1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইংল্যান্ডের হৃদয় ‘কট্সওয়ল্ডস’

১৬ ডিসেম্বর ২০১৬

কট্সওয়ল্ডস-কে বলা হয় ইংল্যান্ডের হৃদয়৷ চলুন, সেই ভেড়া আর পশম, সেই সঙ্গে অপূর্ব নিসর্গ আর দু'হাজার বছরের ইতিহাস মেশানো এলাকাটিকে একবার চোখে – ও চেখে দেখে আসা যাক!

ছবির বইয়ের মতো: কট্সওয়ল্ডস
ছবি: Cotswolds Tourism

ইংল্যান্ডের হৃদয়

02:54

This browser does not support the video element.

ছবির বইয়ের মতো: কট্সওয়ল্ডস৷ ইংল্যান্ডের ঠিক মাঝামাঝি৷ এখানকার নিসর্গ আর স্থাপত্য নাকি জে আর আর টলকিয়েন-কে ‘‘দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস'' লেখার প্রেরণা যুগিয়েছিল৷ দেখার মতো অনেক জায়গা রয়েছে, যেমন বাইবেরি গ্রামের একটি রাস্তা, আর্লিংটন রো, যা সপ্তদশ শতাব্দী যাবৎ অপরিবর্তিত; অথবা বুর্টন-অন-দ্য-ওয়াটার, যেখানকার ছোট ছোট খালগুলির জন্য জায়গাটির নাম হয়েছে ‘‘কট্সওয়ল্ডস-এর ভেনিস''৷

ছোট ছোট পাহাড়িতে ভরা কট্সওয়ল্ডস-কে ইংল্যান্ডের ‘‘হৃদয়'' বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে৷ ১৯৬৬ সালে কট্সওয়ল্ডস-কে ‘‘অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এলাকা'' বলে ঘোষণা করা হয়৷ সাডেলি ক্যাসল-এর লেডি এলিজাবেথ অ্যাশকাম্ব বলেন, ‘‘এখানকার পাহাড়, নদী খুবই স্বাস্থ্যকর, তাই রোমানরা এখানে আসে ও কট্সওয়ল্ডস-এর সর্বত্র ভেড়া পালতে শুরু করে৷ গোটা রোমক সাম্রাজ্যের জন্য এখানে পশম উৎপাদন করা হতো৷''

লেডি অ্যাশকাম্ব থাকেন সাডেলি ক্যাসলে – উইঞ্চকোম্ব শহরটি থেকে খুব বেশি দূরে নয়৷ তাঁর ক্যাসলটির ইতিহাস দ্বাদশ শতাব্দী অবধি চলে গেছে৷ গোটা এলাকাটাই যেন ইতিহাসের স্বাক্ষর বহন করছে৷ ক্যাসল-এর একাংশ আজকাল টুরিস্টদের জন্য খোলা৷ নয়ত ক্যাসলটা বহুকাল ধরে ইংরেজ রাজার সম্পত্তি ছিল, অষ্টম হেনরি স্বয়ং এখানে অতিথি হয়েছেন৷ লেডি অ্যাশকাম্ব বলেন, ‘‘অষ্টম হেনরির শেষ স্ত্রী ক্যাথরিন পার রাজার মৃত্যুর পর টমাস সিমুরকে বিবাহ করেন, যিনি ছিলেন এই ক্যাসল-এর মালিক৷ কাজেই ক্যাথরিন এই ক্যাসল-এই বসবাস করেছেন ও মৃত্যুবরণ করেছেন৷ বাগানের গির্জাতে তাঁকে সমাহিত করা হয়েছে৷''

পিকচারবুক ইংল্যান্ড দেখতে গেলে ব্রিটেনের একটি বিশেষত্বের সঙ্গে পরিচয় হওয়া দরকার: আফটারনুন টি, বা বিকেলের চা-জলখাবার৷ শসার স্যান্ডউইচ, স্ট্রবেরি মার্মালেড আর ‘‘ক্লটেড ক্রিম'' দিয়ে স্কোন্স, এ দু'টি জিনিস ছাড়া ব্রিটিশ আফটারনুন টি হয় না৷ ব্যাজার্স হল-এর ক্যারেন ওয়েন্স বলেন, ‘‘বিকেলের চা-জলখাবার চালু হয় কেননা আগে, ধরা যাক সপ্তদশ শতাব্দীতে, লাঞ্চ আর ডিনারের মধ্যে সময়টা বড় বেশি ছিল৷ কাজেই ডাচেস অফ বেডফোর্ড ঠিক করেন যে, তিনি ঐ দু'টোর মাঝে মিষ্টি কিছু মুখে দেবেন৷ সেটাই আজ আফটারনুন টি হয়ে দাঁড়িয়েছে৷''

শ্যারন ব্যারকাল/এসি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ