্ডকে হারিয়েছে ২-১ গোলে৷