1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুনদিল্লি বইমেলা

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২

ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট আয়োজিত নতুনদিল্লি বিশ্ব বইমেলা শুরু হয়েছে ২৫শে ফেব্রুয়ারি থেকে৷ চলবে ৪ঠা মার্চ পর্যন্ত৷ অংশ নিয়েছে ১৩০০ প্রকাশক ও ৩০টি বিদেশি প্রকাশনা সংস্থা৷ তার মধ্যে জার্মানির যোগদান চোখে পড়ার মত৷

ছবি: DW

আজকের যুগে বই

কে বলে অডিও-ভিস্যুয়ালের যুগে বই পড়া কমে যাচ্ছে? নতুনদিল্লি বিশ্ব বইমেলা অন্তত সেকথা বলছেনা৷ সব বয়সের বই অনুরাগীদের ভিড় দেখার মত, বিশেষ করে কিশোর কিশোরীদের৷ এবারের মেলায় সমকালীন শিশু সাহিত্য একটা বড় জায়গা জুড়ে আছে৷ আছে ১৫টি ভাষায় সাহিত্য, বিজ্ঞান, ধর্ম, পরিবেশ, নাটকের বিশাল সম্ভার৷ আছে মোবাইল সাহিত্য- শ্রবণ ডিভাইস৷

দিল্লি বইমেলায় বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে রবীন্দ্রনাথের সার্ধ শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রবীন্দ্র রচনাবলি, রাজধানী হিসেবে দিল্লি শহরের শতবার্ষিকী, দিল্লি প্যাভেলিয়ান এবং ভারতীয় সিনেমার শতবার্ষিকী প্যাভেলিয়ান৷ তুলে ধরা হয়েছে সিনেমা ও সাহিত্যের সাযুজ্য নিয়ে প্রায় ৪০০ বই৷

বইমেলায় জার্মানি

বইমেলায় জার্মানি অংশ নিয়েছে সরকারিভাবে ডয়চে ভেলে তার অন্যতম৷ ১০টি জার্মান প্রকাশনা সংস্থা এসেছে৷ ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলার পক্ষ থেকে জার্মান প্যাভেলিয়ানের প্রতিনিধি বইমেলা সম্পর্কে ডয়চে ভেলেকে বললেন, খুবই বড় বইমেলা এটি৷ আমরা এনেছি শিশু সাহিত্য, সমকালীন সাহিত্য ও বিজ্ঞানের বই৷ মনে হয় অনেক ভারতীয় প্রকাশক জার্মান বই-এ আগ্রহী হবেন৷ একইভাবে অনেক ভারতীয় বই বিশেষ করে ইংরেজি বই প্রকাশে আগ্রহী হবে জার্মান প্রকাশক৷ অনেক ভারতীয় প্রকাশকের কাছে ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলার এক বিশেষ স্থান আছে৷

নতুনদিল্লি বিশ্ব বইমেলাছবি: DW

পশ্চিমবঙ্গের উপস্থিতি

পশ্চিমবঙ্গের পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার সমিতির কিশোর চৌধুরী বললেন, বাংলা বই-এর চাহিদা নেই একথা বলবোনা৷ তবে কম৷ আগেকার দিনের রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র, বঙ্কিম সাহিত্যের পাঠকরা চাইছেন, তরুণ প্রজন্মকে বাংলা বইয়ের দিকে টেনে আনতে৷

আরেকজন প্রকাশক গৌতম দের মতে, বাংলা বই-এর বাজার যে নেই, তা নয়৷ বড় বড় প্রকাশকরা বাংলা বই-এর বাজার প্রসারিত করার চেষ্টা করছে৷ তবে এটা তো ঘটনা যে, অডিও-ভিস্যুয়াল মিডিয়ার যুগে মানুষের পড়ার অভ্যাসটা কমে যাচ্ছে৷ মানুষ পড়ার চেয়ে টিভি দেখা পছন্দ করছে৷ এতে সে অনায়াসে বিষয়বস্তুর কাছে পৌঁছে যেতে পারছেন৷

সিনেমা ও সাহিত্যের মেলবন্ধন সম্পর্কে প্রকাশক গৌতম দে বললেন, ‘‘আপনি দেখবেন, যদি জিজ্ঞাসা করি রবীন্দ্রনাথের ঘরে বাইরে পড়েছেন? সে বলবে না পড়িনি, সত্যজিৎ রায়ের সিনেমায় দেখেছি৷ এমন কী পথের পাঁচালি পড়িনি দেখেছি৷'' এই সব মানুষের সংখ্যা বেশি৷

ফিল্ম সব সময় সাহিত্য থেকেই ধার করে বেশি৷ কাহিনির যে বুনট সেটাই চলচ্চিত্রের প্রাণ৷ সেই স্টোরিলাইনটা আসে সাহিত্য থেকে বলেন ৷

বইমেলার উদ্বোধন করে মানব সম্পদ বিকাশ মন্ত্রী কপিল সিব্বাল বলেন, দিল্লি বইমেলা আফ্রো-এশিয়ার বৃহত্তম বইমেলা৷ এই বইমেলা যাতে প্রতিবছর হয় তার জন্য তিনি আয়োজকদের কাছে আবেদন রাখেন৷ ভারত সম্ভবত একমাত্র দেশ, যেখানে ৪০টি ভাষায় বই প্রকাশিত হয়৷ তিনি বলেন, প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের যুগে ছাপা অক্ষরের বই পিছনের সারিতে বসবেনা৷ একে অপরের পরিপূরক হয়ে থাকবে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ