1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বায়োমাস

ক্রিস্টিনা ব়্যোডার/এসবি১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

আবর্জনা থেকে জ্বালানি তৈরির উদ্যোগ নতুন বিষয় নয়৷ বিচ্ছিন্নভাবে এমন প্রচেষ্টা বা প্রকল্পের অভাব নেই৷ তবে গোটা বিশ্বে পেট্রোলিয়াম বর্জন করে শুধু বায়োমাস ব্যবহার করে সব চাহিদা মেটানো সম্ভব কি?

Biogasanlage
ছবি: Jürgen Fälchle/Fotolia

প্রায় প্রতিটি রাস্তার কোণেই বায়োমাস পাওয়া যায়৷ হামবুর্গ শহরে প্রায় সবকিছুই পুনর্ব্যবহার করা হয়৷ গাছ কাটার সময় পড়ে থাকা টুকরা এবং শুকনা পাতাকে সার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে৷

গোটা বিশ্বে টন-টন অর্গানিক আবর্জনা রয়েছে, যা ফেলে দেয়া হয়৷ যেমন তালগাছ, যার তেল থেকে মার্জারিন বা ফ্যাট তৈরি হয়৷ পাইটেক কোম্পানির স্টেফান শ্যোল বলেন, ‘‘শুধু এই বীজ কাজে লাগানো হয়৷ বাকি সব কিছু ফেলে দেয়া হয়, এমনকি পাঁচ বছর অন্তর গোটা তালগাছও৷''

হামবুর্গ শহরের পাইটেক কোম্পানি মনে করে, এমন অপচয় সত্যি দুঃখজনক৷ বিশেষ করে গাছ কাটার সময় যে জঞ্জাল সৃষ্টি হয়, বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা তরলে রূপান্তরিত করা যায়, যাকে ‘পাইরোলিসিস' তেল বলা হয়৷ এক শোধনাগারে সেটিকে জ্বালানিতে রূপান্তরিত করা হয়৷

তেল সরাসরি ব্যবহার করতে পারলে আরও ভালো হতো৷ ঠিক যেখানে বায়োমাস তৈরি হচ্ছে, সেখানেই – মিনি উৎপাদন কেন্দ্র সহ মোবাইল ‘পেট্রোল' পাম্পের মাধ্যমে৷ মার্কিন ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক ‘ক্যাটারপিলার'-এর সঙ্গে সহযোগিতায় বিজ্ঞানীরা এমন প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন৷ স্টেফান শ্যোল বলেন, ‘‘এখনো পর্যন্ত আমরা শুধু ১,০০০ ঘণ্টার ‘সার্ভিস লাইফ' পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছি৷ অর্থাৎ বিষয়টা এরকম৷ একটা ইঞ্জিন এক বছর ধরে চললে আটবার ইঞ্জেকশন সিস্টেম বদলাতে হয়৷ ভবিষ্যতে আমরা এমন উপাদান খুঁজে পেতে চাই, সাধারণ ডিজেল দিয়ে চালালেও যা একই সময় নেবে৷''

হামবুর্গের ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস-এও জঞ্জাল থেকে জ্বালানি তৈরির বিষয়ে গবেষণা চলছে৷ ব্যবহার করা তেল, প্লাস্টিক, হেভি অয়েল – গবেষণাগারে এ সব থেকে তেল তৈরি হচ্ছে৷

কাঁচামালেরও অভাব নেই, তাই দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে পেট্রোলিয়ামের বিকল্প হাতের নাগালেই রয়েছে৷ অধ্যাপক টোমাস ভিলনার বলেন, ‘‘বিশ্বব্যাপী জ্বালানির চাহিদার মাত্রা ১০০ ‘এক্সাজুল'৷ এই চাহিদা বাড়তে না দিলে টেকসই প্রক্রিয়ায় তৈরি বায়োমাস দিয়ে পেট্রোলিয়ামের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব৷ তবে ভারত ও চীনের মতো দেশে চাহিদা সীমিত রাখতে হবে৷''

উদীয়মান শক্তিধর দেশগুলিতে বেড়ে চলা চাহিদা মেটাতে একটা সমাধানসূত্রের প্রয়োজন রয়েছে৷ নতুন প্রক্রিয়ার বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে৷ বড় আকারে এই প্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়মিত উৎপাদন করতে পারলেই এটা সম্ভব৷

বিশেষ ঘোষণা: এই সপ্তাহের অন্বেষণ কুইজে অংশ নিতে ক্লিক করুন এখানে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ